আরমান তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে
আমিঃ কেনো আম্মু,, l
আম্মুঃ আমরা আজকে তোর মামাদের বাসায় যাবো,, l
আমিঃ ওখানে কেনো,,, l
আম্মুৃঃ গেলি দেখতে পাবি,, l
আমিঃ আম্মু আমি তো যেতে পারবো না,, l
আম্মুঃ কিহহ,,, তোর আব্বু কে ডাকি,, l
আমিঃ আরে আরে সব বিষয়ে তুমি আব্বু কে ডাকো কেনো,,, l
আম্মুৃঃ কি যাবি না,,, l
আমিঃ দু্রর,, যাচ্ছি তো রেডি হতে,,, l
————
এবার আপনাদের পরিচয় টা দিয়ে দিই আমি আরিয়ান আরমান অনেক চিনেন আবার অনেক এ চিনেন না যারা চিনেন না তাদের উদ্দেশ্য বললাম যাইহোক গল্পে ফিরা যাক,,,,
———–
আমি উপরে গিয়ে ওয়াশ রুমে গোসল করে নিলাম তারপর ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে রেডি হয়ে নিলাম,,
————-
আম্মুৃঃ কোই রে আরমান তাড়াতাড়ি নিচে আই,, l
আমিঃ এই তো আম্মু আসতেছি,, l
—–
আমি নিচে গিয়ে দেখি যে ভাই আর আম্মু আব্বু রেডি হয়ে বসে আছে,,, l
আমি খেয়াল করে দেখলাম আম্মু আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,, l
—আমিঃ আম্মু তুমি এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো,,
আম্মুঃ মাশাআল্লাহ আমার ছেলেটাকে পুরো রাজপুএ এর মতো লাগছে,, l
আম্মুর কথার আমি কিছু টা লজ্জা পেলাম,, l
আমিঃ দুরর আম্মু তুমি কি যে বলো না,, l
————–
আব্বুঃ তোমরা এভাবে কি দাড়িয়ে থাকবে নাকি গাড়িতে উঠবে,,l
আম্মুৃঃ আহা উঠছি,, তো l
——–
আম্মুঃ মেহেদী তুমি আমার সাথে আসো,, l
মেহেদীঃ না আম্মু আমি ভাইয়ার সাথে বসবো,, l
এরপর আমি আর ভাই সামনে আর আম্মু আব্বু পিছনে আমি গাড়ী Drive করছি,,, l
———
সন্ধ্যা ৭ টা বাজে মামাদের বাড়ির সামনে গিয়ে পৌছালাম,, আমি গাড়ি থেকে নেমে আম্মু আব্বু বাড়ির ভিতরে চলে গেলো,,l
———-
দুলাভাই,,,,,,,
হঠাৎ আমি চমকে উঠলাম কে জেনো পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি ছোট একটা ছেলে দেখতে তো পুরো আমার মামাতো ভাই শুভ এর মতো লাগছে,, l
————-
আমিঃ তুমি কি শুভ,, l
শুভঃ জি ভাইয়া আমি শুভ,, l
দুলা ভাই কি ভাবছেন,, l
আমিঃ ওয়েট ওয়েট তুমি কাকে দুলা ভাই বলছো,,,
পিছনে ফিরে কাউকে দেখতে পাচ্ছি না তো শুধু তো আমিই আছি,,, l
———–
শুভ আমাকে আমাকে টানতে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলো হঠাৎ রাইসা কে দেখলাম আমার সামনে থেকে পালালো,,, এমা রাইসা এটা কেনো করছে আমি তো ওর ভাইয়া,,,,, এইসব কি হচ্ছে,,, আমাকে একটা রুম দেওয়া হলো আমি রুমে গিয়ে শুয়ে আছি,,l
————-
হঠাৎ কে জেনো দরজায় নক করলো,,
আমি তাকিয়ে দেখি আম্মু,, l
আমিঃ আম্মু এই বাড়িতে বিয়ে কার হচ্ছে,l
আম্মুঃ কেনো রাইসার বিয়ে,, l
আমিঃ কিহহ,, এতো ছোট মেয়ের এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে কিভাবে সম্ভব,, l
আম্মুঃ তুই কাকে ছোট বলছস রাইসার যথেষ্ট বয়স হয়েছে বিয়ের,, আর শুন তোর কিছু দরকার হলে আম্মু কে বলিস,,, (এই বলে আম্মু চলে গেলো)
———————-
আমি তো অবাক,,, এতো ছোট তা আবার বিয়ে কিভাবে সম্ভব,,,, l
—এসব ভাবতে ভাবতে একটু ঘুম আসলো চোখে ঘুম থেকে উঠে দেখি আব্বু আমার পাশে এসে বসে আছে,, l
আমিঃ আব্বু তুমি,,, l
আব্বুঃ এই পাঞ্জাবি টা পড়ে নে,, l
আমিঃ এমা পাঞ্জাবি কেনো,, l
আব্বুঃ যেটা বলছি ওটা তাড়াতাড়ি কর,, ওইটা পড়ে নিচে আই,(এই বলে আব্বু চলে গেলো)
—–কি হচ্ছে এসব আমার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না,,,
আমি রেডি হয়ে নিচে গিয়ে দেখি এমা কাজী কেনো হঠাৎ চোখ গেলো পিচ্চি আইমিন আমার মামাতো বোন রাইসা কে বৌ সাজে সাজিয়ে বসে রাখা হয়েছে,, l
——-আমিঃ আম্মু ও আম্মু,,, রাইসার সাথে কার বিয়ে হবে,, l
আম্মুঃ তোর,, l
আমিঃ what??
আম্মুঃ হুমম,, l
আমার চোখ তো কপালে উঠে গেছি আমার বিয়ে আবার ওই পিচ্চি টার সাথে,, just impossible এটা হতে পারে না,, l
আমিঃ আম্মু আমি এই বিয়ে করতে পারবো না তোমরা কি আমাকে এখানে এনেছো বিয়ের দেওয়া জন্য নাকি,, l
আম্মুঃ দেখ,, আমি এতো কিছু জানি না রাইসা কে আমার খুব ভালো লাগে তাই আমার ছেলের বৌ বানিয়ে ফেলছি যাতে সব সময় আমার পাশে রাখতে পারি এখন যদি তুই বিয়েটা না করচ আমার মরা মুখ দেখবি,, l
আমিঃ আম্মু এইসব কি বলছো তুমি যাও আমি বিয়ে করবো,, l
——শেষ পযন্ত আমার সাথে ওই পিচ্চি আইমিন রাইসার বিয়ে টা হয়ে গেলো,, আমাদের এক রুমে দেওয়া হয়েছে আমি দরজা পাক করে ভিতরে ঢুকে দেখি ওই পিচ্চি টা বসে আছে ওকে কিন্তু আমার খুব ভালো লাগে তবে বোন হিসিবে আমি ওকে কখনোই অন্য চোখে দেখি নাই,,, এরপর রাইসা আমাকে যখনই সালাম করতে যাবে আমি পা সরিয়ে ফেললাম রাইসা আমার দিকে তাকিয়ে আছে ওর চোখে পানি,,, l
——–আমিঃ দেখো আমার কিছু কথা আছে আমি তোমাকে কখনোই ভালোবাসতে পারবো কারন আমি তোমাকে বোনের চোখে দেখি,,, l
রাইসাঃ কান্না করে দিলো,,,, l
আমিঃ হয়তো ও আমার থেকে এটা আশা করে নাই,, l
রাইসাঃ তাহলে আমাকে কেনো বিয়ে করলে আমার জীবন টা কেনো নষ্ট করলে,, l
আমিঃ দেখো আমি আমার আম্মু এমন ভাবে বলছে সেটা ফেলতে পারি নাই,, l
রাইসাঃ কান্না করছে খুব,,, l
—–আমিঃ দেখি আমি একটু ঘুমাবো,, আমার খুব খারাপ লাগছে,,, l
এমা তুমি কোথায় আসতো,,l
রাইসাঃ আমি তাহলে কোথায় ঘুমাবো,, l
আমিঃ তুমি কি ভুলে গেছো আমি তোমাকে বৌ এর অঅধিকার দিতে পারবো না কোনোদিন ও,, l
——–
রাইসা কিছু না বলে বালিস একটা পাতলা কাথা নিয়ে নিচে শুয়ে পড়লো আমি ও বিছানায় শুয়ে পড়লাম আমি ভালো ভাবে রাইসা যে কান্না করছে সেটা শুনতে পাচ্ছি,, কিন্তু আমার যে কিছু করার নেই,, (এই বলে ঘুমিয়ে পড়লাম)
———-সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আমি 😱😱

ঘুম থেকে উঠে দেখি যে রাইসা আমার বুকে শুয়ে আছে এটা দেখে তো আমি অবাক ও এখানে কিভাবে, 😱😱
l
আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে,, l
l
আমিঃ এই যে হ্যালো,, l
রাইসাঃ উমম কি হয়ছে,, l
আমিঃ তুমি এখানে কেনো,, l
রাইসাঃ দেখে যে বিছানায় শুয়া,,, রাইসা আমার দিকে চোখ বড় বড় করে,, আসলে আমার কালকে রাতে খুব ঠান্ডা লাগছিলো তাই তোমার কাছে এসে শুয়ে পরলামl
l
