বাসে বোসে আছি, গন্তব্য মামার বাসা।
মামার বাসা
ঢাকাতে, বেরাতে যাচ্ছি না,
মামার বাসায় থেকে অনার্সটা কমপ্লিট করবো তাই যাচ্ছি।আমার সম্পর্কে বলি আমি জনি, থাকি বরিশালের ভোলা জেলাতে। ঢাকা মামার বাসা,
সেখানেই যাচ্ছি।
মামার একটা মেয়ে আছে নাম পায়েল।
আমার থেকে দুই বছরের ছোট।
আমি সভাবতই একটু গম্ভীর টাইপের,
কথা কম বলি।

আপনাদেরকে আমার বর্ণনা দিতে গিয়ে বাসাতে পৌছে গেলাম।
বাসায় কলিংবেল চাপতেই মামি দরজা খুলে দিল।,
আমি সালাম দিলাম।
আমিঃ মামি কেমন আছেন।
,,
মামিঃ এইতো বাবা ভালো, তোমার আসতে কোনো অসুবিধা হয়নিতো।
আমি ঃ না মামি।
আমিঃ মামা কোথায়।
মামি ঃ বাজারে গেছে
আমিঃ পায়েল কোথায়।
মামিঃ ওইযে রুমে।
।পায়েল আমাকে দেখে, দৌরে এসে জরিয়ে দরলো।
পায়েলঃ ভাইয়া, কেমন আছ।
তুমি ফোন দিবা না, আমি গিয়ে নিয়ে আসতাম।

