লেখাক : সোহানুর রহমান
রাফিঃ দোস্ত কোথায় তুই…??
আমিঃ দোস্ত আমার প্রায় রেডি হওয়া শেষ..
রাফিঃ তাহলে তাড়াতাড়ি বের হো আমরা সবাই অপেক্ষা করছি….
আমিঃদোস্ত আমি আসতেছি….
বলে কেটে দিলাম।। আসলে আমরা সব বন্ধুরা মিলে একটা
অদ্ভুত জায়গায় যাবো তাই রেডি হচ্ছিলাম,,,,,
এরই মাঝে রাফির ফোন আর ওর সাথে কি কথা হলো তা তো উপরে দেখলেনি।।।
বাসা থেকে বের হবো দেখলাম আম্মু আর ভাবী বসে আছে….
আম্মুঃ কতদিন থাকবি…??
আমিঃ ভালো লাগলে ১মাস থাকবো
আম্মুঃ এতদিন থাকবি
আমিঃ হুম আম্মু আর ভাবী তুমি আম্মুর খেয়াল রেখো
ভাবীঃ হুম তা আর বলতে হবে না
আম্মুঃ সাবধানে যাস
আমিঃ ওকে আম্মু বাই
কথা বলা শেষ করে পার্কিং থেকে পছন্দের গাড়ী নিয়ে বন্ধুদের উদ্যেশ্য রওনা দিলাম,,,,
যেতে যেতে আমার পরিচয় দিয়ে নেই…
আমি সোহানুর রহমান বাবা মায়ের দ্বিতীয় ছেলে আজ আর বলবো না।।
বন্ধুদের কাছে এসে দেখলাম সবাই হাজির শুধু আমি ছাড়া।।
নিলয়(আমার বন্ধু) কিরে সালা এত সময় লাগে আসতে…?
আমিঃ সরি দোস্ত এখন গাড়িতে উঠ
রাফিঃ হুম তাই কর
সবাই গাড়িতে উঠতে আবার ড্রাইভ করতে লাগলাম…সালারা সবাই
মন দিয়ে কথা বলছে,,,কিন্তু আমার মন ড্রাইভ করতে ব্যস্ত।। ওহ সরি
আপনাদের তো বলতেই ভুলে গেছি আমরা কোথায় যাচ্ছি,,, তাহলে এখন শুনুন আমরা যাচ্ছি “বরিশাল গানস”নামক অদ্ভুত স্থানে…
সাকিবঃ দোস্ত তোরা কি কেউ জানিস এই গানস মানে কি
নিলয়ঃ না…..
আমিঃ আমি জানি এটার একটু মানে
সবাইঃ কি জানিস সেটাই বল
আমিঃ তাহলে শোন….গানসের আরেক নাম কি ছিলো জানিনা তবে উনবিংশ শতাব্দি থেকে
এই সমুদ্র থেকে প্রায় একটা আওয়াজ ভেসে আসে
এটা নিয়ে কিছু মানুষ এই ঘটনার উৎঘাাটন করতে গেলে ভয়ংকর সেই আওয়াজ শুনে ভয়ে চলে আসে….
সাকিবঃ কি ধরনের আওয়াজ
আমিঃ খুবই ভয়ংকর তবে এটাকে আওয়াজ বললে ভুল হবে…
নিলয়ঃ তাহলে কি
আমিঃ ভয়ংকর চিৎকার তবে এটা শুধু রাতেই শোনা যাই
নিলয়ঃ প্রত্যেক রাতেই কি এই ভয়ংকর আওয়াজ ভেসে আসে…
আমিঃ তা জানিনা..তবে এটা এতটায় ভয়ানক যে গানসের আশেপাশে যে বাড়িগুলো ছিলো তার
মালিকগুলো সবাই সেখান থেকে এসে অন্য স্থানে বসবাস করছে
রাফিঃ এটা কি একটাই আওয়াজ
আমিঃ হুম তবে যখন শোনা যায় তখন একটা আবার কখনো দুইটা
আবার কখনো তিনটা সব মিলিয়ে চারটা আওয়াজ শোনা যাই…
সবাইঃ ওহ আচ্ছা।।।
অনেক্ষন প্রায় পাঁচ ঘন্টা ড্রাইভ করার পর বরিশালে পৌছালাম.. কিন্তু এখনো আমরা সঠিক গন্তব্যে পৌছায়নি….
এমন সময় দেখলাম রাস্তার মাঝে অনেক মানুষ দারিয়ে আছে..স্পষ্ট
বুঝতে পারলাম এক্সিডেন্ট হয়েছে তবে কিছুই ভালো করে বোঝা যাচ্ছে না…তাই সবাই
গাড়ি থেকে নেমে দেখতে পেলাম একটা সাপ বাইকের নিচে পরে আছে..
কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো সাপটার চেহারা…এরকম সাপ আমরা কখনো দেখিনাই..
তাই এটা দেখে সবারই ভয় পাওয়ার কথা আমাদেরও বিপরীত হলো না…আমরাও ভয় পেলাম
কিন্তু কেন জানি সাপটাকে বাচাতে ইচ্ছা হলো তাই সব বন্ধুরা এগিয়ে গেলাম…
কিন্তু কেউই তার কাছে যেতে রাজি নয়…
বুকে অনেকটা সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলাম কিন্তু খুব ভয় করছিলো…
সাপটা যে বাইকের নিচে পরে ছিলো বাইকটা তুলতেই আমি আমার
চোখ বন্ধ করে ফেললাম…..
আমার মনে হচ্ছে আমি
কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার সব চিন্তা
ভাবনাকে পুষে ফেলে দেয়…
সারাটা শরিল আমার ভয়ে আতংকে
শক্ত হয়ে গেছে…খুব ভয়ে ভয়ে চোখ খুললাম
দেখতে পেলাম সাপটা আর আমার পাশে নাই।।
ভালো করে খেয়াল করাতে দেখলাম
রাস্তার পাশের জঙ্গলে ডুকে গেলো।।।
পিছোনে কারো কথা আর হাতের স্পর্শ পেয়ে
নিজেকে স্বাভাবিক করলাম।।
রাফিঃ কিরে কোন দুনিয়ায় হারিয়ে গেছিস
আমিঃ ভাই আমি খুব ভয় পেয়েছি
রাফিঃ আরে কিসের ভয় সাপটা তো চলে গেছে
আমিঃ হুম
রাফিঃ এখন চল যাওয়া যাক
আমিঃ হুম তাই ভালো চল

সবাই মিলে গাড়িতে বসার পর আর
সেখানে এক মুহূর্ত দেরী না করে ড্রাইভ করতে লাগলাম।।
প্রায় ১ঘন্টা পুনরায় ড্রাইভ করার পর নিজ গন্তব্যে
পৌছালাম…জায়গাটাকে দেখে কেমন যেনো বুকে মাঝে একটা ঝড় বয়ে গেলো…
মনে হচ্ছে এটা আমাদের জন্য খুবি ভয়ানক স্থান।।
জায়গাটাতে মানুষ নাই বললেই চলে,,, যা দুই একজন আছে কেউ
তার নিজ জায়গায় স্থির নেই…একজন ব্যক্তি আমাদের কাছ দিয়ে যাওয়ায়,,,
এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাকে ডাকলাম…
রাফিঃ ভাইয়া একটু শুনবেন
লোকঃ জি বলো
রাফিঃ ভাইয়া আমরা এখানে নতুন
লোকঃ তোমাদের দেখেই বুজা যাচ্ছে
আমিঃ ভাইয়া এখানে নিরিবিলি মানবহীন কেন
লোকঃ ২দিন আগে এখানে ৫জনের মৃত লাশ পাওয়া গেছে
আমিঃ যে বা যারা মারছে তাদের পাওয়া যাই নি
লোকঃ কিভাবে পাবে,,যে মারছে তাকে তো সবাই চেনে
আমিঃ তাহলে তাকে পুলিশে দেন
লোকঃ তোমারা কি এই স্থান সম্পর্কে কিছু জানোনা
আমিঃ একটু একটু জানি
লোকঃ ওহ তাহলে শোনো
আমিঃ ভাইয়া তার আগে একটা হোটেলে যাই
লোকঃ ওকে চলো
তারপর লোকটিকে নিয়ে গানসের পাশের হোটেলে
গেলাম।।যেতে যেতে তার নাম আর তার কিছু পরিচয় জানতে
পেলাম।।
হোটেলে আসার পর তাকে বললাম…
আমিঃ প্রত্যয় ভাই এখন বলুন(লোকটির নাম প্রত্যয়)
প্রত্যয়ঃ এই মার্ডার করেছে ২জন
আমিঃ দুই জন এটা কিভাবে করতে পারে
প্রত্যয়ঃ এরা মানুষ না।।।
রাফিঃ তাহলে কি(ভয় পেয়ে কথাটা বলল যা স্পট বুজতে পারলাম)
প্রত্যয়ঃ তারা হলো নাগিন
নিলয়ঃ মা..মা… মানে
প্রত্যয়ঃ হ্যা তারা নাগিন আর এই স্থান নিরিবিলি মানবহীন এই
জন্য।। কারন এখানে রাতে চলাচল করলে মেরে ফেলা হয়।।
আমিঃ কিন্তু কেন
প্রত্যয়ঃ তা আমি জানিনা আর এখন আমি যাই
আমিঃ ওকে আর আপনাকে ধন্যবাদ
প্রত্যয়ঃ হুম
বলে চলে গেলো।।তারপর আমরা সবাই যে যার রুমে রেস্ট নিলাম।।।
সন্ধ্যায়…..
আমিঃ দোস্ত চল এখন যাই
সাকিবঃ কই যাবি
আমিঃ গানসে
সাকিবঃ সালা তুই কি পাগল
রাফিঃ এই সাকিব তুই এতো ভিতু কেন
সাকিবঃ সেটা তোরা যাই বলিস
নিলয়ঃ চল এখন যাই
আমিঃ হুম
তারপর সবাই মিলে গানসে চলে গেলাম……কিন্তু সাকিব সব সময়
বিরক্তি করছে…
সাকিবঃ ভাই চল হোটেলে ফিরে যাই
আমিঃ আরে একটু পরে যাই এখন তো মাত্র ৯টা বাজে
সাকিবঃ শুনলি না তখন প্রত্যয় কি বলল
রাফিঃ রাহুল ও ঠিকি বলছে চল এখন ফিরে যাই
আমিঃ তোরা যা আমি আসছি
রাফিঃ ওকে তাড়াতাড়ি আসিস
আমিঃ হুম
বলেই ওরা চলে গেলো।।আমারো এখানে
হাটতে ভালো লাগছিলো না,,কিন্তু আমার রাতের
বেলায় হাটতে অনেক ভালো লাগে
ক্লাস ৯ এ পড়ার সময় বন্ধুদের নিয়ে সারারাত ঘুরছিলাম।।
কিন্তু এই ঘুরার জন্য অনেক বকা শুনতে হয়েছে
পরিবার এবং ওদের থেকে এগুলা ভাবছি আর
আনমনে হাটছি…
হঠাত একটা আওয়াজ শুনে খুব চমকে গেলাম।।
আশেপাশে দেখতে লাগলাম কিন্তু কাউকে দেখা তো দুরের কথা
আমি আমাকেই দেখতে পাচ্ছিলাম না কিন্তু
হঠাত করে আকাশ এতো কালো হলো কেন,,,,
ভাবতে ভাবতে আবার সেই ভয়ানক চিৎকার কানে
মনে হচ্ছে এখনি কানের পর্দা ফেটে যাবে।।ভাবছি হোটেলে
চলে যাবো কিন্তু পেছন থেকে মেয়েলী কন্ঠ
শুনতে পাওয়াতে পেছনে তাকালাম।।।।
কিন্তু এ কে আর এখানে কি করছে এত মায়াবী চেহারা
মনে হচ্ছে আকাশ থেকে ভেসে আসা এক পরি…..
মেয়েটিঃ ঐ তুই এখানে কেন এসেছিস (মেয়েটার কথা ভাবছি তখনি এই কথাটা বলল)
আমিঃ তুমি তো খুব বেয়াদব
মেয়েটিঃ মানে
আমিঃ চেনা নাই জানা নাই প্রথমেই তুই
মেয়েটিঃ তুই এখান থেকে যাবি নাকি তাই বল
আমিঃ কি…..
