।।
ঠাসসসস
শালার আমি তো অবাক কিছুই করলাম না একটা ঠাস করে গালে পোরে গেলো।
সামনে তাকিয়ে দেখি আমার এক ক্লাস সিনিয়র বড় আপু দাড়িয়ে আছেন। তাই বুঝতে কষ্ট হলো না কাজটা কে করেছে।
আমি: আপু তুমি আমাকে মারলা কেনো।
আপু: তো তোকে কী আদর করবো।
আমি: চাইলে করতেই পারো আমি তো তোমার ছোট ভাই।
আপু: ওরে আমার ছোট ভাই রে।
আমি: এবার বলো মারলা কেনো।
আপু: তুই একটু আগে আমাকে গালি দিলি কেনো।
আমি: গালি দিয়েছি তোমাকে তাও আবার আমি.. কেমনে কী
আপু: কেনো তুই না বললি ওই শালি থাম।
আমি: আরে আপু আমি তোমাকে নয় মহন কে শালি বলেছি।
আপু: আমি তোর কথা বিশ্বাস করি না। তুই আমাকেই বলেছিস।
আমি: দেখো আপু আমি তোমার পিছে ঘুড়ি মানে এটা নয় যে আমি তোমাকে শালি বলবো।
আপু: তুই না বললে কী আমি আপনা আপনি তোকে মারবো।
আমি: ভালোবাসার মানুষ কে কেউ কী শালি বলতে পারে।
আপু: ঠাসসস। তোকে বলেছি না সেকেন্ড টাইম আমাকে ভালোবাসার কথা বলবি না।
আমি: না বলে তো আমি থাকতেই পারবো না।
আপু: দেখ শান্ত এটা কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
আমি: ওকে আর বলছি না কিছু।
আপু: হুমম এবার সরি বল।
আমি: আই লাভ ইউ
এবার আপু হাত তোলার আগেই আমি হাওয়া।
আপু: ওই তুই পালাই লি কেনো।
আমি: এখন তোমার হাতের আদর নেবার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।(দুর থেকে চিংকার করে)
।।
হাই আমি শান্ত। গল্পে তো আমি ইন্টার 1ম বর্ষের ছাত্র। কিন্তু রিয়েলে অন্য কিছু।
আর এতোক্ষণ যার সাথে ঝড়গা করলাম সে হলো লামিয়া আপু। আমার ১ বছরের সিনিয়র। আমি তো তাকে ভালোবাসি।
সেও আমাকে ভালোবাসে আমি প্রকাশ করি কিন্তু তিনি করেন না। কেনো সেটা জানি না।
আর এটা ভাববেন না যে ভালোবাসলে চর মারলো কেনো।
আমাকে মারতে নাকি তার খুব ভালো লাগে। তাই একটু সুযোগ পেলেই ঠাসস করে দিযে দেবে।
বুঝলেন নাতো। বেপার না চলোন সকাল থেকে ঘুরে আসি।
।।
সকালে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
আমি মহন রকি আকাশ রিদয় এই পাঁচ জন মিলে।
সকালে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। একাক জন একার রকম বিষয় নিয়ে ঝড়গা করছিলাম।
এর মাঝেই মহন বলে ওঠে লামিয়াকে বলবে আমি নাকি অন্য একজন মেয়েকে ভালোবাসি।
আমি মহন কর ধরতে গেলেই মহন সেখান থেকে উঠে পালাই তাই আমি ওকে থামার জন্য বলি।
আমি: ওই থাম শালি।
আর তখনি পাশ দিয়ে লামিয়া আপু হেটে যাচ্ছিলো
তিনি ভালো করেই জানেন আমি মহন কে কথাটা বলেছি কিন্তু সেই বললাম না যে একটু সুযোগ পেলেই ঠাসস করে দিতে ভূলেনই না। সেটা যে কোনো বিষয় নিয়ে।
আমি যে প্রতিদিন তার পিছে ঘুরে ঘুরে লাভিউ বলি সেটা তিনি উপভোগ করেন।
কিন্তু তিনিও যে আমাকে ভালোবাসেন সেটা বলেন না।
তিনি যে আমাকে মারতে ভালোবাসেন সেটা আমি তারি বান্ধবীদের কাছ থেকে জানতে পারি।
যখন জানলাম তিনি আমাকে মারতে ভালোবাসেন তখন নিশ্চয় আমাকেও ভালোবাসেন। তাই আমিও তার কাছে মার খাবার কারণে চলে আসি।
কী করবো ভালো যে বাসি খুব বেশি।
তাই যতোই মারে আমি ততোই তার কাছে এগিয়ে যায়।

জানি না কবে সে নিজে এসে বলবে শান্ত আমিও তোমাকে ভালোবাসি।
কিন্তু শালার কপাল দেখেন তার হাতে কম করেও হলে 1000 এর বেশি চর খেয়েছি তারপরেও তিনি বলেন না যে তিনি আমাকে ভালোবাসে না।

তবে বুঝতেই পারছেন বড় আপু হিসেবে আমাকে কেমনটা ক্যালানি দেই।
বেপার না যখন জুনিয়র বর হবো তখন তো আর মারবে না।
তখন ইচ্ছে মতো কিছু করে নেবোনি। হি হি হি।
আজকেও লামিয়ার পিছে পিছে ঘুরছি।
লামিয়া: কীরে তোর লজ্জা নাই।
আমি: সেটা কাকে বলে
লামিয়া: শান্ত বেশি হচ্ছে কিন্তু।
আমি: তো কম করতে হবে।
লামিয়া: তোকে না
আমি: আমাকে কী হুমমম।
লামিয়া: ধুরর সকাল সকাল আমাকে জালাস কেনো বলতো
আমি: তোমাকে আর না জ্বালালে তুমি
খুশি হবে
লামিয়া: না।
আমি: কী না
লামিয়া: খুশি হবো না
আমি: তবে তো আমি জ্বালাবোই বড় আপু
লামিয়া: যা পারিস কর গিয়ে
এবার আমি সরাসরি গিয়ে জড়িয়ে ধরি।
সরাসরি জড়িয়ে ধরাতে লামিয়া কিছুটা অবাকই হয়েছে। কিন্তু কেমন যেনো চুপ ছিলো। হয়তো উপভোগ করছে আমার স্পর্শ।
কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে আপু বলেন।
লামিয়া: ওই তুই আমাকে জড়িয়ে ধরলি
কেনো
আমি: তুমিই তো বললে যা খুশি করতে।
আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই জড়িয়ে ধরেছি।
পারলে তুমিও ধরো।
লামিয়া: ছোট হিসেবে বেশি পেকে গেছিস। তোর বিয়ে দিতে হবে দেখছি।
আমি: তুমি রাজি থাকলে তো আজি বিয়ে করবো।
লামিয়া: ওই এতো কম বয়সে বিয়ের কথা মুখে আনতে তোর লজ্জা করেনা।
আমি: তোমার সামনে আসলে লজ্জা গুলো কেমন যেনো লেজ তুল পালিয়ে যায়।
লামিয়া: তবে আমার সামনে আসিস কেনো।
আমি: আমি না আসলে যে তুমি কষ্ট পাবে তাই তো আসি।
লামিয়া: তুই আমার সামনে না আসলে আমি কষ্ট পাবো কেনো।
আমি: তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই।
লামিয়া: কে বলেছে তোকে।
আমি: কেনো প্রথম দিন গুলোতে তুমি আমাকে সহ কলেজের সব ছেলেদের যে দৌড়ানি দিতা এখনও সবাইকে দাও কিন্তু আমাকে দাওনা। তার মানে কী হলো।(এটা বললাম না যে তো বান্দরিরা বলেছে।
বললে এতোক্ষনে তার একটা বান্দরিরাও ভালো থাকবে না। সব হাসপাতালে যাবে।)
লামিয়া: তোর গুলু গুলু চেহারা গুলো আমার খুব ভালো লাগে তাই তোকে কিছু বলিনা।
আমি: বলোনা ভালোবাসো তাই কিছু বলোনা।
লামিয়া: কেনো তুই আমাকে ভালোবাসিস না।
আমি: ভালোবাসি বললে ভূল হবে। খুবই ভালোবাসি তোমাকে আমি। শুধু তুমিই বুঝনা।
লামিয়া: শোন তোর ভালোবাসা তোর কাছেই রাখ(মুখে এক চিলটে হাসি রেখে) আর শোন আমি তোকে ভালোবাসি না।
আমি: বাজি ধরো তুমি আমাক ভালোবাসো।
লামিয়া: লামিয়া কিসের বাজি আমি কোনো বাজি ধরতে পারবো না।
আমি: তারমানে তুমি আমাকে ভালোবাসো।
লামিয়া: না
আমি: তবে ধরো বাজি।
লামিয়া: বাজিটা কেমন বল।
আমি: তুমি নিজের মুখে বলবে তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই 15 দিনের মধ্যে
লামিয়া: ওকে বাজি।
আমি: ওকে বাই। তুমি 15 দিনের মধ্যে আমাকে ভালোবাসার কথা বলবে। আর যদি না বলো তবে আমি আর তোমার পিছে ঘুরবো না। তোমাকে আর বিরক্ত ও করবো নাই।
লামিয়া: আর যদি তুই বাজিতে জিতে যাস।
আমি: আর কী। তখন শুধু বিরক্তই করবো না। মনে যা চাইবে তাই করবো।
লামিয়া: হু হু। তোর মন আছে নাকি।
আমি: আমার মন না থাকলে তোমার পিছে ঘুরতাম নাকি।
লামিয়া: তবে কার পিছে ঘুরতি হুমমম।
আমি: এই কলেজের সব মেয়েদের পিছে।
লামিয়া: মেরে হাসপাতালের বেটে সুইয়ে দিতাম।
আমি: হি হি হি
লামিয়া: হাসিস কেনো।
আমি: আমাকে কতোটা ভালোবাসো
সেটা ভেবে।
লামিয়া: না আমি তোকে ভালোবাসি না।
আমি: ওকে সেটা কলেজ টাইম পরে দেখবো নি।
লামিয়া: ওকে যা ক্লাসে যা
আমি: হুমম বাই আপু।
এবার আমি আমার ক্লাস রুমে আর লামিয়া লামিয়ার ক্লাস রুমে চলে গেলো।
আমি তো আর লামিয়াকে না দেখে থাকতে পারবো না।
তাই ওর পাশে থেকেও দুরে দুরে থাকবো। এক কথাই ওকে ইগনোর করবো।
তারপর দেখবো কেমনে না বলে থাকে।
আমি জানি আমি যদি ওকে বিরক্ত না করি তবে তবে সে বিরক্ত হবে। আর আমি বিরক্ত করলে খুশি হবে।
কী কিছু বুঝলেন।
না বুঝলে আর কী করার।

আজকের পর থেকে আমি আর লামিয়া আপুকে বিরক্ত করবো না। যখন আমি আপুকে বিরক্ত করা ছেড়ে দেবো তখন সে সেটা মানতে পারবে না। তখন তো 15 দিন কী 10 দিনের মাথায় বলে দেবে যে সেও আমাকে ভালোবাসে।
কী আপনাদের বিশ্বাস হচ্ছে না।
বিশ্বাস না হবার কী আছে আমি যেটা লেখবো সেটাই তো আপনারা জানবেন তাই না।
আজ কলেজ শেষে আর লামিয়া আপুর পিছনে আমি যাই না।
আমার পতিদিনের অভ্যাস কলেজ টাইম শেষে লামিয়া আপুর পিছে ঘুরে সব সময় আপুকে আই লাভ ইউ বলা। আর তার প্রতিদানর পেতাম তার হাতের উষ্ম ছোয়া। মানে হলো ঠাসস করে একটা আদর।
কিন্তু আজ তার পিছনে যাই নি।
আমি ভালো করেই জানি আগামি 20 মিনিটের ভিতরে সে আমার সামনে আসবে।
আরে বস সেটা আগেও হয়েছে। পরতে থাকুন বুঝতে পারবেন।
।।
ওই তো লামিয়া আপু এদিকেই আসছেন।
কী বলেছিলাম না 20 মিনিটের মাঝেই চলে আসবেন।
এই দেখেন চলে এসেঝেন।
আপু: কীরে আজ যে আর আমার পিছে আসলি না।
আমি: কেনো এটা কী নতুন নাকি।
আপু: না তবে আজ ঠিকি তো আছিস তাই বললাম।
আমি: কেনো আজ কী খুব গিল্টি ফিল করছো নাকি।
আপু: দেবো না একটা। এতো বেশি বুঝিস কেনো হুমম।
