খালাতো বোনের বিয়ে এইজন্য আম্মু ছুটি নিয়ে তারাতাড়ি বাসায় যেতে বেলেছে আমি।
ও আম্মুর কথা অনুযায়ী ছুটি নিয়ে বাসায়
চলে এসেছি।
~কিন্তু বাসায় এসে দেখি তালা লাগিয়ে সবাই চলেগেছে, তাই আর কিছু না ভেবে আমি ও
খালার বাসায় রওনা করে দিআলাম। আসলে খালার বাসা বেশি দূরে না হেটে গেলে ৩০ মিনিট এর মতো লাগে হয় তো আর বাইকে গেলে ৭-৮ মিনিট এর মতো লাগে।
~খালার বাসায় গিয়ে দেখি অনেক মেহমান চলে এসেছে সন্ধ্যায় গায়ে হলুদ এর অনুষ্ঠান তাই নিয়ে সবাই ব্যস্থ আছে।
~খালা আমাকে দেখে তারাতাড়ি রুমে নিয়ে গিয়ে খাবার দিয়ে বলল তারাতাড়ি খেয়ে বাহিরে আয় একটু পরেই গোসল করানো হবে আর তুই
এত দেরি করে কেন আসলি।
~খালা আর বোলনা আম্মু যদিও আগে বলেছিলো তার উপর অনেক কাজ সব মিলিয়ে আসতে আসতে দেরি হয়ে গেছে।
তুমি যাও আমি খাবার খেয়ে আসতে আছি।
~খাবার খেয়ে বাহিরে এসে দেখি সবাই রেডি সবাই যেন আমার অপেক্ষায় ছিলো আমি ও
সবার মধ্যে শামিল হয়ে গেলাম হুলদ মাখা মাখি আবির মাখানো সব মিলিয়ে খালাতো ভাই বোন নানি রা আর ছেলের বাড়ি থেকে আসা সবাই মিলে আমাকে ভূত বানিয়ে দিয়েছে।
~আম্মু ইশারায় বললো যা হচ্ছে মেনে নাও
খারাপ লাগলেও রাগ কন্ট্রল করতে হবে আজকে।
~রাগে যেন নিজের মাথার চুল নিজের ছিরতে ইচ্ছা করছিলো তবুও নীরব হয়ে গেলাম।

~এই যে বেয়াই আপনার নাকি খুব রাগী?
~কে আপনি?
~আমি ছেলের খালাতো বোন।
~ভালো। রাগী তা কে বলছে?
~আপনার আম্মু আর ছোট বোন বলছে তাই প্লান করে আপনাকে এই রকম ভূত বানিয়ে দিলাম।
~শোনেন বেয়াইন জনাবা।
~আজকে শুধু আম্মুর কথায় কিছু বলিনাই না হলে এই ভূত বানানোর শোধ আমি ও নিতাম।
যাক সে সব কথা আমি আজিজুল হক হাত বাড়িয়ে দিয়ে….
~আমি লামিয়া।
~আচ্ছা থাকেন তাহলে গোসল করতে হবে আমার।
~আচ্ছা বেয়াই গোসল করে আসেন তার পর কথা হবে।
~গোসল শেষ করে এসে খালাতো বোনের রুমে ঢুকতেই….
~আরে আমার স্বাদের বেয়াই যে, আসেন আসেন বসেন।
~এত খাতির না দেখালেও চলবে বেয়াইন।

~এমন সময় খালুর ফোন….
~হ্যাঁ খালু বলেন…?
~শহরে যেতে হবে এখনি।
~আচ্ছা যাচ্ছি…
~বেয়াই কোথায় যাচ্ছেন?
~কাজ আছে বেয়াইন তাই যাচ্ছি।
~আচ্ছা তারাতাড়ি আসবেন রাতে কিন্তু গান গেয়ে শোনাতে হবে।
~আমি গান পারিনা বেয়াইন বলেই চলে আসলাম।