কিছু বলতে যাবো ঠিক তখনি দেখলাম একটা সাপ
মেয়েটির পায়ের নিচে…এই শুনুন আপনার পায়ের নিচে দেখুন সাপ
আর কিছু বলতে যাবো কিন্তু বলার আগেই সাপটা মানুষের আকার ধারন
করে আমায় জিজ্ঞাস করলো…
সাপ মেয়েটিঃ আরে ভাইয়া আপনি এখানে
আমিঃ মানে আপনি কে
সাপ মেয়েটিঃ আমি নিলা।

সাপ মেয়েটিঃ আরে ভাইয়া আপনি এখানে
আমিঃ মা…মা… মানে…(খুব ভয় পেয়ে
কথাটা বললাম) কারো চোখের সামনে এমন
দৃশ্য দেখলে কে না ভয় পাই…কিন্তু আমায়
ভাইয়া বলছে কেন আমার সাথে তার কি সম্পর্ক।।
আমার সকল চিন্তা ভাবনার অবসান ঘটিয়ে বলল…
সাপ মেয়েঃ আমি নিলা আর এ হচ্ছে আমার আপু রিয়া
আমিঃ মানে কি বলছো ইনিও কি তোমার মতো
নিলাঃ আমার মতো না আমার থেকেও বিষধর সাপ।।
হায়রে আল্লাহ আমি কার উপর ক্রাশ খাইলাম
যে কিনা একটা নাগিনী।। এখন যদি তাকে এটা
বলি তাহলে তো আমায় মেরে ফেলবে,,, কিন্তু এই
নাগিনী কিছু বলছে না কেন আর কেনোই বা
এনি আমায় ভাই ডাকলো..
আমিঃ আচ্ছা সাপ না মানে নিলা তুমি আমায় ভাই বললে কেন
নিলাঃ হাহাহা,,, আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না
আমিঃ আমি কি করে চিনবো
নিলাঃ আপনারা এখানে আসার সময় কোনো দুর্ঘটনা দেখতে পেয়েছিলেন
আমিঃ হুম একটা সাপ দুর্ঘটনা হয়ে…মানে তুমি কি
নিলাঃ জি আমি সেই সাপ যাকে আপনি বাঁচিয়ে ছিলেন
আমাদের কথা এতক্ষণ শোনার পর আমার নাগিনী
ক্রাশ মুখ খুললেন…
রিয়াঃ তোকে যে বাচিয়েছিলো ইনিই সেই
নিলাঃ জি আপু
রিয়াঃ ঠিক আছে এখন চল
আমিঃ আমরা কি বন্ধু হতে পারি
রিয়াঃ না,,, আর এখানে খবরদার আসবে না
নিলা চল এখান থেকে
কিছু বলতে যাবো তার আগেই মহারাণী উধাও।।।
মনটা খারাপ করে হোটেলে চলে আসলাম,,,
রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।।।।
পরেরদিন….
ঘুম থেকে উঠে বন্ধুদের সবাই কে আমার রুমে ডাকলাম…
নিলয়ঃ হুম কি বলবি বল
আমিঃ কাল রাতে তোরা আসার পর এই গানসের নাগিনীদের
সাথে দেখা হয়েছিলো…
সাকিবঃ সালা তুই যা বলবি আর আমরা তাই বিশ্বাস করবো নাকি
আমিঃ যেটা সত্যি সেটাই তোদের বলছি
রাফিঃ মানে তুই কি সত্যি তাদের সাথে দেখা করছিস
আমিঃ আরে বেটা আমি না ওরাই আমার সাথে দেখা করছে
রাফিঃ কিভাবে কি হয়েছিলো রাতে
তারপর ওদের সবাইকে রাতে কাহিনী বলার পর
সবাই বিশ্বাস করে।।
আমিঃ আজ তোরা সবাই আমার সাথে গানসে যাবি
সাকিবঃ আমি জাবোনা
আমিঃ তাহলে তোরা চল
সবাইঃ না আমরা কেউ জাবোনা
কেমনডা লাগে,,, মনে দুই বস্তা দুঃখ লইয়া বললাম
আমিঃ আচ্ছা যাস না
সারাদিন ঘোরাঘুরির পর বিকালে হোটেলে চলে আসলাম…
হোটেলে এসেই দিলাম সেই রকম ঘুম…ঘুম থেকে
উঠে দেখি রাত ৮ঃ১৫ বাজে কি আর করমু…
ক্রাশের উদ্যেশে রওনা দিলাম গানসে…
কিন্তু আজ কাউকে দেখতে পেলাম না,,, সাথে
তাদের পৈশাচিক চিৎকারটাও না…ফিরে হোটেলে চলে আসবো
কিন্তু আবার সেই চিৎকার ভেসে আসলো কিন্তু… আজ
অনেক অনেক ভয়ানক আর জোরে শোনা যাচ্ছে
রিয়াঃ তোকে কাল কি বলছিলাম(পেছন থেকে রিয়া বলল)
কিন্তু এটা আমি কি দেখছি এটা কে এতো ভয়ংকর
মানুষ আমি জীবনেও দেখিনাই…মাথার
চারপাশ দিয়ে অনেক সাপ খেলা করছে
যা দেখতে এতোটাই ভয়ানক বলার মতো না…
রিয়াঃ কি হলো কথা বলছিস না কেন
আমিঃ না মানে এমনি
রিয়াঃ তো……
কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলা এসে উপস্থিত…
নিলাঃ আপু তুমি এগুলা থামাও
রিয়াঃ কি বলছিস তুই
নিলাঃ ঠিকি বলছি আর তুমি যাও
বলার পর রিয়া কিছু না বলে চলে গেলো।।।
নিলাঃ ভাইয়া আপনি আবার আসছেন কেন
আমিঃ রিয়ার জন্য
নিলাঃ কি বলছেন ও কতটা ভয়ানক আজ তো দেখলেন
আমিঃ হুম কিন্তু নিলা তুমি বিশ্বাস করো আমি
তোমার বোন মানে রিয়াকে ভালোবাসি
নিলাঃ কেন বাসেন
আমিঃ জানিনা কিন্তু আমি তাকে ভালোবাসি
নিলাঃ ওকে বুঝলাম,,,, কিন্তু ভাইয়া আপনার নামটা কি
আমিঃ সোহান
তারপর আমার সব পরিচয় দেয়ার পর…..
নিলাঃ ভাইয়া আমার মনে হয়না আপনার পরিবার
মেনে নিবে…
আমিঃ সেটা আমার দায়িত্ব ওকে ওয়েট…. বলার
পর আম্মুকে ফোন দিলাম,,,,,
আমিঃ হ্যালো আম্মু
আম্মুঃ হুম বলো
আমিঃ আম্মু আমি প্রেমে পড়েছি
আম্মুঃ তাই কার প্রেমে আর মেয়েটা দেখতে কেমন…
আম্মুকে প্রথমে বলাতে রাজি হয় না,,,, কিন্তু যখন
এতো এতো রিকুয়েস্ট করি তখন রাজি হয়।।।
আসলে আমি আর আম্মু অনেকটাই ফ্রি হয়ে কথা বলি।।
এতক্ষণ নিলা শুধু আমাদের কথা শুনছিলো,,,কি
হলো শালিকা তুমি চুপ কেন…
নিলাঃ এখনো তো বিয়েই হয়নি আর আপু যে রাগি
আমিঃ আরে চিন্তা করো কেন আমি আছি তো
নিলাঃ হুম
তারপর নিলার সাথে কিছু কথা বলে সেদিনের মতো
হোটেলে চলে আসি,,,আমি জানি এটা বন্ধুদের
বলে কোনো উপকার হবে না…তাই আর ওদের কাউকে
কিছু বলিনাই।।।সেদিনের মতো রাতে এসে ঘুমাই পরি…
পরেরদিন

পরেরদিন…..
কিছুই ভালো লাগছে না,,,শুধু রিয়ার কথা বার
বার মনে পরছে।।কি আছে ওর মধ্যে যার করনে
আমাকে এতোটা ওর কাছে টানে।।ভাবছি আজকেও
গানসে যাবো,,, কিন্তু এই গানসের একটা
অভিশাপ আছে,,সেটা হলো গানসে ২দিন য়াওয়ার
পর তার ফলসরুপ মৃত্যু।। খুব ভয় করছে কিন্তু রিয়াকে
না দেখেও থাকতে পারবোনা,,,,
নিলয়ঃ কিরে কি ভাবছিস??
রুমের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে ভাবছি এমন
সময় নিলয় এসে কথাটি বলল আর ও কি বলল তা
তো উপরে দেখলেনি…
আমিঃ না তেমন কিছু না
নিলয়ঃ চল বাইরে চল সবাই অপেক্ষা করছে
আমিঃ তুই যা আমি ফ্রেস হয়ে আসছি
নিলয়ঃ ওকে আয়
নিলয়ের সাথে কথা বলার পর ওয়াশ রুমে
গিয়ে ফ্রেস হয়ে বাইরে(বন্ধুদের কাছে)গেলাম।।
আমিঃ হুম বল আজ কি প্লান আছে
রাফিঃ সোহান আমি ভাবছি এখান থেকে চলে যাবো
সাকিবঃ হুম আমরাও একমত
আমিঃ অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলাম,,,মানে
রাফিঃ মানে এই নিরিবিলি মানবহীন জায়গায়
কার বা কাদের থাকতে ভালো লাগে আমরা এখানে
এসেছিলাম ইনজয় করতে কিন্তু এখানে কি হচ্ছে…
আমিঃ ওহ তাহলে এই ব্যাপার
নিলয়ঃ হুম
আমিঃ ওকে তোরা যেতে চাইলে যা
রাফিঃ আর তুই
আমিঃ জেতে পারবোনা
রাফিঃ কেন
তারপর আমার আর রিয়ার ব্যাপারে সব কিছু বললাম।।
আপনারা জানেন তাই আর বললাম না।।
সাকিবঃ ভাই তুই কি সত্যি বলছিস
আমিঃ হুম
রাফিঃ ওকে আমরা কোথাও যাবো না তোকে ছাড়া
সবাইঃ হুম তাই হবে গেলে তোর নাগিনী গার্লফ্রেন্ডকে
সাথে করে নিয়েই ফিরবো।।
সালাদের কথা শুনে যতোটা অবাক হয়েছিলাম
তার থেকেও এখন বেশি খুশি হয়েছি।।।
তারপর ওদের সাথে বাইতে আড্ডা দিয়ে বিকেলের
দিকে হোটেলে এসে দিলাম একখান ঘুম,,,
আপনারা আবার ভুলে যেয়েন না আমার কিন্তু রাতে
গানসে যেতে হবে তাই আমায় একটু ডাক দিয়েন।।
রাত ৯ঃ০০…
ধুর আপনাদের বললাম আমায় একটু ডাক দিয়েন
কিন্তু দিলেন না যার জন্য আজ একটু দেরি হয়ে গেছে।।
এখন কথা না বাড়িয়ে দিলাম এক দৌড়।।
রিয়াঃ কি ব্যাপার আজ এতো দেরী হলো কেন
আমিঃ আমিতো পুরাই অবাক,,কি বলবো কিছু বুজতে পারছিনা
রিয়াঃ কি হলো কথা বলছো না কেন
আমিঃ না মানে একটু ঘুমাই পড়ছিলাম
নিলাঃ আরে দুলাভাই কখন আসলেন
এইরে এই মেয়ের কোনো কাণ্ডজ্ঞান নাই কখন
কি বলতে হয় কিছু জানে না এখন যে আমার কপালে কি আছে….
রিয়াঃ ঐ কে তোর দুলাভাই
নিলাঃ কেন সোহান ভাই
রিয়াঃ ঐ নিলা তোকে কি বলছে
আমিঃ আমি কি বলবো ওকেই জিজ্ঞাস করো
রিয়াঃ নিলা বল কেন আর কিসের জন্য এসব বলছিস
নিলাঃ না মানে আপু সোহান ভাইয়া তোমাকে ভালোবাসে
রিয়াঃ চুপ তোরা যদি আমার ভয়ানক চেহারা দেখতে
না চাস তাহলে খবরদার এই কথা আর কোনোদিন বলবি না
আমিঃ রিয়া….
