5 বছর পর বাংলাদেশে এসেছিলাম নিজের পরিবার কে দেখতে
এবং আসার পর যে নারীর সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে তাকে বিয়ে করে আমার সংসারে নিয়ে আসার জন্য..
এই মেয়ের সাথে আমার প্রেম নেই আগে কখনো কথা হয়নি আমার পরিবারের মানুষজন যখন তাকে থেকে পছন্দ করেছে তারপর থেকে তার সাথে টুকটাক কথা আমার..
৮ মাস কথা হয়েছে আমাদের এই আট মাসে সে আমার কাছ থেকে অনেক চাহিদা পূরণ করে নিয়েছে।
কপালে টিপ হাতের ফোন পায়ের পায়েল থেকে শুরু করে অসংখ্য ড্রেস আমার টাকায় কিনেছে সে চাওয়া মাত্রই আমি তাকে টাকা পাঠিয়েছি।
৮ মাস ধরে অপেক্ষা করছি কবে দেশে যাব কবে তাকে পাবো কবে আমাদের বিয়ে হবে, বাংলাদেশে আসার পর আমার পরিবারের মানুষজনকে বললাম বিয়ের টাইম টা ঠিক করার জন্য। আসার 14 দিন পর আমাদের বিয়ে মোটামুটি সবাই জানে এই কথা।দেশে আসার একদিন পর আমার কাঙ্খিত নারীর সাথে আমার দেখা হয়, সৃষ্টিকর্তা তাকে অনেক সুন্দর করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
টানা তিন দিন তার সাথে আমার দেখা হয় তৃতীয় দিন যখন দেখা হয় তখন সে আমাকে যে কথা বলেছে সেই কথার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। সে আমাকে জানিয়েছে আমাকে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না, কারণ সে একজনকে ভালোবাসে,তার সাথে সে গোপনে বিয়ে করে ফেলেছে এখন সে আমাকে বিয়ে করতে পারবে না পরিবারের চাপে আমার সাথে কথা বলেছে। আমি যেন দেশ থেকে আবার চলে যাই….
পরিবারের চাপে যদি আমার সাথে সে কথা বলবে তাহলে আমার থেকে এতসব টাকা পয়সা নেওয়ার কি দরকার ছিল???
দেশে আসার পর আমার পরিবারের লোকজনের মাঝে লক্ষ্য করলাম সবার অনেক চাওয়া-পাওয়া আমার উপরে সবাই আমাকে একটা টাকার মেশিন মনে করে। এবং চাহিদা অনুযায়ী আমার কাছ থেকে টাকা নিতে চায়, অনেক কষ্ট করে একটা বাড়ি করেছি সেই বাড়িতে আমি আমার দুই ভাইকে দুইটা প্লট দিয়েছি এখানে তাদের কোন টাকা পয়সা নেই, আমাকে রেখে আমার ছোট ভাই বিয়ে করেছে তার বিয়ের সমস্ত খরচ আমি দিয়েছি সে কিছু করে না বাসায় বসে বসে সময় কাটায় পরিবারের সমস্ত খরচ আমাকে দিতে হয়, সবাই সবার মতো টাকা খরচ করে কিন্তু একটাবার কেউ জানতে চায় না এই টাকা রোজগার করতে একজন প্রবাসী মানুষের কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয় কতটা সময় দিতে হয়….
সবাই আমার টাকায় আরাম আয়েশ করে চলে তারপরেও ভাই এবং ভাবিদের অভিযোগের শেষ নেই
সবচেয়ে কষ্টের বিষয় আমার মা-বাবা আমাকে বুঝেনা তাদের অসংখ্য অভিযোগ আমার উপর, তাদের ডাক্তার খরচ থেকে শুরু করে সব ধরনের খরচ আমি বহন করি তারপরেও তারা আমার উপর সন্তুষ্ট না।
সবাই চায় জমিদারের মত জীবন যাপন করতে চলতে কিন্তু এই জমিদারি করতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয় সেই অর্থের উৎস কি কিভাবে আসে তা কেউ চিন্তা করতে চায়না…
আমি আমার মার একাউন্টে সেভ করার জন্য কিছু টাকা প্রতি মাসে আলাদা পাঠাতাম দেশে এসে জানতে পারলাম আমার মায়ের একাউন্টে কোন টাকা নেই এই টাকা মা একটা জমি কিনেছে সেই জমি আমার দুই ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে…
অবস্থায় এরকম আমার হাতে যদি টাকা না থাকে আমাকে একদিন চালাবে এরকম কেউ নিয়ে আমার পরিবারে,
সবকিছু মিলিয়ে তাদের আচার-আচরণে আমি চরম হতাশ
তাই বিয়ে না করেই আবার চলে যাচ্ছি বাসায় কাউকে কিছু বলিনি ব্যাগ লাগেজ সবকিছু বাসায় আছে আমি শুধু পাসপোর্ট নিয়ে বের হয়েছি টিকিটের ডেট পরিবর্তন করেছি।
একটু পরে আমার ফ্লাইট কতটা কষ্ট নিয়ে চলে যাচ্ছি এ কথা হয়তো কাউকে বলা হবে না,
তারপরেও ভালো থাক সবাই শুভকামনা আমার সাথে অন্যায় আচরণ করা প্রতিটি মানুষের জন্য….
এত বছর বিদেশে থেকে বুঝতে পেরেছি আপন থেকে পর ভালো সমস্যা নাই ইনশাল্লাহ আবার ঘুরে দাঁড়াব
প্রবাসী ভাইদের বলছি আপনারা শিক্ষা নেন এখনো সময় আছে না হয় জীবন টা শেষ হয়ে যাবে💔
-সংগৃহীত।