আমি আর কিছু না বলে দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম,, সারা ঘর ফুল দিয়ে সাজানো,,, ফুলের ঘ্রানে পুরো ঘর মূহরিত হয়ে যাচ্ছে,,, এমন কোন ফুল মনে হয় বাদ যায় নাই,,, যা দিয়ে ঘর কে সাজানো হয় নাই।।

💜আমি খাটের দিকে তাকালাম?? খাটের দিকে তাকিয়ে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম,,, খাটে আমার শাকচুন্নি কে দেখতে পাচ্ছি না? কিভাবে দেখবো,,, খাটের চার পাশ এরকম ভাবে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে যে খাটে কে বসে আছে নাকি কে শুয়ে আছে খাটে না গেলে বুঝতে পারা যাবে না?

আমি আস্তে আস্তে খাটের দিকে যাচ্ছি,,, একটু নার্ভাস লাগছে,,,, সিনিয়র বউয়ের সাথে বাসর,,, তাও আবার পরিচিত,,, কেমন জানি একটু একটু লজ্জা লাগছে।।

আমি খাটের কাছে গিয়ে দেখি ঈশিতা ঘোমটা নামিয়ে চোখ দুটো বড় করে বসে আছে,,,,হায় আল্লাহ একি বাসর ঘরে বউ কি এরকম ভাবে বসে থাকে,,,

আমাকে দেখার সাথে সাথে বললো এতক্ষণে আসলি কেনো।।

না আসলে নানা ভাই আমাকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করছিল তার উত্তর দিয়ে আস্তে আস্তে দেরি হয়ে গিয়েছে((( একটু নার্ভাস হয়ে বললাম)))।।।

কি কথা জিজ্ঞাসা করছিল?
ও তুমি বুঝবে না।।

লুচু ছেলে আমি বুঝবো না এদিকে আয়,,,

আরে আমি আসবো কেন।।
তুমি তো আমার কাছে আসবা।।

আমি তোর কাছে যাবো কেন?

আরে তুমি জানো না স্বামী বাসর ঘরে ঢুকলে স্বামীকে পা ছুয়ে সালাম করতে হয়।।

ও হ্যা তাই তো আমার বান্ধবী ও বলেছে,,, ও নাকি ওর স্বামীর পায়ে ধরে সালাম করেছে,,, আর ওকে 5000 টাকা হারিয়ে দিয়েছে।।

তো আমিও দিবো সমস্যা কি।
তোর তো পায়জামার পকেট নাই।।
কে বলল পকেট নাই আছে তো??
আচ্ছা ঠিক আছে আগে টাকা বের কর,,, এ কথা বলে খাট থেকে নেমে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো,,,,দে টাকা দে,,
আগে কেন টাকা দিবো,,, আগে সালাম করো।।

আমার কথা শুনে সালাম করতে যাবে,,, আমি বললাম দাঁড়াও,,,
কেন আবার কি হয়েছে টাকা নাই।।
নাহ টাকা আছে,, মাথায় ঘোমটা দেও।।

আমার কথা মতে মাথায় ঘোমটা দিয়ে একটু নোয়ে সালাম করতে যাবে তার আগেই আমি বলে ফেললাম,,, ঠিক আছে ঠিক আছে স্বামী সংসার নিয়ে হাজার বছর বেঁচে থাকুন।।

সংসার এর গুষ্টি কিলাই দে আমার টাকা দে।

কিসের টাকা।।
এই যে সালাম করলাম।
তুমি সত্যি কথা বলেছো আমার পায়জামার পকেট নাই টাকা দিব কিভাবে।।
কিইইই আমার সাথে মিথ্যা কথা চল খাটে চল,,

আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে ধাক্কা দিয়ে খাটে ফেলে দিল।

আরে কি করছো বাসর রাতে স্বামীর সাথে কেউ এরকম করে,,,

চুপ একদম চুপ আমাকে মিথ্যা বলে সালাম করেছিস।

আরে এটাতো বাসর রাতের নিয়ম,,, স্বামীর ঘরে ঢুকলে স্বামীর পা ধরে সালাম করতে হয়।।

স্বামীর পা ধরে সালাম করলে,,, স্বামী বুঝি টাকা দেইনা,,

দেতো কিন্তু তোমাকে তো আমি টাকা দিব না,, অন্য কিছু দিবো।

কি দিবি?
আগে এই কাপড় চেঞ্জ করে আসো নাকি সারা রাত এ কাপড় পড়েই থাকবে।

ও হ্যা ঠিক কথা বলেছিস,,, এই শাড়িটা না অনেক ভারী,, কেমন কেমন জানি লাগছে,,, আমি ওয়াশরুম থেকে শাড়ি টা চেঞ্জ করে আসি।।

