দোস্ত একটা চুমু দেতো,

আমার কথা শুনে সারমিন ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,, কি বললি,,?
আমিঃএকটা চুমু দিতে বলছি,,

সারমিন ঃচোখ বন্ধ কর,,,
আমিঃ চুমু খেতেও চোখ বন্ধ করতে হবে,,আচ্ছা করছি,,
চোখ বন্ধ করতেই সারমিন আমার গালে একটা থাস করে থাপ্পর বসিয়ে দিলো,,
খেয়েছিস,
আমিঃমারলি কেনো,,
সারমিনঃ কুওা তুই কি বলেছিস,,
আমিঃ চুমু দিতে,,

সারমিন কিছুটা রেগে বললো,, আমি তোকে চুমু দেবো,,

আমি ঃ আরে রেগে যাচ্ছিস কেনো,, আমি বলছি, তোর হাতের চুইংগাম টা মুখে দিতে,
সারমিন ঃমানে,,

আমিঃ মানি, সংক্ষেপে বলছি, চুমু দিতে, মানে চুইংগাম মুখে দিতে,,,
সারমিন ঃও, সরি রে বুঝতে পারিনি,,
আমিঃইট,স ওকে চল,,
সারমিন ঃকোথায়,,
আমিঃঘুরে আসি,,
সারমিন ঃ চল,,,

এবার পরিচয়টাে দেয়া যাক,,
আমি #__জনি,, আর যার সাথে এতক্ষন কথা বললাাম সে হলো আমার ফেবিকল বান্ধুবি #__সারমিন__খানম,,
মানে আমার বেস্টু,,,

আমরা দুজনি এবার অনার্স দ্বীতৃয় বর্ষে পরি,,,,

পর দিন কলেজে মাঠের কোনে আড্ডা খানায় বসে চুইংগাম চিবুচ্ছি,,
তখন সারমিন আমার কাছে এসে আমাকে বললো কিরে কি করছিস,, আমাকে একটা চুমু দেতো,

বলতে দেরি একশন নিতে দেরি নেই,ওর মাথাটা দরেই টোঠে ঠোট দিয়ে চুমু খেলাম,,
সারমিন রেগে গিয়ে বললো, কুওা কি করলি এইটা,,
আমিঃ কেনো, তুইতো বললি তোকে চুমু দিতে,,
সারমিন ঃতোকে এই চুমু দিতে বলছি,,বলছি তোর হাতের চুইংগাম মুখে দিতে,,

আমি একটা ইনোছেন্ট ভাব নিয়া বললাম, ও, আমি তো ভাবলাম তুই বুঝি চুমু দিতে বলছিস,,আচ্ছা যা আমার চুমু আমাকে ফিরিয়ে দে,,

সারমিন এবার রেগে বললো,, কুওা তোর চুমু তোকে ফেরত দেওয়াচ্ছি,,
শুরু করলো আমাকে ধাওয়া করা,,
আমি ছুটছি, পিছন পিছন সারমিন দৌরাচ্চে,,,
কিছুদুর দৌরিয়ে সারমিন হাপিয়ে গিয়ে একটা বেন্সে বসে জিরাতে লাগলো,, আমি ও পাসে গিয়ে বসলাম
আমিঃ দোস্ত যাই বলিস না কেনো, তোর ঠোটে সাধ কিন্তু অসাধারন

সারমিন কিছুক্ষন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো,, তারপর আবার শুরু করলো ধাওয়া,, এক দৌরানিতে কলেজ থেকে বের করলো

পাগলিটাকে ভালোই খেফিয়েছি,,,
হাহাহা,,পাগলি একটা,
খুব ভালোবাসি সারমিন কে, কিন্তু বুঝতে দেইনা,,,
হয়তো বন্ধুত নষ্ট করে দিতে পারে.
রাত বার টার দিকে সারমিনের কাছে কল দিলাম,,
ঘুমিয়ে আছে মনে হয়,,,
দুবার রিং হওয়ার পর দরলো,
ঘুম ঘুম কন্ঠে বললো,,, হ্যালো,,
আমিঃ কিরে দোছ কি করস,,
সারমিন রেগে গিয়ে বললো,,হারামি, এত রাতে মানুষ কি করে,,
আমিঃকত কিছুইতো করে,, তুই কি করছিস,,
সারমিনঃ সালা, মুখ ফাঠিয়ে দেবো,, এত রাতে আমার কাচা ঘুম নষ্ট করে বলছিস,, কি করি,,
আমিঃও,,সরি দোস্তো, ঘুমা তাইলে,,
সারমিনঃ কুওা ফোন রাখবি না,, আমার কাচা ঘুম নষ্ট করছোস, এখন সারারাত কথা বলবি,, তোরে ঘুমাতে দেবো না,,
আমিঃআমি কি তোর বয় ফ্রেন্ড নাকি যে তোর সাথে সারা রাত পিরিতির কথা বলবো,,,
সারমিন রেগে বললো,,,হুম,, তুই আমার বয় ফ্রেন্ড, সারা রাত কথা বল,
আমিঃকি বলবো,,বিয়ের পর বাচ্ছা কয়টা নেবো,, এসব,, আমার কিন্ত লজ্জা লাগছে,,,
সারমিনঃকুওা তোরে….
আমিঃথাক,, একট প্লাইং কিচ দেওতো বাবু,,
সারমিনঃতোরে,, কুওা তোরে সামনে পাইলে,,কি যে করমু,,
টুটুটু,,,
কলটা কেটে দিয়ে,, মনের সুখে একটা ঘুম দিলাম,,,,
পর দিন.
কলেজে গেলাম,,
সারমিন মিনারেরে শিরিতে বসে আছে,,
ওর পাসে গিয়ে বসলাম,,
আমিঃ কিরে কি করিস,,
সারমিন ঃকথা বলবি না, আমি রেগে আছি,,
আমিঃতা মহারানির রাগ ভাঙ্গানোর জন্য কি করতে পারি?
সারমিন ঃযা, ফুচকা নিয়ে আয়,
আমিঃআচ্ছা আনতেছি,
কলেজের সামনে ফুচকা ওয়ালা মামা বসে,, সেখান থেকে এক প্লেট ফুচকা নিয়ে গেলাম সারমিনের কাছে,,,,
আমিঃনে তোর ফুচকা,,
সারমিন ফুচকা পেয়ে সে কি খুশি,,
গফাগফ খেতে লাগলো,,
এটা আমার সয্য হলো না,,
তাই বললাম,
আমিঃওই দিকে দেখতো, ওইটা রোমান না,
সারমিন ঃকই,
ও অন্যদিকে তাকানোর সাথে সাথে এক পিজ মুখে পুরে নিলাম,,
সারমিন ঃনা, ওটা রোমান না,
প্লেটের দিকে,, তাকিয়ে বললো,আমার ফুচকা, একটা কই,,
আমিঃ আমি কিভাবে বলবো,, তুইতো মাএ খেয়েছিস,,ছি ছি সারমিন, তুই খেয়েও ভুলে যাস,,
সারমিনঃচুপ হারামি, আমি দেখিছি, ছিলো,
আমিঃআচ্ছা দেখতো,, এইটা তোর খালাতো বোন না,,
সারমিনঃকোথায়?
আমিঃ ওই যে,,
সারমিন তাকাতেই আরেক পিজ মুখে ঢুকিয়ে নিলাম,,
কিন্তু গিলতে পারলাম না, তার আগেই ও ফিরে আমার দিকে তাকাল,
আমার মুখের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো,,
আমি ফুচকা মুখে রেখেই বললাম, আমি না,
সারমিনঃ কুওা, তোর একদিন কি আমার একদিন,
এই বলে শুরু করলো ধাওয়া করা,
আমি দৌরাচ্ছি, ও পিছন পিছন দৌরাচ্ছে,,,
মিনারের নিচের শিরিতে এসে সারমিন পা মচকে পরে যেতে দরলে আমি দরার জন্য আগাই,,
আর সাথে সাথে যা হবার তাই হলো,,
ও আমাকে নিয়ে পরলো, আমার বুকে,,
ভাগ্যের কি লিলাখেলা,, সারমিনের ঠোট গুলো আমার ঠোটের ভিতর ঢুকে গেলো,,
সুযোগ কি আর বারবার আসে,, তাই ঠোট দিয়ে ওর ঠোট জোরা চুমুক দিয়ে দরলাম,,
বেস কিছুক্ষন পর ও নিজেই ছারিয়ে নিয়ে, আমার বুক থেকে পাসে সরলো,,
আমি উঠে দারালাম
দুজনই যেনো ঘোরের ভিতর আছি,, দুজন লজ্জায় দুজনের দিকে তাকাতে পারছি না,,,
সারমিন একা একা উঠার চেষ্টা করছে, কিন্তু উঠতে পারছে না,,আমাকেও বলছে না,, পায়ে ভালোই চোট লেগেছে,,
তাই সারমিন কে কোলে তুলে নিলাম,,
সারমিন ঘোর লাগা চোখে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,,
কলেজের সবাই তাকিয়ে আছে,,
ওকে নিয়ে ক্লাসে বসালাম,,
লাইব্রেরি থেকে ফাষ্ট এইডের বক্স আনালাম,,
ওর পা আমার হাটুর উপর রেখে পা টা ব্যাথা রোধক স্প্র দিয়ে মালিস করে দিলাম,,
তারপর আবার কোলে করে রিক্সায় উঠে, ওর বাসায় দিয়ে আসলাম,,
এর ভিতর দুজনের মধ্যে কোনো কথা হয়নি,,,
রাতে সুৃয়ে সুৃৃয়ে একা একা বলতে লাগলাম,,কি করলাম এটা, যাহ,, পাগলিটা তো আরো খেপে গেছে,,
একটা কল দিয়ে দেখি,,
কল দিলাম,,
সাথে সাথেই পিক করলো,,
চুপ করে আছি,, সারমিনও চুপ করে আছে,,কেউ কোনো কথা বলছি না,,নিরবতা,
দুপাস থেকে শুধু নিঃশ্বাষের শব্দ শুনা যাচ্ছে,,,
কিছুক্ষন পর কলটা কেটে দিলাম,,
পর দিন,, পাগলিটাকে দেখার জন্য সকাল সকাল কলেজে চোলে গেলাম,,
হায় হায়, এত আগে চোলে আসলাম,, কলেজইতো খুলে নি,,,
ক্রানির কাছ থেকে চাবি নিয়ে ক্লাশে চোলে গেলাম,,
বেস ঘুম পাচ্ছে,,, রাতে পাগলিটার কথা ভেবে ঘুম হয়নি,, তাই টেবিলে মাথা টা লাগাতেই চোখটা বুঝে এলো,,
কতক্ষন চোখ বুঝে ছিলাম জানি না,,
হঠাৎ বাচাও বাচাও করে কারো চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলাম,,
চোখ খুলে দেখি,, পুতুল,,
পুতুল আমার ক্লাশমেট,, কদিন আগে আমাকে প্রপোজ করে ছিলো,,আর আমি না করে দেই,,
কিন্তু ও চিল্লাচ্ছে কেনো,,
ক্লাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম,পুতুল আর আমি ছারা কেউ নেই,,
কিন্তু দরজা আটকানো কেনো,,,
আমি তো সব খুলে দিয়েছিলাম,,,
পুতুল বাচাও বাচাও বলে চিৎকার দিচ্ছে,,
তারপর তার নিজ হাত দিয়ে, শরিলের কয়েক জায়গার জামা ছিরলো,,
আমিঃএই পুতুল, পাগল হলে নাকি,, কি হোয়েছে,,
পুতুল চিৎকার দিতেই লাগলো,,
আমি উঠে ওর কাছে যেতেই, পুতুল দরজা খুলে বাহিরে বের হোয়ে গেলো,আমি পিছন পিছন বের হলাম,
বহিরে বের হোয়েতো আমি অবাক,, কারন,,
সকল ছাএছাএী বাহীরে দারিয়ে আছে,,,,বির জমিয়েছে
পুতুল কান্না করছে, আর কিছু মেয়ে তাকে শান্তনা দিচ্ছে,,
আমি কোনো আগা মাথা না বুঝতে পেরে জিগাসা করলাম,,,
কি হোয়েছে ,,
কিছু মেয়েঃজানস না, কি হোয়েছে,,,
পাস থেকে কিছু ছাএঃ এখন শাধু সাজা হচ্ছে,,,

