আজ সকালে অবনি এর কাছে ডিভোর্স লেটার টা পাঠিয়ে দিয়েছি।

অনেক সহ্য করেছি আর সহ্য করা যাচ্ছিলো না মেয়েটা আমার কাছে একটা কিছু চেয়েছে আমি না দিয়ে পারি আসুন আপনাদের মুল ঘটনায় নিয়ে যায়।

আমি মেঘ বাবা মায়ের আদরের ছোট ছেলে,পড়াশুনা শেষ করে এখন একটা প্রাইভেট কোম্পানি তে চাকরি করছি।

ভালোই চলছিলো দিনকাল,কিন্তু আমার আব্বু আম্মুর তা ভালো লাগলো না।

তারা আমাকে বিয়ের জন্য জুরাজুরি করতে শুরু করছে,সাথে ভাইয়া ভাবিও।

আমি তো মানকাই চিপায় পরলাম। যদিও আমার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে,তাই আব্বু আম্মুর কথা আর ফেলতে পারলাম না।

আমি বাসায় বিয়ের জন্য হ্যা বলে দেই।আব্বু আম্মু আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে দিলো,সাথে ভাইয়া আর ভাবীও।

জানিনা আমার ভাগ্যে কেমন বউ জুটবে।
একদিন আব্বু আম্মু আমাকে এসে বললো যে আমাকে নাকি মেয়ে দেখতে মেয়েদের বাসায় যেতে হবে।তাই আমাকে সেদিন অফিস যেতে দিলো না।

বিকেলে ভাইয়া ভাবি আব্বু আম্মু সহ আমি অবনিদের বাসায় যায়।আমি তো
লজ্জায় একদম চুপসে গেছিলাম।

ভাবি বার বার আমার কানের কাছে বললো তোমায় ভাইয়াও আমাকে দেখতে গিয়ে ঠিক এই রকমই লজ্জা পেয়েছিলো কিন্তু মেঘ ভাই এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে?

আমি বললাম জানিনাߘকিছুক্ষন পর মেয়েকে আনা হলো।

মেয়ে দেখে তো আমি একদম হা হয়ে গেলাম। এটা মেয়ে নাকি একটা পরি।

আমি হা করে তাকিয়ে আছি তা দেখে ভাবি বললো ভাইয়া মাছি ঢুকবে তো। ভাবি এর কথা শুনে আমি আরো লজ্জা পেলাম।

আমার তো মেয়ে অনেক ভালো লেগেছে।

সেখানে কিছু কথা বার্তা বলে আমারা সবাই বাসায় এসে পরলাম।
বাসায় আসার সাথে সাথে আম্মু আমাকে জিজ্ঞাস করলো মেঘ বাবা মেয়ে তোমার পছন্দ হয়েছে?

আমি বললাম আম্মু কবে আমার বিয়ে দিবে তাই বলো?