আমিঃ ঠিক আছে ঠিক আছে নেক্সট আমার কাছে আসার চেষ্টা করবে না বলে দিলাম,, l
l
রাইসাঃ ঠিক আছে ( মন খারাপ করে)
l
এরপর রাইসা রুম থেকে বের হয়ে কোথায় জেনো গেলো,, l
l
আমিঃ হঠাৎ দেখলাম আবার রুমে ডুকলো, l
l
আমিঃ এই যে এখানে ওয়াশ রুম কোথায়, l
l
রাইসাঃ গ্রামে আবার ওয়াশ রুম,,, হা হা হা😂😂
l
আমিঃ মানে,, l
l
রাইসাঃ মানে খুব সোজা তোমাকে পুকুরে নেমে গোসল করতে হবে,, l
l
আমিঃ what 
l
রাইসাঃ জি,, তাড়াতাড়ি আসেন,, l
l
আমিঃ দেখো এই ঠান্ডার ভিতরে আমি গোসল করতে পারবো না,, l
l
রাইসাঃ এমা তুমি কি গোসল না করে থাকবা নাকি, l
l
আমিঃ ঠিক আছে চলুন কোথায় এসে পড়লাম সবকিছু মা বাবার জন্য হয়েছে আজ এখানে না আসলে আমাকে এতো কষ্ট করতে হতো না দুরর,, l
l
আমি ঘর থেকে বের হয়ে উঠনে দাড়িয়ে আছি,, l
l
রাইসাঃ ওই যে মিস্টার দাড়িয়ে আছেন কেনো আসেন, l
মামিঃ রাইসা জামাই বাবা জি কে কোথায় নিয়ে জাইতেছিস,, l
l
রাইসাঃ তোমাদের জামাই বাবাজি গোসল করবে তাই পুকুরে নিয়ে যাইতেছি,, l
l
মামিঃ আরে কি বলচ,, ও শহরে থাকে এই শীতের সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে কিভাবে করবে গোসল,, l
l
রাইসাঃ আম্মু তোমাদের জামাই না সবকিছু তে ফাস্ট পারবে পারবে সব পারবে,,, (রাইসা মুচকী হেসে)
l
আমিঃ মামির সামনে তো কিছুই বলতে ও পারছি না,,কিন্তু পিচ্চি টার উপর খুব রাগ হয়তেছে,, l
l
এরপর আমি পুকুর পাড়ে গিয়ে দাড়িয়ে আছি খুব ঠান্ডা লাগছে হঠাৎ পিছন থেকে কে জেনো একটা, ধাক্কা মারলো আমি সোজা গিয়ে পানিতে গিয়ে পড়লাম,,, l
l
এরপর তাকিয়ে দেখি যে রাইসা হাসতে হাসতে শেষ আমার অবস্থা দেখে আমি তো শীতে কাপছি,, l
l
এরপর গোসল করে ঘরে গিয়ে তাড়াতাড়ি change হয়ে নিলাম না হলে ঠান্ডা লাগবে পিচ্চি টার উপর খুব রাগ হয়তাছে এই ঠান্ডার মধ্যে আমার মতো অসহায় কে কত কষ্ট নাই দিলো,, l
l
রাইসাঃ ওগো তোমাকে সবাই খেতে ডাকছে,, l
l
আমিঃ তো রাগে শেষ এখন কিছু করবো না আগে আমাদের বাসায় গিয়ে নি তারপর সবকিছু করবো,,, l
l
রাইসাঃ তোমাকে না রাগলে একদম ফাটাফাটি লাগে, l
l
আমিঃ সোটআপ,,,, l
l
এরপর আমি গিয়ে দেখি যে সবাই বসে আছে আই মিন আব্বু আম্মু মা মামি সবাই,, l
l
আম্মুঃ কিরে দাড়িয়ে আছোস কেনো বস,, l
l
আমি বসে পরলাম খাওয়া থেকে সুগন্ধ বের হতেছে খুব খিদা লাগছে তাই খাওয়া শুরু করে দিলাম,, l
l
আম্মুঃ রাইসা মা তুমি দাড়িয়ে আছো কেনো বসো,, l
l
রাইসাঃ জি আম্মু,, l
l
অবাক করা বিষয় একদিনে আম্মু হয়ে গেলো,, l
l
খাওয়ার দাওয়া করে, l
l
আমিঃ আব্বু আজকে আমাকে যেতে হবে এই মুহূর্ত,, l
l
আব্বুঃ আরে এতো তাড়াতাড়ি কেনো আমরা তো আর কয়েকদিন থাকতে চেয়েছিলাম,,l
l
আমিঃ দেখো আব্বু আমার অফিস থেকে ইমারজেন্সি কল আসছে কালকে আমার অনেক টাকার important ডিল আছে,,,সো তোমরা যদি থাকতে চায় তাহলে থাকো তোমাদের বৌ মাকে নিয়ে,, l
l
রাইসাঃ আব্বু আমিও চলে যাবো এখনই,, আপনাদের সাথে,, l
l
আমি আর কিছু না বলে রেডি হয়ে নিলাম রাইসার চোখে পানি দেখলাম,,l
l
এবার যাওয়ার পালা,, আমরা সবাই গাড়ির সামনে গেটের কাছে দাড়িয়ে আছি,, l
l
মামাঃ বাবা, আমার একমাত্র মেয়ে তোমরা আমার পর কেউ নয় আপন মানুষ আজ তোমার হাতে তুলে দিলাম আমি জানি ও একটু দৃষ্টামি করে কিন্তু মন থেকে খুব ভালো আমার মেয়েটাকে তুমি কোনোদিন কষ্ট দিয়ো না,l
l
আম্মুঃ তুই কোনো চিন্তা করিস, না ওকে আমার মেয়ে বানিয়ে রাখবো,, l
l
মামিঃ আপা আজ আমরা একটা চিন্তা মুক্ত হলাম মা নিজের খেয়াল রাখিচ জামাইয়ৈর কথা মতো চলবি বাইরে কোথাও যাবি না বাসায় থাকবি সব সময় কেমন,, l
l
এরপর রাইসা মামা আর মামি কে দরে কান্না কাটী করার পর গাড়িতে গিয়ে বসলাম এরপর বিদায় নিয়ে আমি গাড়ি drive করছি রাইসা আম আমার পাশে পিছনে ভাই আর আম্মু আব্বু,,, খেয়াল করলাম রাইসা খুব কান্না করছে কালে কাদুক তাতে আমার কী,,,সন্ধ্যা ৮ দিকে বাসায় এসে পৌছালাম,,,, গাড়ি থেকে সবাই নেমে গেছে শুধু রাইসা নামছে না,, l
l
আমিঃ ওই বসে আছো কেনো এখানে রাত কাটাবার plan আছে নাকি,,, l
l
রাইসাঃ আমি পায়ে ব্যাথা পাইছি হাটতে পারছি না,, l
l
আমিঃ তো আমি করবো,, l
l
রাইসাঃ কি করবে মানে আমাকে কোলে নাও,, l
l
আমিঃ মাথা খারাপ নাকি আমি পারবো না,, l
l
রাইসাঃ এ্যা এ্যা এ্যা এ্যা 😭😭😭
l
আমিঃ এমা তুমি কাদছো কেনো, l
l
কি হয়ছে রে বৌ মা তুমি কাদতেছো কেনো,, l
l
রাইসাঃ আম্মু আমি একটু পায়ে ব্যাথা পাইছি হাটতে পারছি না তাই আপনার ছেলে কে বলছি একটু কোলে নেওয়ার জন্য,,, তা নিচ্ছে না,,l
l
আম্মুঃ আরমান রাইসা কোলে নিয়ে ভিতরে আসো,, l
l
আমিঃ কেনো নেবো, l
l
আম্মুঃ আমি কি তোর আব্বু কে ডাকবো,, l
l
আমিঃ থাক ডাকতে হবে না আমি নিচ্ছি,, l
l
এরপর আমি রাইসা কে কোলে তুলে নিলাম,, রাইসা আমার কোলে উঠে কত যে খুশী মনে হচ্ছে আকাশের তারা পেয়ে গেছে ওর প্রতি আমার অনেক রাগ জমতেছে,,, l
l
এরপর রুমে গিয়ে সোজা বিছানায় ফেলে দিলাম,, l
l
রাইসাঃ ওই এভাবে কাউকে ফেলে,,, l
l
আমিঃ বইন তুই আর কোনো কথা বলিস না,, l
l
রাইসাঃ ছি ছি ছি,,, নিজের বৌ কে বোন বলছো,,, l
l
আমিঃ হুম কারন তোকে আমি বইন এর সম্মান ছাড়া আর কিছু দিতে পারবো না,, l
l
রাইসাঃ তুমি আমাকে বৌ এর অধিকার দাও বা নাই দাও কিন্তু তুমি তো আমার বর এটাই সত্য,,, l
l
আমিঃ চুপ,,,,,,,,, 😡😠😠
l
এরপর রাইসা যেটা করলো,,,,,,,,

এরপর রাইসা যেটা করলো,, l
l
রাইসাঃ কান্না শুরু করে দিলো,, l
l
আমিঃ ওই তোমার সমস্যা কি,, l
l
রাইসাঃ তুমি আমাকে এভাবে কথা বলছো কেনো l
l
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে বোন আর বকবো না এবার তো চুপ করো,, l
l
রাইসাঃ তুমি আমাকে বোন বললে আমি আম্মু কে গিয়ে বলছি এখনই 😭😭l
l
আমিঃ ওকে ওকে আম্মু কে বলতে হবে না এই যে কানে ধরলাম l
l
রাইসাঃ এবার ঠিক আছে গো আমার সুইট বর, l
l
আমিঃ সোটআপ আমি তোমার বর না বুঝছো,, l
l
রাইসাঃ সেটা তোমার ইচ্ছা কিন্তু আমি তো জানি তুমি আমার বর,, l
l
আমিঃ দূর,,, (একটু রাগ দেখিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে fresh হয়ে সব কিছু change করে নিলাম,, l
l
আমিঃ এই যে এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো,, যাও ভিতরে গিয়ে change হয়ে এসো,, l