চারদিক থেকে নানা রকম, অপমান জনক কথা শুনতে পেলাম,,,
পিন্সিপালের রুমে ডাক পরলো,,
পিন্সিপালের কথা শুনে মাথায় বাড়ি পরার মতো অবস্থা,,
পিন্সিপালঃজনি, তোমার মতো একটা ছেলের কাছ থেকে আমি এসব আশা করিনি,,
আমিঃকি করেছি স্যার আমি।
পিন্সিপালঃআবার সাধু সাজা হচ্ছে,,তুমি পুতুলকে দরজা আটকিয়ে ওর ইজ্জত কেরে নিতে চেয়েছো,,
আমিঃ না স্যার, আমি এরকম কিছুই করিনি,,
স্যারঃস্যাট আপ,, কাল এসে টিসি নিয়ে যাবে,,
আমিঃনা সার এরকম করবেন না,, সার একটু দয়া করুন,,
স্যারের হাত পা দরে টিসির হাত থেকে মাপ পেলাম,,
স্যারের রুম থেকে বের হোতেই দেখি, পুতুল সহ আরো অনেকে দারিয়ে আছে,,সাথে সারমিন ও,,
আমি ওর সামনে গিয়ে দারালাম,,
তারপর বললাম,,
আমিঃ বিশ্বাষ কর, আমি এরকম কিছুই করিনি,,
একথা বলতেই, সারমিন,
থাসস থাসসসস করে,দুটো থাপ্পর মারলো, আমার গালে,