আমি: আরে বুঝনা সকালে কী বলেছিলাম।
আপু: আমার ভালো করেই মনে আছে।
আমি: তাই বললাম যে গিল্টি ফিল করছো নাকি।
আপু: বেশি বুঝিস কেনো। আজ তোকে চর মারতে পারি নাই তাই আসলাম।
আমি: আজ থেকে আর মারতেও পারবে না।
আপু: মানে? কেনো।
আমি: সেটা তুমি পরেই বুঝতে পারবে।
আপু: আমার বুঝার দরকার নাই। আর শোন তোর কারণে আমি যেনো কষ্ট না পাই।
আমি: দেখা যাবে। চলো তোমাকে ফুসকা খাইয়ে নিয়ে আসি।
আপু: হুমম চল।
।।
আপুর সাথে তো বাজিতে লাগবো কাল থেকে। আর সেই বাজিতে তো আমিই জিতবো। আর তাই আজকেই সেই দিন গুলোর কাজ করে নেই।
।।
আজ সারাদিন আপুকে নিয়ে অনেক ঘুরলাম। অনেক কিছু খেলাম।
শেষে গেলাম সেই প্রিয় নদির ধারে।
নদির ধারে আপুর সাথে বসে থেকে নদির অশান্ত ঢেও দেখছি।
আপু: কীরে অন্য দিন তো আমাকে এতো সময় দিস না। আজ তোর কী হলো।
আমি: কেনো তোমার খারাপ লাগছে।
আপু: আমি সেটা বলেছি নাকি।
আমি: না। তবে তোমার কথাতে এমনটাই মনে হলো আর কী।
আপু: তোর মনে তো অনেক কিছুই হয়।
আমি: হুমম।
আপু: আচ্ছা শান্ত আমি যদি এই সময় গুলোর মাঝে তোর ভালোবাসা না সিকার করি তবে তুই কী করবি।
আমি: আর তোমার পিছে ঘুরবো না।
আপু: যদি বলি যে আমিও তোকে ভালোবাসি তবে।
আমি: সরাসরি বিয়ে করে নেবো।
আপু: এতো তারাতাড়ি বিয়ের চিন্তা তোর মাথাতে।
আমি: কী করবো ভালো যে বাসি খুব।
আপু: এতো ভালোবাসা পাস কোথাই।
আমি: যেখানে তুমি আছো সেখানে তো আমার ভালোবাসা একা একাই চলে আসে।
আপু: ভালোই তো পারিস মেয়েদের সাথে ফ্লাট করতে।
আমি: তুমি কী আমাকে কখনও দেখেছো তোমাকে ছাড়া অন্য কারো পিছে আমাকে ঘুরতে।
আপু: না তা দেখি নী।
আমি: তবে কেমন করে বললে।
আপু: তুই আমার ছোট কিন্তু মনে হয় তুই একটা বুইরা।
আমি: আর তুমি তো একটা বুড়ি।
আপু: আমি বুড়ি না। তুই বুড়া।
আমি: হ্যা আমিই বুড়া। এবার চলো বাসায় যায়।
আপু: আর একটু থাকি না।
আমি: ভালোবাসার মানুষের পাশে বসে থাকতে অনেক ভালো লাগে তাই না আপু
আপু: হুমম।
আমি: তো বলে দাও।
আপু: কী বলবো
আমি: সেটাই যে আমিই তোমার ভালোবাসার মানুষ।
আপু: দেখ আজ অনেক ভালো সময় কাটলো তাই তোকে কিছু বললাম না। তা না হলে এতোক্ষনে
আমি: হুমম। জানি আর আজ আমিও সেটা খাচ্ছি না।
আপু: তবে চুপ করে থাক।
আমি: হুমম। চলো তোমাকে আবার তোমাকে তোমার বাসায় দিয়ে আসতে হবে।
আপু: ঠিক আছে চল।
।।
এবার আপু কে নিয়ে সোজা আপুর বাসার সামনে চলে আসি।
নদির ধার থেকে আপুর বাসা 15 মিনিটের।
আর আমার বাসা নদির ধার থেকে 5 মিনিটের। আমার বাড়ির পার করেই আপুদের বাসায় যেতে হয়।
আপু: আচ্ছা ঠিক আছে দেখে শুনে যাবি।
আমি: হুমম। তুমি এবার বাসার ভিতরে যাও।
আপু: না তুই আগে যা।
আমি: তুমি বাসার ভিতরে যাও। তারপরেই আমি চলে যাবো।
আপু: আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি।
পাগল একটা। এবার দেখে শুনে বাসায় চলে যা।
আমি: হুমম।
এবার আপু তার বাসার ভিতরে গিয়ে বেলকোনি থেকে আমার দিকে তাকিয়ে ইসারাতে বলে
আপু: এবার যা।
আমি: হুমম।
এবার আমি সেখান থেকে সোজা বাসায় চলে আসি।
এসে ভাবতে থাকি কাল থেকে কী হবে।
কাল থেকে তো আর লামিয়া আপুর পিছে ঘুরতে পারবো না। সময় থাকলেও ঘুরবো না।
মাত্র 15 দিনের ব্যাপার। এই 15 দিনের মাঝেই তাকে আমি আমার করে নেবো।
যানি এই 15 দিনে দুজন খুব কষ্ট পাবে।
কিন্তু সেটা যে একজন কে করতেই হবে।
আর সেই একজন টা হলাম আমি।

আজ থেকে আমাদের বাজির 15 দিন শুরু।
15 দিন কেনো আমি যদি একদিন লামিয়ার সাথে কথা না বলি তবে লামিয়া থাকতেই পারবে না।
এতোদিন তো আমি তার পিছে ঘুরেছি।
আজ থেকে লামিয়া আমার পিছে ঘুরবে।
শুধু ঘুরবেই না। পাগলের মতো আমার পিছে পরে থাকবে।
আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেম হয়ে নাস্তা করছি এমন সময় মহনের ফোন
আমি: হুমমম দোস্ত বল।
মহন: দোস্ত কী করিস
আমি: এই তো খাইতেছে। কেনো বলতো
মহন: দোস্ত আজ একটু সময় দিবি আমাকে।
আমি: তোকে কোন দিন সময় দিলাম না। সেটা বল।
মহন: আরে আজ সারা দিন তোকে আমার সাথে থাকতে হবে।
আমি: কেনো বলতো
মহন: 10টার দিকে একটু খালার বাসায় যাবো।
আমি: আবে কারণ টা তো বল।