আমি যে আর থাকতে পারছি না।

আমার কিন্তু।

আমার কিন্তু অই মেয়েকে চাই চাই।

আম্মু বললো আমার ছেলে দেখছি বিয়ের জন্য পাগক হয়ে উঠালো।।
আমি কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললাম তোমাই তো বিয়ের জন্যা চাপ দিচ্ছেলে।।তাই ভাবলাম আজ হলেও বিয়ে করতে হবে কাল হলেও বিয়ে করতে হবে তাই আর দেরি করে কি লাভ আমি বিয়ে করবো আর যত তাড়াতাড়ি করা যায় তত তাড়াতাড়ি।।
আম্মু আমার কথা শুনে হাসতে হাসতে সেখান থেকে চলে গেলো।।।
আর আমি তো মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতে নিজেকে পাগল বানিয়ে ফেলছি।।।
পরদিন আব্বু বললো সামনের সপ্তাহে আমার বিয়ে।।
তাই জেনো অফিস থেকে কিছুদিন এর জন্য ছুটি নেয় আমি তো খুব খুশি হয়ে নাচতে নাচতে অফিস চলে গেলাম গিয়ে অফিস এ বসের কাছে ছুটি এর জন্য আবেদন করলাম।।
বস তাও অনেক ভালো ছুটি দিয়ে দিলো।।।
বিয়ের দিন
খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।। তারপর কিছুক্ষণ বর যাত্রী নিয়ে অবনি দের বাসার উদেশ্য বেড়িয়ে পরলাম।।। অহ আপনাদের তো বলাই হয় নাই
আমার হবু বউ এর নাম অবনি।।।
অবনিদের বাসার সামনে আসতেই কিছু লুচ্চি মেয়ে টাকা চায়তে লেগে পরলো।।
ভাইয়া মেয়েগুলোকে অনেক বুঝতে চেষ্টা করছে।। কিন্তু তাড়া কিছুতেই টাকা ছাড়া ঢুকতে দিবে না।।
আর এদিকে আমার তো আর তর সইছিলো না।।
তাই ভাইয়া কে বললাম ভাইয়া যত চাচ্ছে দিয়ে দাও তো।। ভাইয়া মুচকি হেসে টাকা গুলো দিয়ে দিলো।।
তারপর বিয়ের শেষ করে বিয়ের আসন থেকে নামতে যাবো দেখি আমার জুতা নাই।।কি মুশকিল এ পরলাম।।
আবার সেই লুচ্চি মেয়ে গুলা এসে টাকা চাইলো।।
তখন আমার এক বন্ধু তার ব্যাগ থেকে এক জোড়া নতুন জুতা বের করে দিয়ে বললো মেঘ দোস্ট এগুলা পরে নে। আমি বললাম বন্ধু তুই কি জুতা সাথে নিয়ে ঘুরস নাকি?
আমার বন্ধু বললো আর বলিস না আমার বিয়েতেও ঠিক এই রকম ঘটনা ঘটেছিলো।।আমার বিয়েতে জুতা ফেরত নিতে ৬০০০ টাকা দিয়েছিলো।।
তাই আমি ভেবেছিলাম আজ।।
তোর বিয়েতেও তেমন কিছু যদি ঘটে তাহলে কি হবে তাই আমি আগে থেকেই কিনে তোর ব্যাগ এ ঢুকিয়ে রাখছিলাম।।
বন্ধু গুলো এই রকমই বিপদের বন্ধু আসল বন্ধু।।
তখন বন্ধু এর কাছে থেকে জুটা গুলি নিয়ে পরলাম।।।
আর দেখলাম মেয়ে গুলো আমার বন্ধুর দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।।।
তখন কার ঘটান বাদ দিয়ে দিলাম।।।
বিয়ে করে নতুন বউকে নিয়ে বাসায় আসলাম।।
রাত তো অনেক হয়েছে যাও নতুন বউ এর কাছে যাও (ভাবি)
আমিঃএই তো আর কিছুক্ষণ পর জাবো।।
তা হবে না ভাইয়া।।
তুমি এখনি জাও।।
এই বলে ভাবি আমাকে টানতে টানতে আমার রুম এ ঢুকিয়ে রুম বাহির থেকে লক করে

এই বলে ভাবি আমাকে টানতে টানতে আমার রুম এ ঢুকিয়ে রুম বাহির থেকে লক করে দিলো।।।
তো আমি আস্তে আস্তে নতুন বউ এর আছে গেলাম।।।
গিয়ে দেখলাম নতুন বউ কাঁদছে।।
আমি বললাম কাদার কি হলো বউ বললো দেখুন আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাইনি।
আমিঃমানে কি বলছেন এই সব।
বউঃহ্যা আমি সত্যি বলছি।।
আমি রাফি নামক একটা ছেলেকে ভালোবাসি।।।
আমিঃতো আমি যাকে মন চাই তাকে ভালোবাসেন
সেটা আমাকে আগে জানলেন না কেনো।।।
আমি তাহলে আপনাকে বিয়ে করতাম না।।
বউঃআমি আমার ফ্যামিলি তে সব জানিয়ে ছিলাম
আমার ফ্যামিলি থেকে আমাকে বলা হয়েছিলো।। যদি রাফি কে ভালোবাসি বা রাফি এর সাথে পালিয়ে যায় তবে তারা রাফি কে মেরে ফেলবে।।
তাই আমি ভয়ে কিছু করতে পারি নাই।।
আমিঃআপনি রাফিকে বাচাতে গিয়ে আমার জীবন নষ্ট করলেন কেনো???
বউঃআমার কোনো উপায় ছিলো না।
আমিঃতো এখন আপনি কি চান আমার কাছে???
বউঃআমাকে আপনি প্লিজ ডিবোর্স দিয়ে দেন।।আর আমার সত্বিত্ব আমাকে ভিক্ষা দিন প্লিজ।।
বাসর রাত এ বউ এর কাছে ডিবোর্স এর কথা শুনে আমি অনেক অবাক হয়ে গিয়েছিলা সাথে অনেক কষ্টও পেয়েছিলাম।।
কিন্তু সেই সব নিজের মধ্যে পুষে রেখে আমি বললাম আপনার রাফি এখন কোথায়।
বউঃরাফি এখন একটু শহর এর বাহিরে আসে। রাফি আসা মাত্রই আমি রাফি এর সাথে পালিয়ে যাবো।
আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আপনি জা চান তাই হবে আমি কাল সকালে উকিল এর সাথে কথা বলবো।
আর ভয় পাবেন না আমি আপনার কোনো প্রকার ক্ষতি করবো না।
বউ ধুর আর বউ বউ করতে ইচ্ছা করছে না অবনি বললো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আচ্ছা আজকে আমি অনেক ক্লান্ত আপনি বিছানায় শুয়ে পরুন আমি নিচে শুয়ে পরছি।
এই বলে আমি একটা বালিশ নিয়ে শুয়ে পরলাম আমার অনেক কান্না পাচ্ছে আমি কি এমন অন্যায় করে ছিলাম?
যার জন্য আজ আমাকে এভাবে শাস্তি পেতে হবে।
বিয়ে নিয়ে তো আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো ইচ্ছা ছিল বউকে অনেক অনেক ভালোবাসবো।
আমার বউ আমাকে অনেক ভালোবাসবে।
কিন্তু বাসর রাত এ যে আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে আমি আগে বুঝতে পারি নাই।
একথা ভাবছি আর বালিশ ভিঝাচ্ছি আমি একটু উঠে দেখলাম অবনি ঘুমাচ্ছে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে মেয়েটাকে।
কিন্তু সে অন্যা কারো আমানত তাই তার দিকে আমার নজর দেওয়া চলবে না তার থেকে ভালো অবনি আমার কাছে যা চেয়েছে আমি অবনি কে তাই দিবো ডিবোর্স।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলাম তা নিজেই জানিনা।
সকালে অবনি এক ডাক শুনে ঘুম ভাংলো