আমিঃ তুই তো সেই পাগলি রয়েগেছিস তবে একটু বড় হোয়েছিস,
, দর।
ওর জন্য আনা চকলেট গুলো ওকে
দিলাম।
পায়েল চকলেট গুলো পেয়ে খুশি হোয়ে দৌরে চোলে গেল।
মামি ঃ যাও তোমার জন্য ওই রুমটা রেডি কোরে রেখেছি।
আমি আমার ব্যাগপত্র নিয়ে রুমে গেলাম তার পর,
ফেরেস হোলাম, ততখনে মামি খেতে ডাকলো। খেয়ে একটা ঘুম দিলাম।
রাতে মামা আসলো তার সাথে কুশল বিনিময় করলাম।
তার পরের দিন, ভাসিটিতে গিয়ে ভর্তির বিসয়টা পাকাপাকি করে আসলাম।
বিকালে বাসা থেকে বের হচ্ছি, বাহিরের দিকটা ঘুরে দেখার জন্য তখন ই দেখলাম শিরি বেয়ে একটা মেয়ে উঠছে।
একবার চোখাচুখি হোয়েছে মেয়েটার সাথে, মেয়েটা কেমন ছিল অতটা আর পরোক্ষ করে দেখিনি, আমি চোলে আসলাম বাহিরের দিকে।
অন্যদিকে মেয়েটা মামির বাসায় ঢুকলো
পায়েল ঃ আরে দোছ কখন আসলি।
মেয়ে ঃ এইতো এখন।
আন্টি কেমন আছেন।
মামি ঃ ভালো মা, তুমি কেমন আছো,
মেয়ে ঃ ভালো আন্টি।
পায়েল আর তার বান্ধুবি তার রুমে গেল।
মেয়ে ঃ দোছ একটা নতুন ছেলে দেখলাম কেরে।
পায়েল ঃ আমার ফুফির ছেলে, এখন থেকে এখানে থাকবে।
কেন, বলতো?
মেয়ে ঃ না দেখলাম, আচ্ছা আমাকে পরিচয় করিয়ে দিবি না।
পায়েল ঃ দিব।
আমি সন্ধার আগ দিয়ে বাসায় চোলে আসলাম। এসে রুমে বসতেই , পায়েল আর মেয়েটি প্রোবেশ করলো আমার রুমে।
পায়েল ঃ ভাইয়া ও হলো।
মেয়েটি ঃ হুট সর, (পায়েল কে সরিয়ে দিয়ে,)
হ্যালো আমি নিলা, পায়েলের বান্ধুবি, এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে।
আমি ঃ জি,আমি জনি এবার অনার্সে।
নিলা ঃ আপনি ভালো আছেন,
আমি ঃ জি আলহামদুল্লিলা ভালো, আপনি।
নিলা ঃজি আমিও ভালো, আর শুনেন আমাকে তুমি করে ডাকবেন।
আমি ঃ আচ্ছা।
এর বেশি নিলার সাথে কথা হয়নি।
খুব অবাক হলাম মেয়েটির কথায়।
মনে হয় যেন কতদিনের চেনা।
তার পরদিন থেকে ভার্সিটিতে যেতে শুরু করলাম খারাফ
না ভালোই লাগছে। কিছু নতুন বন্ধু পেলাম।
সেই হিসেবে দিন বালোই যাচ্ছে,
এইভাবে কয়েক দিন কাটলো।
আজ ভার্সিটিতে যাইনি, বাসাতে আছি,তাই
মামি বললো।
জনি বাবা পায়েল কে একটু কলেজে দিয়ে আসতে যদি।
আমি ঃ আচ্ছা সমস্যা নেই ওকে রেডি হোতে বলেন।
মামিঃআচ্ছা।
তারাপর আমি রেডি হোয়ে ওকে নিয়ে ওর কলেজে গেলাম। কলেজের ভিতর ডুকতেই পায়েলের বান্ধুবিরা আসলো।
নিলা ঃ আরে আপনি,
আমি ঃ হ্যা আসলাম, পায়েল কে নিয়ে, আচ্ছা থাকো, তোমরা গেলাম।
নিলা ঃ গেলাম মানি কি, কোথাও যেতে দিচ্ছি না, আমাদের কলেজে প্রথম আসছেন অনতত পক্ষে এক কাপ কফি খাবেন চলেন।
পায়েল ঃ ভাইয়া চলো চলো।
আমিঃআচ্ছা চল,
ওদের কেন্টিনে গেলাম, কফি খাচ্ছি আর সবার সাথে কথা বলছি।
কিন্তু নিলা কোনো কথা বলছেনা।কফি খাচ্ছে আর আমার দিকে তাকাচ্ছে, মেয়েটার চোখ গুলো দেখার মতো, দেখলেই মনে হয় চোখের ভিতর কোনো এক অজানায় হারিয়ে যাই।
কফি খেয়ে বিল দিতে যাবো তখন নিলা বলল।
একটা টাকাও দেবেন না।
আমিঃ আমি তোমাদের বড় যেহেতু আমিই দেই।
নিলা রাগি শরে বলল দিতে না বলছি না।
তাই আমি আর দিলাম না। ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চোলে আসলাম।
তার পরের দিন ঠিক বিকালে নিলা আসলো , সোজা আমার রুমে।
নিলা ঃকেমন আছেন।
আমিঃআরে তুমি, এইতো ভালো, তুমি কেমন আছ,।
নিলা ঃ আমার আর থাকা,।
আমিঃকি ছু বললে।
নিলা ঃনা বলছি ভালোই।
ওর সাথে এমন টুকটাক কথা প্রাই হয় আমার, এর বেশি কিছু না।
ইদানিং এই বাসায় ও ঘনঘন আসছে।
সেইদিন তো পায়েল বলেই ফেল।
পায়েলঃ কি ব্যাপার দুস তোকেতো আগে এত ঘনঘন আসতে দেখিনি, আমি বোলেওতো আনাতে পারতাম না, ব্যাপার কি।?
নিলা ঃকি ব্যাপার আর হবে, কেন আমি আসতে পারি না ?
পায়েল ঃ আসতে তো পারিস, না কিছুতো একটা হোয়েছে।
প্রেম ভাইরাসে দরেছে নাকি।
নিলা ঃযাহ কি বলিস,
পায়েল ঃ আমার গুলু গুলু বান্ধুবিটা দেখি লজ্জা পাচ্ছে।
তা ভাইরাসটা কি আমার ভাইয়া নাকি।
পায়েল তুইও না।
এই বলে নিলা বাসা থেকে চোলে গেল।
আর পায়েল হেসে গরাগরি খাচ্ছে।
নিলাকে দেখলেই কেন জানি আমর হার্ডবিট বেরে যায়,।
আজ মেইন রাস্তায় রিক্সার জন্য দারিয়ে আছি তখনই একটা কালো পাজেরো এসে সামনে থামলো। গাড়ি থেকে দেখি নিলা নেমে আসছে।
নিলা ঃ কি ব্যাপার আপনি এখানে।
আমি ঃরিক্সার জন্য দারিয়ে আছি।
নিলা ঃ আমার সাথে চলুন, আমি নামিয়ে দেব।
আমিঃ না থাক আমি যেতে পারবো।
আসেন না,
আমার হাত দরে নিলা তার গাড়ির ভিতরে নিয়ে গেল।
গাড়ি চলছে,ভিতরে আমরা দুজন বোসে আছি।
কিছুক্ষণ নিরবতা বেঙ্গে নিলা বলল,
নিলাঃ আপনি কি সবসময় ই কথা এমন কম বলেন।
আমিঃ না বলিত কথা।
নিলা ঃ কই কখন থেকে বোসে আছি কোনো কথা বলছেন না
আমিঃ আসলে কি বলবো খুজে পাচ্ছি না।
নিলাঃ ও,চলেন না দুজন দু কাপ কফি খাই,।
আমি ঃ না আজনা অন্য একদিন,
ওর সাথে কথা বলে আমার গন্তব্য স্থানে চোলে আসলাম।
আমি ঃএখানে নামিয়ে দিলে হবে।
নিলা ঃএখন ই নেমে যাবেন,
আমিঃ হ্যা।
নিলা মনে মনে বলছে, আর কিছুক্ষন
থাকেন না।তা হোয়ে উঠলো না।
এভাবেই একসপ্তাহ কেটে গেল এর ভেতর আর নিলার সাথে দেখা হয়নি।
ভাইয়া আসবো,,
রাতে রুমে পরছি, তখনি পায়েল কথাটি বলল।
আমিঃআয়?কিছু বলবি।
পায়েল ঃ ভাইয়া এই পড়াটা একটু বুঝিয়ে দে তো।
পায়েল কে পড়া বুঝিয়ে দিলাম পায়েল চোলে গেল।
ওর যাওয়ার দশ মিনিট পরে মোবাইলের কলের শব্দে মনযোগ বিগ্ন গটলো। পাসে তাকিয়ে দেখি পায়েলের মোবাইল বাজছে।
ও পরতে এসে ফোনটা রেখে গেছে।
পায়েল কে কয়েকবার ডাক দিলাম। কোনো সারা শব্দ পেলাম না, রুম থেকে বের হোয়ে ওকে খুজতে লাগলাম, কিন্তু বাসার ভিতর পেলাম না। ফোনটা ও বেজে চলছে তাই কলটা দরলাম।
আমিঃহ্যালো
ওপাস ঃহ্যালো।
হ্যালো শব্দ শুনেই
বুঝতে পারলাম নিলা।
আমিঃআসলে পায়েল ফোনটা রেখে কোথা যেন গিয়েছে।ও আসলে বলবো।
নিলা ঃফোন রাখবেন না, আমার কথা কি খুব খারাফ শুনায়।
আমি ঃ না তা কেন হবে। তোমার কথা তো কত মধুর।
নিলা ঃতা হলে, ফোন রাখতে চাচ্ছেন কেন।
আমিঃনা ভাবলাম,পায়েলের কাছে ফোন দিয়েছো।
নিলাঃ সবসময় বেসি বোঝেন না, তো কেমন আছেন।
আমিঃএইতো ভালো, তুমি কেমন আছ,
নিলাঃ জানি না।
আমিঃএটা কেমন কথা।
নিলা ঃসেটাও যানি না।
আমিঃ তাই বুঝি।
নিলাঃহিম,এই শোনেন না, চলেন কালকে আমরা দেখা করি।
আমিঃ কেন?
নিলাঃ এমনেই,চলেন না,
আমি ঃ না যাওয়া যাবেনা,
নিলা কন্ঠটা করুন করে বলল।
ওহ, এক কাফ কফিইতো খাবো, আসলে কি হয়।
আমিঃআচ্ছা আসতে পারি, পায়েল কে বলা যাবে না?
নিলাঃ ওকে বলতে যাব কেন। তা হলে কাল বিকালে চোলে আসবেন ক্যাফেতে।