মহন: খালাইতি(খালাতো ভাই) আজ ঢাকায় যাবে। তাকে ঈশ্বরদী রেলগেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসতে হবে।
আমি: তোর খালাইতি তো একাই যেতে পারে।
মহন: হুমম পারে। তবুও আমাকে যেতে বলেছে।
আমি: ঠিক আছে যাবো নি।
মহন: ওকে রেডি হয়ে আমাদের েখানে আই।
আমি: হুমমম।
তারপর আর কী কলেজ বাদ এখন যেতে হবে কলস নগর(মহনের খালার বাসায়)।
আজ সারা দিনে ার লামিয়ার সাথে দেখা হবে না।
কারণ আমি তো আজ আর বাসাতেই থাকবো না। কেমনে দেখা হবে।
তারপর নাস্তা সেরে মহনের বাসায় যায়।
সেখান থেকে সোজা কলস নগর।
মহনের খালার বাসায় গিয়ে বসে আছি। আমি মহন আর মহনের খালাইতি।
সেখানে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে আমরা বেড়িয়ে যায় ঈশ্বদী রেলগেটে।
সেখানে গিয়ে দাড়িয়ে আছি ট্রেনের জন্য।
।।
এদিকে আমার মনে শুধু লামিয়ার কথাই আসছে।
আজ একটা নজরও দেখতে পেলাম না তাকে।
একদিন না দেখা হওয়াদে এই অবস্থা।
তবে এই 15 দিন কথা না বলে থাকবো কী করে।
।।
এই দিকে লামিয়া আমাকে কলেজে না পেয়ে অস্থির হয়ে ওঠে।
লামিয়ার মাথায় একটাই টেনশন
শান্তর কিছু হলো নাতো। কালকেও তো ও ভালো ছিলো। আজ হঠাৎ কী হলো যে কলেজে আসছে না।
শান্ত তো কখনও কলেজ বাদ দেই না। তবে আজ কেনো আসছে না।
শান্ত কী ইচ্ছে করেই আজ কলেজে আসছে না।
নাকি কিছু হয়েছে ওর।
না ভালোও লাগছে না। কী করি এখন।
ওকে না বললাম আমাকে যেনো কষ্ট না দেই। ওতো ভালো করেই জানে তাকে একদিন না দেখলে আমার অনেক কষ্ট হয়।
দেখি তো একবার ফোন দিয়ে।
।।
এদিকে আমি লামিয়াকে নিয়েই ভাবছি।
এরি মাঝে ফোন টা বেজে উঠলো।
স্কিনে ভেসে ওঠে জানু নামের সেই পরিচিত নাম্বার টা।
দেখা না হোক কথা তো হচ্ছে সেটাই আমার জন্য অনেক।
এটা ভেবে ফোন রিসির্ভ করি।
আমি: হ্যাঁ আপু বলো।
লামিয়া: কোথাই তুই। আর ঠিক আছিস তো(অস্থির হয়ে)
আমি: আরে শান্ত হও আমি ঠিক আছি আর আমি এখন ঈশ্বদীতে আছি।
লামিয়া: কেনো ঈশ্বরদীতে কেনো।
আমি: আরে মহনের সাথে এসেছি একটু কাজে। কিন্তু কেনো বলো তো।
লামিয়া: আমি ভাবলাম তোর কিছু হয়েছে নাকি।
আমি: আমার আবার কী হবে। আমি একদম ঠিক আছি। আমাকে নিয়ে তুমি টেনশন করো না।
লামিয়া: আমি টেনশন করবো না তো কে করবে শুনি।
আমি: তুমি তো আর আমাকে ভালোবাসো না তবে টেনশন করবে কেনে শুনি।
লামিয়া: দেখ শান্ত বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
আমি: ওকে সরি আপু। বাই বিজি আছি।
তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে।
কল কেটে দিয়ে ফোন অফ করে রাখি।
।।
ওই দিকে।
লামিয়া: কুত্তা তোর সাহস অনেক বেরে গেছে না। তুই আমার ফোন কেটে দিলি। থাম তুই।
লামিয়া আবার কল ব্যাক করে। কিন্তু এবার ফোন বন্ধ পাই।
লামিয়া এবার তো আমার ওপর আরো রেগে যায়।
এবার সে আমাকে কয়েকটা মেসেজ পাঠায়।।
।।
ঈশ্বদী থেকে বাসায় আসতে আমাদের বিকেল হয়ে যায়।
আমি বাসায় এসে ফোন অন করে দেখি লামিয়া আমাকে অনেক গুলো মেসেজ পাঠিয়েছে। বেশির ভাগ মেসেজই আমাকে গালি দিয়েছে।
শেষে একটা মেসেজ দিয়েছে।
লামিয়া: তুই আজ যখনই হোক আমার সাথে দেখা করবি। তা না হলে কাল তোর ভাগ্যে অনেক খারাপ কিছুই আছে।
।।
লামিয়ার শেষের মেসেজ টা দেখে আমি নিশ্চিত যে কাল আমার কপালে দুঃখই
আছে।
না জানি কাল আমার কপালে কী আছে।
কারণ আজ তো আর আমি তার সাথে দেখা করবোই না। এবং কী ফোনটাও অফ করে রাখবো।
যা হবে কাল দেখা যাবে।
তবে কাল থেকে আমাকে লামিয়ার কাছ থেকে আরো দুরে থাকতে হবে।
তা না হলে যে কোনো দিনি শিকার করবে না যে যেও আমাকে ভালোবাসে।
সেসব বাদ কাল কের টার কাল দেখা যাবে।
আজকের টা আজকে ভাবি।
এদিকে লামিয়া ভাবছে।
লামিয়া: কেনো যে হারামি টার বাজিটাতে রাজি হলাম। আমি যদি ওর বাজিতে রাজি না হতাম তবে আজ আর হারামিটা আমার থেকে দুরে থাকতে পারতো না।
আমাকে পাবার জন্য তো হারামিটা সব করতে পারে। কলেজে যে আমার কতো জনকে পিটিয়ে তার কোনো হিসেব নেই।
হারামিটা আজ যদি আমার সাথে দেখা না করে তবে কাল ওর সাথে আমি কথাই বলবো না।
আমাকে তো ও লাভিউ না বলে থাকতেই পারবে না।
কাল বুঝবি আমাকে কষ্ট দেওয়ার মজা।
।।

পরের দিন কলেজে….