তার পর বলা শুরু করলো,,তোর মতো একটা চরিএ হীন ছেলে আমার বন্ধু, ভাবতেও ঘৃনা লাগে আমার,,
তোর মতো নর্দমার কৃটকে বিশ্বাষ করা যায়না, কবে না আবার আমার শরিলে হাত দেস,,চোখের সামনে থেকে সর ছোট লোক কোথাকার,,
ওর কথা গুলো সোজা বুকে এসে বিদলো,,চোখের কোনে পানি এসে বির করলো,,
বাঙ্গা গলায় শুধু এতটুকু বললাম,,খুব ভালোবাসিরে তোকে,, তুই এইভাবে বলতে পারলি,,
কান্না চোলে আসলো,, তাই আর কিছু না বলে চোখের পানি লুকাতে ব্যাস্ত হোয়ে গেলাম,,.
রাস্তায় হাটছি,,,নিজেকে কেমন মাতাল মাতাল লাগছে,,
আমি কি নেশাটেশা করলাম নাকি,,
নাতো, আমিতো সিগারেট পর্যন্ত খাইনা,,তাহলে আমার সাথে আজ যা ঘটলো, সব সত্যি,,,
পুতুলের সাথে তো কোনো শত্রুতা নেই আমার,, ও তো আমাকে ভালোবাসে তাহলে এমন করলো কেনো,,,,
আজ দু দিন কলেজের যাই না,, ভড্ড দেখতে ইচ্ছে করে সারমিন পাগলিটাকে,,
কোন মুখে কলেজে জাবো,,
যেখানে সবার কাছে আমি একটা চরিএহীন ছেলে,, ভালোর দাম নেই, আজ বুঝলাম,,,
তিন দিন পর,সন্ধার আগ আগ মুহুর্থ হবে,, ছন্নছারার মতো হাটছি,,
,আজো ঠিক একই শব্দ পাচ্ছি,
বাচাও বাচাও করে কেউ চিৎকার দিচ্ছে,,
শব্দটা কেমন চেনা চেনা মনে হচ্ছে,,,
দৌরে টং দোকানের পাসে গেলাম,,
হালকা অন্ধকারে বেস বুঝা যাচ্ছে,, তিন জন ছেলে একটা মেয়ের ইজ্জত ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে,,,
আরেকটু কাছে গিয়ে যাকে দেখলাম তাকে দেখে তো আমি অবাক,,
এযে পুতুল,,
ওকে কি বাচাবো নাকি চোলে যাবো,,,,ওতো আমার জীবন দুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে,,
একবার ভাবলাম চোলে যাই তার পর ভাবলাম না,,
এযে আমার নৈতিকতার দ্বায়ীত্য হোয়ে দারিয়েছে,,,
একা তো আর পারবো না,, তাই পাস থেকে ঘুনে দরা একটা বাশ নিলাম,,
দুটোর মাথায় দুটো বারি দিতেই যায়গায়ই অজ্ঞান,
বাকি যে ছিলো,,সেতো ভয় পেয়ে দৌর দিতে চেয়েছিলো,,লেং মেরে ফেলে দিলাম, ছেলেটার হাত দরতেই কোথা থেকে যেনো চাকু বের করে হাতে এক টান মেরে চোলে গেলো,, হাত বেয়ে রক্ত পরতে লাগলো,,কোনো রকম হাত চেপে পুতুলের কাছে গেলাম,
ভয়ে মেয়েটা জরোশরো,, হোয়ে আছে,,সেদিন তো ইচ্ছে করে জামা ছিরে ছিলো,আজ বেস কয়েক জায়গায়ই জামা ছেরা,,
আমার গা থেকে জেকেটটা পুতুলের গায়ে পরিয়ে দিলাম,,,
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,,,
আমার হাতের দিকে তাকিয়ে বললো,,জনি তোমার হাত থেকেতো রক্ত পরছে,,প্লিজ হাতটা এদিকে দেও,,,
আমিঃহাতে আর কি রক্ত ঝরছে,,,তার থেকে বেসি তো বুকে ঝরছে,,,
আচ্ছা সেদিন কি আমি তোমার গায়ে হাত দিয়েছিলাম,,
পুতুলঃনা,,আমি সত্যিই সরি,,
আমিঃকেনো করেছিলে এমন,,তুমি তো আমাকে ভালোবাসতে,,
পুতুলঃএখনো বাসি,তুমি আমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তোমার উপর একটু জিদ চেপে ছিলো,,তারপর সেদিন সারমিন কে তোমার কোলে দেখে আমার জিদ আর দরে রাখতে পারিনি,, তার পরের দিন ক্লাসে গিয়ে তোমাকে ঘুমাতে দেখে ওমন অভিনয় করলাম,যাতে তোমাকে নিজের করে পেতে পারি,,
আমিঃতুমি তো জানোই আমি সারমিন কে ভালোবাসি,, আগেই বলেছিলাম,,,চাইলে বেস্ট ফ্রেন্ড হোতে পারতে,, আচ্ছা যাই হোক এখানে কি করছিলে এই সময়,,
পুতুলঃ রিক্সা করে যাচ্ছিলাম,রিকসা ওয়ালা এখানে রিকসা থামিয়ে ওই টংদোখানে সিগারেট খেতে গেলো,তখন ওই বখাটে গুলা,
আমিঃহইছে,, আমি রিকসা ঠিক করে দিচ্ছি, চোলে যাও,,
পুতুলঃআমি সত্যিই সরি,, ক্ষমা করে দেও আমায়,,আমি সবাই কে সব সত্যিই বলে দেবো,,
আমিঃআচ্ছা দিলাম করে,, সাবধানে যেও,
পুতুলঃতোমার হাত দিয়ে রক্ত পরছে তো,,
আমিঃযাওয়ার পথে ড্রেসিং করে নেবো,
পুতুলঃসাবধানে যেও,
পুদুলকে একটা রিকসায় করে পাঠিয়ে দিলাম,,,
দুদিন পর পিন্সিপাল কল করে কলেজে যেতে বললো,,,তার পরের দিন রাত ঠিক বারটার দিকে ফোনটা বেঝে উঠলো,
তাকিয়ে দেখি সারমিনের কল,
বুকের ভিতর চিনচিন করে উঠলো,
ওর বলা কথা গুলো মনে পরতেই আর কল দরলাম না,,
বেস কয়েক বার বেজে বন্ধ হোয়ে গেলো,,
একে একে কলেজ থেকে সবাই কল দিয়ে ক্ষমা চেয়ে কলেজে যেতে বললো,
কত দিন আর কলেজে না গিয়ে থাকবো,, তাই কাল কলেজে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করলাম,,,.
পরদিন যথাসময় কলেজে গেলাম,,
একে একে সবাই এসে সরি বলে গেলো,,
রোমান ঃসরি রে,আমরা আসলে বুঝতে পারিনি,, পুতুল দুদিন আগে সব বলে দিছে,,
আমিঃতোরা আর কি বুঝতে পারবি,, যার সাথে দু বছর পথ চলা,,সেই বুঝতে পারলো না,,তা কেমন আছিস তোরা,
রোমানঃভালো,,
ক্লাশে ঢুকতে যাবো, তখন সারমিন এসে সামনে দারালো মাথা নিচু করে ,
পাস কাটিয়ে ক্লাশে ঢুকতে যাবো,,তখনই সারমিন আমার হাত দরে বারান্দায় নিয়ে গেলো,
নিচের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,
সরি রে,আমি বুঝতে পারিনি,,পুতুল যে এমন সবার চোখে দুলা দেবে,,,প্লিজ ক্ষমা করে দে আমায়,,
আমিঃএকটা কথা কি জানিস,,কাছের মানুষের দেওয়া ব্যাথা সয্য করা বড় কষ্টের,,,আচ্ছা যা মাফ করে দিলাম,
সারমিনঃসত্যি,
আমিঃহুম,,আচ্ছা চল কফি খেয়ে আসি,,
সারমিন যেনো বিশ্বাষ করতেই পারছে না, আমি এত তারাতারি মেনে যাবো,, আসলে কষ্ট বুকে থেকেই গেলো,,
ওকে নিয়ে কফি খেতে চোলে গেলাম,,
সব আগের মতো সাভাবিক হোয়ে গেলো,,কিন্তু আমি সাভাবিক হোতে পারলাম না,,,
পর দিন আমি কলেজে গেলাম,,
সারমিন আর আমি পাসাপাসি বসে আছি,,,
তখন পুতুল আসলো আমাদের কাছে,,
.
পুতুলঃজনি কেমন আছো,
আমিঃএইতো ভালো,,তুমি,,
পুতুলঃভালো , তোমার হাতের কি অবস্থা,
আমিঃভালো,,
পুতুলঃশার্টের হাতা উঠাও,, দেখবো,,
আমিঃভালো হোয়ে গেছে,,
পুতুর নিজ হাত দিয়ে শার্টের হাতা উঠিয়ে দেখতে লাগলো,,
সারমিন চোখ বড় বড় করে দেখছে,,কি হচ্ছে,,
পুতুলঃবেস খানিকটা কেটে গেছে,,,এখনো তো শুকায় নি,,,
চলো,, কফি খেয়ে আসি,,,
আমিঃ না,, পরে একসময় খাবো,,
পুতুলঃকোনো না সুনছি না,তুমি কিন্তু বলেছো, বন্ধু হোতে,
এখন বন্ধুর কথা শোনো, আর চলো,,
আমিঃসারমিন চল,,
সারমিন ঃ না, তুই যা,,
কথাটা দাতে দাত চেপে বললো, ,
পুতুল আমার হাত টেনে নিয়ে গেলো,।

কি আজব দুনিয়া,,দু দিন আগে পুতুল আমার সাথে কি করলো,,
আর এখন এক সাথে কফি খেতে কেন্টিনে যাচ্ছি,,,
.
কেন্টিন থেকে ফিরে এসে দেখি সারমিন আগের জায়গায়ই বসে আছে,,
কিছুটা রাগের আভা ওর মুখে ফুটে আছে,,
পাসে গিয়ে বসলাম,,
সারমিনঃতোর হাত কাটা, এটা ও জানলো কেমনে,, আর আমাকে বলিসনি ক্যানো,,
আমিঃপরে বলবোনে,,
সারমিনঃও তোর সাথে এত কিছু করলো,, তারপরেও তুই ওর সাথে গেলি,,
আমিঃতুইওতো কম কিছু করলি না,,
সারমিন মুখটা কালো করে ফেললো,,
আমিঃআচ্ছা সেসব কথা বাদদে,,
সাথে গেলি না কেনো,,
সারমিনঃসেটা আমার ব্যাপার,,
আমিঃহুম, তাও কথা,,একথা বলতেই
সারমিন আমার মুখের দিকে তাকালো,,
তার দুদিন পর রাত তখন বারটা কি একটা হবে ,,
সারমিন কল দিলো,,
ঘুমিয়ে ছিলাম, তাই তিন বারে কল দরলাম,,
আমিঃহ্যা বল,
সারমিনঃকি করছিস,
আমিঃ ঘুমিয়ে আছি,,
সারমিনঃও
আমি ঃকিছু বলবি,বললে বল আমি ঘুমাবো,,
সারমিনঃকেনো,, কোনো কারন ছারা কি তোর সাথে কথা বলতে পারিনা,,,
আমিঃআমার মতো চরিএহীন ছেলের সাথে এত রাতে কি বলবি,,বাঝে কিছু বলে ফেলতে পারি,,
সারমিন কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো,তুই যেনো কেমন হোয়ে গেছিস আগের থেকে,,
আমিঃছোট লোক হোয়ে গেছি তাই তো,,,
সারমিনঃজনিই,,
আমিঃআচ্ছা বাদ দে এসব কথা,, কাল কলেজে কথা হবে,,
কিছুক্ষন দুজনের নিরবতা চললো,,,
সারমিন নাক টানছে,,,,বুঝিনা কাদার কি হলো,,
আমিঃ সারমিন,,
সারমিনঃহু
আমিঃঘুমা,
সারমিন ঃ???
কলটা কেটে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,,,
পরদিন কলেজে গিয়ে দেখি সারমিন,,,