ওর সাথে কথা বলে মনটা একটু সতেজ লাগলা।
যথা সময়ে চোলে গেলাম ক্যাফেতে।
ডান পাশের টেবিলে বোসে আছে, আমি গিয়ে বসলাম
নিলাঃ আপনি আসছেন, আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি তো।
আমিঃ না,তা কেমন আছ তুমি।
নিলা ঃভালো নেই।
আমিঃ আবার শুরু করলে।
নিলাঃ সত্যিই আমি ভালো নেই।
আমারা দু জনই লজ্জাতে কথা বলতে পারছি না,
ওয়েটার আমাদের কফি দিয়ে গেল।
আমরা খাচ্ছি দুজনের চোখে চোখ পরতেই দুজনই লজ্জা পেয়ে অন্যদিকে চোখ সরিয়ে নেই।
এরকম কয়েক বার হলো।
আমার হার্ডবিট কেনো যানি বেরে যাচ্ছে।
কখন যে এক ঘন্টা পেরিয়ে গেল বলতেই পারলাম না।
আমিঃএবার আমার যেতে হবে,
আমার কথায় নিলা আহত সরে মুখটা মলিন করে বলল।
নিলাঃএখনই চোলে যাবেন।
আমিঃ কফি তো খেলাম।আর কি।
নিলাঃকফির কথা বলেছি বলে শুধু কফি খেয়ে চোলে যাবেন। চলেন না আমরা একটু হাটি।
আমিঃ আচ্ছা চলো।
দুজন পাশাপাশি হাটছি, হাতে হাতের স্পর্স লাগছে যেন শিহরিত হোয়ে যাচ্ছি। ইচ্ছা করছে ওর হাতটা দরতে।
নিলাঃ চলেন ফুসকা খাই।
আমি কেন যানি ওর কথা ফেলতে পারিনা।
আমরা দুজন ফুসকা খাচ্ছি,
ও কত সুন্দর করে ফুসকা খাচ্ছে।
নিলাঃ এই ভাবে কি দেখেন।
আমিঃ ককই কি দেখি।
নিলা হাসছে।
আমি দরা খাওয়া আসামির মতো চুপ করে আছি।
নিলাঃ আচ্ছা শুনেন পোরশু দিন আমার বার্থডে আপনি কিন্তু অবশ্যই আসবেন।
আমিঃতোমার বান্ধুবি গেলেই হবে আমি গিয়ে কি করবো।
নিলা ঃ আসতে বলছি আসবেন,আপনি না আসলে কিন্তু বার্থডে অনুষ্ঠান করবো না।
আমিঃকেন? আমার জন্য কি আসে যায়।
নিলা আমার চোখের দিকে চোখ বড় করে তকিয়ে মুখকে অবাক বঙ্গি করে বললো। জানি না,আসবেন ব্যাচ আসবেন,আর কিছু জানতে চাই না।
আমি একটু হাসলাম।
সন্ধার দিকে বাসায় চোলে আসলাম।
ও আমাকে পছন্দ করে এটা খুব ভালো করে বুঝি।
আমি করি না যে তা না,আমি ও কর।
রাতে সুয়ে আছি, মনটা উসখুস করছে নিলার সাথে কথা বলার জন্য, কিন্তু নাম্বার তো নেই।
পায়েলের কাছে তো সরাসরি চাওয়া যাবেনা।
পায়েলের রুমে চোলে গেলাম।
পায়েলের হাতেই মোবাইল কি করি
পায়েল ঃ কিছু বলবে ভাইয়া,
আমিঃকি বলবো, না মানি তোর ফোনটা একটু দে আমার ফোনে টাকা নেই একটু কথা বলবো।
পায়েল ঃনেও।
আমি ফোনটা নিয়ে আমার রুমে চোলে আসলাম, নাম্বার টা নিয়ে ফোনটা দিয়ে দিলাম।
ফোন দিব কি দিব না ভেবে দিয়ে দিলাম নিলার কাছে ফোন।
একবার কল ঢুকতেই কল দরে ফেলল।
নিলাঃআমি জানতাম আপনি কল দিবেন।
আমি ঃতুমি জানতে এটা আমার নাম্বার।
নিলাঃ হিম।
আমিঃতা তুমি দিলে না কেন ফোন।
নিলাঃ আমি জানতাম আপনি দিবেন
তাই দেইনি।
আমিঃ কিভাবে জানতে।
নিলাঃ মন বলেছে ,।
আমিঃ মন আর কিকি বলে।
নিলাঃ অনেক কিছু বলের,বলা যাবেনা।
আমিঃকখন বলা যাবে।
নিলাঃ সময় হোক তখন বলবো।
এখন কি করেন
আমিঃবোসে আছি, তুমি।
নিলাঃ আমি ছাদে দারিয়ে আছি, আচ্ছা আপনার প্রিয় কালার কি
আমিঃআকাশি কালার।।
নিলাঃও, আপনি কিন্তু বার্থডে তে আসতেই হবে।
আমিঃ না, আসলে ওই দিন কিছু কাজ আছে আমার।
নিলা ঃ আমি কিছু শুনতে চাই না। আপনি আসবেন এটাই ফাইনাল।
রাত বাররছে আর ওর সাথে কথার ফুলঝুরি বারছে।
যথাদিন ওর বার্থডে চোলে আসলো।
সন্ধায় অনুষ্ঠান।
কিরে ভাইয়া এখনো রেডি হসনি।।
বিকালে বোসে আছি তখনই পায়েল কথাটি বললো।
আমি ঃ কেন।
পায়েল ঃ কেন মানে , আজকে নিলার বার্থডে অনুষ্ঠান। আমকে বারবার করে বলে দিয়েছে তোকে যেন নিয়ে যাই।
তারা তারি রেডি হোয়ে নে।
আমিঃ আমিতো কোনো গিফ্ট নিলাম না কেমন হলো।
পায়েল ঃ আমার টা দিয়েই হোয়ে যাবে, চল।
আমি ঃ নাহ আমার টা আমি আলাদা দিব। এক কাজ কর, তুই আগে চোলে যা আমি ওর জন্য গিফ্ট নিয়ে আসছি।
পায়েলঃ কি ব্যাপার ভাইয়া এখানে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি, বান্ধুবি হলো আমার, আর তুমি, সামথিং সামথিং নাকি।
আমি ঃ যাতো তুই,পাকনা একটা।
পায়েল ঃ ভাইয়া তারাতারি চোলে আইসো।
আমি আগেই নিলার জন্য একটা
আকাশি কালারের শারি দেখে রেখে ছিলাম, এখন শুধু এটাকে প্যাক করলাম আর কিছু সাত রঙা চুরি নিলাম মানে রেসমি চুরি।
এই দিকে নিলা আমার জন্য পথ চেয়ে আছে। পায়েলকে একলা দেখে
নিলা মন খারাফ হোয়ে গেল।
নিলাঃওনি আসে নি।
পায়েল ঃওই তুই আমার বান্ধুবি না ভাইয়ার, আমার কথা রেখে ভাইয়ার কথা বলছে।ভাইয়া আসবো না,ওনার কোন কাজ আছে তাই আসবে না।
নিলা কান্না করে দিল, হাত দিয়ে পানি মুচছে আর বলছে আমার চেয়ে ওনার কাজ বড় হোয়ে গেছে।
পায়েল ঃ আরে আরে আমার গুলু গুলু বান্ধুবিট দেখি কাদছে, মেকাপ নষ্ট হোয়ে যাবে তো। আমার এই গিপ্টে হবে না,ভাইয়ারটা ভাইয়া আলাদা দিবে
তাই ভাইয়া তোর জন্য আলাদা গিফ্ট আনতে গেছে, এখুনি চোলে আসবে
বান্ধুবি আমার পুরাইতো লাইলি হোয়ে গেলি।
নিলা কান্ন মিস্রিত মোখে হেসে দিল।
নিলা বার বার গেইডের কাছে গিয়ে উকি ঝুকি দিচ্ছে, এখনো আমি আসছি না কেন,তার জন্য
পায়েল ঃএই নিলা এখানে এসে বস ভাইয়া চোলে আসবে তো।
নিলাঃনা আমি ঠিক আছি। আমি একটু পরে আসি।
পায়েল ঃআচ্ছা আমি কল দিচ্ছ, তুই আয়,
দেখি কোন পোর্যন্ত আসছে।
পায়েলের কল পেয়েই দরলাম।
পায়েলঃ কিরে ভাইয়া কোথায় তুমি।
আমি ঃ এইতো চোলে আসছি।
পায়েলঃ তারাতারি আস, তোমার জন্য তোমার লাইলি অস্থির হোয়ে গেছে।।
আমিঃ ফোন রাখ।
পাকনা একটা,,
কল কেটে দিয়ে রিক্সা থেকে নামলাম, বিশাল আয়োজন দেখি।
ভিতরে ডুকলাম।
পায়েল ঃ ওইতো ভাইয়া চোলে আসছে।
নিলাকে দেখে চোখ আটকিয়ে গেছে আমার।নিলাও ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে
। কতক্ষন তাকিয়ে ছিলাম দুজন দজনের দিকে জানিনা।
,, পায়েলের কথায় হুশ ফিরলো।।।
।।পায়েল ঃ কিরে কি হলো তোদের।
মূহুর্তেই দুজন বাস্তবে ফিরে এলাম।
নিলা লজ্জা পেল, ওর জন্য আনা গিফ্টটা ওকে দিলাম।
আমি ঃহেপি বার্থডে নিলা।
ওকে উইশ করে সাইডে দারালাম।
যথা সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হোয়ে গেল। আমাকে পাশে দারকরালো নিলা।
আমি যুক বুঝে আরাল হোয়ে গেলাম,কেননা দেখাগেছে সবার প্রথম আমাকেই কেক খাইয়ে দিল ওর বাবা মায়ের সামনে, এতে অবস্থা বেগতিক হোয়ে যেতে পারে,সবাই ভালো চোখে নাও দেখতে পারে তাই সরে গেলাম।
নিলা কেকের সামনে দারিয়ে জলন্ত মমে ফু দিল, সবাই
একসাথে ওকে হেপি বার্থডে বলে অভ্যর্থনা জানোলো, আমিও জানিয়েছি।
যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হলো, তার
থেকে বেশিই হলো, আমি ভাবতে পারিনি ও এমন করবে. …..