সকালে অবনির এক ডাক শুনে ঘুম ভাংলো।ও বললো এভাবে নিচে বিছানা দেখলে মানুষ কী ভাব্বে তাই জান আপনি এখন বিছনাই শুয়ে পরুন। অবনির কথা শুনে আমি উঠে আর না শুয়ে আমিও ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।।।

ফ্রেশ হয়ে এসে অবনিকে বললাম আচ্ছা আপনি তো রাফি এর সাথে চলে যাবেন,,,কিন্তু যে কয়েকদিন আমাদের বাসায় আসেন সেই কয়েকদিন এ যেনো কেও না বুঝতে পারে আমাদের মাঝে স্বামী স্ত্রী এর কোনো সম্পর্ক নেই।।।

প্লিজ আমার এই অনুরোধ টূকু রাখুন।।।

অবনি আমার কথা শুনে কিছুক্ষন ভাবলো তার পর বললো হ্যা ঠিক আছে,,,আপনার জন্য আমি এটুকু করতেই পারি।।।

আমি অবনিকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেলাম।।।

তারপর বিয়ের সব আনুষ্টানিকতা শেষ করে নিজের বাসায় আসলাম আমি আর অবনি।।।

তারপর একদিন রাত এ অবনি হঠাৎ করেই আমাকে জিজ্ঞাস করলো আচ্ছা আমাদের ডিভোর্স এর কি খবর,,,মানে আমারা কোনদিন একে অপর কে ডিভোর্স দিবো।।।

আমি বললাম সেটা এখন আর সম্ভব না।। কম করে হলেও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে।। এর আগে ডিভোর্স অসম্ভব ব্যাপার।।।। অবনি আমার কথা শুনে কেমন জানি হয়ে গেলো।। আর বললো এই ৬ মাস তাহলে কি হবে।।।

আমি বললাম সেটা আপনি ভালো জানেন।। তবে আপনি চাইলে রাফি এর সাথে চলে যেতে পারেন ৬ মাস পর নাহয় আমি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।। অবনিঃসেটাই ভালো হবে।। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।। আমি আর কিছু না বলে নিচে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ি।।।

আর অবনি ও মনে হয় ঘুমিয়ে পরেছিলো।।। পরদিন সকালে আবার অবনক এর ডাক এই উঠুন উঠুন জান গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরুন।। আমি আর কিছু না বলে বিছানায় শুয়ে পরলাম।।। আর অবনিকে দেখলাম আমার বিছানা গোছাচ্ছে।।। মেয়েটাকে দেখতে ভালোই লাগছিলো একদম একটা লক্ষি বউ।।।

কিন্তু সে তো আর আমার বউ না সে অন্য কারো বউ/gf… একথা মনে আসতেই আবার মনটা খারাপ হয়ে গেলো তাই আর শুয়ে না থেকে ফ্রেশ হয়ে অফিসের জন্য রেডি হবো।।। তখনই আম্মু বললো কি ব্যাপার মেঘ বাবা তুমি না বেশ কিছুদিন এর জন্যা ছুটি নিয়েছিলে।।। আমি বললাম।।।।।।

. আম্মু অফিসে কাজের প্রচুর চাপ।। তাই বস আমাকে যত তাড়াতাড়ি পারি অফিস যেতে বলেছে।। তাই অফিস যাচ্ছি।।তুমি তোমার বউ মার খেয়াল রেখো।।। আমি গেলাম।।