আর কিছু বলবো তার আগেই রিয়া নাগিনী রুপ ধারন
করে চলে গেলো,,,ধুর কাকে যে ভালোবাসতে গেলাম
প্রথমত নাগিনী আর উপর এক নাম্বারের রাগি।।
নিলাঃ ভাইয়া আপুর কথাই কান দিয়েন না।।
আমিঃ এই তোমার কি কোনো জ্ঞান নাই নাকি
নিলাঃ আমি আবার কি করলাম।।
আমিঃ তুমি ওকে এই সব বলতে গেলে কেন
নিলাঃ আপনার যে সাহস তা দিয়ে আপনি আপুকে
ভালোবাসার কথা বলা তো দুরের কথা উচ্চারণ করতে পারবেন না।।
তাই আমি আপনার হয়ে আপুকে বলে দিলাম
আমিঃ ওরে আমার শালিকারে এতো বুদ্ধি রাখো কই
নিলাঃ থাক আর বলতে হবেনা।
আমিঃ আচ্ছা নিলা তোমরা এরকম কেন
নিলাঃ আরে আমরা এমন কেন আমি নিজেও
জানিনা কিন্তু আপু বলছে এটা আমাদের আসল
পরিচয় না আমরাও নাকি মানুষ হতে পারবো।
আমিঃ কিভাবে হতে পারবে।
নিলাঃ আমি আপুকে অনেক বার বলছি কিন্তু বলেনি
আমিঃ ওহ আচ্ছা।
নিলাঃ ভাইয়া আপনারা আর কতদিন থাকবেন
আমিঃ আর মাত্র ২৭দিন থাকবো
নিলাঃ তাহলে আপুর পেছনে লেগে থাকুন
আমিঃ তা তো থাকতেই হবে কিন্তু কাজ হবে কি
নিলাঃ অবশ্যই হবে
আমিঃ ঠিক আছে
তারপর নিলার সাথে কথা বলে হোটেলে
চলে আসলাম।।এই তিন চারদিনে নিলার
সাথে যতটুকু ভাব হয়েছে তার ছিটেফোঁটাও রিয়ার
উপর পরে নি।।আম্মুকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম
যে রিয়া মানুষ হতে পারবে।।আম্মু জিজ্ঞাস করছিলো কিভাবে
কিন্তু বলতে পারিনাই কারন আমি নিজেও জানিনা।।
এভাবে আরো ২দিন কেটে গেলো আমি আগের
থেকে আরো বেশি রিয়াকে ভালোবেসে ফেলেছি,,,
কিন্তু যখন মনে পরে ওর রাগের কথা… তখন মনে
হয় তাকে ভালোবাসা আমার জন্য ভুল কিন্তু
আমিও হাল ছাড়বার পাত্র নয়।।যাই হয়ে যাক
রিয়াকে আমি ছাড়ছিনা।।
পরেরদিন…
না এভাবে আর হবে না আজ গিয়ে কিছু একটা
করতে হবে,,,ভালোবাসি কথা বললে আমি শিওর
রিয়া রেগে যাবে তাহলে কি বলা কি বলা যাই
পেয়েছি থাক আপনাদের বলা যাবেনা যদি রিয়াকে
বলে দেন তাহলে আমি আর আমার প্লান ২টাই শেষ।।।
রাতে…..
আমিঃ নিলা তোমার আপু কোথায়
নিলাঃ কেন দুলাভাই
আমিঃ তোমার সাথে একটা প্লান করবো তাই
রিয়াঃ কিসের প্লান রে
গানসে গিয়া রিয়া না থাকাই নিলার সাথে কথা
বলছি এমন সময় আমার নাগিনী গার্লফ্রেন্ড
প্রশ্ন করে বসলো…
আমিঃ আরে তেমন কিছু না…আমাদের বিয়ার কথা বলতে চাইলাম
রিয়াঃ তুই আবার শুরু করছিস
আমিঃ আচ্ছা সরি…তবে একটা কথা
রিয়াঃ আমি তোর কথা শুনবো না।।
নিলাঃ আহা আপু একটু,, শোনো
রিয়াঃ আচ্ছা বল
আমিঃ আমি তোমার বন্ধু হতে চাই
রিয়াঃ আমি রাজি কিন্তু ভালোবাসি কথা বললে খবর আছে
আমিঃ আরে আমি পাগল নাকি আর এই বয়সে কে মরতে চাই
রিয়াঃ হুম মনে থাকে যেনো
আমিঃ ওকে মহারাণী
রিয়াঃ নিলা চল
আমিঃ তুমি যাও ওর সাথে আমার কথা আছে
রিয়া আমার কথা শুনে চলে গেলো।।কিন্তু মনে হচ্ছে
নিলাকে রেখে দেওয়াই রেগে গেছে…সমস্যা নাই
সোনা তুমি একদিন ঠিক আমার ভালোবাসা বুঝবে।।।
নিলাঃ আরে আপনি কি পাগল
আমিঃ কেন বলতো
নিলাঃ আপনি আপুকে বন্ধু বানালেন কেন
আমিঃ আরে বন্ধু থেকেই সব হয় এখন বন্ধু পরে গার্লফ্রেন্ড
নিলাঃ তারপর বউ তাই তো
আমিঃ কিন্তু কিভাবে
নিলাঃ কাল আমি আপুকে অনেক বার রিকুয়েস্ট
করার পর আপু আমায় যা বলছে আপনি শুনলে কি যে করবেন
আমিঃ আরে আগে বলতো
নিলাঃ আমাদের মানুষ হওয়ার একটা উপায় জানতে পারছি
আমিঃ সেটা কি
নিলাঃ আপুকে একজন মানুষ বিয়ে করতে হবে।।
আর বিয়ের পর তাদের সন্তান রক্ত প্রাণ করলে আমরা মানুষ হবো
আমিঃ এতে যদি সন্তানের ক্ষতি হয়
নিলাঃ না তা হবে না,,,বরং সে স্ব-ইচ্ছায় দান করবে
আমিঃ তাহলে ঠিক আছে…কিন্তু তুমি জানলে কি করে
নিলাঃ কাল রাতে অনেক অনেক কান্না করছি তাই আপু সব বলে দিছে
আমিঃ ওরে আমার শালিকা তোমার আপুর
আগে যদি আমি তোমাকে পাইতাম তাহলে তোমাকে বিয়া করতাম।
নিলাঃ থাক আর ঢং করতে হবে না এখন যান
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে
নিলার সাথে কথা বলে হোটেলে চলে আসলাম।।।
তারপর সব বন্ধুদের ফোন করে আমার রুমে ডাকলাম।।
নিলয়ঃ হুম বল কি বলবি
আমিঃ দোস্ত রিয়া মানুষ হতে পারবে
সাকিবঃ কিভাবে
তারপর আজকের সব কথা ওদের বললাম।।।
রাফিঃ ঠিক আছে কাল আমরা তোর সাথে যাবো
আমিঃ প্রমিজ কর
সবাইঃ প্রমিজ এখন ঘুমা আর আমাদেরও ঘুমাতে দে
আমিঃ ওকে যা তাহলে
সবাই চলে যওয়ার পর ঘুমিয়ে গেলাম।।

আর তুই নিজেও ঘুমা আমরা এখন যাই
আমিঃ ওকে গুড নাইট
সবাইঃ হুম
সবাই চলে যওয়ার পর মিষ্টি একটা ঘুম দিলাম।।
ঘুম থেকে উঠে বাইরের আবহাওয়া উপভোগ
করার জন্য ফ্রেস হয়ে বাইরে গেলাম।।।আরে নিলা
এখানে কি করছে….
আমিঃ নিলা তুমি এখানে তাও আবার দিনে(নিলা
আর রিয়াকে দিনে আমি দেখাই যাই না তাই ওদের এখানে
দেখে অনেক টাই অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলাম)
নিলাঃ দুলাভাই আশেপাশে একটু দেখুন
মানুষ জন আপনাকে দেখছে
আমিঃ আরে দেখলে সমস্যা কি
নিলাঃ আগে আপনি একটু তাদের দেখুন
আমিঃ কি ব্যাপার সবাই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে
আছে কেন আমি আবার তাদের কি করলাম
নিলাঃ কিছু বুঝতে পারছেন দুলাভাই
আমিঃ না কিন্তু মনে হচ্ছে তারা পাগল দেখছে
নিলাঃ হুম তাই তো বলবে,,কারণ তারা কেউ আমায়
দেখতে পারছে না শুধু আপনি নিজে আমাকে দেখছেন
আমিঃ কিন্তু সেটা কি করে সম্ভব
নিলাঃ দিনের বেলায় আমাদের কেউ দেখতে পারবে না
তবে আমরা যদি ইচ্ছা করি তাহলে আমাদের
সবাই দেখতে পারবে তার আগে নয়
আমিঃ তাহলে আমাকে কি ইচ্ছা করেই দেখানো হয়েছে
রিয়াঃ জি হ্যা,,,(পিছন থেকে রিয়া কথাটা বলল)
আমিঃ ওহ তার মানে তুমিও আছো
রিয়াঃ এটা আমারি প্লান ছিলো
আমিঃ কিসের প্লান
রিয়াঃ সবার সমনে তোমাকে পাগল বানানো
আমিঃ তারমানে আমি পাগল
রিয়াঃ তা না তবে আশেপাশে দেখলে বুঝতে পারবে
আশেপাশের মানুষজন আমার দিকে এমন ভাবে
তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে এই প্রথম আমাকে
দেখছে।। কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিনা
বললে আবার যদি আমায় পাগল নামে আখ্যায়িত
করে তাহলে তো আমার সম্মান আর লাইফস্টাইল দুটাই শেষ।।
নিলাঃ কি হলো দুলাভাই কি ভাবছেন (নিলার ডাকে
বর্তমানে ফিরলাম)
রিয়াঃ আবার দুলাভাই
নিলাঃ আচ্ছা আর বলবো না
আমিঃ কিন্তু আমাকে পাগল বানিয়ে লাভ হলো কি
রিয়াঃ বন্ধুর সাথে মজা করতেই পারি
আমিঃ ঠিক আছে আমিও দেখবো
রিয়াঃ সেটা পরে দেখা যাবে
তারপর রিয়া আর নিলার সাথে কথা বলে হোটেলে চলে
আসলাম।। কিন্তু আজ অনেক খুশী খুশী লাগছে।।
কারণ এই প্রথম রিয়া আমার সাথে ভালো ভাবে কথা বলেছে।।
রাতে……
সাকিবঃ কিরে গানসে যাবিনা
আমিঃ ওরে আল্লাহ ভুতের মুখে রামনাম
সাকিবঃ ঐ সালা এখানে ভুত কে
আমিঃ না মানে তুই যে ভিতুর ভিতু সেই গানসে যাবি
সাকিবঃ দেখ আমি যেরকম হয়না কেন বন্ধুর জন্য সব করতে পারি
আমিঃ আরে সেটা তো জানি তোরা আমার কলিজার বন্ধু
সাকিবঃ থাক আর পাম দিতে হবে না এখন চল
আমিঃ হুম চল
বাইরে এসে দেখলাম নিলয় রাফি বসে আছে।।
নিলয়ঃ কিরে এতো দেরী করলি কেন
সাকিবঃ সোহান কে বল সালা নিজেই দেরী করছে
আমিঃ আর তুই কি করলি
রাফিঃ আরে এবার থাম তোরা চল এখন যাই
সাকিবঃ তুই আমাদের ক্যাপ্টেন ছিলি বলে কিছু বললাম না
রাফিঃ সালা আমায় কতো মানিস বুঝাই যাই
সবাইঃ হাহাহাহাহা
আমিঃ চল এখন যাওয়া যাক
তারপর সবাই মিলে গানসে গেলাম।।কিন্তু আজ
কাওকে খুজে পাচ্ছিনা তাই আমরা সবাই মিলে
আড্ডা দিতে লাগলাম…
রাফিঃ সোহান একটা গান শোনা প্লিজ
আমিঃ আরে গিটার নাই এখানে
নিলয়ঃ সমস্যা নাই এমনিতেই বল
আমিঃ ঠিক আছে,,,
তারপর তাহসানের রাতের ধ্রুব তারা গানটা বললাম।।।
রিয়াঃ বাহ চমৎকার (পেছন থেকে বলল)
আমিঃ আরে তুমি কখন এলে
রিয়াঃ তোমাদের আসার আগেই
আমিঃ আমরা দেখতে পেলাম না কেন