নিলা যে এমন করবে আমি ভাবতেও পারিনি।
নিলা কেক কেটে হাতে করে নিয়ে আমাকে খোজা শুরু করে দিল।
হায় হায় আমাকে খুজে বের করে ফেলল, কি সর্বনাশ।
নিলা ঃ আপনার সাথে কি ভুত আছে নাকি, পলকে চোখের আড়াল হোয়েযান, দেখি হা করেন,
আমি যত না না করি ততই আমার মুখের ভিতর কেকটা চেপে দরলো।
নিলা ঃ নিন এবার এই টুকরো আমাকে খাইয়ে দিন এই হা করলাম।
কি আর করার খাইয়ে দিলাম।
আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সবাই আমাদের কান্ড কারখানা দেখছে।
আমি একটু ব্যাবাচ্যাকা দিয়ে গেলাম।
ওর বাবা মা ও অবাক হোয়ে তাকিয়ে আছে।
হয়তো ভাবছে এই ছেলেটা আবার কে।
এই মেয়েটার দেখি কান্ড জ্ঞান বলতে কিছু নেই।
পাশে তাকিয়ে দেখি পায়েল হোপ করে আছে।
অনুষ্ঠান যথারিথী চলতে থাকলো।
নিলা তার বান্ধুবিরা কেক মাখামাখি করছে।
দেখতে বেশ লাগছে।
একেবারে সুছো ভুতের মতো।
অনুষ্ঠানে খাবারের ব্যাবস্থা করা হোয়েছে।
সবাই হইহুল্লোর, আনন্দ করছে,,
নিলাকে নিয়ে তার বান্ধুবিরা, কাজিনরা মেতে আছে,,
মাঝখান থেকে আমি কথা বলার জন্য কাউকে পাচ্ছি না, ,
নিলার প্রতি আমার একটু অভিমান হলো,
আমি একা পোরে আছি কোনো খোজ নেই,আর ওনি আনন্দ করছে।
ওর আর কি দোষ দেব ওর বান্ধুবিরাই তো ওকে আটকিয়ে রেখেছে।
আমার আবার এসব হৈইচই পছন্দ না, তাই ছাদে চোলে গেলাম।

