আজ নতুন কোচিং এ প্রথম দিন ।তাই একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।তারপর আমার বন্ধু সাইমুমকে ফোন দিলাম। ও ওই কোচিংয়ে পড়ে তাই ঠিকানা জেনে নিলাম।
-হ্যালো
-হ্যা বল
-কোথায় তুই
-এইতো বেরোচ্ছি তুই গ্রিন বাজারের সামনে চলে আয়।
-আচ্ছা তুই ওখানে দাড়া আমি আসছি
কিছু সময় পর চলে আসলাম গ্রিন বাজারের সামনে ।ওখানে কিছু সময় দাড়ানোর পর সাইমুম চলে আসল ।দুজন একসাথে কোচিংয়ের দিকে রওনা দিলাম।
আচ্ছা কথা বলতে বলতে পরিচয়টাই দেওয়া হল না।আমি সিয়াম এইচ এসসি ১ম বর্ষে পড়ি।আমি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর এ পড়ি ।আমার বাড়ি একই জেলাতেই ।কিন্তু বাড়ি থেকে কলেজ একটু দুরে হওয়ায় এখানে থাকি।
-কিছুসময় পর কোচিংএ পৌছে গেলাম।তারপর ক্লাস এ গিয়ে বসলাম সবার সাথে পরিচয় হলাম।
-তার কিছুসময় পর একটা মেয়ে এল ।এসে আমার পাশের বেন্চটাতে বসল।আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে চোখ ফেরাতে পারলাম নাহ ।তার চেহারায় অসম্ভব রকমের মায়া,এত মায়া যে আমার বর্ননা করার ভাষা নাই।আমার সচারচর কোন মেয়েকে দেখলে ভাল লাগে না ।কিন্তু সে একদম অন্যরকম প্রথম দেখাতেই আমার মনটা ছুয়ে গেল।ক্যামন জানি ফিল হতে শুরু হল।
-ওকে দেখার পর ক্যামন একটা স্বপ্নের জগতে চলে গেলাম।
-যশোর আসার পর আমার অন্যান্য সব বন্ধুরা প্রেম করত কিন্তু আমার কখনও কাউকে ভাল লাগেনি।
-কিন্তু আজকের ব্যাপারটা একদম অন্যরকম প্রথম পলকেই ভাল লেগে যায় ।ভালবেসে ফেলি ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে না “Love at First Sight”.
-তারপর সাইমুমের ডাকে ঘোর কাটল।
-ও মেয়েটাকে বলল মেঘলা এ সিয়াম আমার ছোটবেলার বন্ধু আমরা স্কুলে একসাথে পড়তাম।
-মেয়েটা আই মিন মেঘলা এখনতো নাম জানি ও আমাকে হাই দিল।
-তারপর আমিও হাই দিলাম।
এরপর থেকে প্রতিদিন দেখা হত কোচিংয়ে অল্প অল্প করে কথা হত।তারপর আস্তে আস্তে ভাল একটা বন্ধুত্বের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।এরপর থেকে প্রতিদিন কথা হত গল্প হত। কিন্তু সেটা শুধু কোচিং পর্জন্তই সীমাবদ্ধ ছিল।
একদিন বিকালে মাঠে আমরা বন্ধুরা ব্যাডমিন্টন খেলছি।
আমার বন্ধু রাহুল মেঘলার ক্লাস মেইট ভাল বন্ধুও বটে ও হঠাৎ করে বলল …
-দোস্ত তোর মেঘলা ফেসবুক এ্যাকাউন্ট এ্যাক্টিভ করছে।
-বলিস কি।আইডি টা দেতো
-Nillsporshi Nillavro
তারপর আমি এ্যাড দিলাম তখন ও অনলাইনেই ছিল তাই সাথে সাথেই এ্যাকসেপ্ট করল।তারপার নক করলো ও আগেই।
ও আপনাদের তো একটা কথা বলাই হয়নি ও কিছুদিন হল কোচিং ছেড়ে দিয়েছে শুনছি নতুন কোথাও পড়বে।
যাইহোক ও আগেই নক করেছিল ।তারপর….
-Hi
-Hlw
-Kmn aso
-Vlo tumi?