l
আমি বিছানায় বসে বসে ভাবছি কি থেকে কি হয়ে গেলো কিন্তু মেয়েটা তো খারাপ না সমস্যা হলো এক জায়গায় ওকে আমি বোন হিসেবে মানি এতো সহজে বৌ সহজে বৌ হিসিবে মেনে নিতে পারবো না,, হঠাৎ কে জেনো দরজায় নক করছে আমি দরজা খুলে দেখি যে,,,,,,,, l
l
আমিঃ আম্মু তুমি এসময়,, l
l
আম্মুঃ হুমম,, বৌমা কোই,, l
l
আমিঃ কেনো,, ও ওয়াশ রুমে change হতে গেলো,, l
l
আম্মুঃ আচ্ছা রাইসা ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে নিছে আয় খেতে,, (এই বলে আম্মু চলে গেলো)
l
হঠাৎ রাইসা ওয়াশ রুম থেকে বের হলো,, l
l
রাইসাঃ কি হলো তুমি এভাবে দাড়িয়ে আছো যে,, l
l
আমিঃ আম্মু ডেকে গেছে খাওয়ার জন্য,, সবাই ওয়েট করছে,, l
l
রাইসাঃ ঠিক আছে তাহলে নিচে যাওয়া যাক,, l
l
আমিঃ হুমম,, l
l
এরপর আমি আর রাইসা নিচে নেমে গেলাম এরপর আমরা দুজন খাবার টেবিলে গিয়ে বসলাম,, l
l
আব্বুঃ মা তোমার কোনো সমস্যা হলে আরমান কে বলবা,, আর যেটা আরমান কে বলতে পারছো না ওইটা তোমার শাশুরি আছে ওনাকে বলবা,, l
l
রাইসাঃ না আব্বু সব ঠিক আছে,, l
l
আমিঃ খাওয়া শুরু করবা না শুধু কথা বলবা,, l
l
এরপর সবাই খাওয়া দাওয়া পরে আমি রুমে গিয়ে শুয়ে আছি রাইসা হঠাৎ রুমে ডুকলো আমি শুয়ে থেকে উঠে বসলাম,, l
l
আমিঃ এই দিকে কোথায় আসতেছো,, l
l
রাইসাঃ বিছানায় শুবো বলে আসছি,, l
l
আমিঃ একদম না,, l
l
রাইসাঃ আমি কিন্তু আম্মু বলে দেবো সব,, l
l
আমিঃ আহা,,, সব খানে আম্মু কে কেনো ডাকো,, l
l
রাইসাঃ কারন তুমি আম্মু বেশি ভয় পাও তাই,, l
l
আমিঃ ঠিক আছে তুমিও বিছানায় শুবে,, l
l
রাইসাঃ কী,,, সত্য 😃😃
l
আমিঃ হুমম তবে মাঝখানে কোলবালিস থাকতে হবে, l
l
রাইসাঃ হুমম ওকে ঠিক আছে,, l
l
এরপর আমি অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পরছি,, l
l
রাইসাঃ ওই একটু এই দিকে ফিরো না গো,, l
l
আমিঃ কি হবে এই দিকে ফিরলে,, l
l
রাইসাঃ তোমাকে দেখবো,, l
l
আমিঃ কেনো আমাকে আগে বুঝি দেখো নাই,l
l
রাইসাঃ দুর তোমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ঘুমাবো, l
l
আমিঃ যতসব, ঢং,,l
l
রাইসাঃ কিহহ,,,, আমি ঢং করছি তুমি এটা বলতে পারলে, ঠিক আছে ফিরতে হবে না ঘূমাও তুমি,, l
l
আমি আর কিছু না বলে কিছু সময় পর ফিরে দেখি রাইসা ঘুমাই গেছে ওর ঘুমানো চেহারা খুব মায়াবি লাগছে ঘুমানো অবস্থায় একটা মেয়েকে যে এতো সুন্দর লাগে সেটা আমি কখনোই,, দেখি না আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে,,,,,,,,,

এরপর আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে রাইসা আমার পাশে নেই কোথায় গেলো পিচ্চি টা আমি বিছানা থেকে ওঠে ওয়াশ রুম দেখলাম নেই সব জায়গায় খুজে পেললাম তাও পেলাম না,, আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে নেমে দেখি তো অবাক,,, 😳😳

আমিঃ দেখলাম যে রাইসা আম্মুর সাথে রান্না করছে,, l
l
হঠাৎ আমি আম্মুর কথায় চমকে উঠলাম,, l
l
আম্মুঃ কিরে এখানে দাড়িয়ে কি দেখচ,, l
l
আমিঃ না মানে কিছু না (এই বলে আমি উপরে চলে আসলাম)
l
রাইসা কে তো আমি ভালোবাসি না তাহলে আমার ওর প্রতি এতো টান কেনো কিছু বুঝতেছিনা,, l
l
আমি বিছানায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি,, l
l
রাইসাঃ এই যে মিস্টার,, l
l
আমি তাকিয়ে দেখি রাইসা,, l
l
আমিঃ কিছু বলবে তুমি ,, l
l
রাইসাঃ কি এতো ভাবছো শুনি আমাকে খুজছিলো,, l
l
এমা রাইসা কিভাবে বুঝলো যে আমি ওকে খুজছিলাম আমি তো ওর কথা শুনে অনেক অভাক হলাম,, l
l
আমিঃ না মানে আমি কেনো তোমাকে খুজতে যাবো,, l
l
রাইসাঃ বুঝি বুঝি মিস্টার সব বুঝি,, 😀😀
l
আমিঃ দুর যা তো এখান থেকে কি মনে করছো তোমার সাথে কয়েকটা ভালো ব্যাবহার করেছি বলে তুমি সব সময় আমার গায়ে পড়বে নাকি যদি এমন মনে করো তাহলে এটা তোমার ভুল ধারনা ভুলে যেও না আমি তোমাকে কখনো মেনে নেবো না,, l
l
রাইসাঃ মন খারাপ করে ফেলছে মনে হয় ও এখনি কেদে দিবে,,, ঠিক আছে তোমাকে মেনে নিতে হবে না তুমি আমাকে ভাসো আর নাই বাসো আমি তোমাকে আগে ও অনেক ভালোবাসতাম আর যতদিন বেচে থাকবো ততদিন ভালোবেসে যাবো,,,,, (রাইসা এই বলে বের হয়ে গেলো)
l
আমি কিছু বলছিনা কিছু সময় পর আমি নিছে গিয়ে দেখি রাইসা আম্মু সাথে টিবেলে খাওয়ার সাইজাইতেছে ওকে যত দেখী তত আমি অবাক হচ্ছি এত করা বলার পর ও রাইসা সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে আসছে,,, কিন্তু আমি ওকে মেনে নিতে পারছি না,, না না আমি কি ভাবছো এসব ওতো আমার মামাতো বোন,,, আর কিছু না ভেবে তাড়াতাড়ি করে খাবার টেবিলে বসে গেলাম,,, l
l
রাইসাঃ আমাকে টেবিলে খাবার দিতেছে,,,, l
l
আম্মুঃ মা তুমিও বসো না,, l
l
রাইসাঃ না ওনি আগে খাওয়া দাওয়া করুক তারপর আমি খাবো,, l
l
আম্মুঃ আরমান দেখ তোর বৌ তোকে কত ভালোবাসে আর তুই একটা হারামিl
l
আমিঃ হুমম এখন তো ছেলে কে ভালোবাসবে না পাইছো তো একজন কে, l
l
রাইসাঃ আম্মু ওকে কিছু বলবেন না ও খুব ভালো l
l
রাইসা কথা শুনে আম্মু একটু হেসে দিলো,, l
l
এরপর আমি খাওয়া দাওয়া করে উপরে চলে আসলাম, l
l
আমি ওয়াশ রুমে ঢুকে fresh হয়ে নিলাম,,, এরপর অফিসের জন্য রেডি হয়ে নিলাম,, কিছু সময় পর রাইসা রুমে আসলো,, l
l
রাইসাঃ অফিস যাচ্ছো বুঝি,, l
l
আমিঃ চোখে কি দেখতে পাচ্ছো না,, l
l
রাইসাঃ আচ্ছা যাও সাবধানে যেও,,l
l
আমিঃ সোটআপ সেটা তোমাকে বলতে হবে না আমি জানি,,, কি করে জেতে হয়,,,l
l
এরপর আমি বাসা থেকে বের হয়ে মটর সাইকেল নিয়ে অফিসে চললাম,,,, অফিসের ভিতরে ডুকে,,, l
l
আরে আরমান ভাই যে এত দিন কোথায় ছিলেন আর কেমন আছেন,, l
l
আমিঃ তাকিয়ে দেখি ফাহাদ ভাই,,,, আরে ভাই আর বলিয়েন না অনেক ঝামেলায় মধ্যে ছিলাম,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ আরে কিসের ঝামেলা সেটা তো বলবেন,, l
এরপর আমি সব কিছু খুলে বললাম ফাহাদ ভাই কে,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে,, l
l
আমি একটু নার্ভাস ফিল করছি,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ ভাই আপনি এটা ভালো করলেন না বিয়ের দাওয়াত টা অত্যন্ত দিতে পারতেন না,, l