বেশ কিছুক্ষন পর কারো ছাদে আসা উপলব্ধি করতে পারলাম।
পাশে তাকিয়ে দেখি নিলা,,
আমি আবার সামনে তাকালাম।
নিলাঃআপনি এখানে আর আমি আপনাকে সারা বাসা খুজছি
আমিঃ আমাকে আর খোজার কি দরকার ছিল,এদের সাথে তো ভালোই মেতে ছিলে,আমি কে,,?
এই কথা বলতেই নিলা আমাকে জরিয়ে দরলো,,
আমি স্তব্ধ হোয়ে গেলাম।
নিলাঃ খুব ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে,,
ওরা না ছারলে আমি কি করবো,, তার পরেওতো ওদের চোখ ফাকি দিয়ে চোলে এসেছি,কিহলো কিছু বলেন না কেন।আমিঃ কি বলবো।

নিলা ঃ আমায় ভালোবাসেন কি না? না কিন্তু বলতে পারবেন না।
নিলা আমাকে জরিয়ে দরেই এসব কথা বলছে, ,
আমিঃআমিও বাসি,, পরে ভালো কাউকে পেলে চোলে যাবে না তো, এটা তোমার আবেগ নয়তো, ,
নিলা ঃ কি প্রমান লাগবে আপনার, ছাদ থেকে লাফ দেব,,
এই বলে নিলা ছাদের কর্ণিশে চোলে যেতে লাগলো, আমি আবার টান দিয়ে ওকে বুকে নিয়ে নিলাম।।
নিলাঃকি হলো প্রমান লাগবে না?
আমিঃনা শুধু তোমাকে লাগবে, এই তুমি আমাকে আপনি করে বলতাছ কেন,, এখন থেকে তুমি করে বলবা।
নিলাঃনা
আমিঃকেন?
নিলাঃআপনি করে বললে ভালোবাসা বাড়ে।
আমিঃতাই বুঝি।
নিলাঃ হিম,এখন চলেন আব্বুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

আমিঃ তুমি পাগলি নাকি, তারা এমনেতেই খেপে আছে,,
নিলাঃকিচ্ছু হবে না চলেন তো, ,আমার আব্বু খুব ভালো।

আমিঃ যেতে পারি তুমি যে আমাকে ভালোবাসো এই কথা বলতে পারবে না, বলবে পায়েলের ভাই,তবেই যাব।
নিলাঃআচ্ছা চলেন,, এত ভিতু আপনি,,।
আমি মনে মনে বললাম আমার যায়গায় থাকলে বুঝতে।
আমার হাত দোরে নিচে নিয়ে গেল,,ওর বাবা কে দেখে ভয়টা বেড়ে গেল
নিলাঃবাবা ওনি হলেন আমার বান্ধুবি পায়েলের ফুফাত ভাই।
আমিঃআসসালামুআলাই কুম আংকেল।
ওনি আমার পা থেকে মাথা পোর্যন্ত দেখলেন।
তার পর
আংকেলঃঅলাইকুম,
কেমন আছ ইয়াং ম্যান।
আমিঃ জি আংকেল ভালো।
আংকেলঃ আমাদের সাথে ডিনার কইরো।
আমি মাথা নারালাম।
আমি আগেই চোলে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু নিলার জন্য পারলাম না।
রাতে খাইয়ে তার পর ছারলো।
বাসায় এসে দেখি পায়েল এখন হোপ করে আছে।

আমিঃ কি ব্যাপার তুই এমন গাল ফুলিয়ে আছিস কেন।
পায়েল ঃ তোমাকে ওই পার্টি তে নেওয়া উচিত ছিল না
আমিঃ কেন?
পায়েল ঃ তোমার জন্য কেক খেতে পারলাম না, ,প্রতি বছর আমাকে কেক খাওয়াতো
আর এবার।

