লিখা:- আরিয়ান মেহেদি

পর্ব:-(১)
আমার মনে হয় আম্মুর সাথে আমার কোন শত্রুতা আছে, তানা হলে নিজের ছেলেকে কি এমন একটা মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়। যেই মেয়েটার অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে তা জানা সত্যেও আম্মু আমার সাথে বিয়েটা দিয়েছে। জেনে বোঝে আম্মু আমাকে কুরবানি দিয়ে দিয়েছে! তার চাইতে ভালো হতো যদি আমাদের পাশের বাড়ির নিপার সাথে বিয়ে দিতো। দেখতে কালো হলেও ভালো অন্তত আমার কথায় উঠ বস করতো। দূর আজকে কলেজ থেকে যদি খালাম্মার বাসায় না যেতাম তাহলে আজ আর এই মসিবতে পড়তে হতোনা, মনটা খারাপ করে গাড়িতে করে বাড়ীতে আসতেছি সাথে আমার বউ তসিবা আছে।
আমি:- এই শোনেন আমি জানি আপনি রিয়াদ নামে একটা ছেলের সাথে প্রেম করতেন?
তসিবা:- তো এখন আমি কি করবো?
আমি:- আপনি জেনে বোঝে আমার জীবনটা নষ্ট করছেন কেন?
তসিবা:- আমি কখন আপনার জীবন নষ্ট করলাম বরং আপনি আর আপনার মা আমার জীবনটা নষ্ট করেছেন।
আমি:- যখন আমি বলেছি আপনি রিয়াদ নামে এক ছেলের সাথে প্রেম করেন! তখন তো নিজে অসিকার করছেন আর এখন বলছেন আমি আপনার জীবন নষ্ট করেছি?
তসিবা:- যদি আমি সিকার যেতাম তাহলে আমার বাবা মা সমাজের সবার কাছে মুখ দেখাত কি করে?
আমি:- এত কিছু বোঝেন যেহেতু তাহলে প্রেম করছিলেন কেন? তখন বাবা মার সম্মানের কথা চিন্তা করেনি কেন?
তসিবা:- তখন বয়সটা সন্ধি কাল ছিলো তাই আর এখন এত কথা কিসের আমি কি আপনাকে স্বামি হিসাবে মেনে নিয়েছি নাকি? আমি রিয়াদের সাথে থাকবো সাড়া জীবন কিছুদিন যাক তারপর আমি আপনার জীবন থেকে চলে যাবো।
আমি:- কিছু দিন লাগবেনা এখুনি চলে যাবেন এই ড্রাইভার গাড়ি থামান।
তসিবা:- মাঝ রাস্তায় আমি নামবো এই রাতের আধাঁরে আর শেয়াল কুকুর আমাকে ছিড়ে ছিড়ে খাবে তা দেখে মজা নিবেন আপনি তাইনা?
আমি:- সব কিছু তো আগেই খেয়ে ফেলছে এখন আর কি খাবে, তখনি ঠাসস করে একটা শব্দ হয়েছে মানে আমার গালে একটা থাপ্পর পরেছে। আমি গালে হাত দিয়ে বসে পরলাম আর একটা কথাও বলিনি সোজা চুপ করে বসে ছিলাম। কিছুক্ষন পর গাড়িটা আমাদের বাড়ীর সামনে এসে থামছে আমি গাড়ি থেকে নেমে সোজা ছাদে চলে আসলাম। এই ফাকে ছোট করে আমার পরিচয়টা দিয়ে নেই। আমি
# সোহরাব_আল_ইসলাম অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি, বাবা ব্যবসা করে মা বাসায় থাকে একটা বড় ভাই আছে আর ভাবি তবে ভাইয়া নিজে ব্যবসা করে কিন্তু থাকে আমাদের সাথেই। আর আজকে আমার যার সাথে বিয়ে হয়ছে তার নাম তসিবা সম্পর্কে আমার দূর সম্পর্কের খালাত বোন। আমি জানি তসিবা রিয়াদ নামে একটা ছেলের সাথে প্রেম করে কিন্তু কাওকে তসিবা বলেনি। যাক বাকি কথা পরে বলি এখন ছাদে বসে বসে মনের দুঃখে আকাঁশের চাঁদ দেখতেছি তখনি খেয়াল করলাম কারো পায়ের আওয়াজ তাকিয়ে দেখি তসিবা।
তসিবা:- কি ব্যাপার আপনি রুমে আসবেন কখন?