রাত তখন বারটা কি একটা হবে ,,
সারমিন কল দিলো,,
ঘুমিয়ে ছিলাম, তাই তিন বারে কল দরলাম,,
আমিঃহ্যা বল,
সারমিনঃকি করছিস,
আমিঃ ঘুমিয়ে আছি,,
সারমিনঃও
আমি ঃকিছু বলবি,বললে বল আমি ঘুমাবো,,
সারমিনঃকেনো,, কোনো কারন ছারা কি তোর সাথে কথা বলতে পারিনা,,,
আমিঃআমার মতো চরিএহীন ছেলের সাথে এত রাতে কি বলবি,,বাঝে কিছু বলে ফেলতে পারি,,
সারমিন কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো,তুই যেনো কেমন হোয়ে গেছিস আগের থেকে,,
আমিঃছোট লোক হোয়ে গেছি তাই তো,,,
সারমিনঃজনিই,,
আমিঃআচ্ছা বাদ দে এসব কথা,, কাল কলেজে কথা হবে,,
কিছুক্ষন দুজনের নিরবতা চললো,,,
সারমিন নাক টানছে,,,,বুঝিনা কাদার কি হলো,,
আমিঃ সারমিন,,
সারমিনঃহু
আমিঃঘুমা,
সারমিন ঃ???
কলটা কেটে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,,,
পরদিন কলেজে গিয়ে দেখি সারমিন মুখটা মলিন করে বসে আছে, চোখটা কিছুটা লাল,মনে হয় রাত ঘুমায় নি,,,
ওর পাসে গিয়ে বসলাম,,
আমিঃকিরে কেমন আছিস,,
সারমিন আমার চোখের দিকে কিরকম করে যেনো তাকালো,,হৃদয় কেপে উঠলো আমার,,
ওর চুপ থাকা দেখে বললাম,কিরে কি করিস,,
সারমিন ঃকিছু না,,
আমিঃও,,
ওকে চুপচাপ দেখে বললাম, চল ফুচকা খেয়ে আসি,,
সারমিনঃতুই রাতে এমন করলি কেনো,,
আমিঃআসলে রাতে ঘুমের মধ্যে কি বলেছি খেয়াল নেই,চল,,
সারমিনঃহু,
সারমিন কে নিয়ে ফুচকার দোকানে গেলাম,,,
দুপ্লেট ফুচকা দিতে বললাম,,
সারমিন আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,কিরে দু প্লেট নিচ্ছিস কেনো,,
আমিঃআমি খাবো না,,
সারমিনঃ এক প্লেটে খাই না,,
আমিঃনা,
সারমিনঃকেনো,,
আমিঃআমার থেকে ভালো কাউর সাথে সেয়ার করিস,,
সারমিনঃহু,??
আমিঃএখন গফাগফ খেয়ে নে ক্লাশে যেতে হবে,,,
আমার খাওয়া প্রাই শেষ,, কিন্তু সারমিন মুখে এক পিজ দিয়ে ফুচকার দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে,,
আমিঃ কিরে খাচ্ছিস না কেনো,,
সারমিন হকচকিয়ে বললো,,ককই খাচ্ছি তো,,
বিল মিটিয়ে ক্লাশে চোলে আসলাম,,,
ক্লাশে আসছি যাচ্ছি,, এরকম করে কিছু দিন অতিবাহিত হোয়ে গেলো,,
তো আজ ও কলেজে মিনারের শিরিতে বসে বসে চুইংগাম খাচ্ছিলাম,,
হটাত কে যেনো বলে উঠলো একটা চুমু দেতো,,
মাথা উপরে তুলে দেখলাম সারমিন,,
আগের মনমানসিকতা থাকলে হয় তো সারমিনের ঠোটেই চুমু টা খেতাম,,
হাত থেকে ওর দিকে এক পিজ চুইংগাম বারিয়ে দিলাম,,
ও হয়তো এটা আসা করেনি,,অন্যকিছু আসা করেছিলো,,
অস্পস্ট স্বরে বলে উঠলো,, এই চুমু না,,
আমিঃকিছু বললি,,,
সারমিনঃ না,,
আমি ঃতা হলে নিচ্ছিস না কেনো,,
সারমিনঃহু,
হাত থেকে চুইংগামটা নিলো,,
আমিঃবসে বসে খা,,,
সাররমিণ পাসে বসলো, ,
চুইংগাম হাতে নিয়ে কি যেনো ভাবছে,,
আমিঃকিরে ইদানিং ভাবা ভাবি করিস দেখছি,,
কি ভাবিস এত,
সারমিন ঃতুই আগের থেকে অনেক বদলে গেছিস,,
আমিঃহাহাহা,তাইনাকি,, তুই কখনো কাছের মানুষের কাছ থেকে কষ্ট পেয়েছিস,,,
সারমিনঃ না,,তবে এখন পাচ্ছি,,
আমিঃতোকে আবার কে কষ্ট দিচ্ছে,, নতুন কাউকে জুটিয়েছিস নাকি,সে ই দিচ্ছে কষ্ট,
সারমিন কিছুটা রেগে বললো,জনি,বেসি বারাবারি হোয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
আমিঃকুল দোস্ত কুল,,তোর থাকাটাই সাভাবিক,থাকতেই পারে,, বড়লোক বাবার একমাএ মেয়ে বলে কথা,, মিছ সারমিন খানম চৌধুরি,সেরা সুন্দরি।
সারমিনঃতুই কি বিদ্রুপ করছিস আমাকে নিয়ে,,
আমি ঃসে সাহস কি আছে আমার,
সারমিন কিছুটা বিস্ময় নিয়ে আমার চোখের দিকে তাকালো,,
আমিঃচল চল ক্লাশে যাই,,
আমার পিছন পিছন পিছন সারমিন আসতে লাগলো,,
পড় দিন কলেজে গিয়েই আমি অবাক,,
পু্তুল আমার জেকেট পড়ে কলেজে এসেছে,সেদিন যে পরিয়ে দিয়েছিলাম,আর ফেরত দেয়নি,,
ক্লাশে আর না ঢুকে, মাঠে কোনে বসানো বেন্সে বসলাম,,
কোথাথেকে যেনো সারমিন হন্তদন্ত হোয়ে আমার সামনে এসে দারালো,,
দেখেতো মনে হয় বেস রেগে আছে ,
আমি ঃকিরে তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো,,
সারমিনঃতোর জেকেট ওর গায়ে কেনো,,
আমিঃকার?
সারমিন কিছুটা ধমকের স্বরে বললো,তুই জানিস না,, কার গায়ে, পুতুলের গায়ে,,
আমিঃথাকলে সমস্যা কি,,
সারমিন এবার পুরো রেগে গিয়ে আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললো,থাকবে কেনো ওর কাছে,,শোন আমাকে রাগাস না, রাগালে কিন্তু ছারখার করে দেবো, বলেদিলাম,,
একথা বলেই সারমিন আবার হনহন করে চোলে গেলো,
কিছুক্ষন পর সারমিন হাতে করে আমার জেকেটা নিয়ে এলো,,
সারমিনঃনে তোর জেকেট,,কুওা একটা,
এই বলে সারমিন জেকেট টা আমার মুখে ছুরে মেরে চোলে গেলো,,
আমি ওর কান্ড দেখে হাসছি,,
বসে না থেকে, ক্লাশে চোলে গেলাম,,
ক্লাশে যেতেই পুতুল আমার কাছে আসলো,
পুতুলঃজনি, সারমিন এটা কাজ করলো,,
আমিঃকি করেছে,
পুতুলঃতোমার জেকেট টা,,, দিতে এনেছিলাম, কিন্তু?
আমিঃ কিন্তু কি,,?
পুতুল কিছুটা মুখ বেকিয়ে বললো,, ওই সারমনি আমার কাছ থেকে এমন ভাবে ছিনিয়ে নিলো,যেনো তার জিনিস আমি চুরি করে নিয়েছি,,
আমিঃতুমি পরতে গেলে কেনো,,
পুতুলঃএমনেই,,
আমিঃভালো,
ক্লাশে আর সারমিন কে দেখতে পেলাম না,,
সেদিন আর সারমিন আমার সাথে কথা বললো না,,