l
আমিঃ দুর মিয়া সব কিছু এতো তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো আমি নিজে এ বুঝতে পারি নাই,, l
l
হঠাৎ পিয়ন এসে,, l
l
পিয়নঃ স্যার আপনাকে ম্যাম ডাকছে,, l
l
আমিঃ ম্যাম মানে,, ম্যাম কোথায় থেকে আসলো,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ আরে ভাই আমাদের স্যার এর মেয়ে এখন বস,, l
l
আমিঃ what,,, আমি তো কিছুই জানি না,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ আরে আপনি ছুটিতে ছিলেন তাই আপনাকে জানানো উচিত হয় নাই তাই জানানো হয় নি, l
l
আমিঃ আচ্ছা আপনি যান আমি আসতেছি,, l
l
এরপর আমি নিজের কেবিন থেকে উঠে হঠাৎ স্যার মেয়ে কেনো দুর মাথার কিছু ঢুকছে না ম্যাম কেবিনের সামনে গিয়ে,,,, l
l
আমিঃ may I came in mam,,, l
l
ম্যামঃ yes,, came in,, l
l
আমি ভিতরে ঢুকে দেখি ম্যাম অলটা দিক হয়ে বসে আছে,, l
l
আমিঃ ম্যাম আমাকে কেনো ডাকছেন যদি বলতেন,, l
l
এরপর ম্যাম আমার দিকে ঘুরলো আমি তাকিয়ে যাকে দেখলাম আমার চোখ তো কপালে উঠে গেছে,,,,,,,,,,,,,

এরপর যাকে দেখলাম আমার চোখ তো কপালে উঠে গেছে,,,
l
আমিঃনীলা তুই 😳😲
l
নীলাঃ সোজা এসে আমাকে জড়িয়ে দরলো l
l
ও হা আপনারা কিছু বুঝছেন না তো নীলা হলো আমার বন্ধু আমাদের বাসার পাশে থাকতো কিন্তু ২ বছর আগে কাউকে কিছু না বলে কোথায় জেনো চলে গেলো,l
l
আমিঃ ওয়েট ওয়েট তারমানে আংকেল হচ্ছে তোর আব্বু,, নাকি l
l
নীলাঃ হুমম বোকা বৃদ্ধ রাম,, (নীলা মুচকি হেসে)
l
আমিঃ তো কেমন আছিস তুই,, l
l
নীলাঃ তোকে ছাড়া কিভাবে ভালো থাকি বল,, l
l
আমিঃ মানে,, l
l
নীলাঃ না কিছু না,,, তো l
l
নীলা কথা এভাবে বলছে কেনো,, l
l
নীলাঃ আরমান,, l
l
আমিঃ হুমম,, l
l
নীলাঃ তোকে না আমি অনেক মিস করছি,, l
l
আমিঃ তাই তো আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলি,, l
l
নীলাঃ কি করবো বল,, আব্বু এমন ভাবে বলছে তখন আব্বুর কথা পলতে পারি নাই,,, l
l
আমিঃ ওকে বুঝলাম,, ম্যাম,, l
l
নীলাঃ ম্যাম মানে টা কি,, আমি তোর ম্যাম,, l
l
আমিঃ ম্যাম এ তো,,, l
l
নীলাঃ আরমান আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি,, l
l
আমিঃ আরে আরে এতো রাগার কি আছে অফিসে কেউ শুনলে তো অন্য কিছু মাইন করবে তাই ম্যাম বলছি পাগলী,, l
l
নীলাঃ শয়তান,,, আমি তো আরো সিরিয়াস মনে করছিলাম,, l
l
আমিঃ হা হা হা হা😂😂,,l
l
নীলাঃ তোর পুরনো অভ্যাস গুলো গেলো না তাই না আরমান,, l
l
আমিঃ দুরর বাদ দে তো,, l
l
নীলাঃ আচ্ছা তোকে এতো দিন পর পেয়েছি,,, আরমান তোকে না আমার কিছু বলার আছে, l
l
আমিঃ হুমম বল,, l
l
নীলাঃ এখানে না,,,, আজ অফিস ছুটি পর তুই আমার সাথে এক জায়গায় যাবি ওই খানে বলবো,, l
l
আমিঃদেখ নীলা আমি কোথায়ও যেতে পারবো,, না l
l
নীলাঃ please তুই না করিচ না,, l
l
আমিঃ ওকে ঠিক আছে,, আর কোনো কাজ থাকলে দে না হলে আমি যাচ্ছি,, l
l
নীলাঃ ওয়েট ওয়েট এভাবে চলে যাচ্ছিস কেনো অত্যন্ত আমার সাথে কফি খা,, l
l
আমিঃ দেখ নীলা এটা অফিস সো আমি আমার সম্মান টা নষ্ট করতে চাই না,, l
l
নীলাঃ আমার দিকে কিভাবে যেনো তাকিয়ে আছে,, আচ্ছা এই নে দর এই ফাইল complete করে আনবী,, l
l
আমিঃ ওকে(এই বলে নীলা কে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে বের হয়ে গেলাম ওর কিভিন থেকে ওর উপর আমার অনেক রাগ এখনো জমা আছে,, l
l
আমি আমার কেবিনে এসে কাজ করছিলাম,,, হঠাৎ আমার ফোনটা কেপে উঠছে আমি ফোন হাতে নিয়ে দেখি রাইসা ফোন করছে দরবো না কি দরবো না তাই ভাবছি যাক দরে ফেললাম,, l
l
আমিঃ হ্যালো,, l
l
রাইসাঃ কি করছো,, l
l
আমিঃ মাথায় কি common sense বলতে কিছু নেই অফিসে মানুষ কি করে,, l
l
রাইসাঃ সরি আর বলবো না,, ভুল হয়ে গেছে,, l
l
আমিঃ রাখো তো ফোন যতসব,, l
l
হঠাৎ ফাহাদ ভাই,,,,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ কি ভাই কি হয়ছে,, l
l
আমিঃ না ভাই তেমন কিছু না,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ আরে মিয়া ম্যম কি বলছে,, l
l
আমিঃ আরে কিছু তেমন বলে নাই,, l
l
ফাহাদ ভাইঃ মিথ্যা বলবেন না আমি কিন্তু সব শুনছি অথাৎ দেখছি ও,, চালিয়ে যান দুইটা এক সাথে হা হা হা,, l
l
আমিঃ দুর মিয়া আপনি ও না,, l
l
এরপর আর কিছু না বলে নিজের কাজে মন দিলাম,, l
l
দুপুরে খাবার এর সময় আমি যখনি ক্যান্টিনে যাবো,, l
l
নীলাঃ মিস্টার আরমান,, l
l
আমিঃ কিছু বলবেন ম্যাম,, l
l
নীলাঃ lunch করতে যাচ্ছেন,, l
l
আমিঃ না মানে জি ম্যাম,l
l
নীলাঃ আসেন আমার সাথে,, l
l
আমিঃ আপনার সাথে কেনো,, সরি আমি পারবো না আপনার সাথে আসতে,, l
l
নীলাঃ আপনাকে আমি আসতে বলছি,, (একটু রেগে)
l
আমিঃ নীলা রেগে যাওয়ার কারনে আমি ভয়ে ওর সাথে চলে গেলাম এরপর দুজন মিলে lunch টা শেষ করে নিলাম এর মধ্যে নীলা শুধু আমার দিকে তাকিয়ে ছিল আমি বুঝতেছি না নীলা আসলে চাই টা কি আমার থেকে,, l
l
এরপর আবার কাজে মন দিলাম কাজ করতে করতে দেখলাম ৪ টা বাজছে আমার কাজ টাও শেষ,,এরপর আমি ফাইল জমা দেওয়ার জন্য নীলার কেবিনে গিয়ে দেখি ও কার ছবি দেখছে,, l
l
আমিঃ আসতে পারি ম্যাম,, l
l
নীলাঃ আসুন মিস্টার আরমান,, l
l
আমিঃ এই নিন ম্যাম ফাইল,, l
l
এরপর নীলা আমার থেকে ফাইল টা নিয়ে দেখার পর,,
l
নীলাঃ গুড,,,, 😃😃
l
আমিঃ আচ্ছা আমি তাহলে বাইরে ওয়েট করছি,, l
l
নীলাঃ ওয়েট করতে হবে না চল আমার সাথে,, l
l
এরপর নীলার সাথে যখনই বের হতে যাবো,,, আমার ফোনে কল আসলো আমি তাকিয়ে দেখি আম্মু ফোন করছে,, l
l
আমিঃ নীলা এক মিনিট দাড়াও তো,, l
l
এরপর আমি ফোন রিচিভ করার পর যেটা শুনলাম 😭😭😭,,,

এরপর ফোন রিচিভ করার পর
l
আমিঃ আম্মু কি হয়ছে,, l
l
আম্মুঃ আরে রাইসা তো কিছু খাচ্ছে না তোকে ছাড়া, l
l
আমিঃ আচ্ছা ফোন টা ওকে দাও তো,, l
l
আম্মু ফোন টা রাইসা কে দেওয়ার পর,, l
l
রাইসাঃ হ্যালো,, l
l
আমিঃ সমস্যা কি তোমার কিছু খাচ্ছো না কেনো,, l
l
রাইসাঃ না মানে তোমার সাথে খাবো ভাবছি,, l
l
আমিঃ তোমার মাথায় কি আমি বলছিনা আমি দেরি হবে আসতে,, l
l
রাইসাঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, l
l
আমিঃ কি হলো কিছু বলছো না যে,, l
