-দোস্ত তুই কই তারাতারি মাঠে আয় ঐ পারার পোলাপান আমাগো মারতে আইছে। (রাজু)
-কীইইই কইলি তোরা ওই খানেই খাড়াঁ আমি আইতাছি।।।।
-ওই সালা এবার তোরা যাবি কই আমাদের বন্ধু মেঘ আইতাছে।(রাজু)
-আরে আইতে ক না ঐ টারে মাইরা রাইখা যামু।।।।
বন্ধু আইসা গেছস দেখ ওই সালা মোটা তোরেও মারতে আইছে।।।
এ কিইইই রে এই পিচ্ছি রে আবার কই থেকে আনছস,যাও বাবু দুধু খাও।।।
মাম্মা এবার আমার মাথা হেব্বি গরম হয়ছে
ঐ খারাই আছস ক্যান আমারে উপরে তোল, আর দেখাই দে এই হানে কে সব থেইকা বড়।। এই সালা কুত্তা কমেডি বন্ধ কর ওদের দেকছস, এক একটা পুরো হাতি।।।
হেব্বি মাইর দিবেরে।।।
ঐ….ওরা মাইর দিবে আর আমরা দেখমু নাকি,, এই শিক্ষা দিছি তোদের।।।
হয় পারলে মাইর দিবি না পারলে দৌড় দিবি।।।
এই এক কথা তোদের কত্ত বার বলা লাগবে, দৌড় দে……।
ওরা হাতি হইতে পারে কিন্তু আমরা ঘোড়া।।।
দৌড় লাগা মামা জোরে দৌড় লাগা।।। এক দৌড়ে সোজা আমাদের পারাই চলে আসলাম।।। এবার কে পাই আমাগো,,,
শালা হারামি তোরে ফোন দিছিলাম যাতে কিছু করিস, আর তুই কিনা দৌড়ে নিয়া আসলি।।।(রাজু)
চুপ কর, আমি ছিলাম বলে বিনা মাইর এ আসতে পারছস, দেকছস এক একটারে যা মাইর দিত।।। হাঠাৎ জাহিদ এসে বললো মেঘ ভাইয়া আপনারে অবনি আপু ডাকে।।।
দোস্ত এবার তো তুই শেষ ( রাজু)
চুপ সালা আমি কোনো অবনি কে ভয় না।। ও হ্যা অবনি আপু হইতেছে আমাগো লিডার, মানে

লিডার মানে আমাদের মতো ফাজিল পোলাপান তারে দেখলে ভয় পাই।
একমাত্র আমি ছাড়া।।।
কীইইই ভাবছেন আমি ভয় পাই না তাই না,
আরে ভাই এই মাইয়াটার বাসা আর আমার বাসা পাশাপাশি। তাই আমার নিজের বাপ মানে একদম নিজের বাপ তার কিউট পোলাটারে একটু গুন্ডি মেয়ের হাতে শাষণ করার জন্য দিছে।।।
মাত্র দুই মাস আগে আমি এলাকার মধ্যে সব থেকে ফাজিল পোলা ছিলাম।
এখন এই মাইয়া আসার পর থেকে আমার সব পাওয়ার শেষ। উঠতে বসতে চটকানি দেয় আসেন প্রথম দিনের কথা বলি।
আমাদের বড় ভাই এ রা ও আমার থেকে একটু কাচাঁ।তো সেই দিন সবাই মিলে সালাম কাকুর দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে সামনে দিয়ে হেঁটে যাইতেছে আকাশ থেকে নেমে আসা একটা পরী।
হাঁসিব ভাই তো দেখেই ফিদা, আমি ভাই তো দেখেই ফিদা, আমিও তারে সোজা প্রপোজ করার বুদ্ধি শিখাই দিছি।।যেই ভাবা সেই কাজ, হাঁসিব ভাই মেয়েটার সামনে গিয়ে সোজা প্রপোজ করে দিছে।।।
মেয়েটা সোজা তার নিচ বরাবর একটা কিক দিছে। একটুর জন্য বাবা হওয়া থেকে বঞ্চিত হয় নাই, একবার ভাবেন কেমন মেয়ে,