-Eito valoi
-Blah blah blah
তারপর খেলা শেষ করে বাড়ির দিকে গেলাম। এর মধ্যে অনেক কথাই হল । হঠাৎ আমি ওকে বললাম…
-আমাদের তো অনেকদিন হল দেখা হয়না কথাও হয়না তুমিকি আমাকে মিস করো?
-হুম অনেক মিস করি
-আমিও তোমাকে অনেক মিস করছি😊😊😊
এভাবে চলতে থাকল কিছুদিন।প্রতিদিনই ফেসবুকে কথা হত। আমি হাই হ্যালো করার পর কি বলব খুজে পেতাম না ভেবে ভেবেই সময় কাটিয়ে দিতাম।তাছাড়া ও ফেসবুকে আমি যেটা বলতাম শুধু তার উত্তর দিত নিজে বেশি কিছু বলত না।
হঠাৎ আমি আর সাইমুম একদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি সামনে তাকিয়ে দেখি মেঘলা দেখে অনেক খুশি হলাম কারন অনেকদিন পর দেখলাম ওকে।
আমিই আগে কথা বললাম…
-কোথায় যাচ্ছ
-এইতো পড়তে
-তুমি আমাদের কোচিংএ আর পড়বা না?
-নাহ
-কিন্তু কেন?
-এমনি
তারপর চলে গেল ,আমরাও ওখান থেকে চলে আসলাম।
তার একদিন পরে হঠাৎ মেঘলার মেসেজ
-Oi ami kal theke coaching e asci..
-Sotti
-Hmm
আমি কথাটা শুনে অনেক খুশি হলাম।
পরদিন রীতিমত কোচিংএ গেলাম গিয়ে দেখি মহারাণী হাজির
ঐদিন অনেক কথা হল।কিন্তু দুঃখের বিষয় একটাই যে ও শুধু ICT পড়বে যা শুধু সপ্তাহে ৩দিন ১ ঘন্টা করে।
খারাপ লাগছিল কিন্তু একদম না থাকার চেয়েও কিছুটা থাকাত ভাল তাই বলে মনকে সান্তনা দিলাম।
এভাবে চলতে থাকল আরও কিছুদিন….
এর মধ্যে ওকে আমি অনেকবার আমার মনের কথা বলতে চেয়েছি কিন্তু বলতে পারিনি।কেন জানিনা আমি ওর সামনে গেলে কথা বলতে পারি না বুকের মধ্যে ক্যামন জানি অনুভূত হয়।তাছাড়া হারাবার ভয়তো রয়েছেই মাঝে মাঝে মনে হয় আমি বলার পর যদি আমার ওপর রাগ করে কথা না বলে তাহলে কি করব,আমিতো ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারি না।
তবে আমার ওর একটা জিনিস আমার বরাবরই খুব ভাল লাগে।আমি যদি ওর কোন কথা না শুনি তাহলে বলবে তুমি আমার সাথে কথা বলবা না কিন্তু পরবর্তীতে ও ই আগে কথা বলে।
27th December 2017
সেদিন আমি মামাবাড়িতে গেছিলাম আমার বন্ধু ওমরকে নিয়ে।ঐদিন সিদ্ধান্ত নিলাম সামনে তো বলতে পারিনা আজ ফেসবুকে বলেই দেব।যা হবার হবে।
আমি প্রথমে নক দিলাম….
-Hi
-Hlw.
-Kmn aso
-Valo tumi?
-Alhamdulillah valo
-Ekta kotha bolar Cilo
-Bolo
তারপর আমি কোন কথা না পেচিয়ে না বাড়িয়ে সোজাসুজি বলেই দিলাম…
-I Love You
-kii
-Gonna crazy
-Haaa…ami sotti pagol hoe jassi ..ami tmr jonno sotti pagol hoe jassi..
-trust me ami tmk sotti onk besi love kori
কিন্তু কোন কথাই কাজ হল না আমার কপালে যা ছিল। একজনকে ভালবাসলাম সে না করে দিল..
-I am sorry
-Possible nah
-Blah blah blah.