পরদিন সারমিন কলেজে এলোনা, ,

তার পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি সারমিন
একা একা বসে আছে মাঠের কোনে বেন্সে,,
আমি পাসে গিয়ে বসলাম,,
সারমিন আমান মুখের দিকে তাকালো,,
আমিঃকিরে কেমন আছিস,
সারমিন আমার কথার কোনো জবাব না দিয়ে চুপ করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো,,
তারপর বললো,তোর পুতুলের সাথে তো দেখি বেস ভাব,,
আমিঃহাহাহা,,তাই নাকি,,
সারমিনঃওর সাথে আর কথা বলবি না,
আমিঃকেনো,
সারমিনঃ কোনো কেনো টেনো নেই,,কথা বলতে মানা করছি, বলবি না,, তাছারা মেয়েটাকে আমার কাছে সুবিধার মনে হয় না,,
আমিঃহাহাহা তাই নাকি,,
সারমিনঃহাসবি না,,
আমিঃআচ্ছা ও কেমন সুবিধার না,,
সারমিনঃমানে বেসি একটা ভালো না,,
আমিঃআমিওতো তেমন একটা ভালো না,,চরিএের ঠিক নেই আমার,,
সারমিনঃদেখ আমার মুড খারাফ করবি না,,,। কথা বলতে না বলছি, বলবি না,,
আমিঃআচ্ছা আমি চেষ্টা করবো,
সারমিনঃচেষ্টা না, বলবি না ব্যাস,,এর পর যদি কথা বলতে দেখি তোর গলা চেপে দরবো কুওা,দেখিস,,
আমিঃহাহাহাহা,আচ্ছা,,
সারমিনের সাথে আগের মতো আর দুষ্টমি করি না,,
সারমিনের সাথে কেনো কেউর সাথেই করি না,,
সারমিন হয়তো আগের আমি কে মিছ করে,,হয়তো বা না,,
রাত তখন বারটা,
ফোনটা বেঝে উঠলো,,তাকিয়ে দেখি
সারমিনের কল।
হালকা চোখটা লেগে এসেছিলো,,
কিন্তু ওর কল দেওয়ার কারনে ঘুমটা বেঙ্গে গেলো,,
কল রিসিব করে কানের কাছে দরলাম,,
আমিঃহুম বল,,
সারমিনঃঘুমিয়ে ছিলি বুঝি,,,
আমিঃহুম,,
সারমিনঃসরিরে,,
আমিঃনা ঠিক আছে,,বল,
সারমিনঃকাল আমার জন্মদিন মনে আছে,
আমিঃহুম আছে,,
সারমিনঃতুই কিন্তু সবার আগে থাকবি, তোকে ছারা কিন্তু আমি কেক কাটবো না,,
আমিঃতোর বাসায় কি ঝাড়ুদার আছে,
সারমিনঃকেনো,
আমিঃআমার মতো নর্দমার কিট প্রতঙ্গ তোর বাসায় ঢুকলে তোর বাসা যদি নোংরা হোয়ে যায় তাই জিগাসা করলাম আর কি,,,
সারমিন চুপ করে আছে , নাক টানার শব্দ পাচ্ছি,,
আমিঃ কিরে কি হলো,,
সারমিন কিছুটা কান্নামাখা কন্ঠে বললো,,তুই সবসময় আমাকে আঘাত দিয়ে কথা বলিস,, আমি কি কষ্ট পাইনা,,
আমিঃআচ্ছা সরি,, আমি আসার চেষ্টা করবো,,,
পুতুলঃআমি কোনো কথা শুনতে চাইনা,, তুই আসবি না হলে কেক কাটবো না,,
আমিঃহুম,,
পরদিন শফিনমলে গেলাম,,
দেখেশুনে ভালো দেখে একটা কালো শাড়ি কিনলাম,,
কালো শাড়ি আমার বেস পছন্দের,,
বিকালে সারমিনের অনুষ্ঠান,,
আপনারা কি ভাবছেন, আমি যাবো,,
না,,জাবো না,,সব জায়গায় সবাইকে মানায় না,,
দেখা গেছে আমি গেলে অনুষ্টানে ওর বাবার সামনে কেক খাইয়ে দেবে,, যা সবাই ভালো চোখে দেখবে না,,অনেক গন্য মান্য মানুষ আসবে,,
তার থেকে না যাওয়াই ভালো,,
তাহলে শাড়িটা কি করবো,,
হুম আমাদের কলেজের আরো অনেককে অনুষ্ঠানে ইনবাইট করেছে,,তাদের কাছে দিয়ে দেবো,,
যেই বলা সেই কাজ।
দিয়ে দিলাম,,
মোবাইলটা বন্ধ করে রাখলাম,,
সন্ধার আগ আগ মূহুর্তে,, সুয়ে আছি,
বাসার কলিংবেলটা বেজে উঠলো,,
আব্বু আম্মু মামার বাসায়,, তাই নিজে গিয়েই দরজা খুলতে হলো,,
দরজা খুলতেই আমি অবাক,,
বিস্ময়ের শেষ নেই আমার,,
সারমিন দারিয়ে আছে,,বার্থডে সাজে, ,
বেস লাগছে দেখতে,,
কিন্তু মুখটা কেমন গোমরা করে রেখেছে,
চোখ কেমন লাল হোয়ে আছে,,
কিছু বলার আগে ও কলার টা টেনে বাসা থেকে বাহিরে বের করে গাড়ির ভিতর নিয়ে ফেললো,,
তারপর গাড়ির দরজাটা আটকিয়ে দিয়ে, নিজে উঠে গাড়ি ড্রাইব করতে লাগলো,,
এভাবে তো চুপচাপ থাকা যায় না, কিছুতো বলা দরকার,তাই জিগাসা করলাম,,
আমিঃকিরে অনুষ্ঠান শেষ
সারমিনঃ???.
আমিঃকোথায় যাচ্ছি আমরা,,
সারমিন:??
সারমিন কোনো কথা বলছে না,, এক ধ্যানে গাড়ি ড্রাইব করছে,
আমিযে কিছু বলছি, তা সারমিনের কানেই যাচ্ছে না,,
কিছুক্ষন পর একটা বিশাল লাইটিং করা বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালে,,
আমার চিন্তে কোনো অসুবিধা হলো না,, যে এইটা সারমিনের বাসা,
সারমিন আমার হাত দরে ভিতরে নিয়ে গেলো,,
তখন একটা লোক বলতে লাগলো,
এতক্ষন লাগে আসতে,,তারাতারি আয়,সবাই অপেক্ষা করছে,,
সারমিন গিয়ে কেকের সামনে দারালো আর আমাকে তারপাসে দারকরালো,,
সবাই চারদিক থেকে ঘিরে দারালো,,
,সারমিন ফু দিয়ে মমবাতি নিবালো,,
তারপর কেক কেটে একটুকরো হাতে নিয়ে…..

দরজা খুলতেই আমি অবাক,,
বিস্ময়ের শেষ নেই আমার,,
সারমিন দারিয়ে আছে,,বার্থডে সাজে, ,
বেস লাগছে দেখতে,,
কিন্তু মুখটা কেমন গোমরা করে রেখেছে,
চোখ কেমন লাল হোয়ে আছে,,
কিছু বলার আগে ও কলার টা টেনে বাসা থেকে বাহিরে বের করে গাড়ির ভিতর নিয়ে ফেললো,,
তারপর গাড়ির দরজাটা আটকিয়ে দিয়ে, নিজে উঠে গাড়ি ড্রাইব করতে লাগলো,,
এভাবে তো চুপচাপ থাকা যায় না, কিছুতো বলা দরকার,তাই জিগাসা করলাম,,
আমিঃকিরে অনুষ্ঠান শেষ
সারমিনঃ???.
আমিঃকোথায় যাচ্ছি আমরা,,
সারমিন:??
সারমিন কোনো কথা বলছে না,, এক ধ্যানে গাড়ি ড্রাইব করছে,
আমিযে কিছু বলছি, তা সারমিনের কানেই যাচ্ছে না,,
কিছুক্ষন পর একটা বিশাল লাইটিং করা বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালে,,
আমার চিন্তে কোনো অসুবিধা হলো না,, যে এইটা সারমিনের বাসা,
সারমিন আমার হাত দরে ভিতরে নিয়ে গেলো,,
তখন একটা লোক বলতে লাগলো,
এতক্ষন লাগে আসতে,,তারাতারি আয়,সবাই অপেক্ষা করছে,,
সারমিন গিয়ে কেকের সামনে দারালো আর আমাকে তারপাসে দারকরালো,,
সবাই চারদিক থেকে ঘিরে দারালো,,
,সারমিন ফু দিয়ে মমবাতি নিবালো,,
তারপর কেক কেটে একটুকরো হাতে নিয়ে ওর আব্বু আম্মুকে খাইয়ে দিলো,,
তারপর আমার মুখের কাছে একটুকরো কেক দরলো,,
খেয়ে নিলাম এক কামরে,,
খরাফ না মজার তো,,
যাক যেটা ভয় করেছিলাম সেটা হলো না,
ওকে একটুকরো না খাইয়ে দিলে কেমন হয়,,
তাই একটুকরো কেক হাতে নিয়ে ওর মুখের কাছে দরলাম,,
সারমিন আমার চোখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে অন্যদিকে চোলে গেলো,,
হাতের কেক হাতেই থেকে গেলো,,আমার হাত থেকে কেকটা খেলো না,,,
বেস রেগে আছে মনে হয়,,রাগারই কথা,,,,,
আমি চুপচাপ চারপাস দেখতে লাগলাম,,
কিছুক্ষন পর একটা মেয়ে এসে বললো আপনাকে সারমি ন আপু উপরে যেতে বলেছে,,
আমার সাথে আসুন,,
আমি মেয়েটার সাথে উপরে যেতে লাগলাম,
উপরে গিয়েইতো আমি অবাক,, মেয়েদের মেলা চলছে সেখানে,,
সারমিনের চারপাস মেয়েরা ঘিরে আছে,,
আমি কাছে যেতেই সারমিন আমার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিলো,,
সারমিনঃমিম,,আরোহী,অর্থি,সুমনা,,এ হলো আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড জনি,,
সবাই হায় জানালো,,
অর্থি ঃহায়, আমি অর্থি,, সারমিনের কাজিন,,
আমিঃহ্যালো,,
আরোহী ঃআপনি কত লাকি ছেলে,,আপনার জন্য সবাইকে দু ঘন্টা বসিয়ে রাখলো,,বার্থডে অনুষ্ঠানে,,,
সুমনাঃআপনার জন্য অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো,,
মিমঃতা সারমিন, ওনি তোর বেষ্ট ফ্রেন্ড নাকি অন্যকিছু,,
সারমিন কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললো,মারবো একটা, যা খাবার সাজা,, ও খাবে এখন,,
আরোহীঃহুম হুম বুঝি বুঝি,,
সারমিনঃচলতো তোরা,,
সারমিন ওদের নিয়ে খাবার সাজাতে লাগলো একটা টেবিলে,,
ওরা চোখের সামনে এভাবে বলায় বেস লজ্জা পেয়ে গেলাম,,
সারমিন এই পর্যন্ত কোনো কথাই বললো না আমার সাথে,,
কিছুক্ষন পর মিমকে দিয়ে ডেকে আমাকে নিয়ে খাবারের চেয়ারে বসালো,
বেস অবাক হই কার সাথে আসলাম,সেই কথা বলছে না,,বেস চাপা অবিমান আমার উপর জন্মিয়েছে,,
আমি একা বসেছি টেবিলে,,
এখানে
হয়তো আমার জন্য স্পেসাল ভাবে সাজিয়েছে টেবিলটা,,
খাবার দেখে আমি বেস অবাক হোয়ে গেলাম
এত খাবার,
পুরো টেবিলে খাবার দিয়ে ভরা,,
আমার চারপাসে মিম সহ ওর কাজিন রা দারিয়ে আছে,,
একা খাবো কেমন দেখায়,,
তাই ওদের ও সাধলাম,,