সেই দিনের কথা মনে হইলেরে কি আর কইতাম এখনও হিসি আটকে যায়।আর আমার দুই বছরের সিনিয়র হওয়ায় আমার বাপ তার কাছে পড়তে পাঠান আর আমার সব গুনগান বলে দিছে।এমনিতেই একটা গুন্ডা মাইয়া তার উপর আবার ভালো ছাত্রী। তবে আমাকে মনে হ্য় ভালোবাসে তাই কিছু বলে না।আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে বাসাই চলে আসছি।দোয়া পড়তে পড়তে রুমে ডুকলাম দেখি গুন্ডাটা অন্য দিকে মুখ করে দাঁড়াই আছে। আমি রুমে ডুকতেই আমার কাছে আসল,আর মারতে লাগল।
আরে বাবা মারতেছ ক্যান বলবা তো।
-ঐ হারামি তুই নাকি পাশের এলাকার পোলাদের সাথে মারামারি করতে গেছিলি।
আরে গেছিলাম তো কিন্তুু তুমিই বলো তোমার শিক্ষা কেমন ভুলি, কারো সাথে মারামারি করতে নিষেধ করছ,তাই তো মারামারি না করে দৌড় দিয়ে চলে আসছি
হি হি হি হি।।
ঠাসসসসসসসসসসসসস।
-তুই কোনোদিন কিইইইই ভালো হবি না হুমমমমম।কত আর বলা লাগবে একটু পড়ালেখাই মন দে।
গালে হাত দিয়ে বললাম, আপু একটা কথা বলব।
-হুমমমমম তুই না বললে কে বলবে বল।
তুমি যখন থাপ্পড় দাও না তখন আমার হিসি চাপে হি হি হি হি।
কুত্তা হারামি তুই আবার একটা চর খাবি।
দাঁড়াও একটু হিসি করে আসতেছি।
আহা কিইইইই শান্তি।
হুমমমম,আচ্ছা খাইছিস।।।
না…..কেবল তো দৌড়ানি খেয়ে আসলাম।
জানতাম তো না খেয়ে এমন হয়েছিস।কী খাবি বল।

কলা আর সন্দেস।
একটা চর দিব ওই গুলো কেউ খায় হুমমম।
আরে সেই জন্যই তো আমি খাই যাতে আমার পয়সা দিয়ে তাদের সংসার চলে হি হি হি ।।
চুপ চাপ থাকতে পারিস না হুমমম, এমন লাফাইতেছিস কেন।
আরে কই লাফাইতেছি, এই যে দেখ কেমন লক্ষী ছেলের মতো বসে আছি।
হুমমমম এমন ভাবেই বসে থাকবি, আমি গরুর মাংস আর ডাল রান্না করছি, দাঁড়া নিয়ে আসছি এক সাথে খাব।
হুমমমম , তারাতারি যাও আর তর সইছে না।
চুপচাপ থাকবি বললাম।
হুমমমম, নীলা আপু খাবার নিতে চলে গেল। আমি একটা গেলাস নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে হঠাৎ হাত থেকে নিচে পড়ে গেল আর ভেঙ্গে গেল। আপুর বকার ভয়ে তারাতারি তুলতে গিয়ে আবার হাত কেটে ফেলছি, অনেক রক্ত বের হচ্ছে। এর মধ্যে আপু চলে আসছে, এক হাত দিয়ে কাঁটা জায়গাটা ধরে হাত নিচে নিয়ে আছি।
আমি যাওয়ার পর কীসের শব্দ হল।
হি হি কিছু না এমনি।
এই নে এবার খা । ঐ হাত নিচে দিয়ে আছিস কেন। খেতে বলছি না হুমমমম। ঐ তোর কানে কথা যায় না হাত উপরে উঠা। যেই হাত উপরে উঠালাম।
ওই কেমনে হাত কাঁটলি, অনেক রক্ত বের হচ্ছে তো। একটা মিনিট কী আমাকে শান্তিদিবি না, হায় হায় কেঁদে দিছে ক্যান আমার হাত ধরে ডিটল দিচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল হাত আমার কাটে নাই অবনি আপুর কাঁটছে। তার পরে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে দিল।
আচ্ছা আপু কার হাত কাঁটছে।
কেন।
না মনে তুমি যেমনে কাঁদতেছ মনে হচ্ছে হাত তোমার কাঁটছে।
চুপ করে বসে থাকতে পারিস না হুমমমম,