নিলাঃসাপ হয়ে ছিলাম আচ্ছা দুলাভাই ইনারা কারা
আমিঃ সবাই আমার বন্ধু
সাকিবঃ বাহ তুমি তো খুব সুন্দর
নিলাঃ আমার নাগিনী রুপ আরো সুন্দর দেখবেন
সাকিবঃ না থাক আপু
সবাইঃ হাহাহাহাহা
রিয়াঃ সোহান তোমার সাথে কিছু কথা আছে
আমিঃ হায় আল্লাহ আমি যে আজ কার মুখ
দেখে উঠেছি একের পর এক আশ্চর্য হচ্ছি
রিয়াঃ কি হলো
আমিঃ ঠিক আছে ওদিকে চলো
রিয়া পিছু পিছু যাচ্ছি আর মনে মনে লুঙ্গি ড্যান্স দিচ্ছি।।
কারনটা আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন,,,ভালোবাসার
মানুষ আজ নিজ ইচ্ছায় আমাকে ডেকে ডেকে কথা বলছে
কার না ভালো লাগে বলুন…
আমিঃ হুম এখন বলো
রিয়াঃ আসলে নিলা যে তোমায় দুলাভাই বলে তার জন্য
প্লিজ রাগ করোনা ও এখনো তো বাচ্চা
আমিঃ আরে তাতে সমস্যা কি বললে বলুক
রিয়াঃ কিহ তারমানে তুমি দুলাভাই শুনতে চাও
আমিঃ না ইয়ে মানে হ্যা
রিয়াঃ কিহ বললে
আমিঃ আরে ওতো বাচ্চা
রিয়াঃ হুম এ জন্য রাগ করোনা আর তোমার কন্ঠটা খুব সুন্দর
আমিঃ ধন্যবাদ
তারপর সবাই মিলে অনেক মজা করলাম।।
এরি মধ্যে রিয়ার সাথেও অনেক কথা হয়।।।
সবাই মিলে আড্ডা দেয়ার পর রাতে সবাই মিলে
হোটেলে গিয়ে ঘুমাই পরলাম।।
এভাবে কাটতে লাগলো আমাদের দিনাকাল।।
রাতে গিয়ে রিয়া আর নিলার সাথে আড্ডা দেয়া
আমার প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে।।
এভাবে দেখতে দেখতে ১৫দিন চলে গেছে।।
এই পনেরো দিনে রিয়া আর নিলার সাথে খুব
ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে।।।নিলা যদিও জানে এটা
বন্ধুত্ব না…. কিন্তু রিয়ার এর কিছু জানেনা।।।
তাই রিয়াকে এগুলা জানানোর জন্য নিলাকে বললাম…
আমিঃ নিলা অনেক তো হলো এখন বলে দিলে কেমন হয়
নিলাঃ আমিও তাই ভাবছি
আমিঃ তাহলে কি করবো আমি
নিলাঃ আপুকে কাল বলে দেন
আমিঃ যদি রাগ করে
নিলাঃ আর যদি আপনি ওকে না বলেন তাহলে কি হবে
আমিঃ ভেবে বলছো তো
নিলাঃ হুম বলছি
আমিঃ ঠিক আছে কাল আমি ওকে ভালোবাসি কথা বলবো
নিলাঃ ঠিক আছে
নিলার সাথে কথা বলে হোটেলে এসে সব বন্ধুদের বলে
দিলাম কাল আমরা গানসে যাবো।। সবাই
কারন জানতে চাইছিলো কিন্তু আমি বলি নাই
পরেরদিন…….
কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না কিন্তু খুব
ভালো লাগছে।।বাংলা সিনেমার নায়কদের মতো
ভাব আর স্টাইল নিয়ে বন্ধুদের ফোন করে রুমে
আসতে বললাম।।

কি করবো কিছু বুঝে উঠেতে পারছি না।।
কিন্তু খুব আনন্দ লাগছে,,,,মন চাইছে
নাগিন ড্যান্স দেয়…না থাক এখন দিবো
না আমার নাগিনী বউয়ের সাথেই দিবো।।
কিন্তু কেউ আমারে ধর
আমি কিন্তু এই আনন্দে মইরা যামু।।।
বন্ধুদের ফোন দিয়ে আমার রুমে ডেকে
আনলাম।।।তারপর পুরাই বাংলা সিনেমার
নায়কদের মতো ভাব লইয়া কথা বলতে লাগলাম….
সাকিবঃ হুম বল
আমিঃ আরে তুরা রেডি হোস নাই এখনো
রাফিঃ কেন কোই যাবি
আমিঃ সালা কাল রাতে কি বললি ভুলে গেছিস
রাফিঃ এইরে ভুলে গেছি
আমিঃ তারাতারি রেডি হয়ে আয়
রাফিঃ ওকে নিলয় সাকিব চল
সাকিবঃ আমার রেডি হওয়া আগেই শেষ
রাফিঃ ওকে আমি আর নিলয় গেলাম।।।।
তারপর ওরা দুজন চলে গেলো,,,কিন্তু সাকিব আমার
দিকে কিভাবে জেনো করুণ আর্তনাদে তাকিয়ে আছে।।।কিছু বলতে
চেয়েও বলছে না।।তাই আমি নিজেই ওকে জিজ্ঞাস করলাম..
আমিঃ কিরে কি হয়েছে
সাকিবঃ না কিছু হয়নাই
আমিঃ আরে বল কি হয়ছে
সাকিবঃ ভাই তুই একটু নিলাকে বলিস জেনো
আমার সাথে ভালো করে কথা বলে।।
আমিঃ কেন নিলা আবার কি করলো
সাকিবঃ ওর যে রাগ খুব ভয় করে
আমিঃ সালা নিলার রাগ দেখে এমন করছিস
যদি রিয়ার রাগ দেখতে তাহলে জামাকাপড় রেখেই
পালাতি(মনে মনে কথা গুলো বলছি)
সাকিবঃ কিরে কথা বলিস না কেন
আমিঃ না ঠিক আছে সমস্যা নাই
সাকিবঃ কিন্তু আমার আছে তুই ওকে বলিস প্লিজ
আমিঃ ঠিক আছে বলবো
আমরা কথা বলছি এমন সময় রাফি আর
সাকিব এসে হাজির।।।তারপর ওদের সাথে
করে গানসের দিকে পা বাড়ালাম।।।।
গানসে গিয়া দেখলাম কেউ নাই।।তাই আমরা
বসলাম এমন সময় নিলার ডাক…
নিলাঃ আরে দুলাভাই যে কি খবর
আমিঃ আমার তো বিন্দাস রিয়া কোথায়
নিলাঃ এইতো আপু
রিয়াঃ বাব্বাহ আজ আবার বন্ধুদের সাথে নিয়ে
আমিঃ হুম,,,নিলা তুমি একটু ওদের সাথে
কথা বলো।।আমি একটু তোমার আপুর
সাথে…(আর কিছু বলার আগেই নিলা বলল)
নিলাঃ প্রেম করবেন তো(বলেই দৌড়)
রিয়াঃ ওর কথা বাদ দাও বাচ্চা মেয়ে
আমিঃ হুম,,,রিয়া তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো
রিয়াঃ হুম বলো
আমিঃ আমি জানিনা তুমি কি ভাববে বা
বলবে,,,কিন্তু আমার কথা বলাটা জরুরী
রিয়াঃ সোহান ,,, এসব কথা বাদ দিয়ে যা বলবে তা বলো
আমিঃ আসলে আমি তোমাদের মানুষ বানাতে চাই
রিয়াঃ কিভাবে
আমিঃ তোমাকে বিয়ে করে
রিয়াঃ তোমার মাথা ঠিক আছে তো
আমিঃ হ্যা আমার মাথা একদম ঠিক আছে
রিয়াঃ প্লিজ সোহান মজা নেয়া বাদ দাও
আমিঃ আমি তোমার সাথে মজা নিচ্ছি না
রিয়াঃ এটা সম্ভব না,,,আর এটা হলে তোমাকে সবাই খারাপ ভাববে
আমিঃ সেটা আমি দেখবো প্লিজ রিয়া না করো না
রিয়াঃ আমি পারবোনা (বলে চলে যেতে লাগলো)
আমিঃ ওর হাত ধরে,,,প্লিজ রিয়া একবার সুযোগ দাও
রিয়াঃ ঠিক আছে তবে তুমি এখানে যতো দিন
থাকবে তার মধ্যে আমাকে ইমপ্রেস করে বোঝাতে
তুমি আমাকে ভালোবাসো
আমিঃ ঠিক আছে তাই হবে
রিয়াঃ তোমরা আর কতদিন থাকবে
আমিঃ আর ১৫দিন আছি তারপর তোমাকে নিয়ে যাবো
রিয়াঃ সেটা পরে দেখা যাবে
তারপর রিয়ার সাথে আরো অনেক কথা বললাম।।
নিলাঃ কিগো দুলাভাই কথা বলা হলো
নিলার কথা শুনে দুইটা হা হু কাশি মারলাম..
নিলাঃ থাক আর ঢং করতে হবে না
রিয়াঃ ও করবে না তো কে করবে
নিলাঃ কেন ইনি কে(শালিকা তুই কি বলোস এগুলা)
রিয়াঃ কারন ও আমার এখন বয়ফ্রেন্ড….(বলেই মুখে হাত নিলো)
আমায় কেউ আটকা আমি আর এই আনন্দ
শয়তে পারছি না।।কখন যে স্টোক করবো।।।
আমিঃ কি বললা আরেক বার বলো
রিয়াঃ কিছু না(বলে দৌড় দিয়ে উঠাও)
নিলাঃ দুলাভাই এটা কি হলো
আমিঃ অনেক কিছু,,, তারপর নিলাকে সব
কিছু বললাম সাথে শর্তটাও সব শোনার পর…
নিলাঃ দুলাভাই একটা উপায় আছে
আমিঃ কি বলো
নিলাঃ আপুকে প্রতিদিন ভালোবাসি কথা বলুন
আমিঃ সেটাতো বলিই
নিলাঃ এখন থেকে আরো বেশি করে বলবেন
আমিঃ ঠিক আছে তাই হবে
তারপর নিলার সাথে কথা বলার পর বন্ধুদের
সাথে হোটেলে ফিরে আসলাম।।।
এভাবে চলতে থাকে আরো ৫দিন,,এর মধ্যে
ওকে অনেক বার ভালোবাসি বলছি কিন্তু
মহারানীর কোনো
সাড়াশব্দ পাইনাই।।এইতো সেদিনের ঘটনা….
আমিঃ রিয়া আই লাভ ইউ
রিয়াঃ কত ভালোবাসো বুঝাই যাই
আমিঃ মানে কি বলতে চাও
রিয়াঃ শর্তটা কি ভুলে গেছো
আমিঃ না কিন্তু আর কিভাবে বোঝাবো আমি তোমায় ভালোবাসি
রিয়াঃ সেটা আমি কি জানি
আমিঃ প্লিজ রিয়া রাজি হয়ে যাও
রিয়াঃ এভাবে হবে না
আমিঃ তাহলে কিভাবে হবে তুমি বলো
রিয়াঃ সেটা আমি জানিনা আর বাই
এখন আপনারাই বলেন আর কি করে বোঝাবো
আমার নাগিনীকে।।কিছু বললেও বোঝে না।।
না আর পারছিনা এবার শালিকার থেকে উপায় বের করতে
হবে না হলে আমি শেষ সাথে আমার ভালোবাসাও।।
আমাদের গানসে আসা হয়েছে ২৫দিন
আর আছে মাত্র ৫দিন কি যে হবে।।।
নিলাঃ আরে দুলাভাই
এসব কথা ভাবছি এমন সময় নিলার আগমন হলো।।
আমিঃ হুম রিয়া কোথায়
নিলাঃ আপু আসে নাই আজ
আমিঃ কেন কি হয়েছে
নিলাঃ একটু কাজ আছে
আমিঃ ওহ,,, নিলা কিছু কথা টিপস লাগবে
নিলাঃ হুম বলেন আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি
আমিঃ নিলা আমি সিরিয়াস কিন্তু
নিলাঃ ঠিক আছে বলুন
আমিঃ দেখো নিলা এতো দিনতো হলো হাতে
আর মাত্র ৫দিন আছে কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না
তুমি এখন বলো আমার কি লাগবে না
হবে তো আমার ভালোবাসাকে হারিয়ে ফেলবো…
শোনায়,, নিলা একটা হাসি দিয়ে আমার কানে কানে
একটা কথা বলল….