l
রাইসাঃ তুমি কখন আসবে,,,, l
l
আমিঃ আমি আসতে দেরি হবে আর তুমি খেয়ে নিও আমি বাইরে থেকে খেয়ে আসবো কেমন,, l
l
রাইসাঃ আচ্ছা আমি তোমার জন্য ওয়েট করবো, l
l
আমিঃ সোটআপ তোমাকে ওয়েট করতে কে বলছে রাখো তো ফোন যতসব l
l
এই বলে কেটে দিলাম এরপর,, l
l
নীলাঃ কি হয়ছে আরমান,, l
l
আমিঃ তেমন কিছু না তুমি চলো,, l
l
এরপর আমি আর নীলা গাড়িতে বসে পড়লাম গাড়ি চলতেছে,, l
l
আমিঃ নীলা আমরা কোথায় যাচ্ছি,, l
l
নীলাঃ গেলেই বুঝতে পারবো,,l
l
এরপর আরো কিছু সময় পর দেখলাম একটা জায়গা খূব সুন্দর সূর্য ডুবছে অনুভূতি টা খুব ভালো লাগছে,, l
l
আমিঃ wow super জায়গা,, l
l
নীলাঃ তোমার ভালো লাগছে,, l
l
আমিঃহুময় খুব সুন্দর,, l
l
নীলাঃ আরমান এদিকে এসো আমার সাথে বসো,, l
l
এরপর আমি ঘাসের উপর নীলার সাথে বসলাম,,, l
l
নীলাঃ আরমান তোমার কি কাউকে ভালো লাগে,, l
l
আমিঃ sorry,,, l
l
নীলাঃ আরে তুমি কি কাউকে পছন্দ করো,, l
l
আমিঃ হা হা হা😂😂,, l
l
নীলাঃ তুমি হাসছো আমি সিরিয়াস বলছি,, l
l
আমিঃ না তেমন কেউ নেই,, l
l
নীলাঃ সত্য তো,, l
l
আমিঃ মিথ্যা বলতে যাবো কেনো,, l
l
নীলাঃ আরমান আমরা এখানে কেনো এসেছো জানো,, l
আমিঃ না তো না বললে কিভাবে জানবো,, l
l
নীলাঃ আরমান আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই,, l
l
আমিঃ হুমম বলো কি বলবে,, l
l
নীলাঃ I love you Arman l
l
আমিঃ what 
l
নীলাঃ হুমম আমি সিরিয়াস সত্য তোমাকে অনেক ভালোবাসি আরমান,, l
l
আমিঃ সরি আমি পারবো না তোমাকে ভালোবাসতে,, l
l
নীলাঃ কেনো পারবে না কি নেই আমার আমি কি দেখতে খারাপ,, l
l
আমিঃ দেখো নীলা তুমি দেখতে খুব সুন্দরী যে কেউ তোমাকে পছন্দ করবে আমি তোমার অফিসের সামন্য কমচারী মাএ,, l
l
নীলাঃ ও সেটাই যদি তোমার সমস্যা হয় তাহলে আমি অফিসে আসা ছেড়ে দেবো,, l
l
আমিঃ নীলা সমস্যা এটা না,, l
l
নীলাঃ কি সমস্যা তুমি বলো,, l
l
আমিঃআসলে নীলা আমি married l
l
নীলাঃ what 
l
আমিঃ হুমম,, l
l
এরপর আমি নিছের দিকে তাকিয়ে আছি আমার তো কিছু করার নেই আমি নীলার দিকে তাকিয়ে দেখি তো পুরাই অবাক,,,,l
l
আমিঃ নীলা দেখো কান্না করো না সবার ভাগ্য তো সব কিছু থাকে না তাই হয়ত তোমার ভাগ্য আমি নেই তাই বলে এভাবে কান্না করার মানে হয় না,,,, পাগলী নিজের প্রিয় মানুষ না হলে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড হিসিবে তো পাশে থাকতে পারো,,,,, l
l
নীলাঃ আরমান তুমি ঠিক বলছো যানো আমার হয়তো কপাল টা খুব খারাপ তাই তোমাকে পেলাম না কিন্তু তুমি আমার পাশে থাকবে আরমান (নীলা আমার হাত দরে)
l
আমিঃ হুমম পাগলী আমি তোমার পাশে আছি চিন্তা করো না তো,, l
l
এরপর নীলাকে বুঝিয়ে,, আবার গাড়িতে উঠলাম,,, l
l
নীলাঃ আরমান চলো তোমাকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাবো,, l
l
আমিঃ কোথায় নিয়ে যাবে,, l
l
নীলাঃ আহা তুমি এতো কথা বলো কেনো গেলে তো দেখতে পাবে,, l
l
এরপর আমি আর কিছু বললাম না এমা আমি তাকিয়ে দেখি এখানে তো party হচ্ছে,, l
l
আমিঃনীলা আমাকে এখানে কেনো আসছো,, l
l
নীলাঃ আরে কাম আন আরমান আমরা এখন enjoy করবো,, l
l
আমিঃ না না,, আমি বাসায় যাবো,, l
l
নীলাঃ চুপ এসো,, l
l
এরপর নীলা আমাকে জড়িয়ে দরে danceকরছে আমি তো বোকার তাকিয়ে আছি,, l
l
নীলাঃ আরমান নাও এটা খাও,, l
l
আমিঃ ছি ছি ছি আমি এসব খাই না,, l
l
নীলাঃ come on Arman,, l
l
এরপর নীলা আমাকে জোর করে খাইয়ে দিলো,, l
l
আমি এরপর আরো খেতে ইচ্ছা করছিলো তাই নেশায় মেতে উঠলাম এরপর আমি আর নীলা গাড়িতে উঠে,, আমার মাথা ঘুরছে,,আমার বাসার সামনে এসে,, l
l
নীলাঃ আরমান তোমার বাসার সামনে তুমি তুমি একা একা যেতে পারবে না মনে হয় ওয়েট রাইসার নাম্বার টা দাও,, l
l
আমিঃ এই নাও,,, l
l
এরপর নীলা রাইসা কে ফোন করার পর,, l
l
নীলাঃ হ্যালো রাইসা,, l
l
রাইসাঃ কে বলছেন,, l
l
নীলাঃ আমি আরমানের বন্ধু বলছি ওকে নিয়ে যাও, l
l
এরপর রাইসা তাড়াতাড়ি ফোন রেখে নিচে এসে দেখে যে,, l
l
রাইসাঃ কি হয়ছে ওর,, l
l
নীলাঃ তেমন কিছু না ও একটু drinkটা বেশি করে ফেলছে,,, l
l
রাইসাঃ আচ্ছা আরমান এসো,, l
l
এরপর রাইসা আমাকে আমার এক হাত ওর কাদে দিয়ে উপরে নিয়ে গেলো আমি সোজা বিছানায় শুয়ে পড়লাম,, l
l
আমিঃ এই মেয়ে আমার কাছে এসো তো,,(আমি মাতাল অবস্থায়)
l
এরপর রাইসা আমার কাছে আশা মাএ আমি রাইসা কে জড়িয়ে দরলাম এরপর রাইসা আমার সাথে সাড়া এরপর আমরা দুজন বৌ বর মিলনে আবদ্ধ হলাম,l
l
সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি তো আমি যেনো আকাশ থেকে পড়লাম ,,,,,,,,,,,,,,

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তো আমার চোখ কপালে উঠে গেছে কারন আমি তাকিয়ে দেখি যে বিছানা শুয়া আমার কাপড় কোই গেলো,,,,, আল্লাহ কালকে কি হলো হঠাৎ ওয়াশ রুম থেকে রাইসা বের হলো তাকিয়ে দেখি ও মাএ গোসল করে আসলো,,,, চুল থেকে পানি পড়ছে,, l
আমিঃ এই পিচ্চি কালকে কি হয়েছিলো,, l
রাইসাঃ দুর আমার না লজ্জা করছে 
আমিঃ মানে কিসের লজ্জা,, l
রাইসাঃ না আমি বলতে পারবো না আমার লজ্জা করছে (এই বলে রাইসা দুড দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো)
আমি তো মাথায় হাত দিয়ে ভাবছি কালকে রাতে এমন কি হলো যে রাইসা লজ্জা পাচ্ছে হঠাৎ আমার কালকে রাতের কথা মনে পড়ে গেলো oh no impossibleএটা হতে পারে না আমি কি করে ফেলছি হায় আল্লাহ,, আমি তাড়াতাড়ি ওয়াশ রুমে ঢুকে গোসল করে বের হয়ে change করে নিলাম,,, তারপর রুম থেকে বের হয়ে রাইসা কে খুজছি কোথায়ও তো দেখতিছি না,, গেলো কোথায় হঠাৎ চোখ রান্না ঘরে আম্মুর সাথে রান্না করছে,,,,
আমিঃ রাইসা এদিকে এসো তো একটু,, l
রাইসাঃ আমি তো এখন আম্মুর সাথে রান্না করছি, l
আম্মুঃ রাইসা আরমান কি বলে শুনে আই আমি রান্না টা দেখতেছি,, l
রাইসাঃ ঠিক আছে আম্মু,, l
আমিঃ রুমে চলে আসলাম এসে বিছানায় বসে আছি হঠাৎ রাইসা রুমে ডূকলো,, l
রাইসাঃ আরমান কি জন্য ডাকছো,, (নিচের দিকে তাকিয়ে)
আমিঃ না মানে এই দরো এইটা খেয়ে নাও,, l
রাইসাঃ এটা কি শুনি l
আমিঃএটা পিল,, খেয়ে নাও,,, আসলে আমি কালকে এসব ইচ্ছা করে করি নাই,, l