~শহরে এসে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরবো এমন সময় আম্মুর ফোন…
~হ্যাঁ আম্মু বলো…
~ আইসক্রীম নিয়ে আসিস তো দুই লিটার।
~আচ্ছা ঠিক আছে।
~খালার বাসায় ফিরে আম্মুকে আইসক্রীম গুলো দিয়ে আমি চেয়ারে বসে গল্প লিখছিলাম
এমন সময় লামিয়ার আগমন।
~বেয়াই আপনার ফেসবুক আইডি এর নাম কি?
~ফেসবুক আইডি নিয়ে লাভ নেই আমার গার্লফ্রেন্ড আছে।
~কেন আমি কি বলছি আপনার গার্লফ্রেন্ড হবো।
~না তা বলেন নাই তবে বলাতো যায়না কখন বলে ফেলেন।
~আইডি দিন আর কথা কম বলেন।
~AH Azizul Haque লিখে সার্চ করেন
আমার ফটো সহো আইডি চলে আসবে।
~হুম পাইছি রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করেন।
~পরে করতেছি কাজ করি।
~কি কাছ করেন ফেসবুকেই তো আছেন।
~না ফেসবুকে নেই কাজ করি।
~না এখনি করেন।
~হুম করতেছি।

-কিছু সময় পরে……

~বেয়াই আপনি তো দেখি একজন লেখক?
~না লেখক হতে পারিনাই চেষ্টায় আছি।
~চেষ্টা করেন ঠিক হয়ে যাবেন।
~ধন্যবাদ আপনি এখন আসতে পারেন!
~কেন কেন?
~অপরিচত ছেলের সাথে বেশি সময় দিতে নাই প্রেমে পরে যাবেন।
~পরলে পরবো সমস্যা কি?
~সমস্যা অনেক, এখন যান এখান থেকে
~ আপনি আসলেই রাগচটা এত রাগ ভালোনা।
~দুঃখিত বেয়াইন গল্প লিখি পরে কথা হবে।

~রাতে নাচের অনুষ্ঠান চলছে বেয়াইন আমার সেই নাচতে পারে তা আগে জান্তাম না।
~নাচের মধ্যেই আমাকে টেনে নিয়ে তার সাথে নাচতে বললো ‘যদিও খুব একটা পারিনা তবুও
তাকে লজ্জা দিলাম না তাই একটু নাচলাম।
~আম্মুর দিকে তাকাতেই দেখি সে হাসতেছে।
~আম্মু হাস কেন?
~তোর কান্ড দেখে।
~আমি কি করলাম…?
~কি করিস নাই বল লামিয়ার সাথে নাচলি যে তোর কাছে কেউ আসতে পারেনা।
~ধূররর যা হবার হয়েছে বাদ দাও আমি ঘুমাবো কোন রুমে তাই বলো।
~এখন বাসায় যা শেষ রাতের দিকে আবার আসিস অনেক কাজ করতে হবে তোকে।
~আচ্ছা তুমি ফোন দিও।

~এই যে লিপজেল চোর কোথায় যাচ্ছেন?
~বাসায়।
~কেন?
~রাতে বাসায় থাকা লাগবে।
~আরে তাই বলে এখনি যাবেন?
~হুম।
~না আর কিছু খন থেকে জান!
~কেন?
~আড্ডা দিতাম আপনি ছাড়া আর কাউকেই ভালো লাগেনা যে তাদের সাথে আড্ডা দিবো।
~পাগলামী বন্ধ করেন আর রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরেন।
~না আপনার সাথে আড্ডা দিবো।
~আমি কিছু না বলে চলে আসছি।

~শেষ রাতের দিকে যখন গেলাম দেখি লামিয়া আমার খালাতো বোন, আমার বোন আরো অনেক লুডু খেলতেছে।
~আমাকে দেখেই লামিয়া বলে উঠলো……
~ভাব ওয়ালা আসছে গো সবাই তাকে একটু বসার যায়গা করে দাও।
~আমার ছোট বোন বলল লামিয়া আপু বেশি কথা না বলে নিজের কাজ করেন ভাইয়ার রাগ
সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা নেই।
~আরে তুমি বাদ দাও কত দেখলাম।