আপনাদের বলা যাবে না যদি আমার নাগিনী
গার্লফ্রেন্ডকে বলে দেন।।
আমিঃ এটা করলে কাজ হবে তো
নিলাঃ ১০০%হবে
আমিঃ তাহলে আজ কাল রাতে দেখা হবে
নিলাঃ ঠিক আছে এখন আমি যাই
আমিঃ ঠিক আছে বাই
তারপর গানসে থেকে ফিরে এসে হোটেলে
দিলাম এক ঘুম,,,,,,
পরেরদিন,,,,,
নিলার কথামতো প্রস্তুতি নিয়ে গানসে গেলাম।।
তবে আজ একাই যেতে হলো হারামিদের এতো
করে বললাম কিন্তু কে শোনে কার কথা…ওরা
নাকি নিলার রাগ দেখেই যেতে ভয় পায়।।
যদি হারামিগুলা একবার আমার নাগিনী গার্লফ্রেন্ডার
রাগ দেখতো কি যে করতো।।।
নিলাঃ দুলাভাই আজ একা কেন
মনে মনে কথাগুলা ভাবছি এমন সময় নিলার ডাক।।
তবে শালিটা যে হয়েছে সব সময় সাহায্য করে আমায়,,,
এমন শালিকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো।।
নিলাঃ কি হলো দুলাভাই কোন জগতে হারিয়ে গেলেন
আমিঃ……

(মুখের সামনে তুরি মেরে) আমিঃ না মানে তোমার নামে প্রশংসা করছিলাম নিলাঃ কি বলেন এখানে আমি আর আপনি ছাড়া তো কেউ নাই তাহলে কিভাবে কি
আমিঃআরে না,,,পাঠকদের কাছে করছি
নিলাঃ ওহ তাই বলুন আমিঃ হুম,,,আচ্ছা শালিকা রিয়া কোথায়
নিলাঃ ঐতো আসতেছে আমিঃ ওরেমা কেউ আমারে ধর
এটা কে,,,,যে মেয়ে থুক্কু নাগিনী সবাইকে ভয় দেখাতে ব্যাস্ত থাকে সে কিনা…ভাবছেন আমি কেন এগুলা বলছি তাই তো।। আচ্ছা শুনুন রিয়া আজ একটু সাজুগুজু করছে,,,তবে ওকে না সাজলেও খুব সুন্দরী লাগে,,,চোখে কাজল কপালে টিপ খোলা চুল,,, থাক আর বলবোনা বললে আপনারাই ক্রাশ খাবেন…আমি তো আজ রিয়াকে দেখে হা হয়ে আছি
রিয়াঃ কি হলো হা করে কি দেখছো
আমিঃ আমার নাগিনীটাকে রিয়াঃ মানে….
আমিঃ মানে তোমাকে আজ অনেক সুন্দরী লাগছে
রিয়াঃ কেন আগে কি খারাপ দেখতে ছিলাম আমিঃ তা না কিন্তু আজ আবার ক্রাশ খাইছি। রিয়াঃ হুম আইছে ক্রাশ নিয়ে যে তার ভালোবাসা আমাকে দেখাতে পারে না তার আবার ক্রাশ। আমিঃ শালিকা তুমি একটু দূরে যাও
নিলাঃ ঠিক আছে দুলাভাই (বলে একটু দূরে গেলো) আমিঃ এখন বলো কি জেনো বলছিলে রিয়াঃ ঘোরার ডিম
আমিঃ আচ্ছা চোখ বন্ধ করো একটু
রিয়াঃ কেন,,,,
আমিঃ আরে করোই না
রিয়াঃ ঠিক আছে করছি
তারপর শালিকার দেয়া বদ্ধিটা প্রয়োগ করার জন্য রেডি হয়ে গেলাম… পকেট থেকে ব্লেড টা বের করে দিলাম হাতের উপর দিয়ে চালিয়ে দিলাম….আউচ বলার সাথে সাথে রিয়া চোখ খুলে ফেলছে ।
রিয়াঃ ঠাসসস ঠাসসস কুত্তা বানর হনুমান বিলাই তোকে হাত কাটতে বলছে কে।
আমিঃ কিছু বলছিনা
রিয়াঃ কি হলো কথা বল আর আমি যদি তোকে ভালো না বাসতাম তাহলে তোকে প্রথম দিনেই মেরে দিতাম কেন মারি নাই জানিস
আমিঃ না
রিয়াঃ কারন তুই আমার বোনকে বাঁচিয়েছিস আর আমিও তোকে ভালোবেসে ফেলেছি
আমিঃ তাহলে বলোনি কেন
রিয়াঃ কারণ আমি জানি কোনো পরিবারি এই সম্পর্ক মানবেনা। আমিঃ শালিকা দেখো তোমার বোন কি বলে
নিলাঃ নিলা আমাদের কাছে এসে…কি দুলাভাই আমিঃ আমাদের সম্পর্ক নাকি আমাদের পরিবার মানবেনা
নিলাঃ হাহাহাহা,,,,কে বলে আমিঃ কে আবার তোমার বোন রিয়াঃ কি বলছো তোমরা আমি কিছু বুঝতে পারছিনা আমিঃতাহলে শোনো,,,,,
তারপর আমি আর নিলা মিলে এতো দিন যা যা করছি সব তাকে বললাম,,সাথে আম্মুকে আমাদের সম্পর্ক,,, নিলার প্লেন হাত কাটা ইত্যাদি।।। অবশ্য এগুলা বলাতে রিয়া অনেক টা রেগে গেছে আমার উপর কিন্তু কিছু বলছেনা….. আমিঃকি হলো কথা বলছোনা কেন রিয়াঃ কি বলবো শুনি আমিঃ আমায় ভালোবাসো সেটা
রিয়াঃ আমি কাউকে ভালোবাসি না। আমিঃ নিলা তুমি এখন যাও,,, (নিলা চলে গেলো)এখন বলো কি জেনো বলবেনা রিয়াঃ কিছুনা
আমিঃ রিয়ার দিকে একটু একটু এগিয়ে যাচ্ছি রিয়াঃ খবর দার আমার কাছে আসবেনা আমিঃ কেন রিয়াঃ আমি বলছি তাই
আমিঃ এক বস্তা দুঃখ লইয়া বললাম ঠিক আছে রিয়াঃ আমার কলার ধরে,,আচ্ছা তুমি চলে যাবে কবে আমিঃ আমিতো একা যাচ্ছি না রিয়াঃ তাহলে কাকে নিয়া যাবে আমিঃ তোমাকে….
রিয়াঃ তোমার পরিবার আমিঃ একটু আগে কি বললাম রিয়াঃ ভুলে গেছি,,,যাবো কবে আমিঃ আর দুইদিন পরে
তারপর রিয়ার সাথে অনেক্ষন কথা বলে হোটেলে চলে আসি,,,,, সুন্দর একটা ঘুম দিলাম।।।
পরেরদিন……
রাফিঃ ঐ সালা উঠ আর কত ঘুমাবি আমিঃ কেন কি হয়েছে,,আর কাল একটু দেরি করে ঘুমাইছি রাফিঃ হুম তা তো বুঝাই যাচ্ছে সাকিবঃ আন্টি ফোন দিছে আমিঃ আম্মু ফোন দিছে মানে নিলয়ঃ জি,,আপনি ফোন ধরেন নাই তাই আমাদের ফোন দিছে আমিঃ ওহ তাই বল
রাফিঃ বল মানে,,কথা বল সালা আমিঃ ঠিক আছে তোরা যা
সবাই চলে গেলো….. আমিঃ হ্যালো আম্মু আম্মুঃ হুম,,, কোথায় ছিলে ফোন ধরলে না কেন আমিঃ আম্মু ঘুমাচ্ছিলাম আম্মুঃ ওহ,,আর আমার ছেলের বউয়ের কি খবর আমিঃ একদম দারুণ,,, আর আম্মু আমি কিন্তু আমার সাথে করে ওকে আর ওর বোনকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসবো আম্মুঃ সেটা তোর ইচ্ছা আমিঃঠিক আছে আম্মু
তারপর আম্মুর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফ্রেস হয়ে বাইরে বের হলাম।। কিছুক্ষণ ঘুরাফেরার পর আবার হোটেলে চলে আসলাম।।
রাতে গানসে…..
রিয়াঃ কালকেই কি চলে যাবে আমিঃ হুম ১মাস তো প্রায় হয়েই গেলো রিয়াঃ কিন্তু নিলার কি হবে নিলাঃ আমি এখানেই থেকে যাবো রিয়াঃ থাপ্পড় খাবি নিলাঃ তুমি আমায় মারতে পারবে তো রিয়াঃ তার জন্যই তো মারিনা আমিঃ চুপ করো,,,আমি আম্মুকে সব বলে দিছি আর নিলা এখানে থাকতে যাবে কেন,,,নিলাও আমাদের সাথে যাবে তারপর কিছুক্ষণ কথা বলে,,চলে আসার সময় বললাম সকাল সকাল তৈরি থাকতে।। হোটেলে এসে সবকিছু গুছিয়ে রাখলাম।।
পরেরদিন সকালে……
সবাই মিলে গাড়িতে উঠলাম,,, আমি আর রিয়া সামনে বসে আছি,, আমাদের পিছনে তিন হারামি আর তাদের পিছে নিলা একা…. সাকিবঃ আচ্ছা নিলা তোমার কি করতে ভালো লাগে নিলাঃ ভালো লাগে না তবে ইচ্ছা আচ্ছে একটা সাকিবঃ বলো কি ইচ্ছা আমি পুরন করবো নিলাঃ আপনাকে মেরে ফেলতে ইচ্ছা করে সাকিবঃ কিহহহহ
সাকিবের অবস্থা দেখে সবাই হেসে দিলাম।।
বাসায় আসতে সারা রাস্তা মজা করতে করতে আসছি,,,কখনো আমি আর রিয়া… আবার কখনো নিলা আর সাকিবের কথা নিয়ে…. যথা সময়ে বাসায় ভার্সিটির সামনে চলে আসলাম,,, তারপর রাফি,নিলয় আর সাকিব চলে গেলো।। আর আমরা গেলাম মার্কেটে,,,কারণ আসার সময় রিয়া আর নিলা জামাকাপড় কিছু নিয়ে আসেনি।।কিছুক্ষণ মার্কেটিং করার পর বাসায় চলে আসলাম,,বাসায় এসে কলিং বেল
বাজাতেই ভাবি এসে হাজির….।। ভাবিঃ আরে রিয়া নিলা যে কেমন আছো তোমরা?? রিয়া আর নিলার দিকে তাকিয়ে দেখলাম দুজনেই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,,, ভাবিঃ আরে অবাক হওয়ার কারন নেই সোহান আমাদের সব কথাই বলছে রিয়াঃ ওহ আচ্ছা(স্বাভাবিক হয়ে) আমিঃ আচ্ছা ভাবি আমরা কি এখানেই দারিয়ে থাকবো।। ভাবিঃ এইরে আমি এতোগুলা সরি,,আর রিয়া নিলা ভেতরে আসো তাড়াতাড়ি।। আমিঃ আর আমায় বলবে কে।। ভাবিঃ আসলে আসো না আসলে এখানেই থাকো বলে ভাবি ওদের নিয়ে ভেতরে চলে গেলো।। আল্লাহ মানুষ এতো নিষ্টুর কিভাবে হতে পারে…এতো সুন্দর কিউট একটা দেবরকে বাইরে দাড় করে রাখে।।মনে এক বস্তা দুঃখ লইয়া বাসায় ডুকলাম….