আজ যখন কলেজে আসলাম তখন দেখি লামিয়া আপু তার বান্ধবীদের সাথে দাড়িয়ে কথা বলছে।
আমি যখন গেট দিয়ে ঢুকি তখন লামিয়া একবার আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ঘুড়িয়ে নেই। এমন ভাব ধরে যেনো সে আমাকে দেখেই নি।। তবে আড় চোখে আমাকে দেখছেন।
আমিও একবার আপুর দিকে তাকিয়ে বন্ধুদের কাছে চলে আসি। এমন ভাব ধরলাম যেনো আমিও তাকে দেখিনী।
আমরা 4 জন বন্ধু মিলে বসে আড্ডা দিচ্ছি। মাঝে মাঝে দেখছি লামিয়া আপু কী করছেন।
লামিয়া কেমন ভাবে যেনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যেনো কোনো বিষয় নিয়ে অবাক হয়েছেন।
অবাক তো হবারি কথা। যে ছেলে তার সাথে একদিন কথা না বলে থাকতে পারে না। শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকে বলে তার বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে শুধু তাকে একটু দেখার জন্য। আর আজ সেই ছেলেটাই কিনা 2 টা দিন দেখা বা কথা কোনো টাই করছে না।
অবাক হবার জন্য নিশ্চয় এটা উপযুক্ত কারণ।
।।
একটু পরে লামিয়া নিজে এসে আমার সামনে দাড়ায়।
আমি এমন ভাবে ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছি যেনো লামিয়া কখন আমার সামনে এসেছে আমি তা জানিই না।
এবার লামিয়া কিছুটা রাগি কন্ঠে বলে ওঠে।
লামিয়া: ওইইই শান্ত ওঠ তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আমি: আরে আপু তুমি এই সময় এখানে।
লামিয়া: আমি এখন কেনো এখানে তুই জানিস না।
আমি: আসলে আপু আমি খেয়াল করি নী তুমি কখন এসেছো(ডাহা মিথ্যা কথা) জানলে তো আমি তোমার সাথে কথা বলতামি তাই না।
লামিয়া: এর আগে তো কখনও এমন করি নি তুই।
আমি: আমি আবার কী করলাম।
লামিয়া: কী করলি জানিস না।
আমি: কই নাতো।
লামিয়া: আজ দুইদিন ধরে তুই আমার সাথে দেখাও করছিস না আবার কথাও বলছিস না। কী হয়েছে তোর বলতো।
আমি: সেটা 15 দিন পরে বুঝবে।
লামিয়া: তারমানে তুই সেই বাজি নিয়েই পরে আসিস।
আমি: এটা বাজি না। এটা তোমাকে আমার করে পাবার একটা সুযোগ।
লামিয়া: শান্ত আমার খুব কষ্ট হয়।
আমি: তবে মেনে নাও।
লামিয়া: কী মানবো।
আমি: তুমি আমাকে ভালোবাসো সেটাই।
লামিয়া: না আমি তোকে ভালেবাসি না।
আমি: কুত্তা ভাগ্য আমার। ভালোবাসে তবুও বলে বাসি না। আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যখন আমাকে ভালোবাসোই না তবে আমি কেনো তোমাকে বিরক্ত করবো। আজকের পর থেকে তুমি তোমার মতো।
লামিয়া: যা আমিও আর তোর সাথে কথা বলবো না।
আমি: পারবে
লামিয়া: খুব পারবো।
আমি: কালকেও তো এটাই ভেবেছিলে।
লামিয়া: মানে
আমি: মানে হলো কাল তো তুমি ভেবেছিলে যে আজকে তুমি কলেজে এসে আমার সাথে কথা বলবে না।
লামিয়া: তুই জানলি কী করে।
আমি: তুমি কী ভাবছো এটাই যদি না জানি তবে এতো ভালো বাসলাম কেনো।
লামিয়া: আজ থেকে সত্যিই তোর সাথে কথা বলবো না।

আমি: ওকে তোমার নাম্বার কিন্তু ব্লাক লিস্টে থাকবে।
লামিয়া: কেনো।
আমি: আমার সাথে যে আর কথা বলবে না বললে। তবে নাম্বার থাকলে তো ফোন দেবেই তাই না।
লামিয়া: এই দুই দিনে তুই এতোটা চেন্জ হলি কী ভাবেরে।
আমি: তুমিও চেন্জ হয়ে যাবে।
লামিয়া: কী ভাবে
আমি: এই যে এখন থেকে তুমিও বলতে চাইবে আমাকে ভালোবাসো।
লামিয়া: না আমি বলতে চাইবো না।
আমি: চাইবে কিন্তু বলতে পারবে না।
লামিয়া: কেনো
আমি: কারণ সেই সময় টা তুমি সহজে পাবেনা।
লামিয়া: কেনো
আমি: কেনো কেনো করছো কেনো। তুমি কী বলতে চাও নাকি যে তুমি আমাকে ভালোবাসো।
লামিয়া: তা চাইবো কেনো।
আমি: তবে তো হয়েই গেলো। তুমি বলতে চায়বে না। আর আমি হেরে গেলো তোমাকে আর বিরক্ত করবো না।
লামিয়া: আর যদি জিতে জাস।
আমি: তখন তোমাকে একদম আপন করে নেবো।
লামিয়া: হুমম দেখা যাবে।
এটা বলেই লামিয়া সেখান থেকে চলে যায়।
মহন: দোস্ত লামিয়া আপু যদি 15 দিনের মধ্যে তোমাকে ভালোবাসি না বলে তবে কী করবি।
আমি: সেটা সময় হলে বুঝবি।
মহন: হুমমম।
আমি: চল একটু মতি কাকার দোকানে যায়।
মহন: চল।
মতি কাকা হলো আমাদের কলেজের পাশের একজন দোকানদার। যেখানে গিয়ে আমরা প্রতি দিন স্মোক করি।
আমি স্মোক করি সেটা লামিয়া আপু জানেন না।
আমরা যে মতি কাকার দোকানে যাচ্ছি সেটা লামিয়া দেখতে পাই।
আমরা কেনো যাচ্ছি সেখানে সেটা দেখার জন্য লামিয়া আমাদের পিছু নেয়।
লামিয়া যে আমাদের পিছনে আছে সেটা আমরা কেউ জানি না।
মতি কাকার দোকানে গিয়ে আমি যখর সিগারেট ধরাই তখন লামিয়া অনেক রেগে যায়।
লামিয়া: শান্ত(একটু জোরে)
লামিয়ার কন্ঠ শুনে তো আমার সব লাইন এক হয়ে যাবার উপক্রম হয়।
আমি কোনো মনে সিগারেট টা ফেলে দেয়।
লামিয়া: এদিকে আই।
আমি ভয়ে ভয়ে লামিয়ার সামনে যায়।
আমি: আসলে আপু
লামিয়া: ঠাসসস।
দেখছেন কোনো কথা নায়। একটা দিয়ে দিলো।
লামিয়া: ছিঃ তুই স্মোক করিস।
আমি: না মানে আসলে আপু
লামিয়া: ঠাসসস। চুপ আর একটাও কথা বলবি না আমার সাথে।