এর পর থেকে আমার জীবনে শুরু হল নতুন এক অধ্যায়।ঐদিনের পরে আমি যতবারই আমার ভালবাসার কথা ওকে বলেছি ও প্রত্যেক বারই একই উত্তর দিয়েছে তবুও আমি হাল ছাড়িনি কারন আমি ওকে সত্তিকারের ভালবাসি।
এরপর থেকে ফেসবুকে তেমন কথা হয়না।মেসেজ দিলে অনেক পরে সিন করে রিপ্লাই দেয় আবার মাঝে মাঝে রিপ্লাই ই দেয় না এভাবে চলতে থাকে।
এর মধ্যে আমার অনেক পরিবর্তন হয়ে যায় আমি ক্যামন জানি হয়ে গেছি। কেউ কিছু বললে কথায় কথায় রাগ হয়।কোন কাজে মনযোগ দিতে পারি না সারাক্ষন মনের মধ্যে ওর কথা চলতে থাকে।
আমার এ অবস্থা দেখে আমার বন্ধু আকাশ আর সাইমুম ওকে অনেক বোঝাবার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না ওর উত্তর সেই একই থেকে যায়…I don’t, possible na, sorry etc etc…
ও মাঝে মাঝে ফেসবুক ওপেন করে আবার ডিএ্যাক্টিভ করে দেয় তাই তেমন কথা হয় না।কোচিংয়ে যতটুকু হয়।
5 January 2018
আমার মেঘলার জন্মদিন। আমি চাই সবার আগে আমি ওকে উইশ করব । কিন্তু বাড়িতে গিয়েতো করা সম্ভব না তাই ভাবলাম ফেসবুকেই করি তাই সময়মত একটা পোস্ট লিখলাম ঠিক ১২ টায় পোস্ট করে দিলাম আর কয়েকটা মেসেজ সহ একটা বার্থডে ভিডিও দিলাম।ভিডিওটা ওর ছবি আর ওর পছন্দের ব্লু রোজ দিয়ে বানিয়েছিলাম। পরদিন কোচিংএ গেলাম মেঘলাও এসছে তখন জানতে পারলাম আমিই সবার আগে ওকে উইশ করেছি জেনে খুশি হলাম।তারপর ওর জন্য একটা গিফট কিনেছিলাম সেটা দিলাম কিন্তু নিল না। কিছুতেই না ।অনেক রিকুয়েস্ট করলাম তবুও না।তারপর রাতে ফেসবুকে কিছু কথা হল। তখন ও বলল ও নাকি অন্য কাউকে ভালবাসে তাই নেয়নি। কিন্তু সে ওকে ভালবাসে না ইভেন অন্য মেয়ে সাথে সে প্রেম করে।কথাটা শুনে যতটা কষ্ট পাওয়ার কথা আমি ততটা পায়নি কারন আমি জানি সত্যিকারের ভালবাসলে জীবনে একদিন না হয় একদিন ওকে আমি পাব..
তারপর 21 March 2018
আমার আইডিতে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসে।নাম Farabi Rahman. আমি দেখে রেখে দেই ।কারন আমি সচারচর কারোর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এ্যাকসেপ্ট করিনাহ যদিও সে চেনা হয় আর একেতো চিনিই না।
তার ১ দিন পর আমি একটা নিজের ছবি আপলোড দিই ,দেখি ওই আইডি থেকে কমেন্ট করেছে তাই আমি রিপ্লাই দিলাম Thanks
এবার ওই আইডি থেকে রিপ্লাই আসলো আমি আপনাকে অ্যাড দিছি ,আমি দেখে অবাক হলাম চিনিনা জানিনা এ্যাকসেপ্ট করতে কয়। তাই ভাবলাম করেই দি।
তার কিছুক্ষন পর একটা মেসেজ আসলো আরে এটাতো সেই আইডি থেকে….
-Hi
-Hlw
-How are you?
-Valoi…u?
-Valo
-Accha amito tmk thik cinlam na
-Amio apnake cini na
-Taile add diso kn
-Na cinle deoa jaina
-Jabena kno..tmi kise poro
-HSC 1st year
-owh amio..kon clg
-RUMC..Apni?
-CCJ
-oo..apnar basa kothai
-Jashore
-accha amra ki frnd hote pari
-hae chaile pari
-Tahole amra aaj theke frnd
-hmm ok
এভাবে অনেক কথা হল ঐদিন …পরের দিনের কথা…
-আমিই নক দিলাম
-Hi
-Hlw
-How are you?
-Good you?