ওয়াশরুমে যাওয়ার দরকার কি এখানেই করো না।।

কিইহহহ
না কিছু না

লুচু লাল বান্দর কুত্তা হনুমান বিলাই তোর সামনে আমি কাপড় চেঞ্জ করবো।

ওমা করলে সমস্যা কি,, এখন তো আমি তোমার সেই প্রেমিক ফারাবী নাই,,,, এখন তো বিয়ের মালা গলায় দিয়ে আসামি হয়ে গেছি।

তাই বলে এখানে তোর লজ্জা শরম নাই।
আরে আমার লজ্জা শরম দিয়ে কি করবে,, লজ্জা তো নারীদের ভুশন,,, আর আমার সামনে কাপড় চেঞ্জ করলে লজ্জা পেতে হবে কেন।

চুপ একদম চুপ আর একটা কথা বলবি না লুচু ছেলে,,,

আমার সিনিয়র শাকচুন্নি ওয়াশ রুমে চলে গেল,,, আমি খাটে বসে আছি,, 10 মিনিট পর আমার সিনিয়র শাকচুন্নি ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আমার সামনে এসে দাড়ালো,,, আমি তো তাঁকে দেখে টাস্কি খেয়ে গেলাম,,, আমার প্রিয় নীল কালারের একটা শাড়ি পরেছে,,, দেখতে একদম নীল পরী লাগছে। এতক্ষণ লাল বেনারসিতে এরকম বিশ্রী বিশ্রী লাগছিল।

খাটে আমার সামনে বসে বলতে লাগলো।।
দে কি এনেছিস আমার জন্য।।

দিবো,, তার আগে ভালোভাবে কথা বল।।
কিভাবে কথা বলব।।।
এই যে তুই তুকারি করছো আমার কাছে কেমন যেন লাগছে।।
তো কি বলে ডাকবো,,,
কেন তুমি বলে ডাকবে স্বামীকে কেউ বিয়ের পরে তুই বলে ডাকে।।
আমি তুই বলেই ডাকবো।।
আরে এটা কেমন কথা মানুষের শুনলে কি বলবে।।।

কিচ্ছু বলবেনা আর স্বামীকে আমি তুই করে বলবো কার কি.. স্বামীকে তুই করে বললে ভালোবাসা বাড়ে আর তোকে তো আমি সব সময় তুই করেই ডাকি।।।

তাই বলে এখনো ডাকবা।
হ্যা আজীবন ডাকবো?

তাহলে এখন তোমার জন্য যে জিনিসটা আমি এনেছিলাম তা দেব না।।

কি জিনিস এনেছিস,,,
নাহ দেখাবো না বলবো ও না,, আগে তুমি করে বল,,,

আচ্ছা ঠিক আছে বলছি,,, আমার জুনিয়র বরটা আমার জন্য কি এনেছে।

হয় নাই?
মানে?
জুনিয়র বর বলো কেন সুন্দর করে তুমি করে বল।

আচ্ছা বলছি তুমি আমার জন্য কি এনেছে।(( এ কথা বলে একটু লজ্জা পেয়ে গেল)))

জীবনে এই ফাস্ট তুমি ডাক শুনে আমার যে কি হাসি পাচ্ছে,,, কোনমতে মুখ চেপে ধরলাম,,, কিছুক্ষণ মুখ চেপে ধরে আর রাখতে পারি নাই।।

হিহিহিহি অট্টহাসিতে ফেটে পারলাম,,,

কি হলো এভাবে হাসছিস কেন।

তোমার মুখে তুমি ডাক শুনে কেমন জানি হাসি পাচ্ছে,,,

তাই বলে এভাবে হাসতে হবে,, যাহ লুচ্চা ছেলে আমি আর তুমি করে বলবো না।

আরে আরে আচ্ছা ঠিক আছে আমি আর হাসবো না বল।

না বলব না।
প্লীজ বল আর হাসবো না বললাম তো।

আচ্ছা ঠিক আছে এবারও যদি হাসিস তাহলে দেখিস তোরে আমি কি করিতহ।

আচ্ছা ঠিক আছে হাসবো না।

এইইইই?
কি?
তুমি আমার জন্য কি এনেছো।
আমি কোনমতে হাসি চেপে রেখে বললাম,,, এনেছি তো আগে তুমি চোখ বন্ধ করো।