~আমি নিজের কাজে লেগে গেলাম
কাজ শেষ হলো তখন ফজরের আযান দিচ্ছে
তার পর একটা কাথা নিয়ে বরের জন্য বানানো বেডের উপর গুটিসুটি মেরে শুয়ে পরলাম।

কিছু সময় পরেই কারো কোমল হাতের স্পর্শে
পেয়ে আমি উঠে বসলাম।
~কাথার মধ্যে থেকে বের হতেই দেখি আমার বোন আর লামিয়া বেডের পাশে দাড়িয়ে আছে।
~ছোট বোনকে বললাম সমস্যা কি তোর?
~না ভাইয়া আমি কিছু করিনাই লামিয়া আপু করছে।
~লামিয়া ভালো করে শুনে রাখেন আপনি হয় তো আমাকে পছন্দ করে ফেলেছেন তাই আমার সাথে এত সখ্যতা দেখাতে আসেন কিন্তু আমি আপনাকে পছন্দ করি শুধু বেয়াইন হিসেবে এর বাহিরে আর কিছু করা সম্ভব না করান আমি ও একটা সময় মেয়েদের সাথে বহুত টাইমপাস করেছি মিথ্যা মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় ও করেছি একটা সময় ভালো ও বেসেছি কিন্তু এখন আমার সবটা জুড়ে শুধুই আমার পরিবার
এর বাহিরে আর কিছু আমার পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব।

~শোন বেয়াই আপনি যদি ভেবে থাকেন আমি নির্লজ্জ তাহলে আপনি ভুল করবেন।
হ্যাঁ তবে এই কথা সত্যি যে আমি আপনাকে পছন্দ করি আর জীবনের প্রথম পছন্দ তো এই ভাবে মিথ্যা হয়ে যেতে পারেনা।
তাই সহজ ভাবেই বলছি আপনার গার্লফ্রেন্ড হওয়ার কোন ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা কোন কিছুই
আমার নেই তবে একটা ইচ্ছা আছে আপনার মতো ভারী মেজাজের মানুষকে বিয়ে করা।
আশাকরি যে কি বলতে চেয়েছি আপনি ঠিক বুঝেছেন?
~দেখুন লামিয়া আপনি অনেক কিছুই ভাবতে পারেন আমাকে তাতে আমার কিছু যায় আসেনা আপনি আমার আত্মীয় এটাই আমার কাছে বড়।
~আচ্ছা আপনার সাথে আবার মুখ মুখী হবো তবে সময়টা তখন আমার অনুকূলে থাকবে।
~যদি কখনো এমন সময় আসে তাহলে নীরবে মাথা পেতে নিবো। এখন আপনি আসতে পারেন!

~সকাল গড়িয়ে দুপুর যে যার মতো আছে তবে লামিয়া আমার সামনে আসলেও আমার সাথে কথা বলেনা।
~মেহমান চলে এসেছে সাথে ডজন খানেক সুন্দরী ললনা এসেছে আর আমি যেহেতু কনের ভাই বুঝতেই পারছেন আমার সাথে তাদের সখ্যতা একটু বেশিই হচ্ছে।
~বিয়ের কাজ শেষ হয়ে গেছে মেহমান বসে গেছে আমার ও তাদের আপ্যয়নের জন্য একটু ব্যস্ত আমার দাহিত্ব পরেছে লামিয়া সহ তাদের টেবিলে আমি খাবার পরিবেশন করতেছি লামিয়া কিছু বলছেনা তার নিজের মতো করেই খাচ্ছে। হঠাৎ বলে উঠলো বেয়াই হা করেন…!
~আমি চুপ চাপ তার কথা মেনে নিলাম কারন কাউকে যদি অপমান করার হয় একাকী করা উচিৎ কারো সামনে নয়।
গোস্ত এর একটা টুকরা আমার মুখে দিয়ে দিলো। অন্য সবার নজর আমার দিকে আমি
বুঝে ও না বোঝার ভান করে চুপ করেই থাকলাম।