আবার রেগে লামিয়া সেখান থেকে চলে যায়।
এবার লামিয়ার সামনে যাবার সাহস আমি নিজেই হারিয়ে ফেলি।
তবে লামিয়া যাবার আগে ওর চোখে পানি দেখলাম।
যেটা আরো বেশি করে আমাকে কষ্ট দেয়।
কেনো যে আমি সিগারেট খেতে আসলাম।
না আসলে তো এটা হতো না।
মহন: দোস্ত
আমি: আর বাদ দে চল বাসায় যাবো।
মহন: হুমম।
লামিয়াকে দেখে তারাও সিগারেট ফেলে দেয়।
আমি চারট সিগারেটের 40 টাকা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।
আসার সময় মতি কাকা বলেন
মতি: শান্ত এটা কী হলো
আমি: তুমি বুঝবে না কাকা।
তারপর আমরা সবাই বাসায় চলে আসি।
আমার মাথায় শুধু একটা কথাই ভাবি
এটা কী থেকে কী হয়ে গেলো।
সব দোস আমার। আজকের পর থেকে তো মনে হয় সত্যিই লামিয়া আমার সাথে কথা বলবে না।
ধুররর।
মাথাটা কেমন যেনো ঘুরছে।
তাই আমি ঘুমিয়ে যায়।

।।
ঘুম থেকে সকালে উঠতে অনেক দেড়ি হয়ে যায়।
এখন সকাল 10:13 মিনিট। যদিও আমি চাইলেই কলেজে যেতে পারতাম কিন্তু যেতে ইচ্ছে করছে না।
কাল যদি লামিয়ার সামনে না পরতাম তবে আজ মনে হয় এটা হতো না।
কালকেই কী আমার পিছু নেবার ছিলো।
লামিয়াও না.. কেনো জানি আমার ওপর অল্পতেই রেগে যায়।
আজ আমার বাজির 3য় দিন। কিন্তু এই তিন দিনে কিছুই করতে পারলাম না। তার আগেই সব কিছু শেষ হয়ে গেলো।
আমি কী ভাবে যাবো লামিয়ার সামনে।
আর লামিয়াকে তো না দেখেও থাকতে পারবো না। খুব বেশি ভালোবাসি যে তাই।
কিন্তু লামিয়া সেটা বুঝতেই চায় না।
কবে বুঝবে আমার ভালোবাসা।
কিন্তু লামিয়া যদি আমাকে ভালো নাইবা বাসে তবে কাল ওর চোখের কোণে পানি দেখলাম কেনো।
কাউকে ভালো না বাসলে তো এমন সময় কারো চোখে পানি আসার কথা নয়।
তার বান্ধবীদের কথা অনুযায়ী সে আমাকে ভালোবাসে। আবার আমি তার ব্যবহারেও খুজে পাই।
কিন্তু সে কেনো শিকার করে না।
নাকি আমি যা জানি বা ভাবি সব গুলো
আমার ভূল।
এসবি ভাবছিলাম ঘুম থেকে ওঠে।
এমনি সময় আমার ফোনটা বেজে ওঠে।
ফোন হাতে নিয়ে দেখি লামিয়ার ফোন।
এখন আবার সে কেনো ফোন দিলো।
আমি: হ্যালো(ছোট করে)
লামিয়া: কোথায় আসিস তুই
আমি: আপু আমি তো এখন বাড়িতে।
লামিয়া: তুই এখনি কলেজে আসবি।
আমি: আজ আমি কলেজে আসবো না আপু।
লামিয়া: আমি কোনো কথা শুনতে চায় না।
ফোন কেটে দিলে।
এখন আবার কেনো আমাকে কলেজে ডাকছে।
কিছুই মাথায় ঢুকছে না।
কোনো জরুরি কথা বলবে নাকি
বলবে যে আমি যেনো তার পিছে আর না ঘুরি।
যদি সে এটা বলে তবে তো আমাকে কলেজ পাল্টাতে তবে।
এই কলেজে থাকলে তো আমি কোখনোই তার পিছে না ঘুরে থাকতে পারবো না।
।।
ভাবছি কলেজে যাবো কী যাবো না।
পরে কলেজে চলেই আসলাম।
শিমুল কাছের নিচে বসে আছে লামিয়া।
আমি তার সামনে গিয়ে দাড়ায়।
আমি: আপু কিছু বলবে(মাথা নিচু করে)
লামিয়া: তুই স্মোক কবে থেকে করিস।
আমি: অনেক আগে থেকেই।
লামিয়া: কেনো খাস। চ্যাকা খেয়েছিস নাকি তুই।
আমি: না। এমনিই(আগের অবস্থাতেই)
লামিয়া: আর খাবি না ওটা।
আমি: হুমমম
লামিয়া: হুমম না। আমাকে কথা দে।
আমি: আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আর কখনো স্মোক করবো না।
লামিয়া: যা মাপ করে দিলাম। আমি ভেবেছিলাম তোর সাথে আর কথাই বলবো না। কিন্তু তা পারলাম না।
আমি: জানতাম তো পারবে না(লামিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
লামিয়া: জানতিস মানে
আমি: আমাকে এতোটা ভালোবাসো কিন্তু
বলো না কেনো।
লামিয়া: আমি তোকে ভালোবাসতে যাবো কেনো।
আমি: তো এতো কেয়ার করো কেনো।
লামিয়া: তুই আমার ছোট। মানে ছোট ভায়ের মতো। তোকে তো কেয়ার করবোই।
এমন সময় আমাদের কলেজের এক বড় ভাই আসেন আমাদের কাছে।
বড় ভাই : লামিয়া তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো
লামিয়া: হুমম বলো।
বড় ভাই: লামিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি।
বড় ভায়ের কথা শোনে তো আমার মাথা গরম হয়ে যায়।
শালার তো সাহস দেখছি অনেক বেশি।
আমার ভালোবাসার দিকে হাত বাড়াই।
আমি: বড় ভাই উনাকে ভূলে যান।
বড় ভাই: কেনো
আমি: উনি সিঙ্গেল নন।
বড় ভাই: শান্ত তুমি কী আমার সাথে মজা করছো।
আমি: আমি কেনো আপনার সাথে মজা করবো। যা সত্যি তাই বললাম।
লামিয়া শুধু আমাদের দুজনার কথা শুনছেন।
বড় ভাই: কে সে
আমি: সেটা তো আমি নিজেই।
আমি: হ্যাঁ উনি আর আমি একে অপরকে ভালোবাসি।
বড় ভাই: তুই কী আমাকে পাগল পেয়েছিস হুমম। তুই ওর জুনিয়র ও তোকে কী ভাবে ভালোবাসতে পারে।(আমার জামার কলার ধরে)
লামিয়া: ঠাসস
কী ভাবছেন আমাকে মেরেছে।
আরে না মার টা খেয়েছে বড় ভাই টা।
।।
লামিয়া: তোমার এতো বড় সাহস কে দিলো ওর শাটের কলার ধরার।
বড় ভাই: দেখো না কী সব আবল তাবল বলছে।
লামিয়া: কী আবল তাবল বললো হুমম।
বড় ভাই: তুমি নাকি ওকে ভালোবাসো
লামিয়া: কেনো ওকি আমাতে ভালোবাসতে পারে না।
বড় ভাই: ও তোমার ছোট
লামিয়া: তাতে তোমার কী হুমম। তুমি এখনি আমার সামনে থেকে চলে যাবে।