আমিঃ আমি একা খাবো কেমন দেখায়, ,তোমরাও বসো,,
সবাই একসাথে বললো না না ভাইয়া,,আপনি খান,,আমরা সব সার্ব করবো,,
এবার সারমিনের দিকে তাকিয়ে বললাম,,
তুই বস,, এক সাথে খাই আমরা,,।
সারমিন কিছু বললো না,, আমার প্লেট টেনে খাবার বারতে লাগলো,,
তখন ওর কাজিন রা বললো,,

সারমিন আপু তোমার হিরো বসে একা খাচ্ছে, আর তুমি দারিয়ে থাকবে,, বসে পরো,, বসো বসো,,সার্ব করার জন্য আমরা আছি,,,
সারমিনের ঠোটের কোনে হালকা হাসি ফুটে উঠলো,,পরোক্ষনে তা আবার মিলিয়ে গিয়ে রাগী রুপ ধারন করলো
সারমিন আমার পাসের চেয়ারটা টেনে বসলো,,
আমার প্লেটে সারমিন খাবার বেরে দিতে লাগলো,,
সব ডাবল ডাবল করে দিচ্ছে,,
মনে হচ্ছে জিদ করে দিচ্ছে,
আমিঃএই কি করছিস,, এত খাবার খাওয়া যায়,,
একথা বলে যেনো আরো ভুল করে ফেলেছি,,
সারমিন আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে পেয়ালার খাবার সব প্লেটে ঢেলে দিলো,,
পাস থেকে ওর কাজিন রা তা দেখে হাসতে লাগলো,,
আমিঃএত খাবার খেলে তো আর এখান থেকে ওঠতে পারবো না,,
পাস থেকে অর্থি বললো,, সমস্যা নেই আমরা আছিতো,, আপনাকে কোলে করে নিয়ে যাবো বেড রুমে,,
সারমিন অর্থির দিকে দাত কটমট করে তাকালো,,
অর্থিঃআরে ইয়ার রেগে যাচ্ছিস কেনো,, আমি তো ফাজলামো করেছি,,
সারমিন আমার খাওয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে
ওর কাজিনদের দিকে তাকিয়ে বললো,,দেখতো আর কিকি খাবার আছে,,নিয়ে আয়,,
আমিঃএই না না,, আর খেতে পারবো না,,
সারমিন জোর করে তারপরেও আরো খাবার দিলো,,
ওর রাগী ভাব দেখে খাবার গুলো খেতে হলো,,,
খাওয়া শেষ করে আর চেয়ার থেকে উঠার শক্তি পেলাম না,, তাই ওর কাজিন দের বললাম,আমার হাতটা একটু দরে টেনে উঠাওতো উঠতে পারছি না,,
আমি হাত বারালাম,,ওরা যেই আমার হাত দরতে যাবে,,তখন সারমিন খাবার রেখে উঠে ওদের হাত সরিয়ে নিজে আমার হাত দরে উঠিয়ে দিলো,,
বেস তুলতুলেতো ওর হাত,, আগে কখনো খেয়াল করিনি, ,
সারমিন ওর কাজিনদের বললো,ওকে আমার রুমে নিয়ে বসা কিছুক্ষন রেষ্ট নিক,,
কি আর করার ওদের সাথে রুমে গিয়ে বসলাম,
বেস কিছুক্ষন গল্প করলাম,,
এর ভিতর সারমিন রুমে ঢুকলো,আর ওর কাজিন রা সব বের হোয়ে গেলো,,
ভাবলাম এবার হয়তো ভালো মন্দ দু একটু কথা বলবে,
কিন্তু না,, সেরকম কিছুই বললো না,,
ও ওর ঢয়ার খুলে কি যেনো করতে করতে রাগী কন্ঠে বললো, যা বাবার সাথে দেখা করে আয়,,
আমিঃআমার শাড়িটা দেখে ছিলি,, কেমন হলো,
সারমিন শাড়িটা দরে খাটে ছুরে মারলো,,
আমি আর কিছু না বলে ওর বাবার সাথে দেখা করার জন্য নিচে যেতে লাগলাম,,
সারমিনের ব্যাবহার কিছুটা মনে আঘাত করলো আমার,,
ওর এমন রিয়েক্ট করাটাই স্বাভাবিক,,
ওর বাবার সাথে কথা বলে দিল খুশ হোয়ে গেলো আমার,,
বেস ভালো লোক,,
বিজনেসের কাজে সবসময় বাহিরে থাকে,,
ওনার সাথে এই প্রথম দেখা হলো,,
আনমনে বসে বসে ভাবছি,,, সারমিনের কি আমার দেওয়া শাড়িটা পছন্দ হয় নি,,হবে হয়তো,,অতটাও দামি না শাড়িটা, তবে বেস খুজে পছন্দ করে কিনেছি,,,
রাত হলো অনেক,, আর থাকা যাবে না,,, বাসা খালি,,
তাই সারমিনকে বলার জন্য ওঠতেই দেখি ও সামনে,,,
কখন আসলো কে যানে,, ভাবনা চিন্তা করতে করতে কোনো খেয়ালই ছিলো না,,
আমি উঠে সারমিনের কাছে গেলাম,,
আমিঃরাত তো অনেক হলো আমি চোলে যাই,,
সারমিন কিছুই বললো না,,
তাই আবারো বললাম,, চোলে যাই আমি,
সারমিন এবারো কিছু বললো না,, তাই বললাম,
জানি চরিএহীন আমি, খারাফ ছেলে তাই বলে কথা বলবি না আমার সাথে,,
একথা বলতেই ও যেটা করলো তা কখনো কল্পনাও করিনি আমি,
সারমিন আমার মাথার চুল দু হাত দিয়ে খামছি মেরে দরে মাথাটা টেনে ওর মুখের কাছে এনে ঠোটের সাথে ঠোট মিলিয়ে দিলো,
খুব রেগে ছিলো আমার উপর,ওর চুমুতেই বেস বুঝাযাচ্ছে
চুল গুলো আরো জোরে খামছিমেরে দরে, ঠোটে চুমুক দিয়ে দরেছে,
ওর কাজিন রা দেখে অবাক হোয়ে, হা করে মুখে হাত দিয়ে থাকলো,,
সারমিন কিছুক্ষন পর একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে কাদতে কাদতে দৌরে উপরে চোলে গেলো,,
আমি ধাক্কা সামলাতে না পেরে সোপাতে পরে গেলাম,,
কি হলো এত ক্ষন,, মাথাইতো নষ্ট করে দিলো,
ওর কাজিন রা কাছে এসে বললো,,বেস রোমান্টি তো আপনারা,,
আমিঃতোমরা যা ভাবছো, আসলে তা না,,
সুমনাঃহুম দেখলাম তো,,একজন আরেকজনের ঠোটের উস্ন ছোয়া নিচ্ছেন,,
আরোহীঃ যান,বাহিরে আপুদের গাড়ি আছে, এগিয়ে দিয়ে আসবে,,
আমি আর কিছু না বলে বাহিরে চোলে আসলাম,
কান্না করার কথা আমার,, সে জায়গায় কান্না করছে ও,,
বাহিরে এসে ছাদের দিকে তাকাতেই দেখলাম, সারমিন ছলোছলো চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,,
আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম,,
ওর হুটহাট পাগলামি আমার অভিমানের পাহাড়কে গলিয়ে দিচ্ছে,,,
ও কি এসব করে কিছু বুঝাতে চাচ্ছে আমাকে,,সারমিন এবারো কিছু বললো না,, তাই বললাম,
জানি চরিএহীন আমি, খারাফ ছেলে তাই বলে কথা বলবি না আমার সাথে,,
একথা বলতেই ও যেটা করলো তা কখনো কল্পনাও করিনি আমি,
সারমিন আমার মাথার চুল দু হাত দিয়ে খামছি মেরে দরে মাথাটা টেনে ওর মুখের কাছে এনে ঠোটের সাথে ঠোট মিলিয়ে দিলো,
খুব রেগে ছিলো আমার উপর,ওর চুমুতেই বেস বুঝাযাচ্ছে
চুল গুলো আরো জোরে খামছিমেরে দরে, ঠোটে চুমুক দিয়ে দরেছে,
ওর কাজিন রা দেখে অবাক হোয়ে, হা করে মুখে হাত দিয়ে থাকলো,,
সারমিন কিছুক্ষন পর একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে কাদতে কাদতে দৌরে উপরে চোলে গেলো,,
আমি ধাক্কা সামলাতে না পেরে সোপাতে পরে গেলাম,,