রাইসাঃ চোখে পানি টলমল করছে,, l
আমিঃ কি হলো,, l
রাইসাঃ না আমি এটা খাবো না please আরমান তুমি এসব বলো না,, l
আমিঃ তোমাকে এটা খেতে বলছি না হলে আমি তোমাকে ছেড়ে দেবো,, l
রাইসাঃ না না এমন করো না আমি এখনি খাচ্ছি (কান্না করে)
আমিঃ হুমম এই নাও পানি,, l
রাইসাঃ খেয়ে নিলো,, l
আমিঃ আচ্ছা আমি বের হচ্ছে তাহলে
—————
এভাবে আরো কয়েকদিন চলে গেলো এখন রাইসা আমার সামনে কম আসে মাঝরাতে ওর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই খুব মায়া হয় কিন্তু আমার যে কিছু করার নেই,,, l
–একদিন রাতে আমরা সবাই আইমিন রাইসা আমি আব্বু আম্মু আর ভাই বসে খাচ্ছি,, হঠাৎ খাওয়ার মাঝে,, l
আব্বুঃআরমান l
আমিঃ জি আব্বু l
আব্বুঃ কালকে আমি আর তোর আম্মু মেহেদী তোর মামাদের বাসায় যাবো তো তুই রাইসা কে নিয়ে বস সামলাতে পারবি তো,, l
—-আমি কিছু বলার আগেই রাইসা,
রাইসাঃ আব্বু আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমি সব সামলে নেবো,, l
আম্মুঃ যাক আমার বৌ মা সব পারবে আমি জানি,, l
—এরপর খাওয়ার পরে আমি উপরে চলে গেলাম কিছু সময় পর দেখলাম রাইসা রুমে আসলো,, l
রাইসাঃ আরমান, l
আমিঃ হুমম বলো,, l
রাইসাঃ তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো না l
আমিঃ please এই উওর টা আমি দিতে পারবো না এই বিষয়ে আমাকে আর প্রশ্ন করবে না ওকে, l
রাইসাঃ ঠিক আছে,, l
—–এরপর সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি রাইসা আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে ওকে খুব মায়াবি লাগছে ঘুমের মধ্যে একটা মেয়েকে যে এতো ভালো লাগে তা আমার আগে জানা ছিলো না,,আমি রাইসা কে সড়িয়ে বিছানা থেকে ওঠে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে নিচে চলে গেলাম নিচে গিয়ে সোফায় বসে আছি আর মোবাইলে গেম খেলছি,, l
——রাইসাঃ আরমান
আমিঃ হুমম l
রাইসাঃ তুমি বসো আমি তোমাকে breakfast বানিয়ে দিচ্ছি,, l
আমিঃ এতো অতলা হতে হবে না আজকে আমার অফিস বন্ধ সোনা ধীরে ধীরে কাজ করাটাই বেটার, l
—-এরপর আমি খাবার টেবিলে বসলাম রাইসা খাবার টেবিল সাজিয়ে দিয়েছে,, আমি খাওয়া শুরু করলাম খাওয়া শেষ যখনি উঠতে যাবো,, দেখলাম রাইসার মাথা ঘুরছে,,, যখনি পড়ে যাবো আমি দরে ফেললাম আল্লাহ ওতো sense হারিয়ে ফেলেছে,,l
আমিঃ রাইসা কি হয়ছে তোমার রাইসা, রাইসা please চোখ খুলো l
রাইসাঃ তো কোনো সাড়া দিচ্ছে না,, l
এরপর আমি ডাক্তার কে ফোন দিয়ে ইমারজেন্সি বাড়িতে আসতে বললাম,,, l
আমি রাইসা কে বিছানায় শুয়ে দিলাম,, l
এর কিছু সময় পর ডাক্তার চলে আসলো,,l
ডাক্তারঃ কি হয়েছে,, l
আমিঃ হঠাৎ দাড়ানো অবস্থায় sense হারিয়ে ফেললো please একটু দেখেন,, l
ডাক্তারঃ দেখেন এত উতলো হবেন না আমি দেখছি,, l
এরপর রাইসা কে ডাক্তার দেখছে,, দেখার পর,,
আমিঃ ডাক্তার কি হয়ছে রাইসার,, l
ডাক্তারঃ দেখেন আগে মিষ্টি খাবান,, l
আমিঃ what,, মিষ্টি কেনো,, l
ডাক্তারঃ আরে আপনি বাবা হতে চলেছেন,,,,, l
আমি তো ডাক্তারের কথা শুনে 😳😱😱😱

আমি তো ডাক্তারের কথা শুনে খুব অবাক হলাম,, l
ডাক্তারঃআরমান সাহেব এই নিন মেডিসন গুলো এনে সময় মতো খাওয়াবেন l
আমিঃহুমম l
এরপর ডাক্তার যাওয়ার পর এটা কি করে হতে আমার তো মাথায় ঢুকছে না আমি উপরে গিয়ে দেখি রাইসা ঘুমাচ্ছে আমি ওর পাশে বসে পড়লাম ও আমার সাথে এটা করতে পারলো আল্লাহ আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি হঠাৎ রাইসা সেন্স ফিরলো, l
রাইসাঃ আমার দিকে আছে,, l
আমিঃ রাইসা তুমি এটা আমার সাথে কিভাবে করতে পারলে,, l
রাইসাঃ আমি কি করলাম,, l
আমিঃ তুমি জানো না কি করছো,, l
রাইসাঃ কি করলাম আমি বলবে তো,, l
আমিঃ বাচ্চা টা কার,, l
রাইসাঃ কিসের বাচ্চা আমি তো কিছুই বুঝতেছি না,, l
আমিঃ কিছুই বুঝতেছিস না কার সাথে নোংরামি করে এখন আমার সামনে ভালো সাজতেছিস,, l
রাইসাঃ আরমান তুমি এসব কি বলছো ও এই বাচ্চা টা শুধু তোমার বিশ্বাস করো,, l
আমিঃ সোটআপ তোকে আমি মনে করছিলাম মেনে নেবো কিন্তু তুই এটা ভালো করলি না,, (এই বলে আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম,, l
——রাইসাঃ আরমান please দাড়াও আমার কথা টা তো শুনো,, l
আমি কোনো কিছু না শুনে বের হয়ে গেলাম,,,, l
নিচে শোফায় বসে আছি,, l
রাইসাঃ আরমান,, l
আমিঃ তুই আমার সামনে কেনো আসছিস,, l
রাইসাঃ তুমি বিশ্বাস করো এটি তোমার বাচ্চা আরমান,l
আমিঃ হা হা হা বিশ্বাস তোকে করবো,, l
রাইসা আমার হাত দরে,, l
রাইসাঃ আরমান,, l
আমিঃ আমার হাত ছেড়ে দেন,, l
রাইসাঃ আমি ছাড়বো না,, l
ঠাসসস সসসসস সস বের হয়ে যা তুই আমার সামনে কখনো আসবি না আমি তোর মুখ দেখতে চাই না,,, l
এরপর আমি বাসা থেকে বের দোকানে গিয়ে বসে আছি রাইসা আমার সাথে এটি না করলে ও পারতো,, l
দোকানে আরো কিছু সময় থেকে বাসায় চলে গেলাম কি ব্যাপার রাইসা কোথায় গেলো ওকে তো আমি দেখতে পাচ্ছি না উপরে গিয়ে দেখি নেই সব জায়গায় দেখলাম তা পেলাম না কোথায় গেলো হঠাৎ চোখ গেলো টেবিলের উপর একটা চিঠির মতো আমি কাগজ টা খুলে দেখি যে,,,,,
প্রিয় আরমান
তুমি এখন খূব খুশি আছো তাই না আসলে তোমাকে আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক ভালোবাসতাম এরপর তোমার সাথে যখন আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে তখন আমার যে কত খুশি সেটা আমি কখনোই তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না বিয়ের মনে করছিলাম শান্তি মতো আমরা দুজন সংসার করবো কিন্তু দেখো এই সুখ টা আমার কপালে নেই মনে হয় তাই তো এমন হয়ছে এরপর যখন তোমাকে যেই দিন তুমি drink করে আসলে তখন নীলা কে তোমার পাশে দেখে আমার কি পরিমাণ কষ্ট হয়েছিলো সেটা আমি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না কারন তোমাকে খুব ভালোবাসি বলে আর দেখো তুমি যখন আমাকে পিল টা দিলা তখন আমি পিলটা খাই নি তুমি মনে করছো আমি পিলটা খেয়েছি তাই আমাদের কষ্টের ফল এই বাচ্চা টা তোমার আর কারো নয় তুমি তো আমার মুখ ও দেখতে চাও না তাই তোমাকে মুক্তি করে আজ অজানা পথে পাড়ি দিলাম ভালো থেকো আরমান,,!!
ইতি হতোবাগা
রাইসা!