বড় ভাই ভয়ে আর কিছু বলতে পারেন না।
কারণ আর কিছু বললে আরো কিছু মার খেতে পারেন। লামিয়া আপুর রাগে কলেজের সবাই লামিয়াকে ভয় করে।
শুধু আমি বাদে।
কারণ তার হাতে তো আমি এমনিতেও কম মার খাই নাই।
।।
সেদিনের মতো লামিয়া আপুর সাথেই থাকি।
এভাবেই কেটে যায় 11 দিন।
এর মাঝে অনেক বার লামিয়া আপুর মুখ থেকে ভালোবাসার কথা বের করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনও তার মুখ থেকে বের করতে পারি নাই।
আজ 11 দিন চলছে। আর আজকেই আমি লামিয়া আপুকে ছেড়ে কিছুটা দুরে চোলে যাচ্ছি।
আমার চলে যাবার একটা কারণও আছে।
সেটা আমি ফিরে আসার পরে বুঝতে পারবেন।

।।
আজকে চলে আসলাম সোজা কুষ্টিয়া। মামাতো বোনদের বাসায়।
বোনদের বললাম কারণ কুষ্টিয়াতে আমার 2 জন আপুর শশুর বাড়ি। এবং পাশা পাশি বাসা।
আর দুলা ভায়েরাও অনেক দিন ধরে যেতে বলছেন।
তাই আজ যখন সময় পেলাম তখন আর
বাসায় বসে থাকলাম না চলে আসলাম কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়াতে আসার আগেই ফোন বন্ধ করে রাখি।
কেনো ফোন বন্ধ করে রাখি সেটাও না হয়
পরেই জেনে নিয়েন।
কুষ্টিয়াতে পৌছি বেলা প্রায় 12 টার দিকে।
লালপুর থেকে প্রায় 2 ঘন্টা জার্নি।
কুষ্টিয়া পৌছাতেই শুরু হয়ে যায় ভাগনে ভাগনাদের সাথে দুষ্টুমি করা।
আমাকে দেখেই প্রথমে ভাগনে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে
আফরিন: মামা তুমি আমাদের এখানে আসতে চাও না কেনো।
আমি: আম্মু আমি তো অনেক বেশি ব্যাস্থ থাকি তাই আসা হয় না।
আফরিন: তুমি খুব পচা মামা।
আমি: হুমমম আর তুমি আমার মিষ্টি আম্মু।
ওহহ বলাই হয়নি। আমার ভাগনের বয়স 7 বছর।
আপু: কীরে ভাই তুই কী আমাদের ভূলে গেছিস।
আমি: কী যে বলো না আপু। আমি কী ভাবে তোমাদের ভূলবো।
আরেক আপু: তো আমাদের এখানে আসিস না কেনো।
আমি: আপু আমি তো খুব বিজি মানুষ তাই আসা হয় না।
আপু: আমরা জানি তো তুই কেমন বিজি
শুধু আমাদের এখানে আসার সময়ই তোর যতো ব্যস্থতা।
দুলাভাই: আরে কী শুরু করলে। ওকে একটু রেস্ট নিতে দাও। অনেকটা পথ জার্নি করে আসছে।
আপু: যা ভাই হাত মুখ দুয়ে আয়।
আমি: হুমমম।
তারপর আর কী ফ্রেস হয়ে এসে একটা ঘুম দেই। ঘুম থেকে উঠি প্রায় 3 টার দিকে।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হতেই আপু এসে বলেন
আপু: ভাই আই খেয়ে নে।
আমি: হুমম দুলাভাই কই।
আপু: তোর জন্য ডাইনিং রুমে অপেক্ষা করছে।
আমি: হুমমম চলো।
তারপর গিয়ে আমি দুলা ভাই ভাগনে খেতে থাকি। আর আপু আমাদের খাবার বেরেদিচ্ছেন।
আমরা খাচ্ছি আর আপু আমাকে একটার পর একটা প্রশ্ন করে যাচ্ছেন।
বাসার সবাই কেমন আছে। আব্বু এখন কী করছে আম্মু কী করছেন ভাইয়া ভাবিরা কেমন আছেন।
আর আমি তার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।
।।
সব শেষে আমি দুই দুলাভাই আর ভাগনিদের সাথে ঘুরতে বের হয়।
তাদের সাথে অনেক ঘুরি।
শেষ বেলায় ঘুরতে অনেক ভালোই লাগলো।
বেড়ানো শেষে আমরা সবাই বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে সবার সাথে ডিনার করে ঘোমাতে যাবো এমন সময়।
আফরিন: মামা আমি তোমার সাথে ঘোমাবো।
আপু: না আম্মু তোমার মামা আর কাকা এক সাথে ঘোমাক তুমি আমাদের সাথে আসো।
আফরিন: না আমি মামার সাথে যাবো।
আমি: আপু আসুক না ও আমাদের সমস্যা নাই।
আপু: আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যা।
তারপর চলে আসি আমাদের ঘোমাবার রুমে।
আমি আর বিয়াই কিছু কথা বলে বিয়াই ঘুমিয়ে যাই।
আফরিন অনেক আগেই ঘুমিয়ে গেছে।
শুধু ঘুম নেই আমার চোখে।
ঘুম থাকবে কী করে যাকে আমি একটা দিন না দেখে থাকতে পারি না তার কাছ থেকে দুরে আছি। এবং দুরে থাকতেও হবে অনেক দিন।
।।
আজ আমার চোখে ভেসে উঠছে সেই কলেজ জীবনের প্রথম দিন টা।
।।

আজ কলেজে আসছি আমি মহন রকি আকাশ রিদয়।
যখন কলেজের ক্যাম্পাসে আসি তখন
আমরা দেখতে পাই ক্যাম্পাসের শিমুল গাছের নিচে 4 টা মেয়ে বসে আছে।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়ে গুলো আমাদের সিনিয়র।
কিন্তু সিনিয়র জেনেও একটা মেয়েকে দেখে আমি ক্রাশ খাই।
দেখে ক্রাস খাবার কারণ সে পড়ে ছিলো একটা কালো শাড়ি আর খুপাই একটা তাজা গোলাপ।
সেই সময় মেয়ে টাকে দেখেই যেনো আমার হার্ড থেমে যাই।
অনেক কষ্টে মেয়েটার থেকে চোখ ফিরিয়ে ক্লাল রুমে চলে আসি।
এভাবেই কেটে যায় কয়েকটা দিন।
আজ কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান।
আজ একেক জন একাক ভাবে সেজে এসেছে কলেজে।
আবারো আমার লাভ এটাক হয়।
এবার মনে হয় সত্যিই তার প্রেমে পড়ে যায়।
আজো মেয়েটা একটা কালো শাড়ি পড়ে এসেছেন।
।।
প্রেমে পরেছি কিন্তু তার নাম টাও জানা হয়নি এখনো।
কলেজের অনুষ্টান শুরু হয়ে গেছে।
অনেক সিনিযর ভাই ও বোনেরা সাথে কলেজের স্যারেরাও বক্তব্য দিয়ে যান।
এমন সময় মাইকে একটা নাম ভেসে ওঠে।
লামিয়া….
