-কিরে মধু খেতে চলে আসলি(আমি)
-কি(ফারিয়া)
-না মানে তুইতো এক মাস পরপর কলেজ মিস দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসিছ নিশ্চয় আমাদের বাড়িতে মধু আছে তাই বললাম মধু খেতে আসলি নাকি?
-আমার শশুর বাড়িতে আমি যতবার ইচ্ছা যখন ইচ্ছা আসবো তাতে তোর কি
-এ্য্য্য্য আমার বয়েই গেছে তোর মতো ঝগড়ুটে মেয়েকে বিয়ে করতে
-কি আমি ঝগড়ুটে
-হ্যা তুই ঝগড়ুটে
-আরেকবার বলতো কি আমি
-আরেকবার কেন একশোবার বলবো তুই ঝগড়ুটে ঝগড়ুটে ঝগড়ুটে কি করবি
-আরেকবার যদি বলিস আমি ঝগরুটে তাহলে তোকে এখুনি বিয়ে করবো
-মাাাাাাানে এখুনি বিয়ে করবি মানেটা কি?আমি কি চুপচাপ দেখে থাকবো নাকি
-হ্যা তোর দেখে থাকা ছারা আর কিছুই করার থাকবে না।কারন আমি শশুর মসাই না মানে খালুকে কয়েকটা কথা বানিয়ে বানিয়ে বলবো শুধু ব্যাস এতেই হয়ে যাবে
-ক্য্য্য ক্যানো কি বলবি আব্বুকে
-বলবো তুই আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেছিস।এখন তোর বেবি আমার পেটে
-কিইইইই তুই এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারবি
-আরে তোকে পাওয়ার জন্য আমি দুনিয়া ত্যাগ করতে পারি আর এটাতো সামান্য কিছু।কি আরো বলবি ঝগড়ুটে?
-না বাবরে বাব আর জীবনেও বলবো না
-এইতো আমার জানুটা আনেক ভালো উম্মাাাা

-কিরে তুই এতো রাতে আমার রুমে কেনো
-বারে আমার বরের রুমে আমি আসবো নাতো কে আসবে শুনি
-রাখ তোর বর বউ এতো রাতে কেনো এসেছিস সেটা বল
-তোর কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে এসেছি একা একা ঘুম আসছে না

-কিরে তুই এতো রাতে আমার রুমে কেনো?(আমি)
-কেনো আমার হবু বরের রুমে আমি আসবো নাতো কে আসবে শুনি(ফারিয়া)
–রাখ তোর বর বউ এতো রাতে কেনো এসেছিস সেটা বল?
-তোর কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে এসেছি।একা একা ঘুম আসছে না
-পাগল হয়েছিস নাকি?এত রাতে তোকে আমার রুমে কেউ যদি দেখে কি হবে বুঝতে পারছিস?
-কি আর হবে তোর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিবে হা হা হা😂আরে এতো ভয় পাচ্ছিস কেন খালা খালু সবাই ঘুমাচ্ছে আর কালকে সবাই ঘুম থেকে উঠার আগেই তোর রুম থেকে চলে যাব।
ঘুম আসছিলো না তাই তোর কাছে এলাম তোর কোলে মাথা রোখে ঘুমাবো বলে।এখন যদি তুই আমাকে তোর কোলে ঘুমাতে না দিস তাহলে বিকালে কথাগুলো মনে আছে নাকি আমি বলতে হবে
-থাক থাক😔কি করতে হবে এখন সেটা বল?
-এইতো ভালো ছেলে।সারারাত আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবি ব্যাস এতেই হয়ে যাবে
-ওকে।তুই শুধু কোলেই শুয়ে থাকবি আর কিছু করবি নাতো প্রমিস কর
-অন্য কিছু কি করবো গো(দুষ্টুমি করে)
-অন্য কিছু মানে ওইটা না মানে তুই বুঝতে পারছিস না?
-না পারছি না তাইতো বলছি আমাদের মাঝে আর কি হতে পারে(বুঝোও না বুঝার ভান করে)
-এসব কথা মুখে বলা যায় না।তুই নিজেই বুঝে নিতে পারিস না
-না পারি না। হয় তুমি বুঝাই বলবি আর নাহলে একটা পাপ্পি দিবি
-একটাও পারবো না
-পারবিনাতো
-না
-পারবিনাতো
-না
-দারা আমি চিৎকার করে লোক ডাকতেছি বলবো যে তুই আমাকে তোর রুমে ডেকে নিয়ে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছিস।আর তখন আমাদের এমনিতেই বিয়ে দিয়ে দিবে।আর বিয়ে হলেতো রোজ কিস করতে হবে
-থাক তোকে কিছু করতে হবেনা।কোথায় কিস করবো বল?
-ঠোঁটে।না ঠোঁটে না,ঠোটেতো যখন তখন কিস করিস আজকে নাহয় অন্য কোথায় হোক
-কোথায়
-আমার বলতে লজ্জা করছে
-তোর আবার লজ্জাও আছে হা হা হা
-হ্যা সেটা প্রত্যেক মেয়েরই থাকে বুঝেছিস
-বাদ দে এখন বল কোথায় কিস করতে হবে?
-বলবো
-বল
-বলবো
-আরে বল
-কোমরে
-কিইইইই
-হ্যা যেটা শুনেছিস সেটাই।আমার কোমরেই কিস লাগবে ব্যাস
-না করলে হয় না?বিয়ের পর করবো কেম
-না তোকে এখুনি করতে হবে না হলো আমি ছাড়ছিই না তোকে
-ফারিয়া আমার লজ্জা করছে আজকে থাক অন্যদিন দিবো
-না আজকেই দিতে হবে এবং এখুনি
-ওকে দিচ্ছি দিচ্ছি তুই যেতদিন আছিস ততদিন আমি তোর কথা শুনতে বাধ্য
-হ্যা এখন দে তানাহলে পার্মানেন্টলি তোর বাড়িতে সেট হয়ে যাবো
-ওকে ওকে দিচ্ছি
-হুম দে আমার যে আর তর সইছে না