এই বলে আমি অফিস চলে গেলাম।।অফিসে যাবার সাথে সাথে সব কলিগ রা আমাকে ঘিরে ধরলো।। বিয়ে করার পর তো আপনার দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না মেঘ সাহেব।। বউ এর ভালোবাসা কেমন পেলেন।।

আমি বললাম হুম অনেক ভালোবাসা পেয়েছি বউ

আমি বললাম হুম অনেক ভালোবাসা পেয়েছি বউ আমাকে ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে রাখছে।। কিন্তু বউ আমাকে কেমন ভালোবাসা দিচ্ছে সেটা তো শুধু আমিই জানি।।। অনেক কষ্ট হচ্ছিলো কলিগদের কথা শুনে কিন্তু আমি চুপচাপ সব শুনে গেলাম।। কারন আমার তো আর করার কিছুই নাই।।। সারাদিন কাজ শেষ করে বাসায় আসলাম।।

আসার পর আম্মুর হাতে ব্যাগ দিয়ে আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।।। অবনি এর কথা একবাও জিজ্ঞাস করলাম না।।। কি লাভ জিজ্ঞাস করে সে তো আর আমার না।। সে তো অন্য কারো আমানত।।।

যতদিন আমার কাছে আছে ততদিন জেনো ভালোভাবে থাকতে পারে এটা দেখাই আমার দায়িত্ব।।। তো ফ্রেশ হয়ে এসে আমি খেতে বসলাম।। আম্মু বললো বাবা মেঘ প্রথম প্রথম একটু এই রকম হবেই দেখবে পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।।। আমি বললাম ঠিক হলেই ভালো।।।

আম্মু বললো ঠিক হিয়ে যাবে,,,চিন্তা করো না।। আমি খাওয়া শেষ করে রুম এ আসলাম।। দেখি অবনি শুয়ে আছে।।তাই আর কিছু না বলে বিছানা করে শুতে যাবো অবনি বললো আমাদের ডিভোর্স এর ব্যাপার তা।। আমি বললাম সেদিন না বললাম ৬ মাস লাগবে।।

অবনি ওহহ ঠিকি তো আচ্ছা আপনি ঘুমান।। আমি অবনিকে গুড নাইট বলে ঘুমিয়ে পরলাম হঠাৎ রাত করে খেয়াল করলাম অবনি কার সাথে জেনো ফোন এ কথা বলছে।। আমি ভাবলাম এত রাত এ আর কার সাথে কথা বলবে রাফি এর সাথেই হয়তো কথা বলছে।।।

আমি সেই দিকে আর নজর না দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।।। সকালে যথারীতি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিস। চলে গেলাম।।। রাত করে বাসায় ফিরলাম।।।

. বাসায় এসে খেতে বসলাম।। আমিঃআম্মু আজ খাবার টা কেমন জানি অন্য রকম লাগছে।।। আম্মুঃআজ অবনি সব রান্না করেছে আমাকে তো আজ রান্না ঘরে ঢুকতেই দেই নাই।।মেয়েটা অনেক ভালোরে।।।

আমি মনে মনে ভাবলাম যাক তাহলে মেয়েটা আমার কথা রেখেছে।।আমিও এটা ভেবেও খুশি হলা যে আমার নিজের বউ এর হাতের রান্না খেতে পেরে।।।কিন্তু। আমার বউ বলে ভুল করে ফেললাম সে তো রাফি এর বউ।।রাত এ রুম এ প্রবেশ করলাম।। করা মাত্রই অবনি আমাকে আবার সেই ডিভোর্স নিয়ে প্রশ্ন করলো।।।

মেজাজ টা গেলো খারাপ হয়ে।।ছুটে গিয়ে আমার ঠাসসসস ঠাসসসস কয়েকটা চর।। আর বললাম অই তরে তো বলেছি ৬ মাস সময় লাগবে তর কান দিয়ে কথা যায় নাই নাকি।।। এতোই যদি রাফি এর জন্য পাগল তাহলে পালিয়ে যেটি।।।।

এই বলে রুম থেকে বেড়িয়ে ছাদ এ চলে আসলাম।।। মন টা ভালো নেই।।

অবনিকে মারা কি ঠিক হয়েছে।।। হুম ঠিকই হয়েছে প্রতিদিন এক কথা শুনতে কার ভালো লাগে।

অবনিকে মারা কি ঠিক হয়েছে।

হুম ঠিকই হয়েছে প্রতিদিন এক কথা শুনতে কার ভালো লাগে।

আমি সেদিন এর আমার রুম এ যাই নাই।
কেমন জানি লজ্জা করছিলো নিজের
রুম এ যেতেই তাই সেদিন ছাদ এই রাত কাটালাম।
পরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে অফিস চলে গেলাম।
হঠাৎ আম্মুর ফোন থেকে কল আসলো।
আম্মুঃমেঘ বাবা বউ মা মন খারাপ করে বসে আসে।
কিছু হয়েছে।