আমিঃ এই জন্যে বুঝি রাগ করে আছিস, যা তোকে আমি কেক খাইয়ে দেব।
ফ্রেস হোয়ে সুতে গেলাম তখনি নিলা ফোন দিল।,,
নিলাঃ বাসায় গিয়ে একটা ফোন দিয়েছেন, কেউযে আপনার খোজে বোসে আছে সেটা কি মাথায় আছে।
আমিঃসরি।
নিলা ঃহোয়েছে।এখন কি করেন,,
আমিঃএই মাএ সুলাম।।
নিলাঃ কাল কলেজের সামনে চোলে আসবেন, অপেক্ষা করবো,,
আমিঃকি করে আসবো, পায়েল থাকবে না কলেজে।
নিলা ঃএত ভালো সাজা লাগবে না। ও জানে।
আমিঃ কি যানে
নিলাঃ আমি আপনাকে আপনি আমাকে ভালোবাসেন এইটা।
আমিঃ তাই বুঝি।
নিলাঃ আমি এত কিছু যানিনা, আমি অপেক্ষা করবো ব্যাস।
আমিঃএই শো,টুটটুটটুট….
যাহ কলটা কেটে দিল।
রাতে জমবেশ একটা ঘুম দিলাম।
দুপুরের আগ দিয়ে নিলার কলেজের
সামনে চোলে গেলাম।
নিলাকে না দেখে কল দিলাম।
আমিঃ কই তুমি।
নিলাঃ এইতো বের হচ্ছি , আপনি
আসছেন দারিয়ে থাকেন, এখনই আসছি।
কিছুক্ষন পর নিলা আসলো।
নিলা ঃচলেন।
আমিঃ কোথায় যাবা এই দুপুরে।
নিলাঃ আগে গাড়িতে উঠুন,তার পর বলছি,।
আমি নিলার কালো পাজেরো তে উঠলাম।
আমিঃ এবার বলো।
নিলাঃপ্রথমে যাবো রেষ্টুরেন্টে, সেখানে লান্স করবো,তার পর যাবো মার্কেটে,, আপনার জন্য কিছু কেনা কাটা করবো।
আমিঃ নিলা এটা কিন্তু বেশি হোয়ে যাচ্ছে,আর আমার যতেষ্ঠ জামা কাপর আছে so আমার কিছু লাগবে না, ,টাকা আছে বলে এভাবে নষ্ট করবে নাকি।
নিলা ঃ এটাকে নষ্ট বলছেন কেন,, আমি
কি কিছু গিফ্ট করতে পারি না, নাকি।
আমিঃ হুম পারো, তবে ছোট ছোট জিনিস।
নিলাঃ ও আমি বুঝেছি।,,
আমিঃ কি বুঝেছো??
নিলা ঃ আপনি আমাকে ভালোবাসেন না, বুঝিতো বুঝি।
আমিঃদেখো পাগলিটাকে বলি কি আর বোঝে কি,, কে বোলেছে ভালোবাসি না, ,অনেক ভালোবাসি,,
নিলাঃ কচু বাসেন।
আমিঃআমার দিকে তাকাও, আরে দেখি পাগলিটা কান্না করছে, আরে বাবা এতে কান্না করা লাগে, আচ্ছা যাও তুমি আমাকে যা মন চায় তা দিও, দেখি আমার দিকে তাকাও,,
চোখের পানি মুছে দিলাম।
পাগলিটা খুব অভিমানি অল্পতেই চোখে পানি চোলে আসে।
পাগলি টাকে বুকের সাথে চেপে দরলাম।
রেষ্টুরেন্টে এসে ওর পছন্দ করা খাবার খেলাম, ,
নিলা ঃ হা
আমিঃকি।
নিলা ঃ খাইয়ে দেন,হা করলাম।

আমিঃপাগলি একটা হা করো।
এখান থেকে বের হোয়ে ইজি শফে গেলাম,, আমার জুতা থেকে শুরুকরে শাট ফ্যান্ট দুই জোড়া করে নিলো,,আমি না বললেই নিলা,আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকায়।

ওকে নিয়ে গুরতে গুরতে সন্ধা দোরে গিয়েছে,,তাই ওকে বিদায় দিয়ে বাসায় চোলে আসলাম।।।
,, ভার্সিটি আর নিলা, এই দুই মিলিয়ে দিন বেস ভালই যাচ্ছে আমার।

আমি কিভাবে চলবো, কি ভাবে খাবো এখন সবকিছু নিলাই ঠিক করে দেয়, ,
ও আমার অব্বাশে পরিনত হোয়ে গেছে।
দিনগুলো বেস ভালোই চলছিল, কিভাবে দিন গুলি চোলে যাচ্ছে টেরই পাওয়া যাচ্ছে না,,

আমার জন্য যে এমন একটা চমক থাকবে তা আমি বুঝতেই পারিনি, ,
হ্যা চমক…… ..

আমার জন্যযে এমন একট চমক থাকবে তা আমি বুঝতে পারি নি।
ওই যে বলেনা বাঙালির ভালো সয় না,, আমার ও হোয়েছে ঠিক তাই,,

এইতো এই এক সপ্তাহ নিলার সাথে বেশি একটা দেখা করতে পারিনি,,,
সকাল সকাল নিলা ফোন দিল,,আমিঃহ্যা বলো,
নিলাঃকি জনাব এখনো ঘুমান নাকি, ,

আমিঃ না, উঠেছি, ,
নিলা ঃ হিম উঠেন, ফ্রেশ হোয়ে নাস্তা করেন,,
আমিঃঠিক আছে,,
তুমি নাস্ত করছো, ,
নিলাঃ না জনাব আপনি আগে নাস্তা করেন তার পর করবো।
আমিঃ থুর পাগলি, তারাতারি নাস্তা করে নেও,,
নিলাঃ আগে করেন তার পর,, আর শোনেন পায়েলের কাছে একটা আকাশি কালারের পানজাবি পাঠিয়েছি ওটা পরে বিকালে দেখা করবেন।
আমিঃতুমি আসলেই একটা পাগলি, আমার পানজাবি আছে না আবার পাঠিয়েছো কেন?
নিলাঃ আমার মনে চেয়েছে তই পাঠিয়েছি, ,বিকালে পরে আসবেন।
আমিঃ আচ্ছা।
কিছুক্ষন পর পায়েল এসে পানজাবি দিয়ে গেল,,
নাহ খুব সুন্দর তো,,
দুপুরটা পার করে বিকালে দিকে চোলে গেলাম দেখা করতে,,
ওর বলা যায়গাতে,,
একটা বট বৃক্ষের নিচে বোসে আছি,, নিলা এখনো আসেনি,,
তাই নিলাকে ফোন দিলাম,,
আমি ঃ কই তুমি,,
নিলা ঃ আপনি বোসে থাকেন আমি প্রাই চোলে এসেছি,,