আচ্ছা ফারিয়া তোর শরিলে কি কারেন্ট আছে?(আমি)
-না কেনো(ফারিয়া)
-না মানে কিস করার সময় না কিছুনা অনেক রাত হইছে ঘুমা
-হুম প্রচুর ঘুম পাচ্ছে ঘুমাই।কালকে তোকে দেখে নিবো এখন ঘুমাই গুড নাইট

-এই উঠ কখন থেকে ডাকছি তোকে উঠ(ফারিয়া)
-কি হইছে বাংলাদেশ কি পানিতে ডুবে যাচ্ছে যে তুই এতো সকাল সকাল ডাকছিস
-না বাংলাদেশ পানিতে ডুবছে না তোবে তুই যদি এখন না উঠিস তোবে তুই পানিতে ডুববি

-ওই উঠ উঠ কখন থেকে ডাকছি তোকে উঠ (ফারিয়া)
-হুমমমমম কি হইছে?বাংলাদেশ কি পানিতে ডুবে যাচ্ছে নাকি যে এতো সকাল সকাল ডাকছিস?(আমি)
-না বাংলাদেশ পানিতে ডুবছে না কিন্তু তুই যদি এখন না উঠিস তাহলে তুই পানিতে ডুববি
-কি
-যেটা শুনেছিস সেটাই।নামাজ পরতে যাবি উঠ
-আমি ফজরের নামাজ যোহরের সময় পরি এখন আমাকে না ডেকে ভাগ এখান থেকে আমি ঘুমাবো
-তোকে ঘুমাচ্ছি দারা।বেশি কথা না বলে তারাতারি নামাজ পড়তে যা আর তানাহলে আমি যে সারা রাত তোর রুমে ছিলাম সেটা খালুকে বলে দিবো।আর খালু কি করবে বুঝতে পারছিস তো পিচ্চি পন্ডিত
-এ্য্য্য আমরা একসাথে ছিলামতো কি হইচে আমাদের মাঝে তো কিছুই হয়নাই
-সেটা তুই জানিস আর আমি জানি কিন্তু খালুতো আর জানে না
-তুই সবসময় আমাকে ভয় দেখাস কেনো?যাচ্ছিতো
-এইতো লাইনে এসেছিস।যা