-Fine
-Oh
-accha amra to frnd holam ta tmk to dekhi nai ami r tmr id te photo o nai
-accha ami dicci..(kichu photo dilo)
তারপর অন্য এক সময়ের কথা।এবার ওই মেয়েটাই নক দিয়েছে ।আচ্ছা আমিতো ওর নামই বলতে ভুলে গিয়েছি ওর না আরিয়া । কোন এক কথার ফাকে শুনে নিয়েছিলাম….
-Hi
-Hlw
-Kmn aso
-valo..tumi?
-valo
-accha tmr kono bf ase?
-nah…tmr gf ase?
-nah gf nai tbe ekjonk onk onk besi valobasi..
-ta se apnake valobase
-jani na…ami shudhu jani ami oke valobasi
-apni bolesen oke apnar valobasar kotha
-hmm bolesi kintu samne theke kkhno bolte parini
-ki bolese o
-bolese possible na
-asole kichu meye omn thake jara celeder ghurai
-na tmi vhul vabso o asole omn meye na..o khub valo
-sobar ei omn mone hoi
-tmi oke cino na tai omn bolso cinle r bolta na
-hoito
-hoitoba ami oke kkhono samne theke boli nai tai reject kore dise
-tahole bolen
-bolbo kintu voi kore
-voi korle to hobe na
তারপর অন্য সময়ের কথা।এবার আরিয়াই আগে থেকে নক করেছে….
-Accha meghla ki like kore
-Blue rose
-Bt eta to onk rare
-Hmm..onk khujesi tao pai nai
-R ki favorite
-Every blue thing
-oo accha
-hm
তারপর অন্যদিনের কথা
আরিয়া বলছে
-apni khub valo
-Na tumi vhul vabso ami khub kharap..valo hoile meghla amk valobasto R tumi amk cino na bole emn bolso cinle r bolta nah…
-Ami apnak cini na thik ase kintu ei koitadin kotha bole bujhte peresi
-kmne bujhla tumi ami valo
-ei je je apnk patta dai na r apni take nijer thekeo besi valobasen
-tai bujhi jantam na to
আমি একটু হলেও বুঝতে পারলাম এ আমাকে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করছে। কি মাইয়ারে চিনেনা জানেনা তারপর ওটাতো জানতাম ছেলেদের কাজ।
পরেরদিন…
-accha apni meghla k jodi na pan
-Pabo na kno..ami love kori so of course pabo.
-onno kew jodi meghlar jaiga nite chai tahole
(বুঝতে পারলাম লাইন খারাপ)
-Ami kkhnoi seta hote dibo na.. always okei valobese jabo
-Accha amiki parina meghla hote
(যা ভেবেছিলাম।আমি একটু অবাকও হয়েছিলাম)
-Na parona..cs tumi Ariya r meghla to meghla ..tmi kkhno or jaiga nite parba na
-Apni help korle of course parbo.
-I am sorry..r tmi ei ba kno meghla hoite jaba kno
-I Love You.
-Ki … strange..kmne ki ..tmi ki amk cino na dekheso 2 din Facebook e kotha hoe kmne valobasla
-ami ei koi din e apnake onk kas theke jansi feel korsi.
-ami jodi kharap hoi ..fake hoi
-ami jani apni fake na
মহা বিপদে পড়ে গেলাম।তারপর ভাবলাম প্রোফাইল ঘুরে দেখি মেয়েটা আসলে কি। প্রোফাইলটা খেয়াল করে দেখতেই আমার চোখ কপালে উঠ গেল,দেখলাম আগের একটা প্রোফাইল পিকচারে কিছু ফুল দেওয়া ।ফুলগুলা চেনা চেনা লাগছিলো।তারপর মনে পড়ল আরে এগুলাতো আমি মেঘলাকে ভ্যালেনটাইনে দিছিলাম।অবশ্য রোমান্টিক স্টাইলে না নিজে দিতে ভয় করে তাই ওর ব্যাগের ভিতর দিয়ে দিছিলাম।ব্যাগে হাত দেওয়ার পর ওর হাতে গোলাপের কাটা ফুটে গেছিলো।
-তারপর কভারে দেখলাম যে পিকচারটা দেওয়া ওটাতো আমি ওকে কিস ডে তে দিছিলাম।
-তারপর আমার মনে সন্দেহ হলো এটা ও। ওকে আমি সত্তি ভালবাসি কিনা সেটা জানার জন্য এটা করছে নাতো।
-তারপর থেকে ভালভাবে খেয়াল করতে থাকলাম দেখি স্পেলিংও পুরো ওর মত।আস্তে আস্তে সন্দেহ জোরদার হতে থাকল। একবারতো বলেই ফেলল আমি তোমার মেঘলা।আমি ফান ভেবে কথাটা কানেই নিলাম নাহ।
-এভাবে কিছুদিন চলতে থাকল।
-তারপর একদিন সিরিয়াসলি বলল…
-ami ei tmr meghla
-Fun kore na toh
-Sotti ami ei tmr meghla
-Seriously
-Hmm
-Taile etosomoy bolo nai kn
-Bolici tumi toh suno nai
-Tmi to onno porichoy dieso..ami bujhbo kmne.