আমিঃনা আম্মু তেমন কিছু না। আম্মুঃবাবা আমি বলি কি তুই আজ বউ মাকে নিয়ে একটু ঘুরে আয়। আমিঃকিন্তু আম্মু আম্মুঃকোনো কিন্তু নয় তুই এখন বাসায় আয়।

আমি বউমাকে বলছি তুই তাকে নিয়ে ঘুরতে যাবি।
আমি আর কিছু বললাম না।
বস এর কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি অবনি রেডি হয়ে বসে আছে।

হয়তো আম্মু বলেছে বলে কথটা রাখতে ফেলতে পারে নাই।
আমি আর অবনি একসাথে বেড়িয়ে পরলাম।
কিন্তু কেও কোনো কথা বললাম না।

আমি বললাম আমি সরি সেদিন নিজেকে ঠিক রাখতে পারি নাই তাই। অবনি ঠিক আছে।

আর কোনো কথা না বলে আমরা শপিং মল এরর ভিতর ঘুরাঘুরি করছি।
কিন্তু হঠাৎ করেই অবনি দাঁড়িয়ে পরলো।
আমি জিজ্ঞাস করলাম কি হলো দাঁড়ালেন যে।
অবনি একটি ছেলেকে দেখিয়ে বললো এই সেই রাফি।
কিন্তু এ কি রাফি এর সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে অন্য একটি মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অবনি কান্না শুরু করে দিয়েছে।

অবনি বললো দেখুন আমি যদি গিয়ে জিজ্ঞাস করি তাহলে রাফি সত্যি তা নাও বলতে পারে তাই যদি আপনি গিয়ে জিজ্ঞাস করতেন মেয়েটা কে অনেক ভালো হতো।
তারপর আমি গিয়ে মেয়েটার গায়ের সাথে ইচ্ছা করেই ধাক্কা খেলাম।
সাথে সাথে রাফি বলে উঠলো অই মিয়া দেখে চলতে পারেন না।

আমি বললাম আজব মেয়েটার সাথে ধাক্কা খেয়েছি।
মেয়েটা কিছু বলছে না আপনি বলছেন কেনো।
রাফি বললো আমি মেয়েটার স্বামী।
তাই আমার স্ত্রী এর ভালো মন্দ সব দিকে নজর রাখা আমার দায়িত্ব।
আমি বললাম তা কত দিন হলো বিয়ে করেছেন,,দেখে তো মনে হচ্ছে না আপ্নারা স্বামী স্ত্রী।
রাফি ৩ বছর হলো বিয়ে করেছি।

আমি তো রাফি এর কথা শুনে রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম।
যে ছেলে অন্য একটা মেয়ের সাথে বিয়ে করেছে ৩ বছর আগে সেই ছেলে কি করে পারে অন্য রিলেশন এ জড়াতে।
এই সব ভাবার মধ্যেই অবনি কোথায় থেকে জেনো এসে রাফি কে চর মারছে আর বলছে।
তুই আমার সাথে কেনো এমন করলি আমার জীবিন নিয়ে কেনো ছিনিমিনি করলি।
আমি তর কি এমন ক্ষতি করেছিলাম এই সব কিছু মার্কেট এর সবাই দেখছিল।
অবনি আর একটা চর মারতে যাবে

অবনি আর একটা চর মারতে যাবে তখনি রাফি অবনিকে চর মেরে দিলো সাথে সাথে কেনো জানিনা আমজ বলে উঠালাম অই তুই আমার স্ত্রী কে মারলি কেনো।।।
এই বলে দিলাম রাফি এই নাক বরাবর একটা ঘুসি।।
আর একটা মারতে যাবো ঠিক তখনি অবনি আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো যে চলুন এখান থেকে।।
এই সব লোকেদের সাথে কথা বলার থেকে না বলাই ভালো।।

তারপর আমরা বাসায় চলে আসি।। বাসায় আসার পর অবনি অনেক কান্না করছিলো।।।
আমি কিছু বলি নাই কারন

কারন কান্না করলে মানুষ এর মন অনেক হাল্কা হয়।
তাই কিছু না বলে আমি খেতে চলে গেলাম।।
কিন্তু অবনি তখনো খেতে আসে নাই

আমি বুঝতে পারছিলাম ব্যাপার তাই আম্মুকে বলে আমি অবনি এর জন্ন্য খাবার নিয়ে উপরে গেলাম।
কিন্তু গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ আমি তো চিন্তায় পরে গেলাম।।

তাই অনেক ডাকাডাকি করলাম।। কিন্তু অবনি সাড়া দিলো না

আমার চিন্তা বেড়ে গেলো তাই দরজা ভেঙে ফেললাম ভাঙা এর পর আমজ যা দেখালাম অবনি ফ্যান এর সাথে ঝুলছে।।
আমি তাড়াতাড়ি অবনি কে নিচে নামিয়ে কশিয়ে কয়েকটা চর মারলাম পরে বললাম কি করতে যাচ্ছিলেন।।
অবনি অনেক কান্না করলো আর বললো আমিবে জীবন রাখতে চাই না আমাকে প্লিজ মরে দিন।।
আবার কশিয়ে কয়েকটা চর বসিয়ে দিলাম তারপর বলালাম কার জন্য মরতে চান যে আপানকে ভালোই বাসে নাই কোনো দিন তার জন্য?????