আমার কথা শুনে সাথে সাথে তার চোখ জোড়া বন্ধ করলো,,, আমি পকেট থেকে
একজোড়া নুপূর বের করে তাকে বললাম এবার চোখ খুলো,,, সে চোখ খুলে অবাক হয়ে গিয়েছে।

ওয়াও এত সুন্দর নুপুর।
আমার সুন্দর পয়শীর জন্য সুন্দর নুপুর আনবো না,, তো কার জন্য সুন্দর নুপুর আনব?
তাই?
হ্যা,,, এখন তোমার ডান পা টা আমার হাঁটুর উপরে দাও।
না?
কেন?
স্বামীর ওপরে কেউই পা দে।
হাই হাই এতো দেখি স্বামী ভক্ত মেয়ে,,, আমিতো এ মেয়ে চাই যে আমাকে সব সময় সম্মান ও ভক্তির চোখে দেখবে।

কে বলল তোমাকে স্বামীর ওপরে পা দেওয়া যায় না,,,

আমি জানি?
আমি তোমাকে বলছি পা টা দিতে তাড়াতাড়ি দাও।
না দিব না।
তাহলে নুপুর গুলো নিয়ে বাহিরে ফেলে আসি।
বাহিরে ফেলে দিবি কেন।
তুমিতো পা দেবে না,, তো কাকে পড়াবো।
আচ্ছা ঠিক আছে দিচ্ছি,,,, এ কথা বলে একটা পা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল,, আমি পা টা কে আমার হাটুর কাছে এনে,,,
তার পায়ের আঙ্গুল গুলো দেখতে লাগলাম,, এত সুন্দর নরম এবং মিশ্রন পা,, যা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করবে।

আমি তার পায়ের পাতা থেকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত একবার হাত বুলালাম,,, সে তার পায়ে আমার হাতের উষ্ণ ছোঁয়া পেয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেলল,,, আমি পরক্ষণে বলে উঠলাম তোমার পা এত সুন্দর কেন,,,, সে কোন কথা বলল না চোখ জোড়া বন্ধ করেই আছে,,, আমি এক এক করে তার দু পায়ে এক জোড়া নুপুর পরিয়ে দিলাম।

আমার সিনিয়র পয়শি চোখ খুলে আমার দিকে তাকালো,,, আমি ও আমার ক্ষিন তার দিকে তাকিয়ে আছি,,,

কি দেখো।
আমার পিচ্চি বর টা এত সুন্দর কেন।
আমার সিনিয়র বউটা যে সুন্দর তাই।
এ কথা বলার সাথে সাথে একটা হাসি দিল,, যে হাসির মায়াজাল থেকে বেরুবার শক্তি আমার নাই,,, আমি আমার শাকচুন্নির হাসির মায়া জালে বন্দী থাকতে চাই সারা জীবন।

এই কি ভাবছিস।
ধুর তুই করে বলো কেন।
তো কি বলবো?
তুমি করে বলবে।
আচ্ছা ঠিক আছে,,,
এই।
কি?
এই?
কি?
এই?
আরে বল না কি।
চলো না ছাদে যাই।
বাসর রাতে ছাদে গিয়ে কি করবো।
চাঁদ আর জোনাক তারা দেখব?
ধুর, বাসর রাতে কেউ এগুলা দেখে নাকি।
তো কি করে।
ফিউচার প্লান করে।
কিসের ফিউচার প্ল্যান?
আরে তুমি বোঝনা।
কি বুঝব।
আম্মু বাসায় একা থাকে,,, আম্মুকে যদি ছোট্ট একটা খেলার সাথে দিতে পারি,,,
আম্মুর একাকীত্ব টা কাটবে।
ছোট্ট খেলার সাথী কোথায় পাবে,,,
কোথায় পাব মানে আমরা দুজনে তৈরি করব।
মানে?
আমার একটা ছোট্ট পরী চাই ঠিক তোমার মত,,, যার নাম টা শুধু থাকবে আমার নামে ফারিয়া।

যাহ লুচ্চা ছেলে কি বলছিস এগুলা( লজ্জা পেয়ে)
তুমি ছোট্ট পরী আমাকে উপহার দিবে নাকি দিবে না সেটা বল,,,
যাহ এগুলা এখন না?
তো কখন?
পরে?
আরে কি বলো তুমি ছোট্ট পরী তৈরি করতে অনেক দেরি লাগে তো,,,