~নতুন বেয়াইন দের সাথে আড্ডা দিচ্ছি লাম
তারা এক একজন যেন সুন্দরীর ডিব্বা আসলে যে কে কতটা সুন্দরী তা বোঝা আসলেই মুশকিল।
~বেয়াই সাহেব….? (লামিয়)
~হুম বলেন আশা করি যে ভাইয়ার বাড়িতে
আপনাকে ঠিক পাবো?
~হুম পেতে পারেন।
~আচ্ছা চলে যাচ্ছি ভাল থাকবেন!
আর ফোন দিলে রিসিভ করিয়েন।

~ঝমকালো আয়োজন যেন নিমেষেই শান্ত হয়ে গেলো। আসলে মেয়ের বাড়ির অবস্থা এমনি হয়
নিজেতো চলে যায় সাথে একটা নিঝুম নীরবতা রেখে যায়।
~কিছু সময় সবার সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

~পরের দিন চার পাঁচ জন মিলে গেলাম বোনের শশুর বাড়ি নতুন মেহমান তাই খাতির যত্ন একটু বেশিই হচ্ছিলো।
~বেয়াই সাহেব কেমন আছেন?
~জ্বী আপু ভালো আছি।
~আমি আপনার আপু কখন থেকে।
~যখন থেকে আপনার ভাই আমার ভাই হয়ে গেছে তখন থেকে।
~আপনার সাথে কোন কথাই বলবোনা।
~না বললে আর কি করা।

~পরের দিন আবার গেলাম বোনকে আনার জন্য সবার সাথে বসে ছিলাম এমন সময়
লামিয়া এসে হাজির।
~আজিজুল ভাই আপনার সাথে কথা আছে
একটু আসবেন প্লিজ!
~ আপনি জান আমি আসতেছি।
~আচ্ছা।

~লামিয়ার সাথে তোমার কি কথা (আব্বু)।
~কি জানি আব্বু আমি তো জানিনা।
~যাও শুনে আসো।
~আচ্ছা।

~বলেন মিস লামিয়া কি বলবেন?
~আমি কিছু বলবোনা আম্মু আপনার সাথে কথা বলবে।
~আন্টি কোথায়..?
~আসসালামুআলাইকুম আন্টি কেমন আছেন…?
~জ্বী ভালো। তুমি…?
~জ্বী আন্টি ভালো আছি।
~তোমার বাসার সবাই কেমন আছে…?
~জ্বী আন্টি ভালো আছে।
~আচ্ছা তোমরা তাহলে কথা বলো আমি আসি।
~মিস লামিয়া থাকেন আপনি আমি ও যাই।
~আচ্ছা ঠিক আছে।

~দেখতে দেখতে কেটে গেছে কয়েক মাস এর মধ্যে লামিয়ার সাথে অনেক বার কথা হয়েছে
ফেসবুকে এর মাধ্যমে।
~আমি বুঝতে পারি যে লামিয়া কি বলতে চায় কিন্তু কখনো তাকে বলার সুযোগ আমি করে দেইনি।

~আসসালামুয়ালাইকুম আম্মু কেমন আছেন…?
~হুম ভালো আছি তোর জ্বর কমছে…?
~হুম এখন সুস্থ।
~তাহলে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে আয়।
~আচ্ছা আগামীকাল আসবো।
~আচ্ছা ঠিক আছে।

~বাসায় আসতেই দেখি অনেক মেহমান এসেছে কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না হঠাৎ এত মেহমান কেন।
~আমার রুমের কাছে যেতেই দেখি রুম খোলা কিন্তু আমি বাসায় না থাকলে এই রুমে কেউ আসেই না।
~রুমে ঢুকে তো অবাক আমার খালাতো বোন লামিয়া খালাতোন এর শাশুড়ি তারা এসেছে
তাই হয় তো আমাকে আসতে বলেছে সবার সাথে সৌজন্যমূলক কথা বার্ত বলে গোসলে চলে গেলাম।
~রাতে সবার সাথে অনেক আড্ডা দিলাম
~পরের দিন সকালে সবাই চলে গেলো।
~শুয়ে আছি রুমে সময় তখন সবে মাত্র বিকেল হ্যাঁ বিকেলেঈ হবে রোধের তাপ অনেকটাই কমে গেছে।
~আজিজুল রেডি হও।
~কোথাও যাচ্ছি আমরা..?
~হুম।
~কোথায়..?
~গেলেই দেখতে পারবা।