যে কোনো দিন আপাকে ভালোবাসে নাই তার জন্য কেনো নিজেকে কষ্ট দিবেন?

কেনো নিজেকে শেষ করবেন।

এ রকম আরো নানান ভাবে অবনিকে বোঝালাম অবনি সব বুঝে নিজেকে সামলে নিলো।

কিন্তু অবনি সময় মত কিছু খায় না দিন যত যেতে থাকে অবনি এর মধ্যে পাগলামি বাসা বাধতে থাকে।

একসময় অবনি এর এ রকম অবস্থা হলো যে যখন পাগলামি শুরু হয় তখন সামনে যা পায় তাই ভাঙে।

তাই আমি অবনিকে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে গেলাম।

ডাক্তার কিছু পরিক্ষা নিরিক্ষা করে আমাকে বললো যে অবনি এর উপর দিয়ে প্রচুর মানসিক চাপ যাচ্ছে।তাই যেনো অবনি এর অবস্থা খারাপ এর দিকে যাচ্ছে।তাই জেনো অবনি এর উপর আর মানসিক চাপ না পরে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আর সবসময় যেনো অবঞ্জ হাসি খুশি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ডাক্তার এর কাছ থেকে আসার পর শুরু হলো আমার নতুন একটি কাজ সেটি হলো,,, অবনিকে সুস্থ করে তোলা।

সেদিন এর পর থেকে আমি অবনি এর খুব কাছা কাছি চলে আসি।

সব সময় অবনিকে টাইম দেয়।

একদিন রাত এ অবনি আমাকে বললো যে ওর নাকি একা শুতে ভয় করছে তাই আমাকে অবনি এর সাথে শুতে হবে।

আমি বললাম না ঠাক তখনি অবনি বাচ্চা মেয়েদের মত কাঁদতে শুরু করে দিয়েছে।

তাই আমি আর কিছু না বলে অবনি এর সাথে গিয়ে শুয়ে পরলাম।

কিন্তু কিছুক্ষণ পর অবনি আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

আমার যে তখন কত ভালো লেগেছিলো আমি বলে বোঝাতে পারবো না।

জীবনে প্রথম কোনো নারী আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরলো।

তাও আমার নিজের বিয়ে করা বউ।

তাই আমিও অবনিকে বুকের মাঝে নিয়ে নিলাম।

অবনিও আমার বুকের মাঝে মাথা গুঁজে দিলো।

আমার তখন আরো ভালো লেগেছিলো।

কিন্তু মন খারাপ হলো এটা ভেবে যে অবনি এখন নিজের কন্ট্রোল এ নাই।

সেই এখন একজন মানসিক রোগী।

এইসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরেছিলাম।

সকালে ঘুম ভাঙে অবনি এর কান্না করার আওয়াজ শুনে।
..
তাই আমি বললাম কি হলো কাঁদছ কেনো।

আমি এখন অবনিকে তুমি করে বলি।

অবনি বললো আম ঘুরতে যাবো।

আমি বললাম আচ্ছা আমি আম্মুকে বলে দিচ্ছি।

তুমি নাহয় আম্মুর সাথে কোথাও ঘুরে আসো।

অবনি বললো না আমি তোমার সাথে ঘুরতে যাবো আমি বললাম কিন্তু আমার তো অফিস আসে।

অবনি আবার কান্না শুরু করে দিলো।

আমি পরলাম মহা মুশকিল এ তাই বললাম আচ্ছা ঠিক আছে বিকেলে আমি তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো।