আমি:- এই আপনাকে ভালো করে বোঝিয়ে বলে দেই অন্যের সন্তানের দ্বায়িত্ব আমি নিতে পারবোনা বলে দিলাম কেমন। এখন নিজের চিন্তা নিজে করেন?
তসিবা:- কি বলছেন এসব সন্তান আসবে কোথা থেকে?
আমি:- হয়ছে আর নেকামি করতে হবেনা চলে যান এখান থেকে তানা হলে ভালো হবেনা কিন্তু?
তসিবা:- না যাবোনা কি করবেন শুনি?
আমি:- কি করবো তখনি কাছে গিয়ে ঠাসস করে একটা কানের নিছে লাগিয়ে দিয়েছি থাপ্পর আর সাথে সাথে তসিবা মাথা ঘুরে নিচে পরে গেছে।
তসিবা:- এত জোরে থাপ্পর দেওয়ার আগে একবার ভাবা উচিত ছিলো আমি সেই থাপ্পরটা সয়তে পারবো কিনা। ঠিক আছে আমি তাহলে রিয়াদকে ফোন করে বলে দেয় আমাকে নিয়ে যেতে তাহলে আপনি খুশি হবেন তো?
আমি:- হ্যা অনেক খুশি হবো আর শোনেন আজকের পর থেকে আপনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক থাকবেনা। আমি আব্বুকে বলে আমাদের হানিমুনের টিকেট কাটাবো সাথে রিয়াদকে আপনি সাথে করে নিয়ে নিবেন ঐ খান থেকে আমরা আলাদা হয়ে যাবো।
তসিবা:- আমি আপনার আব্বুকে ঠকাতে পারবোনা আপনি অন্য কোন ব্যাবস্থা করিয়েন কেমন?
আমি:- আমাকে ঠকাবার সময় এই কথাটা মনে ছিলোনা এখন আবার আব্বুকে ঠাকাতে পারবেনা?
তসিবা:- আমি বিয়েটা করতে চাইলাম না আব্বুর জন্য করেছি আমরা তো গরিব ঘরের মেয়ে একবার বিয়ে ভেঙে গেলে কেও বিয়ে করবেনা।
আমি:- যেহেতু গরিব ঘরের মেয়ে সেহেতু এমন ভাবে থাকা দরকার ছিলো! আমি যখন আপনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ছিলাম তখন তো কত কথা বলে ছিলেন আমাকে হাজারটা জ্ঞান মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে ছিলেন।
তসিবা:- আজকে আমাদের বাসর আর আপনি কিনা ছাদে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করতেছেন? তখনি আমার হাত ধরে টান মেরে বলতেছে চলেন নিচে যাই আজকে রাতে আমরা দুজনে প্লান করবো কি করে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করা যাই।
আমি:- শোনেন কাল সকালে আমার সাথে উকিলের কাছে যাবেন আমরা ডির্ভোসের জন্য এপলাই করবো?
তসিবা:- ঠিক আছে তবে আমি আপনার জীবন থেকে চলে যাবো একটা শর্ত আছে আমার।
আমি:- কোন শর্ত টর্ত আমি মানতে পারবোনা, আর নিজের যায়গা বঝায় রেখে কথা বলবেন? যদিও সম্পর্কে আপনি আমার খালাত বোন হন।
তসিবা:- আমিত ভূলে গেছিলাম আপনি আমার খালাত ভাই, যদিও রক্তের নয় তাও সম্পর্কে তো। যাক এখন রুমে চলেন তানা হলে ছাদে দাঁড়িয়ে থাকলে অনেক সমস্যা হবে।
আমি:- কিসের সমস্যা হবে?
তসিবা:- ভূত এসে মাথা মটকিয়ে দিবে।
আমি:- এমনিতে একটা ভূত পাশে আছে এইটাকে কবে যানি ছুরে ফেলে দেয় তা নিজেও জানিনা আবার আরেকটা ভূত ঐ ভূত আসলে কানের নিচে একটা দিয়ে ভয়রা বানায়া দিব।
তসিবা:- আমাকে আপনার কাছে ভূতের মত লাগে?
আমি:- তাছারা কি আপনি দেখতে তো পুরায় ভূত।
তসিবা:- তবে নিপার চাইতে অনেক সুন্দর আছি।
আমি:- নিপা তো আর অয়েষ্টিজ নয়?
তসিবা:- আমাকে আপনি এতটা ঘৃনা করেন যেহেতু তাহলে বিয়েটা করেছেন কেন?