চুপ চুপ একদম চুপ,, আমি বলছি পরে পরে,,,( আমার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে কথাটা বলল)))
তো এখন কি করবো?
এখন ছাদে যাব?
না আমি যাব না(( একটু অভিমানী কন্ঠে বললাম)))
যেতে হবেই, না গেলে রুম থেকে বের করে দিবো।

আরে কী বলো বাসর ঘরে স্বামী কে রুম থেকে বের করে দেবে,,
হ্যা দিবো,, এখন যাবা নাকি যাবা না ওইটা বলো?
আচ্ছা ঠিক আছে যাব?
দুজনে জনে রুম থেকে বের হয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠব,, সিঁড়ির কাছে গিয়ে বলতে লাগলো,,, আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারব না?
তো কিভাবে উঠবা?
আমাকে কোলে করে ছাদে নিয়ে যেতে হবে।

আরে কী বলো,,, তোমাকে কুলে করে ছাদে নিয়ে গেলে আমি বাঁচবো।
কি বললি তুই,, আমি যাব না ছাদে,,, একথা বলে পিছনে ঘুরে রুমের দিকে যেতে লাগল,,

আমি পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,,, আমার সিনিয়র বউ টা রাগ করেছে,,,

একদম সিনিয়র বউ বলবি না?
আচ্ছা ঠিক আছে বাবা বলবো না,,, এখন চলো তোমাকে কুলে করে ছাদে নিয়ে যায়,,

আমি আমার সিনিয়র শাকচুন্নি কে কূলে তুলে নিলাম,,, শাকচুন্নির তার দুই হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে আছে,,,

আরে বাপরে বাপ এত উইট কেন,, সিঁড়ির ধাপ যদি আর দু তিনটা থাকতো তাহলে নিশ্চিত শাকচুন্নি কে কোল থেকে ফেলে দিতাম,,,

ছাদে গিয়ে তাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলাম,,, সে দৌড়ে ছাদের এক কোনে রে চলে গেল,, আর আমি ছাদের দোলনায়
বসে পড়লাম,,, বসে বসে হাপাচ্ছি,,, মনে হচ্ছে হাঁপানি রোগ আমার শরীরে আগের থেকেই বাস করছে।

শাকচুন্নি ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,, আর এদিকে আমি হাঁটিয়ে মরছি,,, হঠাৎ করে শাকচুন্নি পিছনে ঘুরে আমার দিকে তাকালো,,, আস্তে আস্তে আমার কাছে এসে আমার হাত দুটো ধরল।

কি হলো আমার বাবুটা এভাবে হাঁপাচ্ছে কেন,,,
হাপাচ্ছি কি সাদে,,, তুমি যে ওইট,,, তোমাকে কোলে নিয়ে আস্তে আস্তে আমি শেষ,,,

আমার বাবুটার বুঝি অনেক কষ্ট হয়েছে।
না কষ্ট হবে কেন,,, তোলার বস্তা ছাদে তুললে কি কষ্ট হয়।

কি বললি তুই তারমানে আমি অনেক উইট,,যাহ আর তোকে কখনো বলবো না আমাকে কোলে নেওয়ার জন্য।

অভিমান করে রাগ দেখিয়ে ছাদের একপাশে চলে গেল,,, আমি আস্তে আস্তে তার কাছে গিয়ে তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম,, তারপর তার খোলা চুলগুলো এক পাশে নিয়ে তার ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে দিলাম,,, সে একটু কেঁপে উঠল।

কি হলো এভাবে জড়িয়ে ধরেছিস কেনো,, ছাড় আমাকে,,, এ কথা ঠিকই বলছে,, কিন্তু নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করছে না

আমি এ সুযোগে আবারও তার ঘাড়ে নাক দিয়ে কষা দিয়ে বললাম,, আমার সিনিয়র পয়শি কি রাগ করেছে,,,
রাগ করলে কার কি।
আরে আমার বউটা তো দেখি সত্যি সত্যি রাগ করেছে,,, রাগ করলে কিন্তু তোমাকে হেব্বি লাগে,,, মন চাই তোমাকে রাগিয়ে বারবার তোমার ওই রাগী চেহারাটা দেখতে?