অবনি বললো সত্যি তো।

আমি বললাম হুম সত্যি।

তুমি রেডি থেকে এই বলে ফ্রেশ হয়ে আস

তুমি রেডি থেকে এই বলে ফ্রেশ হয়ে আমি অফিস চলে গেলাম।

অফিসের বস আমার বউ এর ব্যাপার টা জানে।

তাই বলার সাথে সাথে ছুটি পেয়ে গেলাম।

আমি বিকেলে বাসায় এসে দেখি মেয়েটা বাচ্চাদের মত সেজে বসে আসে।

আমার তো খুব হাসি পাচ্ছিলো অবনিকে অই অবস্থায় দেখে।

আম্মু আব্বু ভাবী সবাই হাসছে।

আম বললাম অবনি এভাবে সেজেছো কেনো।

ভাবি বলে উঠলো আমি সেই কখন থেকে বলছি চলো তোমাকে সাজিয়ে দেয়।

কিন্তু তোমার পিচ্চি বউ কিছুই শুনছে না।

আমি অবনিকে বললাম আমার সাথে ঘর এ চলো।

অবনিকে নিয়ে ঘর এ এসে অবনি কে ভালো করে সাজিয়ে দুইজন বের হলাম।

মেয়েটা তখন ভালোই আচরন করছিলো একদম পাগলামি করছিলো না অবনিকে নিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়ালাম।

সন্ধার সময় বাসায় আসলাম।

এসে অবনিকে চেঞ্জ করতে বলে আমি নিচে বসে রইলাম।

কিছুক্ষন পর অবনি এসে আমার পাশে বসলো।

আমি বললাম কেমন লাগলো ঘুরতে অবনি দারুন লেগেছে আমরা প্রতিদিন ঘুরতে বের হবো। আমি আর কিছু বললাম না কারন জানি যদি না বলি মেয়েটা আবার কান্না শুরু করে দিবে।তারপর সবার সাথে খাবার খেয়ে শুতে গেলাম।

অবনি আবার তার সাথে শুতে বললো আমিও কিছু না বলে অবনি এর সাথে শুয়ে পরলাম মেয়েটা আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে বেশ ভালোই লাগে আমার।

প্রতিদিন অবনি এর সাথে ঘুরা অবিনি এর সাথে সময় কাটাতে কাটাতে।

আমি অবনিকে অনেক ভালোবেসে ফেলি।

এভাবে দিন এর পর অবনি এর প্রতি আমি অনেক দুর্বল হয়ে পরি।

দিন যত যেতে লাগলো অবনি এর মানসিক অবস্থা তত ভালো হতে লাগলো।

কিন্তু আমার থেকে দূরে গেলো না।

৬ মাস পর অবনি প্রায় সুস্থ হয়ে গেছে।

এখন অবনি আগের মত আমার সাথে আর মিশে না।

আমাকে আবার রাত এ নিচে বিছানা করে শুতে হয়।

অনেক কষ্ট হয় তাও আমি কিছু বলি নাই।

কারন অবনি এখনো অর অধিকার আমাকে দেয় নাই।

কিন্তু অবনি আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবি সবার চোখের মনি হয়ে গেছে।

সবাই এখন অবিনকে ভালোবাসে।

আর আমাকে ভালোবাসার জন্য কেও নাইߘ?.

এভাবে চলছে দিনগুলো অবনি আবারা আমার সাথে মিশতে শুরু করে দিয়েছে।

এখন অবনি আর আমি একে অপকে তুমি করে বলি।

অবনি এখন আমার খোজ খবর নেয়।

কিন্তু এখনো অর একেবারে কাছে যাবার সুযোগ দেয় নাই।

তারপর একদিন অফিস থেকে এসে দেখি অবনি চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছে।

আমিও কি যেনো কি মনে করে অবনিকে জড়িয়ে ধরি।

সাথে সাথে ঠাসসসসসস,,,ঠাসসসসসস কত গুলা চর খেলাম।।।

আর অবনি বলতে

আর অবনি বলতে শুরু করলো অই তুই কোন অধিকার এ আমাকে জড়িয়ে ধরলি।

তোর কাছে আমি একটা জিনিস চেয়েছিলাম তুই বলেছিলি ৬ মাস পর… ৬ মাস গিয়ে ৭ মাস হতে চললো তাও তুই আমাকে ডির্ভোস দিলি না।

কালকে আমাকে ডির্ভোস দিবি।

আমি আর তর সাথে থাকতে চাই না।

এই বলে অবনি আমাকে রেখে চলে গেলো।

আমার প্রচুর কষ্ট হচ্ছিলো,,কারন আমি যে অবনিকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলেছি।

নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে।

কিন্তু আমারই দোষ সত্যি তো আমি কোন অধিকার এ অবনিকে জড়িয়ে ধরতে গেলাম।

আর আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম,,অবনি আমার কাছ থেকে মুক্তি চাচ্ছে।

না কালকে উকিল এর কাছে যাবো।

পরদিন সকালে অবনিকে সারা বাড়ি খুজেও কোথাও পেলাম না।

আম্মুকে জিজ্ঞাস করলাম অবনি কোথায়?