———গোছল করা শেষে
-ওই কই যাচ্ছিস?(ফারিয়া)
-মসজিদে (আমি)
-যাওয়ার দরকার নাই
-তুইতো বললি মসজিদে যেতে এখন তাহলে যেতে মানা করছিস কেনো?
-আজ আমরা একসাথে নামাজ আদায় করবো
-এ্য্য্য্য আমরা কি স্বামী স্ত্রী নাকি যে একসাথে একই রুমে নামাজ পরবো?
-না তোবে হতে আর কতদিন
-ওকে ওজু করে আয়
-আমি তোর আগেই ওজু করে নিছি

———নামাজ শেষে
-কিরে তুই আবার বিছানায় শুইতেছিস কেনো (ফারিয়া)
-আমার ঘুম পুরে নাই,আমি ঘুমাবো (আমি)
-কি ঘুৃম থেকে উঠে আবার ঘুমাবি?
-নেহি মেরি জান তা তো আমি হতে দিচ্ছি না
-কেনো কি করবো তাহলে?
-আমরা দুজনে হাঁটতে(ব্যায়াম)যাবো চল
-আমার হাটার কোনো দরকার নাই।তুই দিনে দিনে মোটা হচ্ছিস তুই যা হাটতে😂
-ওই ফাজলামি করবি না।নিজের পেটের দিকে খেয়াল করেছিস দেখ এক বছরে প্রায় পাঁচ ইঞ্চি বেরেছে
-পাঁচ ইঞ্চি কেনো পাঁচশো ইঞ্চি মোটা হোক তাতে তোর কি
-আমার কি মানে তোর পেট মোটা হলে আমারিতো সমস্যা
-কিভাবে
-বা রে তোর পেট মোটা হলে আমাকে আদর করতে তোর সমস্যা হবে।আমি তোর কাছ থেকে ভালোভাবে আদর পাবো না এটাতো আমারি সমস্যা তাইনা
-আমার পেট মোটা হলো তোকে আদর করতে সমস্যা হবে কিভাবে?
-আসলেই তুই কিছু বুঝিস না।তোর পাঠক পাঠিকারা এতক্ষণে সব বুঝে গেছে আর তুই পিচ্চিপন্ডিত হয়ে কিছুই বুঝতে পারিসনি
(পাঠকরা কি বুঝলেন একটু কমেন্টে জানাইয়েন কেমন)
-আমি কিছুই বুঝতে পারছি না তুইযে কি সমস্যার কথা বলছিস?
-তাতেই পিচ্চি পন্ডিত হয়েছিস
-আমার অতো বুঝে কাজ নেই কথায় হাটতে যাবি চল😈
-হুম চল😘

———-হাটতে হাটতে
-ইমরান ওই দেখ আমার পুরোনো বান্ধবী মিম(ফারিয়া)
-যাক বাবা বাচা গেলো তাহলে এখন আাার হাটা লাগবে না(আমি)
-কেনো
-কেনো আবার কি তুই তোর বান্ধবীর সাথে গল্প করবি আর আমি এদিক মেয়ে দেখবো
-কি😬হাটা বন্ধ তাইনা দারা দেখাচ্ছি।এখান থেকে হাটা শুরু করবি তেতুল তলা থেকে আবার এখানে আসবি। আমি তোর জন্য ওয়েট করবো।আর মেয়ে দেখা তাইনা আমি বাদে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকালে তোর চোখ উপরে নিবো।সোজা যাবি আবার সোজা এখানে চলে আসবি যেদিক সেদিক তাকাবি না।যা এখন

——–৪০ মিনিট পর
-কিরে তোর এ অবস্থা কেনো?পুরো শরিল ভিজা আর তোর জামা কাপড় এভাবে ছিরলো কিভাবে?