-hae ta thik.
-(আমার একটু সন্দেহ লাগছিলো)
-Taile tmr ekta pic dau ekhn capture kore
-Kno
-Emni amr dekhte iccha korce
-Na amr iccha nai capture korar
-tumi amk love koro na
-kori toh
-taile dau
-Tmi amk trust koro na..age trust koro then valobaso
-accha thik ase deoa lagbe na
-ekhn amk valobasba toh
-Hmm onk..tmi basba toh
-hae
-এভাবে কিছু সময় চলল
-তারপর আবার উল্টা পাল্টা শুরু
– ami jani apni meghla k onk valobasen ..amito kkhno apnake pabo na..apnara valo thakben
– Dekho fun koiro na ..ami jani tmi amr meghla
– sorry ami meghla na..ami meghla hoite chaicilam kintu parlam na..ami kkhno meghlar jaiga nite parbo na..
– Na ami jani tmi meghla ..amr kase proof ase
– ki proof ase apnr kase
– tmr profile photo te je flower deoa ota ami Valentine e dicilam..cover er otao kiss day te dicilam
– ow ota to ami meghlar id theke peyesi
– kii or id to deactivated
– majhe majhe active hoi
– tai ..ta id name ki
– Tasnim Farmin
– ta kmne paila picture
– my dayte deoa cilo
– screenshot dekhao to
(ওখানে দেখি আমি যখন বলেছি তখন এর সময়)
-accha thik ase amr kase ro proof ase
-Ki proof
-tmi or sathei ba kmne add hoila..r tmr ro je phn or o sei phn …same net work same ui,same operating system,same internet source how can this possible
-no reply
-ami jani tumi ei meghla
-na r kkhno amk meghla bolben na,ami AriyA
-bolei block
আরেকটু পরে আবার আনব্লক করে নক দিল
-apnr meghla k vulte hobe
-Possible nah
-You have to love me
-Ami meghlak vulte parbo na..r tmi block korba na ..block korle valo hobe na kintu
-thik ase block korbo na ekta sorte
-ki bolo
-apni jodi meghla k vule jaite paren ..amk valobaste hobe
-parbo na…kkhno oke vula possible na ..tmi amk block korte paro..
-ami apnk r disturb korbo na..ami eita vebe katie debo je ami ekjonk onk love kortam kintu se ekhn r amr life e nai..valo thaiken meghla khub vaggoban je apnr mto ekjon oke valobase..ami apur sathe kotha bolbo
-ki kotha bolba
-ami apuk bolbo ami apnake valobasi..o apnk valobase
-ja iccha koro
-jedin apni meghla k vulte parben seidin notun id khule amk knock diben..ami apnr jonno wait korbo
-Allah hafez
-then Blocked
তারপর আমি এই বিষয় নিয়ে মেঘলার সাথে কথা বললাম । কিন্তু মেঘলা কিছুতেই স্বীকার করল না ওটা ও ছিল ও আরও আমাকে বলল ওই আইডি থেকেও ওকেও ওগুলা বলেছে।
এভাবে দিন চলতে থাকল।আমি এর মধ্যে বাসা পরিবর্তন করলাম ।এবার বাসা নিয়েছি মেঘলার সামনের বাসায়।যেদিন ওখানে শিফট হব ওদিন ওকে বললাম।তার পরেরদিন ও উধাও কোথাও কোন খোজ পাচ্ছি না ফেসবুক বন্ধ ,কোচিংয়ে আসেও না ।তারপর শুনতে পেলাম ও অনেক অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি অনেক রক্তও দিতে হয়েছে।আমিতো কথাটা শুনে সত্যি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তখন আমি আমার কোচিংএর টিচারদের সাথে থাকতাম ।আমি স্যারকে বললাম আমাকে নিয়ে যেতে হাসপাতালে। স্যার নিয়ে যেতে চাইলেও আসলে কিন্তু নিয়ে যায়নি শুধু সময় দেয় তারপর বলল আমি যেতে পারব না ।এইচ এস সি পরীক্ষা চলছে আমার সময় নাই।তারপর নিয়েতো গেলনা আরও অনেক কথা শুনিয়ে দিল।ও ভাল মেয়ে না ব্লা ব্লা ব্লা