–আমি নিচে বসে পড়লাম আমার দুচোখ বেয়ে অঝরে পানি ঝরছে এই আমি কি করে ফেললাম আল্লাহ আমি এখন কি করবো আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না 😭😭😭😭
হঠাৎ দরজায় কলিংবেল এর চাপ দিলাম আমি দুড় দিয়ে দরজা খুলে দেখি আম্মু আব্বু আমি কেদে দিলাম,, l
আম্মুঃকি হয়ছে আরমান তুই কান্না করছিস কেনো রাইসা কোই রাইসা ঠিক আছে তো, l
আমিঃ,,,,,,,,,,,,, 😭😭😭
আব্বুঃ কিরে আরমান রাইসা কোথায় ও ঠিক আছে, তো , l
এরপর আমি সব খুলে বললাম যা যা হয়ছে,,,,,l
–ঠাসসসস সসসসস
আমিঃ গালে হাত দিয়ে কান্না করছি,, l
আম্মুঃতুই আমার মেয়েটাকে এতো কষ্ট দিলি যা এখনি এই বাসা থেকে বের হা যা আমার মেয়েকে ফিরিয়ে না আনলে তোর এই বাড়িতে জায়গা নেই,, l
আমিঃ তোমরা চিন্তা করো না আমি তোমাদের বৌমা কে এখনি ফিরিয়ে আনছি এই বলে কান্না করতে করতে বের হয়ে পড়লাম বাইক নিয়ে,, l
—-আর অন্য দিকে রাইসা রাস্তা দিয়ে হাটছে আর বলছে বাবা তোকে মনে হয় এই পৃথিবীর আলো দেখাতে পারবো না মাকে মাফ করে দিচ,,, l
—আমি কান্না করতে করতে সব জায়গা খুজে ফেললাম তা পেলাম না লাস্ট রেলওয়ে স্টেশন গিয়ে দেখি যে,,

আমি কান্না করতে করতে সব জায়গায় খুজে ফেললাম তাও পেলাম না লাস্ট রেল স্টেশন গিয়ে দেখি যে রাইসা একটা টেবিলের উপর উপর বসে কান্না করছো,, আমি গিয়ে,, l
আমিঃ রাইসা
রাইসাঃ তুমি এখানে কেনো এসেছো,, l
আমিঃ আমার বৌ কে নিয়ে যেতে,l
রাইসাঃ আমি কারো বৌ না,,, আমাকে যেতে দাও,, l
আমিঃ please রাইসা আমাকে মাপ করে দাও, l
রাইসাঃ ছি ছি ছি তুমি আমার কাছে মাফ চাইছো,, l
আমিঃ তুমি যদি এখন আমার সাথে না যাও আমি নিজেকে শেষ করে দেবো,,l
রাইসাঃ চুপ তুই নিজেকে কি মনে করিস হুমম আমাকে একা রেখে কোথায় যাবি,, l
আমিঃ তারমানে,, (আর কিছু বলার আগেই রাইসা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো)
রাইসাঃ আরমান আমি তোমাকে বাচতে পারবো না 😭😭
আমিঃ জানি তো আমি,, l
—–এরপর রাইসা কে বাইকে উঠিয়ে চালাইতেছে রাইসা আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে দরছে l
রাইসাঃ স্যার আজকে এতো খুশি যে,, l
আমিঃ খুশির তো কারন আছে অনেক,, l
রাইসাঃ কি কারন গো বলো না,, l
আমিঃ হুমম আব্বু আম্মু যে দাদা দাদী হচ্ছে সেটা শুনলে ওনারা কত যে খুশি ভেবে দেখছো,, l
রাইসাঃ হুমম 
আমিঃ রাইসা তুমি চুপ করে আছো যে,, l
রাইসাঃ দুর আমার না খূব লজ্জা করছে,, l
আমিঃ ওলে বাবালে আমার কি লজ্জা বতী বৌ টা 😃😃
রাইসাঃ দুর তুমি ও না,,l
আমিঃ সোনা তোমাকে আজ থেকে খুব ভালোবাসবো, l
রাইসাঃকিহহ,, সত্য,, 
আমিঃ হুমম 😁😇
রাইসাঃ উম্মমমমমা,,, l
আমিঃ এটা কি হলো,, l
রাইসাঃ একটু আদর করে দিলাম বাবু,, l
——এরপর কথা বলতে বলতে আমাদের বাসায় পৌছে গেলাম,, কলিংবেল চাপ দেওয়ার সাথে সাথে আম্মু দরজা খুলে দিলো রাইসা আমার পিছনে দাড়িয়ে আছে, l
আম্মুঃ আমার মেয়ে কোথায় আরমান,, l
আমি সামনে থেকে সরে গেলাম এরপর আম্মু তাকিয়ে দেখে যে রাইসা দাড়িয়ে আছে,, l
রাইসা সাথে সাথে কান্না করে দিলো হঠাৎ আম্মু কে এসে জড়িয়ে ধরলো,, l
আম্মুঃ কি রে মা তোর আম্মু আব্বু কে না বলে আমাদের ছেড়ে কোথায় যাইতেছিস,, l
রাইসাঃ আম্মু আমাকে মাপ করে দাও আমি না বুঝতে পারি নাই,,l
–এর পর সবাইকে কোনো রকম বুঝিয়ে সবাই সোফায় বসে আছে,,
আমিঃ আম্মু তোমাদের একটা কথা বলতে চাই আমি,l
আম্মুঃ মানে কিসের কথা,, l
আমিঃ surprise,,l
আম্মুঃ কিসের,,, l
আমিঃ হুমম তোমরা দাদা দাদু হতে যাচ্ছো,, l
আম্মুঃ কিহহহ,,,,,, আমি দাদি হতে যাচ্ছি,, l
আব্বু্ঃ আমি দাদা হতে যাচ্ছি,, l
রাইসা তো লজ্জায় মুখ টা একদম লাল হয়ে গেছে ওকে দেখতে কিন্তু একদম সেই লাগছে এখন,, l
সবাই রাইসার সাথে কত আনন্দ করছে,, l
আব্বুঃ এভাবে বসে থাকবা নাকি মিষ্টি মুখ করতে হবে না,, l
আমিঃ ফিরিজ থেকে মিষ্টি এনে সবাইকে দিলাম নিজেও খেলাম সব কিছুর পর রাইসা আর আমি উপরে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম, l
রাইসাঃ বাবু তোমার কি মন খারাপ,, l
আমিঃ আসলে কত সুন্দর পরিবার টা কে আমি নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলাম আমার এখন নিজের উপর খুব ঘৃনা হচ্ছে,, l
রাইসাঃ দুর তুমি এভাবে বলো না সব কিছু এখন তুমি এ ঠিক করছো,, l
আমি রাইসার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিলাম,l
–রাইসাঃ আরমান তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো কখনো,, l
আমিঃ আরে না আমি আমার বাবু টা কে ছেড়ে কোথাও যাবো না,,, l
এরপর রাইসা আমাকে একটা চুমু দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো পাগলী একটা,, l
–এভাবে দিন কাল যাচ্ছিলো হঠাৎ একদিন ঘটলো এক ঘটনা আমি অফিসে বসে বসে কাজ করছি
—আমার ফোন টা কাপছে কেনো আমি হাতে নিয়ে দেখি
-আম্মু ফোন করছে,,
-রিচিভ করার পর
যেটা শুনলাম আমার হাত থেকে মোবাইল টা পড়ে
গেলো
ফোন রিচিভ করার পর যেটা শুনলাম আমার হাত থেকে মোবাইল টা পড়ে গেলো,,,,
-আমি আর কোনও কিছু না ভেবে সোজা গাড়ি চালিয়ে বাসার সামনে আসলাম,,,, l
l
আমিঃ সিকিউরিটি দরজায় তালা কেনো, l
l
সিকিউরিটিঃ স্যার বড় ম্যাম ছোট ম্যাম কে হাসপাতালে নিয়ে গেলো আপনাকে বলতে বলছে,, l
l
আমার তো কান্না আসছে রাইসার কিছু হলে আমি কাকে নিয়ে বাচবো,,l
l
আমিঃ আপনি কী জানেন রাইসা কে কোন হাসপাতালে নিয়ে গেছে,, l
l
সিকিউরিটিঃজি স্যার ম্যাম কে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে আপনাকে বলতে বলছে,, l
l
আমি আর কিছু না ভেবে গাড়িতে গিয়ে বসে গাড়ি drive করছি আর আমার দু ছোখ বেয়ে পানি পরছে আমি কত অবহেলা করছি রাইসা কে আজ ওকে এতো ভালোবেসে ফেললাম তাই হারাতে হচ্ছে ইয়া আল্লাহ তুমি রহম করো আমার রাইসার যাতে কিছু না হয়,, এসব ভাবতে ভাবতে হাসপাতালের সামনে এসে পৌছালাম,, এরপর হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে
–এই যে ভাইয়া রাইসা নামক ওয়ার্ড নাম্বার টা বলবেন,
–হুমম ১২০ ওখানে আছে ইমারজেন্সি তে,,
–আমি গিয়ে দেখি আব্বু আম্মু ভাই সবাই বসে বসে কান্না করছে,, আমি কাছে গিয়ে,, l
l
আমিঃ আম্মু 😭😭(আমি কান্না করে)
l
আম্মুঃ বাবা তুই এসেছিস,, l
l
আমিঃ এসব কি করে হলো আম্মু,,,, l
l
আম্মুঃ আমি নিচে বসে ওর জন্য রান্না করছিলাম তখন আমাকে বলছে যে ও নিচে এসে কাজ করবে আমি বলছি মা তুমি নিচে আসার দরকার নেই তোমার শরীর ভালো নেই তখন ও বলছে আমার এভাবে বসে থাকতে ভালো লাগে না আমার কথা শুনে নাই তখন সিলিপ করে পড়ে গেলো নিচে,,, 😭😭😭
l
আমিঃ আম্মু 😭😭(আমি আম্মু কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলাম)
l
আব্বুঃ তোমরা এভাবে ভেঙে পড়লে কে কাকে সামলাবে আল্লাহর উপর ভরসা রাখো কিছু হবে না আমার মেয়ের,, l
l
আব্বু পযন্ত কান্না করছে,, l
l
মেহেদীঃ ভাইয়া আমি ভাবির কাছে যাবো,, l
l