দেখলাম আম্মু, আব্বু, ভাইয়া সাথে এইমাত্র যে তিনজনের সাথে কথা বললাম তারাও উপস্থিত।
আমিঃ আম্মু দেখো তোমার ছেলে এসেছে
আম্মুঃ আমি এখন আমার ছেলের বউয়ের সাথে কথা
বলছি তোর সাথে পরে কথা বলবো..
আল্লাহ গো আমারে তুইলা লেও,,,,নিজের ছেলের
সাথে কথা বলছে না….
আমিঃ আব্বু তুমি কেমন আছো(আদুরে ডাক দিলাম)
আব্বুঃ হুম ভালো,,,তোমার সাথে পরে কথা বলছি
আমিঃ কেন আব্বু (করুন কন্ঠে বললাম)
আব্বুঃ ছেলের বউয়ের সাথে কথা বলছি তাই…..
আল্লাহ এগুলা কারা,,,, নিজের ছেলের সাথে একটু
কথা বলছে না,,আচ্ছা ভাইকে বলি…
আমিঃ আচ্ছা ভাইয়া আমি কি তোমার সত্যি কারের ভাই
ভাইয়াঃ কেন তোর ডাউট হচ্ছে
আমিঃ না মানে সবার কাণ্ডকারখানা দেখে বলছি
ভাইয়াঃ ভাই তুই আমার বিয়ের পর কি করছিলি মনে আছে….
হায় আল্লাহ ভাইয়ের বিয়া হয়ছে ২বছর আগে এখনো
সেই কথা মনে রাখছে…ভাবছেন কি হয়েছিলো..
আচ্ছা শুনুন তাহলে……..
ভাইয়ের যখন বিয়া হয় তখন আমরা সবাই মিলে
ভাবিকে মাথায় করে রাখতাম,,,ভাইয়া কিছু বললেও
না শোনার ভাব নিতাম…যেমনটা আজ আমার
সাথে হচ্ছে….
ভাইয়াঃ কি হলো মনে পরছে
আমিঃ জি ভাইয়া এখন আমি যাই…..
মন ভরা দুঃখ লইয়া,,,, রুমে চলে আসলাম।।
ফ্রেস হয়ে দিলাম একটা ঘুম,,,আসলে জার্নি করে
খুব খারাপ লাগছিলো তাই ঘুমালাম…আপনারা
আবার অলস বইলেন না।।
ঘুম থেকে উঠে দেখি সন্ধ্যা হয়ে গেছে,,ফ্রেস হয়ে
নিচে নেমে আসলাম,,,,,দেখলাম সবাই বসে আছে।।

সন্ধ্যার সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস
হয়ে নিলাম,,তারপর আস্তে আস্তে
নিচে নামতে লাগলাম।দেখলাম সবাই
নিচে বসে আসে..আমাকে দেখে
শালিকা বলে উঠলো..
নিলা: ঐতো দুলাভাই এসে গেছে
আম্মুঃ কিরে ঘুম ভাঙ্গলো তাহলে
আমিঃ মানে(এখনো ঘুম চোখে আছে তাই আস্তে করে বললাম)
আম্মুঃ মানে সেই যে আসলি এসেই ঘুমাই পরছিস..
আম্মুর কথা শুনে খুব রাগ হচ্ছিলো,,
যখন আমি তাদের ডাকলাম তখন
তাদের খবর নাই আর এখন ডাকছিনা
তো শুরু হয়ে গেছে সমালোচনা।।
কি আর করবো মনটারে কইলাম ভাই
চুপ থাক এদের কিছু বলা যাবে না,,,,
বললে আমার আর নাগিনীকে বিয়া
করা হবেনা…
আব্বুঃ কিরে কি ভাবছিস
আমিঃ কই কিছু না তো
আব্বুঃ ওহ আচ্ছা,আর শোন তোর
জন্য আমরা বিয়ে ঠিক করছি মেয়ে
আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দরী তুই রাজি কিনা বল
আমিঃ কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিনা
তাই রিয়ার দিকে তাকালাম দেখলাম মিট
মিট করে হাসছে,,,বুঝতে বাকি থাকলো না যে
তারা প্লান করে এটা করছে তাই আমিও নিজেকে
উঁচু করে তোলার জন্য বললাম…
আমিঃ বিয়ে করলে আমি আমার
নাগিনী গার্লফ্রেন্ড টাকেই বিয়া করবো
আম্মুঃ সেটা আবার বারন করলো কে
আমিঃ তোমারাই তো বিয়া দিতে চাইছিলে
আব্বুঃ আরে গাধা ঐটা রিয়ার সাথেই…
জানতাম এমন হবে তাই হয়তো
এক্সট্রা ভাব নিয়ে বললাম না হলে
রিয়া তো তার রাগ দেখিয়েই আমায়
মেরে ফেলবো,,আর এখনো আমার বিয়া হয়নাই
তাই আমি না মরার ভয়ে কথাগুলা বললাম…
ক্লিয়ার করে বললে কি সমস্যা তোমাদের
ভাবিঃ থাক আর ঢং করতে হবেনা
আমিঃ তুমি কি বলছো আমি ঢং করছি
ভাবিঃ তা নয়তো কি শুনি
কিছু বলতে গিয়েও বললাম না,,জানি
বললে আমার সম্মান টাই এখন যাবে।।
কিন্তু খুব ভালো করে খেয়াল করলাম রিয়া
কারো সাথে ভালো করে কথা বলছে না,,
কিন্তু কেন,,, ভাবি বা নিলাকে জিজ্ঞাস
করতে হবে।।।।
নিলাঃ কি দুলাভাই কথা বলছেন না কেন
আমিঃ না মানে এমনি
আম্মুঃ ওকে অনেক হয়েছে এবার
সবাই মিলে খেয়ে নাও..
ভাইয়াঃ হুম তাই ভালো
তারপর সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে
যে যার মতো রুমে চলে আসলাম।।
কিন্তু রিয়া কথা বলছেনা এটা কেমন জানি
খারাপ লাগছে,,না এখন আর ভেবে
লাভ নাই….সকালে জিজ্ঞাস করে নিবো।।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমাই পড়লাম।।
সকালে ভাবির ডাকেই ঘুম ভাঙলো…..
ভাবিঃ আর মাত্র এই কয়দিন তারপর আর ডাক দিবোনা
আমিঃ কেন গো ভাবি
ভাবিঃ কারন এখন থেকে রিয়াই সব করবে
আমিঃ তুমি করবে না কেন
ভাবিঃ কারন সে তোমার বউ হবে
আমিঃ কিন্তু তুমি তো আমার বড় বউ
ভাবিঃ থাক আর বলতে হবে না এখন উঠো আমি গেলাম..
তারপর ভাবি রুম থেকে বের হয়ে গেলো,,
আমিও ফ্রেস হয়ে সকালের নাস্তা করে
রুমে এসে নিলাকে আর ভাবিকে ডাক
দিলাম,,এখন রিয়াকে ডেকেও লাভ নাই,,
কারণ আব্বু আম্মু তাকে এখন মাথায় করে
রেখেছে।। আর আমায় ভুলে গেছে মনের
মধ্যে এতো গুলা দুঃখ লইয়া বসে আছি।।
নিলাঃ দুলাভাই বলেন কি বলবেন
এসব কথা ভাবছি এমন সময় নিলা আর
ভাবি এসে আমার রুমে উপস্থিত।।
আমিঃ তোমরা ২জনেই এখানে বসো
ভাবিঃ আচ্ছা এখন বলো
আমিঃ ভাবি আমি খুব ভালো করেই খেয়াল
করছি,,রিয়া চুপচাপ থাকে কিন্তু কেন
ভাবিঃ আরে পাগল এটাই তো স্বাভাবিক
আমিঃ মানে…
ভাবিঃ মানে হলো বাসায় নতুন মেহমান
আসলে তারা চুপচাপই থাকি,,আর রিয়া
তো আমাদের বাসার বউ হবে তাই না
আমিঃ তাই বলে কি চুপচাপ থাকতে হবে
নিলাঃ আচ্ছা আমি আপুকে বলবো কথা বলতে
আমিঃ ঠিক আছে
তারপর তারা চলে গেলো…আমিও
একটা ঘুম দিলাম,,,আড়াই টার দিক ঘুম
থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম….
আম্মুঃ সোহান এদিকে আয়
আমিঃ হুম আম্মু বলো,,আর আব্বু ভাইয়া কই
আম্মুঃ তারা অফিসে গেছে,,আর আজ তুই
রিয়াকে নিয়ে ঘুরতে যাবি
আমিঃ আজকেই যেতে হবে আম্মু
আম্মুঃ হুম আজকেই
আহা কি আনন্দ যে লাগছে,,,আম্মুই
আমার ব্যাপারটা বুঝতে পারছে।।
আম্মুর সাথে কথা বলে রিয়ার রুমে গেলাম,,
দেখলাম শুয়ে আছে…ইসস কত সুন্দর
লাগছে একদম বাচ্চাদের মতো করে ঘুমাই আছে।।
গালে হাত দিতেই রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।।
রিয়াঃ আরে তুমি কখন এলে
আমিঃ এখনি আসলাম
রিয়াঃ ওহ,,,কিছু বলবে
আমিঃ হুম
রিয়াঃ বলো
আমিঃ আচ্ছা রিয়া এখানে কি তোমার ভালো লাগছেনা??
রিয়াঃ হাহাহাহা,,কে বলে এসব কথা
আমিঃ আগে তুমি বলো
রিয়াঃ জানো আমি এখানে খুব আনন্দে আছি..
তোমার বাবা-মাকে দেখেই বুঝতে পারছি
বাবা-মা কত ভালো হয়…আর সাথে ভাইয়া
ভাবি তো আছেই তারাও অনেক ভালো।।
সেখানে তো আমার একমাত্র বোন ছাড়া
কেউ ছিলো না আর এখানে সবাই আছে..
আমি যে একটা নাগিনী তা এখন আর মনেই
হয়না(আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই কান্না করে দিলো)
আমিঃ আরে রিয়া কি করছো,,কান্না থামাও প্লিজ
রিয়াঃ ঠিক আছে আর কান্না করবোনা
আমিঃ হুম গুড গার্ল,আর শোনো আজ
বিকেলে আমরা ঘুরতে যাবো,,,
রিয়াঃ আব্বু আম্মুকে বলছো
আমিঃ আম্মুই বলল
রিয়াঃ ঠিক আছে যাবো তাহলে
তারপর রিয়ার সাথে কথা বলে গোসল করে
খাওয়া দাওয়া করে নিলাম।।
বিকেলবেলা…….
আম্মুঃ সোহান রিয়াকে গাড়িতে করে নিয়ে যা
রিয়াঃ আম্মু গাড়িতেই কি যেতে হবে
আম্মুঃ কেন রে মা গাড়ি নিবিনা
রিয়াঃ আম্মু আজ রিক্সায় করে যাই
আমিঃ না গাড়িতে করে যাবো
রিয়াঃ আম্মু তোমার ছেলে আমায় একদম
ভালোবাসে না বাসলে এমন বলতো না
আম্মুঃ সোহান ও যা বলছে তাই কর
আমিঃ ঠিক আছে আম্মু
তারপর আমি আর রিয়া রিক্সাই করে
আমার পছন্দের জায়গাতে এসে বসলাম,,,
আপনাদের বলা যাবে না বললে যদি এসে
আমাদের প্রেম করার মধ্যে বিরক্ত করেন তাই আর কি…..
আমিঃ রিয়া আমাদের বিয়া হবে কবে
রিয়াঃ কেন বিয়া করে কি হবে
আমি রিয়ার কোলে মাথা রেখে বললাম…
আমিঃ কেন বিয়া কি করবেনা
রিয়াঃ করবো তো তবে আম্মু আব্বু যেদিন বলবে সেদিন
আমিঃ ঠিক আছে আমি আজকেই বলবো
রিয়াঃ ঠিক আছে
রিয়ার সাথে আরো কিছু সময় ঘুরাঘুরির
পর বাসায় চলে আসলাম।।।
এভাবেই আমাদের জীবন চলতে লাগলো..