~আমাদের শহর ছাড়িয়ে কিছু দূর যেতেই আম্মু
বললো বাইক দাড় করা সবাই আসুক।
~রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছি আমি আর আমার আম্মু।
~কিছু সময় পরেই দেখলাম খালাতো বোন তার বর আমার পরিবারের অন্য সদস্য এবং আমার দাদা বাড়ির লোকজন নানু বাড়ির লোকজন
ইজি বাইকে করে আসলো।
~আম্মু এই সব এর মানে কি?
~কোন মানে নেই বাবা যা হচ্ছে দেখে যাও আর
যা করতে বলি তাই করো।
~দেখ বিয়ে কিন্তু আমি করবোনা আগেই বলে দিলাম।
~তোকে বিয়ে করতে কে বলছে আমাদের সাথে যাবি আবার চলে আসবি।

~আমি বাইক মামার কাছে দিয়ে ইজি বাইকে উঠে মামির পাশেই বসলাম আব্বু আম্মু আর মামা তারা বাইকে করে চলে গেলো।
~মামি কোথায় যাচ্ছি মেয়ে দেখতে।
~কাটাখালি।
~নাম কি মেয়ের..?
~লামিয়া।
~ফারজানার খালাতো ননদ?
~হুম
~কেন পছন্দ হয় না তাকে?
~পছন্দ আর অপছন্দ দিয়ে কি হবে।
আমি তো আর কিছু দিন পরে বিয়ে করতে চেয়ে ছিলাম।
~মন খারাপ করিও না যা ভাগ্যে থাকে তাই হয়।
~হুম তাও ঠিক।

~পৌঁছে গেলাম লামিয়া দের বাসায় সবাই খুব আনন্দে আছে একে তো নতুন আত্মীয় তার উপর আবার আত্মীয় হতে চলেছে।
~বিয়ের আগে একবার দেখে নে লামিয়াকে (মামি)
~বিয়ে কি আজকে?
~হুম।
~দেখার কিছু নাই। আম্মু কোথায়?
~বস আমি ডেকে দিচ্ছি।
~কি হয়েছে (আম্মু)
~এমন নাটক না করলেও হতো বিয়ে দিবা ভালো কথা জানিয়ে দিতে পারতা।
আমার ও তো কিছু পরিচত বন্ধু আছে তাদের আমন্ত্রণ করতাম।
~সমস্যা নেই তোমার কাছের বন্ধুদের আমি দাওয়াত দিয়ে দিয়েছি তারা আসতে আছে।
~ আচ্ছা।

~বন্ধুরা কিছু সময় পরেই চলে আসলো
তারা এসেই শুরু করে দিলো আলাদা উৎপাত।
~সবার উৎপাত এর অবসান ঘটলো কাজী সাহেব এর আগমনে।
~বিয়ের কাজ শেষ সবাই খুশি আমি যে খুশি না তা কিন্তু নয় কিন্তু প্রকাশ না করাই উওম।

~রাতে সবাই চলে আসলো থেকে গেলাম আমরা কয়েক জন।
~অনেক সময় আড্ডা দিলাম সবার সাথে কিন্তু লামিয়ার সাথে এখনো দেখা হয় নাই।
~হঠাৎ একটা এস এম এস আসলো আর কত সময় অপেক্ষা করতে হবে আমার বেয়াই সাহেব?
~আমি রিপলে দিলাম না।
~কিছু সময় পর ফোন আসলো।
~ফোন কেটে দিলাম।
~খালাতো বোনকে ডাক দিলাম।
~বলো ভাইয়া কি বলবা।
~লামিয়া কোন রুমে?
~আসো আমার সাথে।
~আমাকে রুম দেখিয়ে দিয়ে চলে খেলো।
~আমি রুমে ডুকে কাশি দিলাম লামিয়া সালাম দিলো উওর দিয়ে জিঙ্গাসা করলাম কেমন আছেন?
~আগের থেকে ভালো।