যখন লামিয়া নামের মেয়েটা বক্তব্য দিচ্ছোলো তখন আমি মুগ্ধ হয়ে তার বক্তব্য শুনছিলাম।
।।
অনুষ্টান শেষে যে যার মতো কলেজ টাকে ঘুরে দেখছে।
আমরা বন্ধুরাও সেটাই করছি।
এমনি সময় দেখলাম আমাদের সামনে লামিয়া আপু ও তার বান্ধবিরা দাড়িয়ে গল্প করছেন।
এমন সময় একটা ছেলে এসে লামিয়া আপুকে প্রপোজ করে বসে।
তখন আমার মনে হচ্ছিলো মনে হয় প্রেমের আগেই তাকে হারিয়ে ফেললাম।
কিন্তু না।
ছেলেটা যখন লামিয়া আপুকে প্রপোজ করে তখনি লামিয়া আপু একটা ঠাসস করে একটা বসিয়ে দেয়।
ছেলেটা মাথা নিচু করে চলে যায়।
বুঝলাম মেয়েটা রাগি। তা না হলে এক কথাই কেউ এভাবে কাউকে চর মারে।
আমি: দোস্ত তোরা থাম আমি আসছি।
রিদয়: কই যাবি।
আমি: আরে থাম না। আসছি।
তারপর চলে আসি সোজা লামিয়া আপুর সামনে।
আমি: হাই আপু
লামিয়া: হাই
আমি: আপু আপনি কী সিঙ্গেল।
লামিয়া: কেনো(রাগি চোখে তাকিয়ে)
আমি: বলুন না।
লামিয়া: হ্যাঁ।
আমি: তাহলে সোজা বলে দিচ্ছে। আমি আপনার জুনিয়র। কিন্তু আমি আপনাকে প্রথম দিনে দেখেই ভালোবেসে ফেলেছি।
আই লাভ ইউ
লামিয়া: ঠাসসস
আমাকেও দিয়েছে একটা।
লামিয়া: তুই ভাবলি কী করে যে তোকে আমি ভালোবাস বো।
আমি: আমি অন্য বসার মতো না যে তোমার একটা চর খেয়ে আমি তোমাকে ভূলে যাবে। তবে আমি তোমাকে তোমার করে নেবোই।
চলে আসলাম সেখান থেকেই।
এভাবেই কেটে যাই অনেক দিন আর প্রতিদিন আমি তাকে ভালোবাসার কথা বলি আর একটা করে চর খাই।
শুক্রবার ছুটির দিনেও তার বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম তাকে একটা বার দেখার জন্য।
এভাবেই একটা সময় আপনি থেকে তুমি তে নেমে আসি।
একটা সময় লামিয়াও আমার প্রেমে পড়ে যায় যেটা আমি আগেই জেনেছি।
তারপর কী হয়েছে সেটা তো জানেনই।
।।
এসব ভাবতে ভাবতে একটা সময় ঘুমিয়ে যায়।
।।
এভাবেই সেখানে কেটে যায় 7 টা দিন।
এই 7 টা দিন ভালো কাটলেও রাত ভালো কাটেনী।
।।
আজ বাসায় যাচ্ছি।
কাল যখন কলেজে যাবো তখন আমি কয়টা মার খারো তার ঠিক নাই।
পরে দিন কলেজে আসি।
(আমি যে বাসায় এসেছি আমার বন্ধুরা কেউ জানেই না। কারন আমার ফোনটা এখনো বন্ধ।)

কলেজের গেট দিয়ে ঢুকতে যায় তখনি কয়েক জন আমাকে মারতে শুরু করে।
আরে ভাই বাহিরের কেউ না আমার বন্ধুরাই মারছে।
আমি: মামা থাম তোরা। সরি এবারের মতো মাফ কর। এমন টা ার হবে না।
মহন: গেলি ঠিক আছে জানাইলি না আবার ফোনটাও বন্ধ।
আমি: আরে থাম। চল ক্লাসে চল
রিদয়: দোস্ত তোর জন্য আজ একটা উপহার আছে।
আমি: জানি
রিদয়: তো চল
আর কিছু দুর যেতেই আমার নরম গাল গরম হয়ে গেলো।
মানে লামিয়া চর মেরেছে।
আমি: আপু
লামিয়া: ঠাসসস
আমি: আরে
লামিয়া: ঠাসসস।
আমি: আমি সরি তো।
লামিয়া: কোথায় ছিলি এতোদিন।
আমি: ছিলাম কোথাও।
লামিয়া: জানিস কতো কষ্টে ছিলাম আমি।
আমি: সরি।
লামিয়া: যেদিন তুই চলে গেলি সেদিনই আমি তোকে বলতে চেয়েছিলাম আমি তোকে ভালোবাসি কিন্তু তুই ই ছিলি না।
আমি: আমার যাবার একটা কারণ ছিলো।
লামিয়া: কী কারণ।
আমি: তুমি যে আমাকে সেদিন ভালোবাস কথা বলবে সেটা আমি জানতাম
লামিয়া: তবে চলে গেলি কেনো।
আমি: তুমি কী সেটা সত্যিই বাজি ধরেছিলে।
লামিয়া: হুমম
আমি: আমার ভালোবাসা কোনো বাজি নয়। আর কী ভাবে আমি তোমাকে আমার ভালোবাসার কাছে হেরে যেতে দেয় বলো তো। আমি নিজেই হেরে যাবো কিন্তু আমার ভালোবাসাকে হারতে দেবো না।
লামিয়া: তুই তো অনেক বড় হয়ে গেছিস।
আর এতো কিছু তুই ভাবলি কী করে।
আমি: ভালোবাসি যে।
লামিয়া: পাগল একটা
আমি: হুমমম তোমার পাগল।
তারপর আবার কী প্রপ্রোজ তো আগেই তো করেছি এবার না হয় করলাম না।
চলুক না এভাবেই।
।।