-কিরে তোর এ অবস্থা কেনো পুরো শরিল ভিজে আছে আর তোর জামা কাপড় এভাবে ছিরলো কি ভাবে?(ফারিয়া)
-তোর জন্যই এইসব হইছে(আমি)
-আমার জন্য মানে?
-তোর কথা রাখতে গিয়েই এইসব হইছে
-আমার কথা মানে কি হইছে বুঝাই বল?
-তুইনা বললি যে সোজা যাইতে
-হ্যা তা তো বলেছিলামই কেনো কি হইছে তাতে?
-কি হইছে মানে?তুই সোজা যাইতে বলেছিস তার জন্যই আমার জামা কাপড় ছিরছে এবং ভিজছে
-কেনো?
-তুইতো আমাকে সোজা যাইতে বলছিস তাইনা।তাই আমি সোজা যাইতেছি।যাইতে যাইতে দেখি আমার রাস্তার সামনে একটা গাছ
-তো
-তো তুইতো বলেছিস সোজা যাইতে হবে।তোর কথা না শুনলেতো আবার কি কান্ড ঘটাবি কে জানে।তাই কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।গাছের সাইড দিয়ে গেলেতো তোর কথা অমান্য করা হবে তাই বাধ্য হয়ে গাছে উপর উঠতে হইছে তাও সোজা আসছি তোর কথা অমান্য করিনাই।জিবনেও গাছে উঠিনাই শুধু তোর জন্য আজকে আমাকে গাছে উঠতে হলো আর তার ফলেই আমার জামা কাপড়ের এই অবস্থা😢
-কি😱যাক জামা কাপড় ছিরছে তো কি হইছে আমার কথাতো পালন করছিস এটাই অনেক।আমি অনেক খুশি হইছি
-রাখ তোর খুশি ।তোর খুশির জন্য আমার কি অবস্থা হইছে দেখতে পারছিস।তোর জন্য আমাকে ফকির পর্যন্ত হতে হইছে
-কেনো আমার জন্য কিভাবে ফকির হলি তুই?
-তোর কথাতে সোজা যাইতে গিয়ে গাছে উঠতে হইছে। গাছে উঠতে গিয়ে জামা কাপড় ছিরছে আর জামা কাপড় ছিরার ফলে আমাকে এখন ফকির ফকির লাগছে।আসার সময় আমাকে একজন ভিক্ষা পর্যন্ত দিয়েছ
-হা হা হাতা ফকির এখানে কেনো এসেছেন?আমার কাছে টাকা নাই যান এখন হা হা হা
-ওই পেত্নী দাত বের করে খেক খেক করে একদম হাসবি না
-তা ওই পর্যন্ততো বুঝলাম তারপর কি হলো?তোর জামা কাপড় ভিজলো কিভাবে?
-তারপর গাছ থেকে নেমে যাইতেছি সামনে দেখি পুুকুর
-তখন তুই রাস্তা দিয়ে না গিয়ে পুকুর দিয়ে গেলে সোজা হছে তাই তুই পুকুর দিয়ে নেমে গেলি।তাই তোর জামা কাপড় ভিজছে
-হুম তাই
-হা হা হা
-ওই হাসবি না।আমাকে দেখে ফকির ফকির মনে হচ্ছে তাই আমাকে দেখে সবাই পালাচ্ছে ভিক্ষা দেওয়ার ভয়ে আর তুই হাসছিস
-তো কি করবো তোকো ভিক্ষা দিবো হা হা হা
-চল বাসায় চল
-হুম চল আমার হবু বরকে এভাবে আন স্মার্ট দোখতে ভালো লাগছে না।চল বাসায়