আরও কয়েকজনকে বললাম নিয়ে যেতে কিন্তু কেউই নিয়ে গেল না।আমি হাল ছেড়ে দিলাম।আমার খুব কষ্ট হত সবসময় ওকে দেখতে ইচ্ছা হত ।মাঝে মাঝে মনে হত ওকে ভুলে যায় ওতো আমাকে ভালবাসে না।এই ভেবে আমি মাঝে ওর সব ছবি ডিলিট করে দিতাম সবাইকে দেখাতে চাইতাম আমি ওকে এখন আর ভালবাসি না।কিন্তু এতে আরও বেশি করে মনে পড়তে থাকে ওর কথা।এভাবে অসুস্থ হবার পর কেটে যায় ২½ মাস।ওকে শুনছি হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে
হঠাৎ আমার বন্ধু রাহুল আমাকে বলল দোস্ত তোর মেঘলাতো সবকিছু ভুলে গেছে । কাউকে চিনতে পারছে না। আমি আরও চিন্তাই পড়ে গেলাম যদি আমাকে না চিনে।এরকম আরও অনেক কল্পনা জল্পনা করতে থাকলাম.
অন্য আর একদিনের কথা আমি আর আমার বন্ধু আকাশ আর সাইমুম রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম ।হঠাৎ আমি ফান করে বললাম দোস্ত দেখ মেঘলা আসছে ।ওরা তাকিয়ে দেখে সত্যিই মেঘলা বোরকা পরে আসছে ।আগে কখনও ওকে বোরকা পরতে দেখি নি।আকাশ বলল সিয়াম দেখ এদিকে।আমিতো তাকিয়ে অবাক সত্যিই মেঘলা আসছে ,যখন আমাদের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল তখন বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিল কিন্তু কোন কথা বলল না।এরকম আরও একদিন দেখলাম কিন্তু ঐদিন ও আমাকে দেখতে পায়নি। এভাবে কেটে যায় আরও কয়েকদিন।
তারপর হঠাৎ একদিন দেখি ওর আইডি অ্যাক্টিভ,কথা হল । দেখলাম আমাকে মনে আছে ।তারপর অনেক কথা হত। এখন ignorance অনেকটা কমে গেছে । মেসেজ এর ঠিকমতই রিপ্লাই আসে।কোচিং এ আসলো তারপর অনেক কথা হল ও বললো স্বৃতিশক্তি হারিয়েছিল না একটা ঔষুধের জন্য সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। এভাবে আরও কিছুদিন চলতে থাকে।
আমি ওকে এর পরও যতবার আমার ভালবাসার কথা বলেছি ততবারই একই উত্তর দিয়েছে।
তারপর আমি একদিন নিতিনের একটা মুভিতে দেখে নতুন আইডিয়া পেলাম।মুভিতে দেখলাম কোন কাজ উল্টা ভাবে করলে সঠিকটা জানা যায় । তাই ভাবলাম আমিও অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করার নাটক করব দেখি কি হয়।
তারপর ফেসবুকে স্টাটাস দিলাম “If Ariya is really exist”.প্লান করতে না করতেই কাজে দিল।
রাতের বেলা ওর ম্যাসেজ ..
-Ariya k
-tmk bolcilam toh ami
-oh oita
-amar sathe kotha bolba na
-R e sotti bolci oi nam e kew nai..tmk raganor jnno status diecilam
-Blocked
(তারপর সাইমুম ওকে অনেক বুঝিয়ে আনব্লক করালো)
-ওর ম্যাসেজ….
-kkno knock korba na amk..jau Ariya er sathe kotha bolo
-Sotti bolci Ariya nam e kew nai amr life e ..ami serf or serf tmk love kori..rag koiro na please..r kkhno hobe na… please
-অনেক বলার পর মহারাণীর রাগ ভাঙ্গল
-আরও কিছুদিন এভাবে চলতে থাকল ।আমি আবার একদিন ফান করে বললাম..