আমিঃআচ্ছা আসো,,
বোসে বোসে নিলার আসার প্রোহর গুনছি, ,
হঠাৎ চোখ পরলো একটা রিক্সার দিকে,,
আমার দিকেই আসছ।
আরে রিক্সা দিয়ে এইটা কে আসছে,,
আনিকা,,
হ্যা আনিকা ই তো,,,
আমার ভার্সিটির বান্ধুবি, ,
ও রিক্সা থেকে নেমে দৌরে এসে আমাকে জোরিয়ে দরে কান্না করে দিল।
আমিঃকিরে কি হোয়েছে,, কান্না করছিস কেন,,
আনিকা ঃকান্না করতে করতে বলল, ,বাবা আর নেই,,
আমিঃ কি বলিস, ,
আনিকাঃ একটু আগে বাসা থেকে ফোন দিয়ে বলল,,
(আসলে হোয়েছে কি আনিকার বাবা বেশ কিছুদিন দরে অসুস্থ ছিল,, আজ পরোলোক গমন করলো,,)
আমি ওর মাথাটা কাদের সাথে চেপে দরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে শান্তনা দিচ্ছি,, ঠিক তখন ই চোখ গেল পিছনের দিকে, ,
হায় হায় কি সর্বনাশ,, পিছনে নিলা দারিয়ে আছে,, নিলার চোখ দিয়ে অনরবত পানি পরছে, মুখ চোখ রক্ত বর্ণ দারন কোরেছে,,

আমি আনিকাকে ছারিয়ে নিলার সামনে গেলাম যেই বলতে যাব,,
ঠিক তখনই,,
ঠাসস,ঠাসসসসস,,
আমার দু গাল লাল করে দিল
আমিঃআসলে ও,,
নিলাঃচুপ ছোটলোক তোর কোনো কথা শুনতে চাইনা, ,,তোকে আমার সবটা দিয়ে ভালোবাসছি আর তুই কি না,
আমিঃ তুমি ভুল বুঝছো ও আমার
নিলাঃ নিজ চোখে দেখেছি তার পর আর কি বুঝবো,,হিম কি বুঝবো।

আমি নিলার হাত চেপে দরলাম,
নিলাঃ হাত ছার জানোয়ার,
আমাকে দাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে ,
নিলা পিছন ফিরে মুখ চেপে দরে কান্না করতে করতে দৌরে চোলে গেল, ,

আমিঃএই নিলা, নিলা, শোনো, নিলা,, যাহ চোলে গেল,,
.
আনিকার দিকে তাকিয়ে দেখি ও কান্না করছে,,
তাই ওকে আবার শান্তনা দিতে লাগলাম,,
আমিঃ কাদিস না,, আমি আছিতো, মানুষ কি চির স্থাই থাকে, একদিন না একদিন তো মারা যায়,,।

আনিকা ঃও কে,,
আমিঃএত কিছু তোর জানা লাগবে না,,

মানিব্যাগে পাচ হাজার টাকা ছিল সব গুলো ওকে দিয়ে দিলাম,,
বিপদের সময় কখন লেগে পরে,,
আমিঃ দর, এই গুলা রাখ,,,রাখ,, ঠিক মতো যাবি,,

আনিকা আবারো আমাকে জরিয়ে দরে কান্না করে দিল,,

আমিঃদেখ আবার কাদে,,
ওকে রিক্সায় বসিয়ে দিয়ে বললাম সাবধানে যাবি, ,আনিকাকে বিদায় দিয়ে,,
নিলার কথা সরনে আনলাম,,
কি ভুল টাই না বুঝলো আমায়,,

ওর নাম্বারে একটা কল দেই দেখি,,,

নাহ কল ডুকছে না,, ফোন বন্ধ করে রাখছে, ,,
কি আর করার বাসায় চোলে আসলাম।,,
আরো কয়েক বার নিলার ফোনে ট্রাই করলাম, নাহ ফোন বন্ধ করে রেখেছে, ,

রাতে বোসে বোসে ওর ফোনে ট্রাই করছি তখনই পায়েল আসলো আমার রুমে।

আমিঃকিরে কিছু বলবি,,
পায়েলঃ ভাইয়া নিলার সাথে কি তোমার কিছু হোয়েছে,,

আমিঃনাহ কেন,,
পায়েলঃ আন্টি ফোন করে বলল নিলা নাকি বিকাল থেকে দরজা আটকিয়ে কান্না করছে,,, কাউকে কিছু বলছেও না, ,তোমার সাথে কি সত্যি কিছু হয়নি।

আমিঃআসলে হোয়েছে কি, তার পর বিকালে গোটে যাওয়া সব গটনা পায়েল কে খুলে বললাম, ,সব শুনে পায়েল বলল,,
পায়েল ঃ বুঝলাম, এই জন্যেই বলি ও তো শুধু শুধু কাদার মেয়ে না, ,তারাতারি চলো, ,ও খুব জেদি একটা মেয়ে, যেকোনো সময় কিছু করে বোসতে পারে, চল,,
আমি ঃচল দেখি ওর ভুলটা ভাঙ্গানো যায় কি না,,।

বুকের ভিতর ভয় এসে ভর করতে লাগলো,,

তার পর আমি আর পায়েল রওনা দিলাম নিলাদের বাসায়, ,
বাসা থেকে বের হোয়ে যখন রাস্তায় আসলাম তখন পায়েলর ফোনটা বেঝে উঠলো,

ও ফোনে কথা বলে আমার দিকে তাকালো,,

আমিঃ কিরে কে ফোন দিয়েছে,, কি হোয়েছে??
পায়েল ঃ নিলা হাত কেটে সুইসাইড করেছে,, ওকে হসপিটালে নেওয়া হোয়েছে,,
আমিঃ কিইই??