আম্মু বললো।

অবনি নাকি আজ সকালে অর বাবা বাসায় চলে গেছে।

আমি আর কিছু জিজ্ঞাস না করে।

বাসা থেকে বের হয়ে উকিল এর কাছে গেলাম।

যাবার পর আমি উকির এর কাছ থেকে কাগজ পত্র বুঝে নিয়ে সেখানে আমার স্বাক্ষর দিয়ে অবনি এর বাসায় পাঠিয়ে দিলাম।

অফিসে বসে কাজ করছি ঠিক সেই সময় অবনি এর আম্মু মানে আমার শাশুড়ি মা,,, আমাকে ফোন করেছে।

আমি কল রিছিভ করে সালাম দিলাম।

শাশুড়ি আম্মা সালাম এর উত্তর দিয়ে বললো বাবা তুমি কোথায়।

আম্মা আমি তো অফিসে,,,কেনো
কিছু হয়েছে নাকি?

অবনি ঠিক আছে তো।

আম্মাঃঅবনি আমার পাগল এর মত আচরণ করছে।

আমারা কিছুতেই অবনিকে থামাতে পারছি না।

তুমি একমাত্র অবনিকে থামাতে পারবে।

অবনি তো সব কিছু ভেঙে একাকার করে ফেলছে।

বাবা মেঘ তুমি তাড়াতাড়ি আমাদের বাসায় চলে আসো।

আম বললাম আচ্ছা আমি আসতাছি।

আবার চিন্তায় পরে গেলাম।

অবনি তো কালও ঠিক ছিলো।

আবার কি হলো।

না তাড়াতাড়ি অবনি এর কাছে যেতে হবে তাই বস এর থেকে ছুটি নিয়ে অবনি দের বাসায় গেলাম।

গিয়ে সোজা অবনি এর রুম এ প্রবেশ করলাম।

দেখে সারা ঘর এলোমেলো।

মেঝেতে পরে আছে ভাঙা অনেক বস্তু।

আর দেখি অবনি উপর হয়ে শুয়ে কান্না করছে।

আমি অবনি এর কাছে যাবার সময় পায়ে কিছু একটা বিঁধল।

আমি সেদিকে নজর না দিয়ে বললাম,,,কি হয়েছে তোমার আবার পাগলামি শুরু করেছো কেনো।

অবনি আমার কথা শুনে ঘুরে আমার দিকে তাকালো,,,তারপর ঝড় এর গতিতে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরলো।

আমি তো অবনি এই রকম আচরনে রীতিমত অবাক।

নিজেকে সামলে নিয়ে আবার জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছে তোমার।

নিজেকে সামলে নিয়ে আবার জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছে তোমার।

অবনি কান্না করতে করতে বললো তুমি আমার কাছে কেনো ডির্ভোস লেটার পাঠালে আমি থাকতে পারবো না তোমায় ছাড়া।

আমি বললাম কিন্তু তুমিই তো কাল আমাকে দিতে বলেছিলে।

অবনি আসলে আমার মাথা ঠিক ছিলো না।

আমার পুরানো দিনের কথা মনে পরে।।।

.আমার পুরোনো দিনের কথা রাফি এর কথা মনে পড়ে গেছিলো।

তাই আমি রাগের মাথায় তোমাকে কথা গুলো বলে ফেলেছিলাম।

আমাকে মাফ করে দাও।

আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি।

আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

অবনি হঠাৎ বলে উঠলো এই তোমার পা দিয়ে রক্ত পরছে কেনো।

অহহ ভুলেই গেছিলাম বউ এর ভালোবাসা পেয়ে কি জেনো ফুটেছিল পায়ে।

অবনি আমাকে নিয়ে খাটে বসিয়ে দিলো পরে দেখলাম বেশ অনেক টায় কেটে গেছে।

অবনি স্যাভলোন দিয়ে ভালো করে কাটা যায়গা টা পরিষ্কার করে দিচ্ছে।

আমি বললাম কি ব্যাপার এতো আদর।

আবার অন্যা কারো কাছে দিয়ে আসতে হবে নাকি।

এই কথা বলতে দেরি অবনি আমার শার্ট এর কলার ধরতে দেরি নাই।

কলার ধরে বললো আমি আমার স্বামী এর সেবা করছি।

আর আমি কোনোদিন আমার স্বামী কে ছেড়ে কোথাও যাবো না।

আমিও যেতে দিবো না।

কিন্তু এই স্বামী এর যে একটু বউ এর আদর খেতে ইচ্ছা করছে।

দাও না একটু আদর করে।

অবনি বললো যাহ দুষ্টু।

আমি বললাম তাইলে অন্য করো থেকে নিয়ে আসি।

বলার সাথে সাথে আমার কলার ধরে চার ঠোঁট এক করে দিল।
কই মিনিট এভাবে ছিলাম খেয়াল নেয় কিন্তু ছাড়ার পর দুইজনই হাঁপাচ্ছি

তারপর অবিনকে নিজের কাছে টেনে নিলাম।

তারপর যা হলো
সেটা ইতিহাস।