এরই মধ্যে রিয়া আর নিলা আমাদের বাসায়
এসেছে প্রায় একমাস।।একদিন দেখলাম
সবাই নিচে বসে আছে..আমিও গিয়ে তাদের
সাথে যোগ দিলাম..কিছু বলতে যাবো তার আগেই,,,
আম্মু-আব্বু একটা সুখবর দিলো যা শুনে আমার
লুঙ্গী ড্যান্স দিতে ইচ্ছা করছে..আরে আপনারা
বুঝতে পারেন নাই কেন এতো খুশী হচ্ছি,,
আচ্ছা শুনুন… তারা আমার আর রিয়ার
বিয়ার তারিখ ঠিক করেছে….১সপ্তাহ পরে
আমাদের বিয়ে কিন্তু আব্বু আম্মুকে আমার
বিয়ের কথা বলল কে…
ভাবিঃ কি ভাবছো বিয়ের কথা বাসায় বলছে কে..
আমিঃ ওরে আল্লাহ গো,,, আমি যা ভাবছি
ভাবি কি করে জানলো..ভাবির দিকে তাকিয়ে
বললাম.. তুমি কেমন করে জানলে
ভাইয়াঃ এতো জেনে তোর কাজ নাই
আমিঃ ওহ তার মানে তুমিও ভাবির সাথে আছো
ভাবিঃ শুধু আমরা না সাথে নিলাও আছে
রিয়াঃ তার মানে আমি আর সোহান ছাড়া
সবাই মিলে প্লান করছো তাই তো
আম্মু-আব্বুঃ হুম আমরা তোদের সারপ্রাইজ দিতে চাইছিলাম
রিয়াঃ সত্যি আব্বু আম্মু তোমরা অনেক ভালো(আম্মুকে জরিয়ে ধরে বলল)
আম্মুঃ থাক আর ভালোবাসা দেখাতে হবে না
আমিঃ হুম এখন তো আমি পর হয়ে গেছি তাই
আম্মু আমায় জরিয়ে ধরে না,,ঠিক আছে
সমস্যা নাই… আব্বুতো আছে তাকেই জরিয়ে ধরলাম..
কথাটা বলতে সবাই হেসে দিলো..নিজেকে
মনে হচ্ছে আমি জুকার…
আর শুনুন আপনাদের কেই বলছি…
আপনাদের সবাইকে
আমার বিয়েতে
দাওয়াত রইলো,,, আর একটা কথা বিয়েতে
বেশী বেশী করে গিফট করবেন আমাকে।।
না হলে কিন্তু খেতে দিবো না।।।

দেখতে দেখতে একটা সাপ্তাহ চলে গেলো।।আর হ্যা আজকেই আমার বিয়ে।।আপনাদের কত করে বললাম বিয়েতে আসার জন্য কিন্তু আসলেন না।।তবে না আসার জন্য আমি এতো গুলা খুশী হয়ছি… কারণ আপনারা আসলে আমার নাগিনীকে দেখে ক্রাশ খাইতেন।। বাসা ভর্তি মেহমান যে যার মতো করে কাজ করে যাচ্ছে।। শুধু আমি ছাড়া,,বিয়া করমু তো তাই।।
আজ আমার বিয়া এটা যেমন আমার কাছে খুশির সংবাদ ততোটাই দুঃখের.. আজ সারাদিন একবারো রিয়াকে দেখতে পাইনাই। মনে এক বস্তা বেদনা লইয়া রুমের মধ্যে বসে আছি এমন সময় ভাবি আসল…
ভাবিঃ কিরে মন খারাপ আমিঃ হ্যা ভাবি অনেক খারাপ ভাবিঃ কেন গো তোমার আবার কি হলো আমিঃ আরে তোমাদের কি কোনো কাণ্ডজ্ঞান নাই ভাবিঃ আরে কি হয়েছে বলবি তো(ভাবি যখন আমার থেকে কিছু জানতে চাই,, আর আমি যদি না বলি তাহলে তুই করে কথা বলে) আমিঃ আজ একবারো আমার খবর নিছে কেউ ভাবিঃ এখন বুঝলাম,,, তা এখনি রিয়াকে দেখবে নাকি বাসর ঘরে দেখবে আমিঃ ভাবি কি যে বলো আমার বুঝি লজ্জা লাগেনা ভাবিঃ থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা,, যে জন্য তোমার কাছে এসেছি সেটা আগে বলি আমিঃ ঠিক আছে বলো
ভাবিঃ রিয়া যে একটা নাগিনী সবাইকে কি বলে দিবো নাকি গোপন রাখবো আমিঃ ভাবি ও এখন নাগিনী থাকলেও
পরে মানুষ হবে তাই বলার দরকার নাই ভাবিঃ আমি আর আম্মুও সেটাই বলছিলাম আমিঃ ঠিক আছে,,আর কেউ ওর নামে কিছু জিজ্ঞাস করলে বলো রিয়া তোমার মামাতো বোন
ভাবিঃ আরে কত বুদ্ধি আমার দেবরটার আমিঃ দেখতে হবে তো দেবরটা কার ভাবিঃ হুম এখন চুপচাপ রুমে বসে থাকেন আমিঃ আচ্ছা কিউট ভাবি
তারপর ভাবি চলে গেলো,, আমিও নিজের মতো করে রুমে বসে
ফোন গুতাতে লাগলাম।। যথাসময় আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলো।।
বাসরঘরে….
আমার আজ খুশী লাগলেও বাসরঘরে ডুকতে খুব ভয় করছিলো..কিন্তু কি আর করা ভাবি আর বন্ধুদের অত্যাচারের কারনে ডুকতে হয়েছে,,,যখন রুমে ডুকতে যাবো ঠিক তখন ভাবি বলল.. ভাবিঃ দেবরজি বিড়ালটা কিন্তু ভালো করে মেরো আমিঃ ভাবি বাসর ঘরে কি বিড়াল থাকে..?? ভাবিঃ সেটা রিয়াকে বলো তাইলে বুঝবে আমিঃ আরে তুমি শিখায় দাও কিভাবে মারবো না হলে তো বউ বলবে বিড়ালটাও মারতে জানিনা ভাবিঃ আহারে শখ কত যা তো এখন…
কিছু বলতে যাবো তার আগেই ভাবি উধাও,, ধুর কেমনডা লাগে একটা কাজের নাম বলেও তার রেজাল্ট টা বলে যাবে সেটা না বলেই চলে গেলো..মনের মধ্যে দুঃখ লইয়া বাসর ঘরে ডুকলাম…
বাসরঘরে ডুকে দেখলাম রিয়া ঘাটে বসে আছে।।সাথে ইয়া বড় ঘুমটা দিয়ে।। রিয়ার কাছে গিয়ে তার ঘুমটা তুলে দিতেই মনে হচ্ছে আকাশের পরি আমার ঘরে আবির্ভাব ঘটেছে।। ওকে দেখেই দারিয়ে গেলাম.. রিয়াকে দেখতে অনেক
সুন্দর লাগছে থুক্কু সুন্দরী।। লাল শাড়ী, কপালে টিপ,হালকা মেকাপ দেখতে জাস্ট অসাম লাগছে.. কেউ আমারে ধরো আমি কিন্তু বস্তা বস্তা ক্রাশ খাইতেছি।। রিয়াঃ কি হলো দারিয়ে রইলে কেন..?? এসব কথা ভাবতাছি এমন সময় কল্পনাকে দূরে শরিয়ে রিয়ার ডাক কানে ভেসে আসলো..আজ কেমন জানি খুব ভালো লাগছে…
রিয়াঃ কি হলো কি দেখছো এমন করে আমিঃ আমার নাগিনীটাকে রিয়াঃ থাক আর দেখা লাগবেনা আমিঃ কেন গো
রিয়াঃ আমার লজ্জা লাগে না বুঝি আমিঃ তাই এতো লজ্জা পেয়ে কি হবে রিয়াঃ ধ্যাত,,,, আমার লজ্জা লাগছে আমিঃ থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা রিয়াঃ ঠিক আছে।
আমিঃ আচ্ছা বিড়াল কোথায় রিয়াঃ মানে কে বলল
আমিঃ আরে ভাবি বলল
রিয়াঃ কি বলছে
আমিঃ বিড়াল জেনো ভালো করে মারি রিয়াঃ তাই এখন কি করবে তাহলে আমিঃ চলো বিড়াল মারি
আর কিছু বলবো তার আগেই রিয়া,, আমার নিরিহ ঠোট দুইটা তার নিজের আয়ত্তে করে নিলো…প্রায় পাচ মিনিট পর ছারলো।।দুজনেই হাপাচ্ছি তবে কেন জানি অজানা এক ভালো লাগা কাজ করছে।।
রিয়াঃ কি হলো কি ভাবছো আমিঃ বিড়াল মারার কথা
রিয়া কিছু না বলেই আমার কলার ধরে ঘাটের উপর ফেলে দিয়ে….
এই আপনাদের আর শুনতে হবে না আমার লজ্জা লাগে..বাকিটা না হয় ইতিহাস হয়ে থাক,,আর যদি একান্ত কারো জানতে ইচ্ছা করে তাহলে বিয়া করে ফেলেন।।
পরেরদিন সকালে….
রিয়াঃ এই উঠো… কি হলো উঠো আমিঃ হুম আর একটু(চোখ কচলাতে কচলাতে বললাম)
রিয়াঃ না এখনি উঠো
আমিঃ ঠিক আছে উঠছি,,,, রিয়াঃ এখন ফ্রেস হয়ে আসো আমিঃ হুম
তারপর বাথরুমে গিয়ে কিছুক্ষণ শাওয়ার নেয়ার পর রুমে আসলাম,, কিন্তু রিয়া কই গেলো।। মনে হয় নিচে গেছে….. আমিও ড্রেস পরে নিচে এসে দেখলাম সবাই বসে আছে…
আব্বুঃ ঘুম ভাঙলো তাহলে আমিঃ হুম আব্বু
আম্মুঃ আয় খেয়ে নে
তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে যে যার রুমে চলে গেলো,,, দেরিতে আসার কারনে আমার খাওয়া দেরী হচ্ছে… এমন সময় ভাবি এসে উপস্থিত.. আমিঃ ভাবি কিছু বলবে ভাবিঃ হুম বলবো তো আমার দেবরজিকে আমিঃ হুম বলো
ভাবিঃ বিড়াল কেমন মারলে আমিঃ ভাবি এগুলা বলতে আমার লজ্জা লাগে আর তোমার শুনতে লজ্জা লাগে না। ভাবিঃ না এখন তারতারি বলো
বলছি আগে খেয়ে নেই..তারপর খাওয়া শেষ হতে দিলাম এক হোসাইন বল্টের দৌড়।। এক দৌড়ে রুমে এসে হাজির..
রিয়াঃ আরে দৌড়াচ্ছ কেন আমিঃ তোমাকে দেখার জন্য(ঢপ মারলাম) রিয়াঃ থাক ঢং করতে হবে না আর। আমিঃ তাহলে কি করবো তুমিই বলো রিয়াঃ কিছু করতে হবে না আমিঃ আচ্ছা সোনা বউ।
এভাবেই চলতে লাগলো আমাদের সংসার,,, মাঝে মধ্যে ঝগড়া লাগলেও বেশীক্ষনের জন্য না,, মাত্র ২থেকে ৩ ঘন্টার জন্য।।আর নিলাকেও পড়াশোনার জন্য ভালো কলেজে ভর্তি করে দিছে আব্বু-আম্মু।।
অনেক আনন্দেই দিন কাটছিলো আমাদের।।আব্বু
আম্মু,ভাইয়া ভাবি, নিলা, রিয়াকে নিয়েই সব ছিলো
আমার।।মাঝে
মাঝে নিলাকে অনেক রাগিয়ে নেই,,কিন্তু
আব্বু-আম্মু আমায় বকা দেয়াই সরি বলতে
হয় আমার।
এইতো কয়েকদিন আগের ঘটনা…
সবাই মিলে বসে আড্ডা দিচ্ছি এমন
সময় নিলা কলেজ থেকে বাসায় ফেরে..
আমিও ওকে দেখার পর জোড়ে জোড়ে
রিয়াকে বলতে লাগলাম…..
আমিঃ রিয়া ভাবছি সাকিবের সাথে নিলার
বিয়া দিবো তুমি কি বলো
রিয়াঃ আমার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো
মজা করছি তাই ও বলল,,হ্যা দেয়াই যাই
আমিঃ ঠিক আছে আমি তাহলে সাকিব
কে ফোন দিয়ে আমাদের বাসায় আসতে
বলি….
