ঘটনাটি গত দুই দিন আগের খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপেস ট্রেনের এসি চেয়ার কোচের।
রাত তখন আনুমানিক ২ঃ০০ টা পার। ট্রেনটি ভেড়ামারা রেলস্টেশন পার হয়েছে। কোচের করিডোর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় এই দৃশ্য আমাকে বেশ নাড়া দেয় এবং আমি থমকে দাঁড়াই।দুটি ছোট সন্তান এবং বাবামা সহ চারজনের পরিবার। টিকেট সংখ্যা ০৫ টি।ডানের তিন সিটের লাইনে সিটের উপরে মা তার বাচ্চা সহ শুয়ে আছেন বেশ আরামেই। আর বামে দুটি সিটে বাবা তার সন্তানকে সিটে শুইয়ে দিয়ে নিজে নিচে মেঝেতে বসে ঝিমুচ্ছেন। এটা দেখার পর,আমার বার বার অনুধাবন হচ্ছে; আমাদের সাধারণ পরিবারে সন্তানের জীবনে মায়ের অবদান, ভালোবাসা,মমত্ববোধ সর্বক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে মায়ের সেটা যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে বাবাকে শেষ পর্যন্ত কঠিন জীবন যুদ্ধই অব্যাহত রাখতে হয় এবং বাবারা এমনই হয়। এভাবেই সুখ দুঃখের সম্মিলনে আমাদের পিতামাতারা আমাদেরকে প্রকৃত মানুষ রুপে গড়ে তোলার ব্রতী নিয়ে এগিয়ে যান।।পরিশেষঃএ বাংলার সকল বাবা-মায়ের জন্য রইলো দোয়া ও অফুরন্ত শুভকামনা।