~এত রাগী ভাব কেন কি হয়েছে?
~আপনি এত দেরি করলেন কেন?
~সবার সাথে আড্ডা দিলাম তো তাই।
~আমার সাথে তো একবার দেখাও করলেন না।
~আপনার সাথে তো সব সময়ই দেখা হবে তাই
আর আগে আসলাম না।
~শোনেন আগে যা করছেন করছেন এখন থেকে আর এমন করবেন না।
~আচ্ছা ঠিক আছে। রাত তো অনেক হলো
এখন ঘুমানো দরকার।
~না এখন ছাদে যাবো।
~এই রাতে?
~হুম আচ্ছা চলো।

~দুজন দাড়িয়ে আছি পাশাপাশি লামিয়া
আমার কাধে মাথা রাখলো।
~কি হলো পাগলী।
~আপনি খুব খারাপ আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন।
~তো এখন কি করতে হবে?
~আমাকে জড়িয়ে ধরতে হবে।
~জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু দিলাম।
~সাথে সাথে কয়কে ফোটা লোনা পানি
এসে পড়লো আমার বুকে।
~হয়তো এটাই পবিত্র ভালোবাসা।
~আচ্ছা লামিয়া চলো রুমে যাই খুব ঘুম পাচ্ছে।
~আজকে কোন ঘুম হবেনা শুধু গল্প হবে।
~কালকে আমাকে অফিসে যেতে হবে তো।
~মিথ্যা বলার যায়গা পাননা সাত দিনের ছুটি নিয়েছেন আমি সব জানি।
~তাতে কি আমার যে খুব ঘুম পাচ্ছে।
~কোন ঘুম হবেনা এখন বুঝতে পারছেন।
~ওকে কি আর করা তুমি যা বলবা তাই হবে।
~গল্পে গল্পে কেটে গোল সময় ফজরের আযান হয়ে গেছে ওযু করে দুজনেই নামজ পরে নিলাম।
~লামিয়া চলে গেলে রুম থেকে আমি ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্ত তা আর হলোনা লামিয়া চা নিয়ে চলে আসছে তাও নিজে বানিয়ে।
~এক কাফ চা দুজনে ভাগ করে খেয়ে আমি শুয়ে শুয়ে ফোন টিপতে লাগলাম লামিয়ে চলে গেলো রুম থেকে।
~কখন ঘুমিয়ে পরেছি মনে নেই।
~লামিয়ার ডাকে ঘুম ভাংলো ঘড়িতে সময় সকাল ৯ টা নিজের কাছে কেমন জানি লাগছিলো নতুন মানুষ সবাই নতুন আর আমি এত সময় ঘুমালাম।
~লামিয়া রুমে নাস্তা নিয়ে আসলো। নিজের হাতেই খায়িয়ে দিলো তার পর খালাতো বোন দুলাভাই আর অনেকে আসলো সবার সাথে আডা দিতে দিতে ১১টা বেজে গেলো।
~দুলা ভাই ডেকে নিয়ে গেলো পুকুর থেকে মাছ ধরবে কি আর করা সবার সাথে মিলে মাছ ধরলাম।

~দুপুরের খাবার শেষে রুমে শুয়ে ছিলাম
লামিয়া এসে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো। আজকে যেতে দিবেনা।
তবুও আসতে তো হবেই।
~ অনেক বুঝিয়ে চলে আসলাম বাসায়
~এখন শুধু ফোন আলাপ হয় আর বাসরটা না হয় বাসায় আসলেই হবে।

বেঁচে থাকুক এমনো হাজারো ভালোবাসার গল্প
বেঁচে থাকুক প্রিয় মানুষ গুলো।