আমি:- ইচ্ছে করে করেছি নাকি আম্মু জোর করে করিয়ে দিয়েছে। যাক এখন আপনি রুমে যান আমি একটু একা থাকতে চায়।
তসিবা:- ঠিক আছে থাকেন তাতে আমার কি আজ বাদে কাল তো আমি রিয়াদের কাছে চলে যাবো। তখন আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পাবো।
আমি:- যান আপনাকে আটকিয়ে রাখছে কে?
তসিবা:- আমাকে কি আপনি করে বলতে হবে?
আমি:- তো আপনাকে কি বলে ঢাকবো?
তসিবা:- তুমি করে বললে শোনতে ভালো লাগবে আর আমি তো আপনার ছোট তাইনা?
আমি:- আপনি ছোট হন তাতে আমার কি আর শোনেন এখন যান অনেক রাত হয়েছে তানা হলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না, পরে আম্মু আবার আপনাকে মন মত বকা দিয়ে দিবে।
তসিবা:- আপনার আম্মু আমাকে বকা দিবেনা কারন ওনি আমাকে অনেক পছন্দ করে। আর আপনার আম্মুকে আমি হয়ত এতটা আপন করে নিতে পারবোনা তবে এতটা পর করেও রাখতে পারবোনা। এখন আমি যাই মন চাইলে রুমে আসতে পারেন নিচে আপরার জন্য যায়গা করে এসেছি।
আমি:- আমার বাড়ীতে আমি নিচে ঘুমাবো আর আপনি খাঠের উপর, তবেরে মাইয়া আপনাকে দেখাচ্ছি মজা। তখনি তসিবা দৌরে নিচে নেমে গেছে। আমি একটু ছাদের ব্যাঞ্চে বসে নিচে নেমে পরেছি যখনি রুমের সামনে দরজার দারে গেছি তখনি চেয়ে দেখে তো পুরাই অবাক হয়ে গেলাম এইটা আমার বাসর ঘর নাকি অন্য কিছু তখনি জোরে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেছি তখনি তসিবা শুয়া থেকে দাঁড়িয়ে গেছে।
চলবে,,,

শেষ পর্ব

নিজের স্বামিকে খালাত ভাই বলে পরিচয় করিয়ে দিতে তোমার একটু লজ্জা করেনি তসিবা?(আমি)
তসিবা:- লজ্জা করবে কেন তাসারা আপনি তো সম্পর্কে আমার খালাত ভাই তাইনা?
আমি:- ঐ টা বিয়ের আগে অব্দি ছিলো এখন তো আমরা স্বামি স্ত্রী তাইনা কি?
তসিবা:- আপনি তো আমাকে বউ হিসাবে সিকার করতে রাজি নন! তবে আপনার সাথে পরে কথা বলি এখন বিলটা দিয়ে দেন।
আমি:- তোমরা পার্টি দিয়েছো বিল আমি দিব কেন?
তসিবা:- পার্টিটা তো আমি দিয়েছি আমাদের বিয়ে উপলক্ষে, আমি তো বিয়েতে এদের সবাইকে আমন্তন করতে পারিনি তাই আজকে ওদের সবাইকে ট্রিট দিয়েছি।
আমি:- তার মানে আমার টাকা দিয়ে তুমি তোমার বুন্ধুদের ট্রিট দিবে আমি তা মেনে নিব?
তসিবা:- হ্যা দিবেন কারন আমি বলছি তাই।
আমি:- তুমি কে যে তোমার কথা আমি শোনবো?
তসিবা:- আপনি আমার বর আর আমি আপনার বউ বাস এইটুকু সবচে বড় পরিচয় এখন।
আমি:- তাহলে তোমার রিয়াদের কি হবে?
তসিবা:- রিয়াদ নামে আমি কাওকে চিনিনা আর ঐদিন তো আমি ইচ্ছে করে একটা ছেলের নাম বলে দিয়েছি! যাতে করে আপনি আমাকে ঘৃনা করেন।
আমি:- কিন্তু কেন?
তসিবা:- বলছি পরে এখন বিলটা দিয়ে দেন।
আমি:- ঠিক আছে, তারপর গিয়ে বিলটা দিয়ে আমি তসিবাকে নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম। এবার বলো তাহলে এর কারটা কি?
তসিবা:- আমরা তো গরিব আর আপনারা অনেক বড় লোক যদি আপনার পরিবার থেকে মেনে না নেয় তাই না করেছি।
আমি:- তাহলে পরে বিয়েটা ঠিক করলে কি করে?