কি হলো এত ক্ষন,, মাথাইতো নষ্ট করে দিলো,
ওর কাজিন রা কাছে এসে বললো,,বেস রোমান্টি তো আপনারা,,
আমিঃতোমরা যা ভাবছো, আসলে তা না,,
সুমনাঃহুম দেখলাম তো,,একজন আরেকজনের ঠোটের উস্ন ছোয়া নিচ্ছেন,,
আরোহীঃ যান,বাহিরে আপুদের গাড়ি আছে, এগিয়ে দিয়ে আসবে,,
আমি আর কিছু না বলে বাহিরে চোলে আসলাম,
কান্না করার কথা আমার,, সে জায়গায় কান্না করছে ও,,
বাহিরে এসে ছাদের দিকে তাকাতেই দেখলাম, সারমিন ছলোছলো চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,,
আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম,,
গাড়ির কাচ নামিয়ে আবার তাকালাম ছাদের দিকে,,।
এখনো তাকিয়ে আছে আমার দিকে,, চোখের পানি চিক চিক করছে সারমিনের গালে,,, আমার চোলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
বাসায় এসে সুয়ে পরলাম,,
সকালে মামাবাসা থেকে বাবা ফোন দিয়ে বললো,,জনি তোর আম্মু এখানে এসে অসুস্থ হোয়ে পরেছে,,
আমিঃবলো কি,, কিভাবে,,
বাবাঃজানি না,,বারবার তোকে আসতে বলতেছে,,,
আমিঃআচ্ছা আমি আজ বিকালেই আসছি,,
বাবাঃআচ্ছা চোলে আসিস,,
সারমিন কে জানানো দরকার,, বিকালে চোলে যাবো,,
তাই সারমিনের ফোনে কল দিলাম,,
ফোন বন্ধ বলছে,
বেস কয়েক বার কল দিলাম, কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে,,
আমার উপর রাগ করে ফোন বন্ধ করে রেখেছে,
বাসে বসে বসে সারমিনের ফোনে অনেক ট্রাই করলাম,,
কিন্ত ফোন বন্ধ বলছে,,
অবশেষে মামার বাসায় গিয়ে পৌছালাম,
শন্তান কাছে থাকলে মায়েরা এমনেই ভালো হোয়ে যায়,,
যার প্রমান আজ পেলাম,,
রাতে মা নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিলো,,
তার পরের দিন, মামাদের এখানের কারেন্ট ট্যান্সমিটারে কি যেনো সমস্যা হোয়ে কারেন্ট চোলে গেছে,,
কারেন্ট না থাকার কারনে মোবাইল বন্ধ হোয়ে গেলো,
আজ তিনদিন দরে ফোন বন্ধ,,
সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ,,
সারমিন পাগলিটা কি করছে কে জানে,,
ফোন কি এখন বন্ধ করে রেখেছে কিনা জানিনা,,
কারেন্ট আসতে আরো দু দিন লাগবে,,
মোট পাচদিন পর কারেন্ট আসলো,,
পন্চম দিন রাতে আসলো কারেন্ট,,
চার্যে রেখে মোবাইল ওপেন করলাম,,
ওপেন করতেই বেস কতগুলো মেসেজ আর কল দেখতে পেলাম,,
আপনারা কি ভাবছেন কে দিতে পারে,,
.
হুম ঠিক দরেছেন,, সব গুলোই সারমিন দিয়েছে,,
যেই মুহুর্তে কল দেবো, ঠিক তখনই সারমিন কল দিলো,,
.
কল রিসিব করতেই,,
সারমিনঃওই কুওা তোর ফোন বন্ধ কেনো,, তোরে খুন করমু কুওা,, বিলাই। তোর বাসা টালা মারা কেনো,, কি হলো কথা বলছিস না কেনো,,
.
আমিঃফোনে চার্য ছিলোনা,,আর আমি এখন মামা বাসায়,,
সারমিনঃতোর মামা বাসার এড্রেস বল,, আমি এখনই আসবো,,
আমিঃকেনো,,
সারমিনঃতোকে দেখতে,, তারাতারি বল,
আমিঃপাগল হলি নাকি,, এই রাতে আসবি,,,
সারমিনঃহ্যা পাগল হইছি,,তুই বলবি কি না বল,,
আমিঃদেখ পাগলামি করিস না,, দুদিন পর আমি আসতেছি,,
সারমিনঃআমি এত কিছু শুনতে চাচ্ছি না,
আমিঃআরে পাগলি এত রাতে আসবি, লোকে কি বলবে,, তাছারা মা বাবাও এখানে,, তাদের কি বলবো আমি,,
সারমিনঃআমি এত কিছু শুনতে চাচ্ছি না,, তুই বলবি কি না,, আমি কিন্ত কিছু একটা করে বসবো,,
আমিঃপাগল হলি নাকি,, কি আজেবাজে বকিছিস,,
সারমিনঃতাহলে তুই বলবিনা, ঠিক আছে দেখ কি করি,,
আমিঃপাগলামি করিস না,, আচ্ছা বলছি,,……….এই ঠিকানায় চোলে আসিস,,
আর সাবধানে আসিস,,
বুঝিনা কি পাগলামি শুরু করেছে,,
রাত ১১ টার দিকে সারমিন এসে পৌছালো,,
কিরকম শুকিয়ে গেছে,,চুল গুলো এলোমেলো,,
কিরকম যেনো হোয়ে গেছে,,,
সারমিন আমার দিকে মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে আছে,,ওর চোখ যেনো কথা বলছে,,
আমিঃ কি যে পাগলামি করিস না তুই,,চল ভিতরে চল,,
বাবা মা সহ সবাই ড্রইং রুমে বসে আছে,,
সারমিন কে দেখে সবাই কেমন করে যেনো আমার দিকে তাকাচ্ছে,,
আমিঃআব্বু আম্মু ও হলো সারমিন, আমার ফ্রেন্ড,,
সারমিন এরা আমার আব্বু আম্মু,,
সারমিন সোজা গিয়ে আব্বু আম্মুর পা ছুয়ে ছালাম করলো,,
মাঃথাক থাক পা ছোয়া লাগবে না,, কি লক্ষি মেয়ে,,,
মুখটা এমন শুকনো কেনো,,, কিছু পেটে পরেনি,,
সারমিন মাথা নারিয়ে না বললো,,
আম্মুঃএই টেবিলে খাবার বার মেয়েটার খুদা লাগছে,,
আমিঃআগে ফ্রেস হোয়ে নিক,,
আম্মুঃ যা তানিয়ার রুমে নিয়ে যা,,(তানিয়া আমার মামাতো বোন)
সারমিনকে ফ্রেস হোতে পাঠালাম,,
কিছুক্ষন পর ওকে ডাকার জন্য রুমে গেলাম,,
গিয়ে শুনি তানিয়া সারমনিকে বলছে,,কি এত রাতে ফ্রেন্ডের টানে আসছো নাকি, ,প্রেমিকের টানে,,
সারমিনঃধ্যাত জানিনা আমি,,
(কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললো সারমিন)
আমি বাহির থেকে বললাম,, সারমিন তোর হলে খেতে আয়,,
রাতে সবাই এক সাথে খেয়ে যে যার রুমে ঘুমাতে চোলে গেলো,, সারমিনকে তানিয়ার রুমে ঘুমাতে দেওয়া হলো,,
সবাই সবার মতো সুয়ে পরলো,,আমি কিছুক্ষন মোবাইলে এফবি চালিয়ে লাইটটা বন্ধ করে সুয়ে পরলাম,,
হঠাৎ অন্ধকারে কেউ একজন আমার মাথায় হাত রাখলো,,
সুবাসটা বলে দিচ্ছে এ আর কেউ নয় সারমিন,
আমিঃসারমিন,,
সারমিনঃহুম,,
আমিঃতুই এখানে কি করছিস,,কেউ দেখলে খারাফ ভাববে,,
সারমিন আমার হাত দরে বললো,ছাদে আয় কথা আছে,,
আমিঃপাগল হলি নাকি, এত রাতে,, কেউ দেখে ফেললেই সর্বনাস হোয়ে যাবে,,
সারমিনঃকেউ দেখবেনা,,
আমিঃযা বলার সকালে বলিস,
সারমিনঃতুই আসবি নাকি সবাইকে জাগাবো,,
আমিঃতুই না আসলে,,, চল,,
ওকে নিয়ে ছাদে যেতেই,
আমাকে জড়িয়ে দরে কেদে দিলো,,
আমি ঃএই সারমিন কি করছিস,, ছার,,হঠাৎ তোর কি হলো,,ছার কেউ দেখে ফেলবে,,