———–সকাল বেলা
-তুই এখান আমি তোকো সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুজতেছি
-কেনো কথাও আগুন লাগছে নাকি যা তই এভাবে হাপাতে হাপাতে৷ বলছিস?😂
-হ্যা লাগছেতো আগুন
-কোথায়?
-আমার মাথায় তোকে খুজতে খুজতে আমার মাথায় আগুন জ্বলতেছে।তারাতারি খেতে চল খালাম্মা ডাকছে
-তুই যা আমি একটু পরে যাবো
-কেনো কি করবি এখন?ঔই বাড়ির ছাদে ওই মেয়েটা কে তোর দিকে তাকিয়ে আছে?আর ডায়েরিতে এসব কি লিখছিস?
-ওই যে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে ওর জান্য লাভলেটার লেখছি😝
-এ্য্য্য আমি জানি তুই ওইরকম ছেলোই না
-জানিস তাহলে বলছিস কেনো😎যা ভাগ এখান থেকে
-যাবো বা তুই যাবি তারপর আমি যাবো তার আগে না।কি লিখছি ডায়েরিতে?
-গল্প
-কিসের গল্প?
-ভালোবাসার গল্প
-কার ভালোবাসার গল্প?
-তোর আর আমার ভালোবাসার গল্প হইছে এবার।এতো পশ্ন করিস কেন
-কেনো লোখতেওতো পারিস তোর আর আমার গল্পটা
-এ্য্য্য তুই যে আমাকে এতো প্যারা দিস সেটা লেখলে লাইক কমেন্ট তো আসবেই না আর জারা গল্প পড়বে তারা আমার প্যারা দেখে সুইসাইড করবে।নির্ঘাত আমি বলে এখনো সুইসাইড করিনি হা হা হা
-ওই হাসবি না এমনিতেওতো তোর গল্পে লাইক কমেন্ট আসে না
-তুই জানিস আমার গল্পে লাইক কমেন্ট আসে না? কাঠের চশমা লাগিয়ে দেখিস😂
-কাঠের চশমা লাগানো দরকার নাই।তোর পাঠক পাঠিকারাতো সার্থপর।তারা চুপচাপ গল্প পড়ে চলে যায় লাইক কমেন্ট নাকরেই
-ওই আমার পাঠক পাঠিকাদের নামে একটাও বাজে কথা বলবি না। তারা অনেক ভালো
-কেনো বলবো না কেনো?যা সত্যি তাইতো বলেছি
-তুই দেখবি আমার পাঠক পাঠিকারা কত্ত ভালো
-হুম দেখাতো দেখি
-তাহলে দেখিস এই পাঠে কতগুলো লাইক কমেন্ট আর শেয়ার আসে
-আচ্চা দেখবো তোর পাঠক পাঠিকারা তোকে কততা ভালোবাসে

(এভাবে ঝগড়া করতে করতে দিনতা পার করে দিলো ইমরান আর ফারিয়া।এরা ছোটো থেকেই এইরকম ঝগড়া করে বলে তাদের বাবা মাও কিছু বলে না)

———-রাতে
-কে ওখানে ভু ভুত ভুত(আমি)
-ওই আমি ভুত না আমি ফারিয়া(ফারিয়া)
-ও তুই আমিতো ভয় পাইয়ে গেছিলাম তা কেনো এসেছিস আমার রুমে? কালকের মতো আবার আমার কোলে ঘুমাবি আর আমি জেগে জেগে তোর মাথায় হাত বুলিয়ে দেবো তাইনা
-হুম তাই এখন বেশি কথা না বলে বস বিশানার উপর। আমি তোর কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো
-কি আর করার আয় ঘুমা। তোর কথাতো শুনতেই হবে নাহলে আবার কি কান্ড ঘটাবি কে জানে
-এইতো বুঝতো পেরেছিস উম্মাাাা গুড নাইট
-বেট নাইড
-কি বললি
না কিছুনা শুয়ে পর

——–মধ্য রাতে
-এই ফারিয়া কি করছো?আমার হাত পা বাধা কেনো বিছানার সাথে? আর তোর হাতে ছুরি কেনো?