কি হলো কথা বলবা না,,,, আচ্ছা ঠিক আছে দাঁড়াও এ কথা বলে তাকে আবারও কোলে তুলে নিলাম,,,

কি হলো আবার কুলে তুললি কেন,,, আমি না বলে অনেক উইট,।

কে বলল তুমি অনেক উইট,,
এই যে কিছুক্ষণ আগে বললি,,,
আরে এত তোমাকে রাগানোর জন্য বললাম,,, তোমাকে নিয়ে সারা শহর ঘুরলেও আমার এক বিন্দু কষ্ট হবে না।
তাই?
হুম?

আমার বাবুটা এভাবে আর কতক্ষণ আমাকে কোলে নিয়ে রাখবে,,, আমার বাবুটার কষ্ট হচ্ছে তো।
মোটেও না সারারাত এভাবে কোলে নিয়ে রাখবো।
তাই বুঝি?
হুম?
আচ্ছা বাবু সারারাত রাখতে হবে না এবার নামিয়ে দাও,,।

আমি দোলনার কাছে গিয়ে তাকে কোলে নিয়ে বসে পরলাম,,, তারপর তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,,, তার ঘাড়ে কানে ভালবাসার পরশ দিতে লাগলাম,,, সে আমার ভালোবাসার উষ্ণণ ছোঁয়া পেয়ে,, প্রতি সেকেন্ডে কেঁপে উঠতে লাগলো।

হঠাৎ করে ঘুরে বিজলির ব্যাগের মত আমার ঠোঁটের সাথে তার নরম গোলাপি ঠোঁট জোড়া মিলিয়ে গভীর চুম্বনে হারিয়ে গেল,,,, কিছুক্ষণ পরে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ঘুরে আবার আমার কোলে বসে পড়লো,,, তারপর তার মাথাটা আমার বুকের সাথে লাগিয়ে বলতে লাগলো?
আজকের চাঁদ টা খুব সুন্দর না,,,
জানিনা?
কেন?
কারন আমার কুলে যে আর একটা চাঁদ বসে আছে,, কিভাবে বলবো যে আমার কুলের চাঁদ থেকে আকাশের চাঁদটা অনেক সুন্দর,, আমার তো মনে হয় না যে আকাশের চাঁদ আমার কোলে বসে থাকা চাঁদের চেয়ে সুন্দর।
তাই বুঝি?
হুম?
এতো ভালোবাসো আমাকে?
অনেক অনেক ভালোবাসি?
কখনো ছেড়ে যাবে না তো?
মোটেও না ছেড়ে যাওয়ার জন্য ভালোবাসিনি, জীবনের বাকিটা পথ তোমার হাত ধরে পাড়ি দিব বলে ভালোবেসেছি,,,,
যদি কোন এক অজানা পথে আমি একদিন হারিয়ে যাই।
ভুলেও এ কথা আর দ্বিতীয়বার মুখে আনবে না,,, তুমি যে অজানা পথে হারিয়ে যাবে আমি সেই অজানা পথের শেষ প্রান্তে তোমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকব,,, তোমাকে নিয়ে আবারও নতুন করে,,, অন্য কোন এক পথের যাত্রী হয়ে যাব,,, যে পথের কখনো শেষ নাই,,,

তাই,,
হুম,,, কেন বিশ্বাস হচ্ছে না।
দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করি তকে,, আমার সে বিশ্বাস কখনো ভাংবি না তো,,

জীবন চলে যাবে তারপরে তোমার বিশ্বাস ভাংবো না,, তুমি শুধু একটু ভালোবাসা দিও,, আর আমার প্রতি অটুট বিশ্বাস রেখো।

আমিও যে তোকে অনেক বেশী ভালবাসির।
কতটা,,,
জানিনা শুধু আমি এতটুকু বলতে পারি,,,,
আমি নোনা জলে সিক্ত ঠোটে
একচিলতে হাসি চাই,
আমি সমুদ্রতীরে গোধূলী লগ্নে
নগ্ন পায়ে হাটতে চাই।
আমি পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে
চিৎকার করে বলতে চাই- আমি অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি তোকে,, যা আমি তোকে আমার মুখের ভাষা দিয়ে বোঝাতে পারবো না,,, কতটা জায়গা নিয়ে তুই আমার মনের সিন্দুকোটায় বসে আছিস?
এতটা ভালোবাসো আমাকে
হুম?