ওর কথা শুনে দারানো থেকে নিচে পরে গেলাম,,
চোখে অন্ধকার দেখছি, ,
পায়েল ঃভাইয়া, এই ভাইয়া কি হোয়েছে তোমার,,
ভাইয়া,,
পায়েলের উপর ভর দিয়ে কোনো রকম হসপিটালে পৌছলাম।

পায়েলঃআন্টি আন্টি নিলা কই,,

আন্টি ঃওকে ওটি তে নেওয়া হোয়েছে, ,
কি থেকে কি হোয়ে গেল,, আমার মেয়ে তো এমন না,, সত্যি করে বলো কি হোয়েছে।

আংকেলঃআমার মেয়ে সবসময় তোমার সাথে থাকে,, তুমি নিশ্চয় কিছু জানো,, আমি তোমার বাবার মতো,, আমাকে বল,, আমি কিচ্ছু বলবো না,, বল,আমার একটা মাএ মেয়ে, ওর কিছু হলে আমরা বাচবো না,,, ,কিছু বল,,

আংকেল পায়েলের হাত দোরে কান্না করে দিল,,
পায়েল এাবার আর কথা চেপে রাখতে পারলো না,,
নিলার সাথে ঘটে যাওয়া সব গটনা খুলে বললো,,।

আমার এত কিছু শুনার হুশ নেই, নিলার ব্যাথায় ব্যাথিত আমি,,
আংকেল পায়েলের কথা শুনে এবার আমার দিকে তাকালো,,
আংকেল ঃআমি যানতাম এরকম কিছু হবে,, প্রথম দিন ওকে দেখেই বুঝেছি নিলার সাথে ওর কিছু চলছে,। আমি বোলে রাখলাম নিলার যদি কিছু হয় তোমাকে আমি ছারবো না, ইডিয়েট, ব্লাডি,,।
কিছু ক্ষন পর,, ওটি থেকে ডাক্তার বের হলো, ,
সবাই ডাক্তারের কাছে গেলাম,,
আংকেলঃ ডাক্তার আমার মেয়ের কি অবস্থা,, ।
ডাক্তারঃইমার্যেন্সি ও নেগেটিব রক্ত লাগবে, হাতের শিরা কাটার ফলে প্রচুর রক্ত বের হোয়েছে,,
তারাতারি রক্তের ববস্থা করুন,।
যেই আমি বলতে যাবো আমার রক্ত নেন তখনই আংকেল বলল,, আমার রক্ত নিন আমার রক্ত ও নেগেটিব,,।
ডাক্তার ঃ আসুন আমার সাথে, ,
আংকেল রক্ত দিতে চোলে গেল,,
নিলাকে রক্ত দেওয়া শেষ হলে ডাক্তার বের হয়,,,
ডাক্তার বলে গেলেন কিছুক্ষন পর নিলার জ্ঞান ফিরবে,,
ঠিক,
কিছুক্ষন পর নিলার জ্ঞান ফিরলো,,
নিলার হুশ আশতেই,,চিৎকার শুরু করে দিল,,

ভিতর থেকে নিলার চিৎকারের আওয়াজ আসছে, ,
নিলাঃআমাকে বাচালে কেন আমি বাচতে চাইনা, ,

আমি পায়েল ভিতরে গেলাম তাতক্ষনাত,,
আমাদেরর দেখে,,
আংকেল আন্টি বের হোয়ে গেল, ,
আমাকে দেখেই নিলা আরো জোরে চিৎকার শুরু করে দিল, ,।
নিলাঃও এখানে কেন,, ওআমার সাথে চিট করেছে,, আমার জিবন শেষ করে দিয়েছে, ,আমি বাচতে চাইনা,, ওকে চোলে যেতে বল,,

আমিঃবিশ্বাষ করো আমি কোনো অন্যায় করিনি,,তুমি যা দেখেছো সব ভুল,,।
নিলাঃ তুই সর আমার সামনে থেকে,, সর সর,
ঠাসসস,,
ঠাস করে একটা বসিয়ে দিলাম নিলার গালে,,
আমিঃতুমি বোঝোনা কেন ও আমার বান্ধুবি,,ওর বাবা মারা গিয়েছে,তাই ওকে শান্তনা দিচ্ছিলাম,, আর তুমি ভুলবাল দেখে এসব কোরেছ,,
পায়েলঃহ্যারে ওইটা ভাইয়ার বান্ধুবি,,আনিকা আপু,,ওনার বাবা মারা গেছে তাই ভাইয়া সান্তনা দিচ্ছিল আর তুই তখন তা দেখে ভুল বুঝেছিস,,।
আমিঃ এর পর আর বিশ্বাষ করার মতো সাধ্য আমার নেই, ,তুমি না চাইলে আর আসবো না তোমার সামনে, কখনো আসবো না,
আমি উঠে চোলে যাচ্ছি,,দরজার কাছাকাছি যেতেই,,, নিলা চিতকার শুরু করে দিল,
নিলাঃরুম থেকে বের হলে কিন্তু আমি আবার সুইসাইড করবো,, পায়েল ওনাকে আসতে বল,, এবার কিন্তু কেউ আমাকে আটকিয়ে রাখতে পারবি না সুইসাইডের হাত থেকে,,পায়েল,পায়েল,,,। ওনাকে আটকা,, ওই কুওা তোকে ভালোবাসি তুই বুঝিস না কেন,,তোকে ছারা আমি শুন্য তুই বুঝিস না কেন,,,

আমি দৌরে গিয়ে নিলাকে জড়িয়ে দরলাম,, একেবারে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলাম,,
নিলাও কাদছে আমিও কাদছি,,
বুকটা যেন শান্তিতে ভোরে গেল,,।
আমিঃএমন কোরেছ কেন তুমি,,
নিলাঃ বেশি ভালোবাসি যে তাই, ,।।
আমিঃপাগলি একটা,,
নিলাঃআপনার পাগলি,,।
দুজনেই কান্না মিশ্রিত মোখে হাসছি, ,।
দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি, ,মামা মামি, নিলার বাবা -মা, সাথে একজন হুজুর, ,।
তখন সবাই ভিতরে ডুকলো,,।
আংকেলঃআমি আর কোনো রিক্স নিতে চাই না, ,আমার একটা মাএ মেয়ে,,, তাই তোমাদের দুজনের এখন এখানে বিয়ে হবে,,
এই কথা শুনে নিলা আমাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে দরলো,,
নিলার বাবার চোখে খুশিতে পানি চোলে আসলো,,।
অবশেষে আমাদের বিয়ে হলো তাও আবার হসপিটালে,, ,
এটা হয়তো ইতিহাস রটানো বিসয় হোয়ে গেল, , হসপিটালে বিয়ে,,
ভালোবাসার মানুষকে পরাণের কাছে পাওয়া কতযে শান্তির তা কাছে পেলেই বুঝবেন,,,
,,একেবারে বুকের ভিতরে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে,,