-কি করছিস ফারিয়া?আমার হা পা বাধা কেনো বিছানার সাথে?আর তোর হাতে ছুরি কেনো?(ইমরান)
-তোকে খুন করবো(ফারিয়া)
-হা হা হা তুই খুন করবি আমাকে? তা কেনো খুন করবি?😂
-তুই আমাকে ভালোবাসিস না তাই
-ও তাই আমাকে খুন করবি বুঝি?
-হুম তাই। ভালোবাসি বল না হলে খুন করবো তোকে
-করবি! কর তাহলে
-করবো
-কর
-করবো
-আরে করতেই তো বলছি।কর খুন আমাকে?
-তুই জানিস আমি তোকে খুন করতে পারবো না তাই তুই ওভাবে বলছিস(কান্না করে)😭
-হুম জানিতো তুই আমাকে খুনতো দুরের কথা একটু আঘাতো করতে পারবি না।আমাকে কিল ঘুসি দিতেই তোর হাত কাপে আর তুই করবি কিনা আমার খুন হা হা হা নে খুন কর হা হা হা
-বুঝতে পেরেছি এভাবে হবে না।তুই যদি আমাকে ভালোবাসি কথাটি না বলিস তাহলে
-তাহলে কি?খুন করবি আমাকে হাহাহা
-আরে না। তুই যদি আমাকে ভালোবাসিস কথাটি না বলিস তাহলে
-তাহলে
-তাহলে আমি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিবো(ছুরিটা গলায় ধরে)
-এই ক ক কি করছিস গলা থেকে ছুরিটা নামা বলছি
-না নামাবো না।আগে প্রোপজ কর তারপর
-আচ্ছা করবো আগেতো হাত পায়ের বাধন খুলে দে?
-আগে প্রমিস কর বাধন খুলে দেওয়ার পর প্রোপজ করবি আমাকে?
-প্রমিস।এখনতো বাধন খুলে দে আর হাত থেকে ছুরিটা ফেলে দে
.
.
——বাঁধন খুলে দেওয়ার পর
-ঠাসসসসসস(ইমরান)
-এই তুই আমাকে মারলি কেনো(কান্না করতে করতে)(ফারিয়া)
-তোকে আরো মারা উচিত😠তুই গলায় ছুরি ধরছিলি কেনো?একটু হলেইতো লেগে যেতো?লাগলে কি হতো বুঝতে পারছিস?
-লাগে মরে যেতাম।তোকে আর কখনো প্যারা দিতাম না।ভালইতো হতো তাইনা
-আর যদি একবার মরার কথা বলিস তাহলে আরো দুইটা দিবো কিন্তু
-কেনো আমি মরলেতো তোর ভালই হতো তাইনা
-কচু ভালো হত।তুই মারা গেলে আমিও মারা যেতাম সেটা ভালো হতো তাইনা?দারা তোর আগে আমিই মরছি(নিজের গলায় ছুরি ধরে০
-কি করছিসটা কি?ঠাসসসসস
-এবার তুই আমাকে মারলি কেনো?
-আরো মারবো(একটু হলেই তো তোর লেগে যেত।তখন আমার কি হতো😭
-আমি আমার গলায় ছুরি ধরাতে তোর যেমন কষ্ট হইছে ঠিক তেমনি তুই যখন তোর গলায় ছুরি ধরছিলি তখন আমারো এরকম কষ্ট হচ্ছিলো
-ভালোবাসিস আমাকে?
-হুম খুব
-তাহলে আগে বলিসনি কেনো?
-তোর প্যারা গুলো যে আমার খুব ভালো লাগতো।আমিতো তোর প্যারা গুলোকেই ভালোবাসি
-তার মানে তুই আমাকে না আমার প্যারা গুলোকে ভালোবাসিস?(কান্না করে)😭
-না রে প্যারা রানি আমি তোকেও ভালোবাসি
-তাহলে প্রোপজ কর?
-কিন্তু এখানেতো কেনো ফুল পাচ্ছিনা তাহলে কিভাবে প্রোপজ করবো?আইডিয়া!!!
(ইমরান দৌড়ে গিয়ে বাধরুম থেকে একটা লাক্স সাবান নিয়ে ফারিয়ার সামনে হাটু গেরে বসে লাক্স সাবানটি সামনের দিকে এগিয়ে….)
-ওই তুই হবিকি আমাকে প্যারা দেওয়ার সঙ্গী?
-হুম হবো।কিন্তু এইটা কি?ফুল দিয়ে প্রোপজ না করে লাক্স সাবান দিয়ে প্রোপজ করছিস কেনো?
-কেনো তুই জানিস না লাক্স সাবানে আছে হাজারো ফুলের সুবাস। তুইতো আমার সবার থেকে প্রিয় তাই তোকে একটা ফুল দিয়ে প্রোপজ না করে হাজারো ফুল দিয়ে প্রোপজ করলাম।
-আই লাভ ইউ টু সোনা।কালকে সকালে আমরা আমাদের বিয়ের বেপারে বাবা মা এর সাথে কথা বলবো কেমন
-ও তাহলেতো হয়েই গেলো

(এভাবে এদের বিয়ে হয়ে গেলো।আজ তাদের বাসর রাত।ইমরান আর ফারিয়া বাসর ঘরে বসে আছে।)
-এভাবে বসেই থাকবি নাকি আদরো করবি?পত্যেকবার তো আমিই আদর করি তুইতো একবার আমাকে আদর করিস নাই
-আজকে তোকে আদর করতে হবে না আজকে আমি তোকে আদর করবো😍
জানিস ফারিয়া তুই যখন আমাকে আদর করতি তখন আমি অনেক কষ্টে নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতাম আজ তার পুড়া হিসাব বুঝাই নেবো
-নে বাধা করেছে কে