আর কিছু বলতে যাবো তার আগেই
দেখি নিলা রেগে গিয়ে অবস্থা খারাপ।।
মনে হচ্ছে কেঁদে দিবে,,আর হ্যা ও
একদম সাকিবকে পছন্দ করেনা।।
তাই বার বার রাগানোর জন্য বলি….
আম্মুঃ আরে মা কান্না করছিস কেনো
এইরে যা ভাবছিলাম তাই হলো…
কেনো যে রাগাতে গেলাম,,,এখন আমিতো
শেষ।।
নিলাঃ তোমরা কেউ আমাকে ভালোবাসো না
আম্মুঃ আরে পাগলি কি বলছিস আমরা
সবাই তোকে অনেক ভালোবাসি
নিলাঃ না আমি জানি কেউ ভালোবাসে না
ভাবিঃ আচ্ছা বোন বলো এখন আমাদের
কি করতে হবে যা করলে বুঝবে আমরা
তোমাকে ভালোবাসি
নিলাঃ দুলাভাইকে কান ধরতে বলো
আমিঃএ্যাঁ..😣😣
ভাবিঃ এ্যাঁ নয় হ্যা 🥴🥴
আমিঃ আমি পারবোনা
আম্মুঃ কি বললি
আমিঃ রিয়া তুমি একটু বলো যে মজা
করছিলাম আমরা
রিয়াঃ না আমি কিছু জানিনা
সালা বিপদে পরছি তাই বউটাও
সঙ্গ ছাড়ছে,,, ওয়াও ওয়াও
নিলাঃ দেখেছো মা এখনো কান ধরে নাই(নিলা
আম্মুকে মা আর আব্বুকে বাবা বলে)
আম্মুঃ ঐ ধর
তারপর আর কি করা পুরা ১০মিনিট কান
ধইরা থাকতে হয়েছে……
এভাবে চলতে লাগলো আমাদের পরিবার..
১বছর পর…….

আনন্দ, দুষ্টু ঝগড়া এবং মিষ্টি
শাস্তিতেই চলে গেলো একটি
বছর।।বাসার সবাই
এখন অনেক খুশী।। আর
তার থেকেও আমরা সবাই
বেশি খুশী কারন ভাবি প্রেগন্যান্ট।।
বাসার সবাই ভাবির যত্ন করে।।
কিন্তু তার থেকেও বেশী
রিয়া আর আম্মু করে।।
তাদের সব কাজ বাদ দিয়ে
ভাবিকে নিয়ে থাকাই তাদের
প্রথম এবং প্রধান কাজ।।
এ ভাবে পুরো ৫টা বছর পার হয়ে গেলো …..
জুথিঃ ছোট আব্বু ছোট আব্বু
আমিঃ হ্যা ছোট আম্মু বলো
আর তুমি হাপাচ্ছো কেন
জুথিঃ আমাকে রোহান মারার
জন্য তারা করছে
আমিঃ কিন্তু কেন….
জুথি কিছু বলতে যাবে
তার আগেই রোহান এসে
হাজির…
রোহানঃ আব্বু ও যা যা বলছে সব
মিথ্যা কথা বলছে
আমিঃ তুমি জানলে কি করে
জুথি মিথ্যা কথা বলছে
রোহানঃ ওকে দেখেই বোঝা যাই….
আব্বু তুমি ওকে ছেড়ে দাও
জুথিঃ না ছোট আব্বু আমাকে
ছেরো না…
রোহান কিছু না বলে কি যেনো
খুজতেই লাগলে,,আর এদিকে
জুথি হাওয়া হয়ে গেছে…
রোহানঃ আব্বু জুথি আপু কই
আমিঃ বলা যাবেনা
রোহানঃ আমি কিন্তু বড় আম্মুকে
বলে দিবো
আমিঃ এর মাঝে তাকে ডাকার কি আছে
রোহানঃ বড় আম্মুউউ(চিৎকার
দিয়ে বলল)
আমিঃ আরে বলছি তো
রোহানঃ হুম বল
আমিঃ তোমার আম্মুর কাছে…
আর কিছু বলার আগেই দিলো
এক দৌড়…আচ্ছা এখন
বলি ওরা দুজন কে বা কারা….
জুথি হলো ভাইয়া আর
ভাবির মেয়ে….আর রোহান
হলো আমার আর রিয়ার ছেলে
পুরোই পাজি হাড্ডি..যখন
সুযোগ পাবে তখনি জুথিকে মারবে..আজ রোহানের রক্ত
পান করেই নিলা আর রিয়া
মানুষ হবে.. তাই আমি নিচে
বসে আছি এমন সময় রোহান
আর জুথি যা করলো…
তা তো আপনারা পড়লেনি…
নিলাঃ ঐ দুলাভাই
আমিঃ হুম বলো
নিলাঃ এতক্ষন যে ডাকছি
কথা কি কানে যাই নাই…
আমিঃ না মানে আসলে…
নিলাঃ থাক আর বলতে হবে
না…. এখন চলেন সবাই
আপনার জন্য অপেক্ষা করছে…. আমিঃ আচ্ছা চলো…
এসে দেখলাম সবাই রয়েছে…
কিন্তু ২টা জিনিস মাথায় ডুকছেনা…
এতো সাজানোর
কি দরকার…. আর হলো রোহান..
আমিঃ আচ্ছা ভাইয়া এতো সাজানোর
কি আছে
ভাইয়াঃ তোর ভাবিকে বল
আমিঃ ভাবি তুমি বলো
ভাবিঃ সেটা এতো ভাবতে
হবে না তোমার
আমিঃ আ…
রিয়াঃ তোমাকে চুপ করতে
বলল তো তাও কথা বলো কেন
আর কিছু বললাম না।।বউ
মানা করছে তারপরও কি
কথা বলা যাই….তবে আজ
খুব খুশী লাগছে…এই ভেবে
যে রিয়া আজ নাগিনী
থেকে মানুষ হবে।।আহা বউ
আমার মানুষ হবে
কিন্তু রোহান কই….
সবাই মিলে রোহানকে খুছতেছে
কিন্তু কেউ পাচ্ছে না..
ছেলেটা গেলো কোথায়…
আব্বুঃ এই টুকু বাচ্চা ছেলেকে তোরা
আগলে রাখতে পারিস
না(অনেক রেগে গিয়ে কথাটা
বলল)
কারন আব্বু-আম্মু বাসার সবার
থেকে রোহান আর জুথিকে
ভালোবাসে… ওরা দুজন যাই
করুক সব তাদের মাফ…
এইতো দুদিন আগের ঘটনা….
রিয়াঃ রোহান দুধ টুকু খেয়া নাও
রোহানঃ না আম্মু আজ খাবোনা
রিয়াঃ প্লিজ বাবা একটু খাও না
হলে সবাই তোমাকে পচা বলবে
রোহানঃ আম্মু আমি খাবোনা বলছি তো
রিয়া আরো কয়েকবার বলার
পরও যখন কাজ হচ্ছিলো না
তখন রিয়া অনেকটা রেগে গিয়ে
ধমক দেয়।।।আর রিয়ার যে
রাগ আপনারা তো সবাই জানেনি…
রোহান রিয়ার ধমক খেয়ে কান্না
করতে করতে আব্বু-আম্মুর রুমের
ঘাটের নিচে লুকিয়ে ছিলো…
পরে যখন আমরা সবাই মিলে
রোহানকে খুজে
বের করে রিয়াকে বকা দেয় তখন
তার কান্না থামায়।।কিন্তু আজ কি
হলো যার করনে আজকেও উধাও….
এসব ভাবছি এমন সময় জুথি বলল….
জুথিঃ দাদু আমি জানি রোহান
কোথায় আব্বু-আম্মু সহ আমরা
সবাই অবাক…কারন সবাই মিলে
তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পাচ্ছিনা
আর জুথি যানে ও কোথায়…
আব্বুঃ তুমি সত্যি যানো রোহান
কোথায়।। জুথিঃ জানি তো
এদিকে রিয়া তো কান্না করতে করতে
শেষ। জুথির এমন কথা শুনে
কান্না থামিয়ে….
রিয়াঃ মা আমার বলো ভাইয়া কোথায়
আর কি করছে।।
জুথিঃ ছোট আম্মু আমি যদি
তোমাদের বলি যে রোহান কোথায়
তাহলে ও আমাকে মারবে।।
রিয়াঃ না মা মারবে না তুমি বলো।
জুথিঃ সত্যি মারবে না তো
ভাবিঃ না মারবে না বলো।
জুথিঃ রোহান দাদু আর দিদার
ঘাটের নিচে লুকিয়ে আছে
আমিঃ ছোট আম্মু তুমি কি যানো
কেন ও লুকিয়ে আছে।।
জুথিঃ না ছোট আব্বু।।
আমিঃ আচ্ছা তোমরা সবাই
থাকো আমি ওকে নিয়ে আসছি..। আব্বুঃ তারাতারি নিয়ে আই
আমি কিছু না বলে আব্বু-আম্মুর
ঘরে গিয়ে দেখলাম রোহান ঘাটের
নিচে লুকিয়ে আছে…
আমিঃ রোহান তুমি এখানে লুকিয়ে
আছো কেন…
রোহান কিছু না বলে ঘাটের নিচ
থেকে বের হয়েই কান্না জুরে দিলো।। আমিঃ বাবা তুমি কান্না করছো কেন
রোহানঃ আব্বু আমি রক্ত দিবোনা
আমিঃ কাকে দিবে না
রোহানঃ আমি হাত কাটবো না। আমিঃ তোমাকে কে হাত কাটার কথা বলছে রোহানঃ জুথি আপু বলছে
আমিঃ মিথ্যা বলছে এখন
নিচে চলো সবাই অপেক্ষা করছে।। রোহানঃ ওকে চলো
নিচে এসে……
রিয়াঃ বাবা তুই কেন পালিয়ে ছিলি রোহানঃ আপু ভয় দেখাইছে
জুথিঃ ঐ আমি তোকে কি বলছি।। রোহানঃ তুই আমায় বলছিস আমার
রক্ত নাকি আম্মু আর আন্টি খাবে। জুথিঃ হুম তাই আমি কি তোকে
ভয় দেখাইছি
রোহানঃ জানি না…দাদু আমি রক্ত দিবো না কাউকে প্লিজ বারণ করো
আব্বুঃ আরে ভাইয়া তুমি তো খুব সাহসী তাই না
রোহানঃ হুম
আব্বুঃ তাহলে ভয় পাচ্ছো কেন
রোহানঃ ঠিক আছে তাহলে আমি দিবো।। আব্বুঃ এইতো আমার সাহসী ভাই জুথিঃ আর আমি কি
এইবার আব্বু রোহান আর জুথিকে কোলে নিয়ে বলল…
আব্বুঃ আমার দুজন ভাই-বোন অনেক ভালো আর সাহসী
রোহানঃ কিন্তু আপুর থেকে আমি বেশি ভালো
জুথিঃ যে বড় সেই ভালো।।
রোহানঃ তাহলে আমার বয়স ৫০বছর
রোহানের কথা শুনে সবাই
হো হো করে হাসি শুরু করে দিছি।। পাজিটার
বাপের বয়স ৫০হয়নি আর এখন
নাকি ওরি ৫০বছর হয়ে গেছে।।
তারপর অনেক কষ্টে রোহানের
থেকে রক্ত নিয়ে আমার নাগিনী
বউ আর শালিকা পান করলো।।
রাতে…..
অনুষ্ঠান শেষে সবাই যার যার রুমে
চলে গেলাম।।আর হ্যা জুথি
আর রোহান দুজনি আব্বু আম্মুর
সাথে ঘুমাই…..
আমিঃ রিয়া
রিয়াঃ হুম বলো
আমিঃ চলো না আরেক বার খেলি।। রিয়াঃ মানে কি খেলবে।।
আমিঃ আরে বাসর ঘরে যা খেললাম।। রিয়াঃ যা দুষ্টু
আমিঃ চলো না আরেকবার বিড়ালটা
মারি রাজি হও না গো সোনা বউ।। রিয়াঃ আচ্ছা আসো
তারপর……. আর বলবো না আমার লজ্জা লাগে।।আর বাকিটা ইতিহাস হয়ে থাক।।