আমি আমার সিনিয়র পয়শীকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা ভালবাসার পরশ একে দিলাম,,, সে আমার বুকে মাথা ঠেকিয়ে আকাশে পানে তাকিয়ে আকাশের উজ্জ্বল তারা গুলো দেখতে লাগলো,,, আমিও তাকিয়ে আছি আকাশের উজ্জ্বল চাঁদের দিকে,,,যে চাঁদ টা ঘোর অন্ধকার কাটিয়ে,, পৃথিবীকে আলোয়ে আলোকিত করে,, সে চাঁদ টা কে আজ আমার কাছে এতটা মহরনিয় লাগছে না,,, কিভাবে লাগবে,, কারণ আমার কাছে যে আকাশের ওই চাদ থেকেও সুন্দর একটি চাঁদ আমার বুকে মাথা ঠেকিয়ে বসে আছে,,, আকাশের চাঁদ কে তো হাজারো ইচ্ছে করলে ছুঁয়ে দিতে পারব না,,,, কিন্তু আমার কোলে বসে থাকা চাঁদকে ছুঁয়ে দিতে পারব,, তার আলোর আভারনে নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারব?

কতক্ষণ ধরে বসে রাতের প্রকৃতির সৌন্দর্য,, আর মধু পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় দুজন হারিয়ে গেছি বলতে পারবো না,,,

এই?
কি?
চলনা রুমে যাই আমার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।
আরেকটু থাকি না।
না চলো রাত প্রায় ভোর হতে চলছে,,,

দুজনে হাত ধরে নিচে নামতে লাগলাম,,, হঠাৎ করে সিঁড়ির কাছে গিয়ে আমার শাকচুন্নির দাঁড়িয়ে পরল?
কি হলো দাঁড়িয়ে পড়লা কেন।
আমি যাব না।
তাহলে কি সারারাত ছাদে থাকবা।
জানিনা,,,

আমি জানি শাকচুন্নি কি জন্য দাঁড়িয়ে পড়েছে আমি বুঝতে পেরেছি,,, আমি আর কিছু না বলে তাকে কোলে তুলে নিলাম,, সে সাথে সাথে তার হাত দুটো দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরলো।
হেঁটে যেতে পারবা না বললেই তো হয়।
সব কথা কি মুখে বলতে হবে,, তুই বুঝিস না।
তুমি না বললে আমি কিভাবে বুঝবো আমি ছোট্ট মানুষ,,,
তুই ছোট্ট মানুষ দাঁড়া দেখাচ্ছি তোকে,, এ কথা বলে তার দুহাত দিয়ে আমার মাথাটা একটু নিচে নামিয়ে আমার ঠোঁটে তাঁর ঠোঁট দিয়ে ভালবাসার পরশ দিতে লাগলো।

আরে কি করছো পড়ে যাবে তো,, আগে রুমে যেয়ে নেই তারপর দেখবো, কি করতে পারো,,,

যাহ লুচ্চা ছেলে,,, একথা বলে আমার বুকে মুখ লুকালো,,, আমি আমার সিনিয়র পয়়শীকে কোলে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছি,,, আর সামনে অগণিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছি,,, যা শুধু সুখের স্বপ্ন,,, সেখানে দুঃখ বলে কোন জিনিস বিরাম করবে না,,, শুধু থাকবে পরস্পরের অবিরাম ভালোবাসা খুনসুটি রাগ আর ঝগড়া,, সব মিলিয়ে এই তো ভালোবাসা,,, ভালোবাসার সেতু বন্ধনে একইভাবে দুজনে একই স্বপ্ন দেখা,,, দুটো হাত একসাথে মটু করে একই পথে একই সাথে একই পথের যাত্রী হওয়ায়,,,

আমি আর সেই ছোট্ট ফারাবী নই,,, আমি প্রেমে মাতাল হয়ে,,, দিক দিগন্তরের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে,,, মনের মানুষকে ভালো লাগার কথা বলবো আমি আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে,,, ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সমুদ্র পাড়ে দাঁড়িয়ে,,,, অতুল সে সমুদ্র পাড়ি দি বার আখাংকা মনে জাগিয়ে,,, ভালোবাসার ছোট্ট নৌকা নিয়ে,,, সমুদ্রের সেই পথের যাত্রী হয়ে যাব,,, বেঁচে থাকুক সত্যি কারের ভালোবাসার গুলো সবার হৃদয় মন্দিরে,, যে মন্দিরে প্রবেশ করেই মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষা করবে।