-Ariya knock korse
-Kotha bolba na amar sathe
-Sotti bolci fun korcilam
-আর কিছু বলার আগেই ব্লক
-পরেরদিন অনব্লক করলো ।তারপর
-kotha bolba na amr sathe
-Ami to tmr sathe r apur sathe kotha bolcilam r kew na..trust me please
-ok
তার কিছুদিন পরের কথা সাইমুম ওকে বলছিল যে সিয়াম তোমাকে অনেক ভালবাসে মেঘলা ।অন্য কেউ হইলে এতদিনে ভুলে যাইত। তখন মেঘলা বলল এত ভালবাসে তাহলে একবার হইলেওতো হাসপাতালে দেখতে যাইতে পরত।তখন সাইমুম আমার তখনকার অবস্থাটা ওকে বলে আরও বলে যদি যাইতে পারত তাহলে ও অবশ্যই যাইত।
কিছুদিন পরের কথা…
সময় মত কোচিং এ গেলাম গিয়ে দেখি মহারাণী আগে থেকে এসে বসে আছে। আমরা ঐদিন আগে থেকে প্লান করে আসছি ওর সামনে আমি নতুন সম্পর্কের নাটক করব দেখি কি করে।
আমি গিয়ে নিজের মত বসে পড়লাম ।ওর সাথে কোন কথাও বললাম না ওর দিকে তাকালামও না। একবার লুকিয়ে ওর খাতার দিকে তাকিয়ে দেখে মনে হল আমার নাম লিখে কেটে দেওয়া । তখন আমি বললাম দোস্ত আমার জিএফ তো কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে কারও দিকে তাকাতেও নিষেধ করেছে। এটা বলার পর অনুভব করলাম রেগে যাচ্ছে ।তার পর সাইমুম বলল তুই আমাকে মারতিছিস আমি চাঁদনীকে বলে দেব।(চাঁদনী আমার কাল্পনিক জিএফ)এরকম আরও কিছু বলার পর খাতা ছিড়ে ফেলে দিল। তারপর রাতে ফেসবুকে কথা হল..আমিই নক দিলাম..
– Khata ta cire fella kno
– Emni
– Emni tahole to baire felte parta ..bag e rakhla abar
– baire kothai feltam
– kno samnei to basket rakha ase
– oh ami kheyal kori nai
পরেরদিন কোচিংএ গেলাম আবার নাটক চালু । আমরা দুজনে ওগুলা বলতে থাকলাম ।দেখি আস্তে আস্তে রেগে যাচ্ছে আর আমরা বেশি করে বলতে থাকলাম। তারপর দেখি ব্যাগ এর ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়েছে ।নতুন কাল্পনিক গল্পের মাত্রা বেড়ে গেলে হঠাৎ উঠে বাসায় চলে যায় মেঘলা ক্লাস না করে।
এই ঘটনার পর আমার বুঝতে বাকি থাকেনা যে ও আমাকে ভালবাসে।তারপর আমি আবার ওকে আমার ভালবাসার কথা বলি কিন্তু মহারাণী মানবার পাত্র নন তার উত্তর একই।
একদিন সন্ধা বেলার কথা মনটা খুব খারাপ লাগছে তাই সাইমুমকে সাথে নিয়ে ষ্টেশনের দিকে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ দেখি রাস্তার পাশে ফুল বিক্রি করছে ।ওর কথা মনে পড়ে গেল তাই ১৫ টা গোলাপ কিনে নিলাম। পরদিন ওকে দিব কিন্তু সবার সামনে দেওয়া যাবে না।লিমা দেখলেতো আশিক ভাইয়াকে বলে দিবে তাই পরিকল্পনা মত সাইমুম মেঘলা,লিমা আর দৃষ্টিকে নিয়ে বাইরে চলে গেল।এই সুযোগে আমি মেঘলার ব্যাগে গোলাপগুলা দিয়ে দিলাম।তারপর ক্লাস শুরু হল কিন্তু একি ও আজ ব্যাগ খুলল না বই,খাতাও বের করল না ব্যাপার কি মনে হয় বুঝতে পেরেছে । ক্লাস শেষে ব্যাগ খুলল তারপর আমাকে বলল ।