আমাকে কষ্ট দিতে তো তোর ভালই লাগে বুঝি তো আমি।
আরে বাবা কখন কষ্ট দিলাম।
তাহলে হাত কেঁটে গেছে বলিস নাই কেন।
আমি ভাবছিলাম গেলাস ভেঙ্গে ফেলছি হয়তো অনেক বকা দিবা তাই তারাতারি তুলতে গিয়ে কেঁটে গেছে হি হি হি।
চুপ কর কুত্তা।
একটু খাইয়ে দিবা প্লিজ
হুমমমম আমি না খাইয়ে দিলে আবার কে দিবে।
হুমমমম তাই তো তুমিই মারবা, তুমিই বকা দিবা, তুমিই খাইয়ে দিবা আবার তুমিই ভালবাসবা হি হি হি।
হইছে এখন হা কর।
আআআআআআআআআআ।
ঐ আবার শব্দ করতে হয় বুঝি।
আচ্ছা আপু আমি মরে গেলে আমারে তুমি ভুলে যাবে তাই না।
ঐ আর যদি কোনদিন এমন কথা বলছিস তাহলে সত্যি সত্যি আমি মরে যাব।
আরে বাবা মজা করলাম তো।
এই সব মজা একদম করবি না আর বলে দিলাম।
হুমমমম ওকে। তারপরে খেয়ে
দেয়ে তার উড়না দিয়ে মুখ মুছে দিল। হি হি কেমন গুন্ডি মেয়েটা ও কেমন ভালা হয়ে গেছে। তার পরে আপুকে বলে বাসাই চলে আসলাম,বাড়িতে এসে শুয়ে আছি হঠাৎ আপুর ফোন।
মেঘ হঠাৎ বাবা বলতেছে
আজকে রাতে নাকি আমাকে দেখতে আসবে। আর পছন্দ হলে রাতেই বিয়ে। – কথা গুলো শুনে মনে হল আমি ভিতরে ঝড় উঠে গেল।
আর হ্যা একদিক দিয়ে ভালই হবে তোরে আর কেউ বকা দিবে না নিজের মতো দুষ্টুমি করতে পারবি।
এবার সত্যি সত্যি কান্না চলে আসছে। আপু তোমার সাথে আমার কথা আছে তুমি তোমাদের বাসার ছাঁদে যাও আমি আসতেছি। বলেই এক দৌড়ে অবনি আপুদের বাসার ছাঁদে চলে গেছি। গিয়ে দেখি আপু দাঁড়িয়ে আছে।
কীইইই বলবি তারাতারি বল, ওর হয়তো চলে আসবে।
এবার কোন ভয় না করেই ডিরেক্ট অবনি আপুকে জরাই ধরে কান্না করে দিছি। আপু আজকে তুমি আমাকে যত খুশি মারতে পার আমি কিছু বলব না আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, যদি তোমার বিয়ে হয়ে যায় না আমি এই ছাঁদের উপরে থেকে লাফ দিয়ে মরে যামু, আপুর ঘাঁড় ভিজে ফেলছি কেঁদে। আর হ্যা তুমি যদি না ভালবাস আমার কিছু করার নাই, তবে হ্যা আমার মতো কেউ ভালবাসতে হয়তে পারবে। কিন্তুু আমার মতো ক্যালানি কেউ খেতে পারবে না হুমমমম ।
ঐ গাধা মেয়েদের মতো কাঁদছিস ক্যান হুমমমম, তোর মাথাই কোন বুদ্ধি সুদ্ধি নাই, আমাকে আজকে দেখতে আসলে বাসাই মানুষ থাকত না হুমমমম। বাসাই তো আব্বু আম্মু ও নাই। তুই আমাকে কেমন ভালবাসিস তাইতো এমন মজা করলাম হি হি হি।
হুমমমম এখন আগে যত গুলা চর দিছ এখন তত গুলা পাপ্পি দাও। না হলে কিন্তুু।
ঐ না হলে কীইইই করবি শুনি।
না কিছুই না।
হি হি আমার পিচ্চি জামাই টাকে পাপ্পি দিব না তাহলে কারে দিব শুনি। আচ্ছা আপু তোমার কোলে শুয়ে শুয়ে আজকে তারা দেখব কেমন।
ঐ আবার আপু কইলি ক্যান। বলেই ঠাসসসসসসসসসসসস।
ঐ জামাইরে কেউ এমন চর দেই হুমমমম।
ওলে বাবা সরি জানু এসো একটা
পাপ্পি দেই।
হি হি হি হি।।।।।।……………