তসিবা:- আমি আপনার খালার সাথে মানে আমার ফুপুর সাথে কথা বলছি ওনি সব কিছু ঠিক করে বিয়ে পর্যন্ত নিয়েছে। আপনি আপনার আম্মুকে বলছেন আমি একটা ছেলের সাথে প্রেম করি! কিন্তু আপনার আম্মু বিশ্বাষ করেনি আমি বলছি আপনাকে আমি ভালোবাসি তাই।
আমি:- তুমি আমার সাথে চিটিং করেছো?
তসিবা:- কি করে আমি তো আপনার সাথে খাঠের উপর থেকেছি আর আমি তো আপনার সাথে আছি।
আমি:- তুমি যদি মিথ্যাকথা না বলতে তাহলে আমার জন্য আরো ভালো হতো। ঠিক আছে এখন তুমি বাসায় যাও আমি একটু বুন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে আসি।
তসিবা:- আমি যাবো আপনার সাথে আর বিকালে আমাদের সিলেট যেতে হবে।
আমি:- সিলেট কেন?
তসিবা:- হানিমুনে যাবো আসার সময় অনেক বড় সুখবর নিয়ে আসবো!
আমি:- তোমার সাথে আমি কোথাও যাবোনা, তুমি একা একা চলে যাও।
তসিবা:- আপনি যাবেন এইটা আমি ভালো করে জানি, কাল রাতে আমাকে কিস করেছিলেন মনে আছে?
আমি:- এই মিথ্যাকথা বলবেনা বলে দিলাম।
তসিবা:- সত্যি বলছি আপনি আমাকে অনেক গুলা কিস করেছেন তখন আমি সজাগ ছিলাম ঘুমের বান করে শুয়ে ছিলাম।
আমি:- তাতে কি হয়ছে?
তসিবা:- এখন একটা কিস করবেন?
আমি:- এই রাস্তায়?
তসিবা:- হ্যা তাতে কি আমরা তো স্বামি স্ত্রী তাইনা?
আমি:- আমার দ্বাড়া তা হবেনা এখন বাসায় চলো তারপর তোমার খবর করতেছি। বলে তসিবাকে রিক্সা নিয়ে সোজা বাসায় এসে পরেছি। আম্মু আমাদের দুজনকে দেখে বলে
আম্মু:- কিরে তোরা চলে আসলি কেন?
আমি:- কেন কোথায় যাবো?
আম্মু:- তসিবা তো বলে গেছে ব্যাগ গুলা নিয়ে রেলস্টশনে যেতে।
আমি:- তাহলে তসিবা একা যাক আমি যাবোনা?
তসিবা:- তাহলে আমিও যাবোনা।
আম্মু:- ঠিক আছে তাহলে এখন কোথাও যাবার দরকার নেয়।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি রুমে যাই, বলে সোজা রুমে চলে এসেছি এসে দরজাটা বন্ধ করতে যাবো তখনি তসিবা এসেছে।
তসিবা:- দিনের বেলা দরজা বন্ধ করছেন কেন গলায় কি ফাস দিবেন নাকি?
আমি:- আত্মহত্যা মহা পাপ তা তুমি জানোনা?
তসিবা:- আমি তো জানি যাক তাহলে আপনিও জানেন, বলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে খাঠের উপর ফেলে আমার বুকের উপর বসে পরেছে।
আমি:- কি হলো বুকের উপর বসলে কেন?
তসিবা:- আদর করতে বলে আমাকে কিস করতে থাকলো আমি বাধা দিতেছি ও শোনছেনা। তখনি তসিবাকে ঠাস করে খাঠের উপর থেকে ফেলে দিয়েছি। তসিবা পরে অজ্ঞান হয়ে গেছে কোন কথা বলছেনা তা দেখে আমার বুকের হার্ট বির্ট বেরে গেছে তারা তারি করে তসিবাকে কোলে নিয়ে খাঠের উপর শুয়ে দিয়েছি। তারপর পানি এনে ছিটা দিতেছি কোন শব্দ নেয়। যখনি বুকের মাঝে মাথা রেখেছি তখনি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
আমি:- তুমি ইচ্ছে করে আমার সাথে এমন অভিনয় করতে পারলে তুমি জানো আমার কি অবস্থা হয়ছে?
তসিবা:- সরি আর করবোনা এবার আমাকে একটু আদর করবে?
আমি:- না করবোনা।
তসিবা:- তাহলে আমি ছারবো আপনাকে।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে ধরে রাখো বলে তসিবাকে একটা কিস করতেই আমাকে ছেরে দৌরে পালালো।