-এটা কি
-যা দেখছ তাই
-আমি কিন্তু এগুলা মোটেও পছন্দ করিনা
-তো আমি কি করব। আমিতে করি
-আর কখনো করবা না এমন
-আমার ইচ্ছা হলেই করব
-এবার করলে কিন্তু ভাল হবে না
-নেক্সট টাইম এর থেকে ডাবল দিব
এটা বললামতো মাইর শুরু ।প্রথমে হাতে বই ছিলো সেটা দিয়ে
তারপর হাত দিয়ে।মেরে পুরো ব্যাথা করে দিল।কি মেয়েরে মাইরি বিয়ের আগে মেরে ব্যাথা করে দিল বিয়ের পর কি করবে একমাত্র আল্লাহ জানে।
এরপর থেকে প্রতিদিন আমি উল্টা পাল্টা কিছু করলেই মাইর,চিমটি আর চুল টানা ফ্রি।
এর কিছুদিন পরের কথা ওর পিছনে আমার ব্যাগটা রাখছি ।বইসহ আমার ব্যাগ ফেলে দিয়েছে আর উঠায়ে দেয়নি । ক্লাস শেষে বললাম ব্যাগ না উঠিয়ে দিলে কিন্তু যাইতে দিব না। পথ আটকে দাড়িয়ে থাকলাম তারপর শেষমেষ ব্যাগ উঠিয়ে দিল কিন্তু বদলে যে মাইর গুলো দিলো আমার হাতে অগনিত ঘুসি মেরে ব্যাথা করে দিয়ে চলে গেল।
আচ্ছা আপনাদের তো একটা কথা বলাই হয়নি আমাদের কোচিংয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে চিরকুট এ কথা হয় মাঝে মাঝে । আর আমি চিরকুট গুলো যত্ন করে গুছিয়ে রেখে দিয়েছি।
অন্য একদিনের কথা তারিখটা আমার মনে নাই আমরা ৩ জন মাত্র আসছি কোচিং এ।আমি হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলাম। হঠাৎ কেউ একজন আমার হেডফোনটা খুলে দিল হাতের স্পর্শে বুঝতে পারলাম এটা মেঘলা।তারপর কিছুসময় বসে কথা বললাম।হঠাৎ ও বাইরে গেল তাই আমি আবার গান শুনতে লাগলাম হঠাৎ একটা চিৎকার শুনতে পেয়ে বাইরে যায় গিয়ে দেখি একটা মকড়শা দেখে ভয় পেয়েছে।আমি ব্যাপারটা সিরিয়াসলি না নিয়ে ওটার ছবি তুললাম ।তারপর ওর কাছে গিয়ে দেখি আসলে ব্যাপারটা সিরিয়াস ও কান্না করছে। অনেক থামানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না ও কান্না করছে তো করেই যাচ্ছে।অনেকসময় পর কান্না থামল ।
এবার বলে তুমি আমার সাথে কথা বলবা না।
-বলে কি আমি আবার কি করলাম?
-তুমি ওটার ছবি তুললা ক্যান।আমি ভয় পেয়েছি আমার কাছে না এসে তুমি ওটার ছবি তুলেছ তোমার সাথে কোন কথা নাই।
-আমি বললাম আমিতো বুঝতে পারিনি তুমি অতটা ভয় পেয়েছ
-তুমি জানোনা আমি মাকড়সা দেখলে ভয় পায়.
-জানিতো কিন্তু ওতটা পাও সেটা জানতাম না
তারপর রাতে টেক্সট করলাম তখন ও ওই টপিক্স নিয়ে বলে তাহলে ক্যামন লাগে আমি বলছি তো আমি বুঝতে পারিনি।
তারপর অনেক কষ্টে বুঝালাম।
এভাবে চলতে থাকল আমার একতরফা ভালবাসা.
আমি কোন মেয়ের সাথে কথা বললে সহ্য করতে পারে না বা কোন মেয়েকে নিয়ে আগ্রহ দেখালে রেগে যায়।ব্লক করে দেয় আবার আনব্লক করে।আবার মুখে বলে ভালবাসি না।
-কখনও আমার মন বলে ও আমাকে ভালবাসে আবার মাঝে মাঝে মনে হয় ভালবাসে না ।
-আপনাদের কি মনে হয় ও কি আমাকে ভালবাসে?