সারমিনঃখুব ভালোবেসে ফেলেছিরে তোকে,, ফিরিয়ে দিস না,,
আমি ঃ কি যাতা বলছিস!
সারমিনঃ তোকে ছারা আমি চলতে পারবো না রে,, প্লিজ তোর বুকের ভিতর জড়িয়ে রাখ আমায়,,
আমিঃআগে ছার,, কেউ এভাবে দেখলে খুব সর্বনাস হোয়েযাবে,,
সারমিনঃনা ছারবো না,, বল ভালোবাসি, এ কদিন ঠিক মতো খেতে পারিনি, ঘুমোতে পারিনি,,
আমিঃছার আগে,,
সারমিনঃনা ছারবোনা,,
এক পর্যায় সারমিন কে ছারিয়ে ঠাসস করে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম সারমিনের গালে,,
নিজেও হতবাক হোয়ে গিয়েছি,, কি করলাম আমি,,
সারমিন আমার দিকে কিছু ক্ষন তাকিয়ে থেকে কাদতে কাদতে নিচে চলে গেলো,,আমি পিছন থেকে অনেকবার ডাকলাম, কিন্তু আমার কোনো কথাই শুনলো না,,
আমি রুমে এসে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,কিন্তু সারমিন মাঝে মাঝে এমন কাজ করে যে ওকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে রাত পার হোয়ে যায়,,
সকালে সারমিন তার হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে চোলে যাচ্ছে,,
আমি পিছন থেকে, ওর হাত টেনে দরলাম,,
ও আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে এক জটকায় হাত ছারিয়ে নিলো,,
আমি আবার হাত টেনে দরলাম,,
এবারও হাত ছারিয়ে নিলো,,
ভালোই খেপেছে,,
এবার ওর হাতের ব্যাগ টেনে দরলাম,,।
ওমা সেকি রাগী লুক নিয়ে আমার দিকে তাকালো,, ভয়ে ছেরে দিলাম,
সারমিন কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে তারপর হাতের ব্যাগটা আমার দিকে ছুরে মেরে বললো,,কুওা এখন আটকাস কেন,,
আটকাবি না,,
তারপর হনহন করে চোলে গেলো,,ব্যাগটাও নিলো না,,
ফোনে কয়েকবার কল দিলাম,কিন্তু দরলো না,, বার বার কেটে দিচ্ছে,,
মেয়েটা সবসময় আমায় টেনশনে রাখে,,
কে জানে রাগ করে আবার গাড়ী এক্সিডেন্ট করেছে কি না,,
নাহ,,,এ মেয়ে আমায় শান্তিতে থাকতে দেবে না,,
দুপুর হলো,,কোনো খোজ পেলাম না সারমিনের,,
কল ও দরছে না,,
বিকালে রুমে আদসোয়া হোয়ে
বসে আছি,,
ঠিক সেসময় কারো হাসির শব্দ পেলাম,,
রুম থেকে বের হোয়ে ড্রইং রুমে গিয়ে তো আমি বেস অবাক ,
সারমিন এসেছে, সাথে তার বাবাকে নিয়ে,,
আমার বাবার সাথে আংকেল কি নিয়ে যেনো হাসাহাসি করছে,,,
সারমিন আমার মা বাবার মাঝখানে বসে আছে,,
আমাকে দেখে মুখটা বেংচি কেটে অন্যদিকে ফিরিয়ে নিলো,,,
তারপর.
আংকেল ঃভাইসাহেব আমার মেয়েটা দেখেন কেদে কেদে চোখ কি করছে,,আজ আমার ডুবাই যাওয়ার কথা ছিলো,,কিন্তু মেয়ে আমার কল করে কেদে দিয়ে একাকার করে ফেললো,,
তাইতো চোলে আসতে হলো,,
এখন ভাইসাহেব আমার মেয়েটাকে আপনাদের মেয়ে করে নেন,,
আব্বুঃ তাতো নেবোই, এমন লক্ষি মেয়ে কেউ হাত ছারা করে,,রাতে যখন আপনার মেয়ে আসলো, তখনই বুঝতে পেরেছি,,,আমার ছেলের সাথে আপনার মেয়ের যে কিছু একটা আছে,,
আংকেলঃতাহলে তো আমার মেয়েকে আপনার গরের লক্ষি করতে কোনো সমস্যা নেই কি বলেন ব্যায়াই সাহেব,,
আব্বু ঃকি যে বলেন ব্যায়াই সাহেব, আপনার মতো একজন সম্মানিত লোকের সাথে আত্তিয়তা করা তো ভাগ্যের ব্যাপার,,
মাঝখান থেকে আমি বললাম,,আমার সমস্যা আছে
সবাই আমার দিকে অবাক হোয়ে তাকালো ,,
সারমিন চোখ বড় বড় করে চেয়ে আছে,,এই যেনো গিলে খাবে,,
আংকেলঃতোমার কি সমস্যা বাবা,আমার মেয়ে কি খারাফ,,
আমিঃতা না,আংকেল,,ও অনেক ভালো একটা মেয়ে,,
আংকেলঃ তা হলে সমস্যা কোথায়?
আমিঃও দেখতে খুব সুন্দর, খুব ভালোএকটা মেয়ে,, আমি চাই না, আমার মতো একটা সাধারন ছেলের সাথে ওর জীবন জরাক,,ও অনেক ভালো উচু যায়গায় বিয়ে হবে,
আমি চাই ও সুখি থাকুক,,
.
এত ক্ষন সারমিন কিছু বলেনি,কিন্তু আমি এ কথা বলতেই,বসা থেকে উঠে সবার সামনে আমার হাত দরে টেনে রুমে নিয়ে গিয়ে রুমের দরজা আটকিয়ে দিলো,,
.
আমিঃএই কি করছিস,দেখ উলটাপালটা কিছু করবি না,বাহিরে সবাই আছে,,
সারমিনঃ কুওা আজ সব করবো,,,খুব ভালোবাসি তো তাই এমন করছিস,,
আমিঃ??
আমার চুপ থাকা দেখে,,এবার গলা চেপে দরলো,,
সারমিনঃ চুপ করে আছিস কেনো কুওা,, তোকে আজ মেরে ফেলবো,, আমাকে বিয়ে করবি না,,তোর মু…….
আর কিছু বলতে দিলাম না,,
ঠোট দিয়ে ওর মুখ বন্ধ করে দিলাম,
আর কত অভিমান করে থাকবো,,
কিছুক্ষন পর ছেরে দিলাম,,
অশান্ত মেয়েটা যেনো ঠোটের ছোয়ায় নিমিশেই শান্ত হোয়ে গেলো,,
সারমিন বুকের ভিতর কয়েকটা কিল দিয়ে বললো,সয়তান একটা,,আমাকে ভালোবাসিনা তাই না, এখন চুমু দিলি কেনো,,
আমি আরো শক্ত করে সারমিন কে জড়িয়ে দরলাম,,
সারমিন বুকের ভিতর মুখ গুজে আমাকেও জড়িয়ে দরলো,,
বেস কিছুক্ষন পর সারমিন বুকের ভিতর থেকে মুখ বের করে বললো,,এবার ছার,, সবাইকে বলতে হবে তো,, আর রুম থেকে বের হোয়ে সবাইকে হ্যা বলবি,,
আমিঃওকে,,
আব্বু আর আংকেলকে হ্যা বলে দিলাম,,
তারা বিয়ের দিন ঠিক করলো,,
এর পর সারমিন আর আমার বিয়েটা খুব দুমদাম করে হলো,,
বাসর রাতে দুজন খাটে বসে আছি,,
আমি পুতুলের দিকে তাকিয়ে বললাম,,তোকে খুব সুন্দর লাগছে,,
সারমিনঃওই তুমি এখনো তুই তুই করে বলবে,,
আমিঃআচ্ছা সরি,,, তা তুমি আমার মতো কিটপতঙ্গের সাথে নিজেকে জরালে কেনো,,
এ কথা বলতেই সারমিন আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে বুকের উপর চেপে বসলো,,
সারমিনঃ কি বললি তুই,,আবার এসব,,আজ তোকে এমন শাস্তি দেবো জিবনেও আর এসব কথা মুখে আনবি না,,
আমিঃসরি ভু……আর বলতে দিলো না,,
ঠোটের উপর হামলা করা শুরু করে দিলো,,
এ যে রোমান্টিক আক্রমন,,
এরকম আক্রমনের শিকার আমি রোজ হতে চাই,,,
এ যুদ্ধে কোনো হার জিত নেই, আছে শুধু ভালোবাসা।

.