আমি ভাইকে জড়িয়ে দরলাম আমাদের এই অবস্থা দেখে সবাই কান্না করছে কিছু সময় পর বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনলাম,,,, হঠাৎ ডাক্তার বের হয়ে আসছে,, l
l
আমিঃ ডাক্তার আমার রাইসা কেমন আছে,, l
l
ডাক্তারঃ দেখেন আপনার কন্যা সন্তান হয়ছে আর অপারেশন সাকসেসফুল বাট আপনার বৌ এর 28 ঘন্টা এর মধ্যে sense না ফিরলে আমাদের কিছু করার নেই আমরা অনেক চেষ্টা করছি,, এবার বাকি টা আল্লাহর হাতে,, (এই বলে ডাক্তার চলে গেলো)
l
আমিঃ নিচে মাটিতে বসে পড়লাম 😭😭😭😭
l
সবাই কান্না করছে রাইসার জন্য আমি ভিতরে গিয়ে দেখী যে আমার মেয়ে রাইসার পাশে শুয়ে আছে রাইসা চোখ বন্ধ করে আছে মেয়েটা দেখতে ঠিক রাইসার মতো খুব সুন্দর হয়ছে,, l
l
আমিঃ রাইসা এই রাইসা উঠো না দেখো না তোমার আরমান তোমার পাশে আছে দেখো আমাদের মেয়ে হয়ছে তুমি বলছো না আমাদের মেয়ে হলে তুমি তার সাথে খেলা করবে দেখো না রাইসা,, উঠো না রাইসা উঠো please 😭😭😭
l
হঠাৎ যোহরের আযানের শব্দ আমার কানে ভেসে আসছে তাই আমি আমার মেয়েকে আম্মুর কাছে দিয়ে কেবিন থেকে বের মসজিদ গিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে জামাত সাথে নামাজ আদায় করে মুনাজাতে,, হে আল্লাহ আমি তোমার একজন পাপী গোলাম তোমার কাছে আর কিছু চাই না আআমার রাইসা কে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও আল্লাহ আমি তোমার কাছে আর কিছু চাই না আমার রাইসা কে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও আমার দু চোখ বেয়ে অঝরে পানি ঝরছে,,, মোনাজাতের পর হাসপাতালে যেতে ভাবছি আমার দোয়া কি আল্লাহ কবুল করছে আমার ভাবছি আমার মতো ঘুনা গার বান্দার দোয়া কি আল্লাহ কাছে কবুল হবে ভয়ে ভয়ে হাসপাতালে গিয়ে কেবিনে ডুকে যেটা দেখলাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
হাসপাতালের কেভিনে ডুকে দেখি যে রাইসা আম্মুর সাথে কথা বলছে আমি মনে মনে আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করছে এই বলে ভিতরে ঢুকে,, l
আমিঃ রাইসা l
রাইসাঃ আমার দিকে তাকিয়ে আছে ওর চোখে পানি,, l
আমিঃ গিয়ে জড়িয়ে দরলাম রাইসা কে,, l
রাইসাঃ কান্না করছে,,,, আরমান তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো, l
আব্বুঃ আরমান আমরা আমাদের নাতি কে নিয়ে বাইরে যাচ্ছি তোরা কথা বল,, l
এরপর আব্বু আম্মু বাইরে চলে যাওয়ার পর,, l
আমিঃ রাইসা আমি তোমাকে খুব খুব ভালোবেসে ফেলছি তোমাকে ছাড়া আমি ম,, (পুরাটা বলার আগে রাইসা আমার ঠোঁটে চুমু দিলো,,l
রাইসাঃ এরকম আর বলবে না ওকে তুমি জানো না তোমাকে ছাড়া আমি শেষ,, l
আমিঃ রাইসার কপালে একটা একটা চুমু একে দিলাম,, l
—এরপর রাইসার সাথে কথা বলে আমি বাইরে চলে আসলাম ডাক্তারের কেভিনের সামনে গিয়ে,,,
আমিঃ আসতে পারি,,,, l
ডাক্তারঃ আরে মিস্টার আরমান আসুন বসেন,, l
আমিঃ বসে পড়লাম,, l
ডাক্তারঃ কি বলবেন,,, যেন l
আমিঃ রাইসা কে এখান থেকে কখন নিয়ে যেতে পারবো আপনি যদি একটু বলতেন,, l
ডাক্তারঃ হুমম আরো এক সপ্তাহ মতো থাকতে হবে ওর মাএ sense ফিরছে সো পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো এক সপ্তাহ লেগে যাবে,,, l
আমিঃ ওকে Thank you,, l
ডাক্তারঃ Welcome,,!
—এরপর ডাক্তার এর কিভন থেকে বের হয়ে রাইসার কাছে চলে গেলাম বাইরে আমার মেয়ে কে আব্বু আম্মু ভাই সবাই কত খুশি আমার ও খুব ভালো লাগছে আমি যে বাবা হতে পেরেছি,,, l
রাইসাঃ আরমান কি ভাবছো,, l
আমিঃ না কিছু না ,,, আমার বৌ টার খিদা লাগছে না কিছু তো খেতে হবে তাই,, না,, l
রাইসাঃ ওয়েট ওয়েট,,,, এতো অতোলা হয় না তো আমার খিদা লাগে নাই তুমি আমার পাশে থাকো আমার সব খিদা মিটে যাবে,, l
আমিঃ পাগলী একটা,,, l
রাইসাঃ আচ্ছা শুনো না ডাক্তার কি বলছে,, l
আমিঃ ডাক্তার বলছে যে তোমাকে আরো এক সপ্তাহ থাকতে হবে,, l
রাইসাঃ ও নো আমি এক সপ্তাহ থাকতে পারবো না হাসপাতালে,,, l
আমিঃ সোনা এমন করো না তোমার তো এখন শরীর ভালো নেই,, l
রাইসাঃ ঠিক আছে তুমি পাশে থাকলে তো আমি সব পারবো,, l
আমিঃ আমি তো আছি পাগলী l
—একটা মেয়ে আমাকে এতো ভালোবাসে আর আমি কিনা দুররা,, l
আমিঃ রাইসা,,, আমি আব্বু আম্মু দেখছি অনেক রাত হলো,,l
কেভিনের বাইরে গিয়ে,,,
আমিঃ আম্মু তোমরা বাড়িতে যাবে না অনেক রাত হলো তো,, l
আব্বুঃ হুমম যাবো তো আমার দাদু ভাইকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না,, l
—এরপর আমার মেয়েকে আব্বু আম্মু ভাই আদর করে রাইসা এর সাথে কথা বলে তারা চলে গেলো বাসায়,, হাসপাতালে আমি আর রাইসা আর আমার মেয়ে,, আমি বসে আছি,, l
রাইসাঃ আরমান তুমি এসো আমার পাশে শুয়ে পড়ো, l
আমিঃ আরে তুমি ঘুমাও আমি ঠিক আছি,, l
রাইসাঃ একদম না,, আমার পাশে শুয়ে পড়ো না হলে আমি এখনই উড়ে যাবো,,, l
আমিঃ ওই মাইর দেবো আমার মেয়ে জেগে যাবে,,আচ্ছা আমি আসতেছি,, l
এরপর রাইসার পাশে শুয়ে পড়লাম আমার মেয়ে ঘুমাচ্ছে রাইসা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আমার মেয়ে টা উপরের দিকে তাকিয়ে খেলা করছে আমি কোলে নিয়ে একটু চুমু দিলাম,,, l
–আমার সাথে সাথে রাইসা ও উঠে গেলো,, l
—এভাবে এক সপ্তাহ চলে গেলো আজ আমরা বাসায় ফিরছি সব কিছু গুছিয়ে গাড়িতে উঠলাম,,
রাইসা আমার কাদে মাথা দিয়ে আছে আমার মেয়ে ঘুমাচ্ছে,, এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর দেখলাম আমাদের পুরো বাসা কে সাজানো হচ্ছে ও আর হা আমার মেয়ের নাম রাখা হয়েছে তাবাসসুম বিনতে আয়েশা,,,, l
এরপর বাসার সামনে দাড়িয়ে ৎআছি বাসা কেনো সাজিয়ে রাখা হয়েছে,, কিছু তো মাথায় ঢুকছে না,, কলিংবেল বাজানোর পর দরজা খোলার পর যাদের দেখলাম আমি তো অবাক মামা মামি এখানে কিভাবে,l
—রাইসা সোজা গিয়ে জড়িয়ে দরলো,, l
মামিঃ মা রে কেমন আছিস,, l
রাইসাঃ তোমাদের খুব মিস করছিলাম আম্মু এমনিতেই খুব ভালো আছি,, l
আমি মা মামি কে সালাম করলাম, এরপর তারা তাদের নাতি কে পেয়ে,, খুব আনন্দ আছে,, l
আমিঃ আম্মু এখানে এতো আয়োজন কেনো,, l
আম্মুঃ বিয়ে,, l
আমিঃ what ,, কার বিয়ে,, l
আম্মুঃ তোর বিয়ে,,l
আমিঃ আম্মু তুমি এসব কি বলছো তুমি জানো না আমার বিয়ে হয়ে গেছে,, l
আম্মুঃ হুম জানি আমার নাতি ও আছে,, l
আমি তো রাইসা কে খুজতেছি গেলো কোথায় রাইসা,l
আম্মুঃ কি রাইসা কে খুজতেছো পাবে না,, l
এরপর আম্মু আব্বু সবাই আমাকে জোর করে বিয়ের পিরিতে বসাই দিলো আমি তো শেষ কার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিলো বাসর ঘরে আমি ডুকে,, দেখেন আমার বৌ বাচ্চা আছে আমি আপনাকে মানতে পারবো না,,, l
এরপর বৌ টা আইমিন যার সাথে বিয়ে হয়ছে ঘোমটা সরানোর পর আমার চোখে কপালে উঠে গেছে,, রাইসা,, l
রাইসাঃ কি জেনো বলতেছিস আমাকে মানতে পারবে না,, (আমার কলা দরে)
আমিঃ আরে আরে কলা ছাড়ো ব্যাথা পাচ্ছি তো,, l
আমি কেমন জানি এটা তুমি,, l
রাইসাঃ কিছু তারমানে তুই আরেক টা পেতনি কে বিয়ে করতে বললে বিয়ে করে ফেলতি,, 😭😭😭
আমিঃ ওও নো বেবি কান্না করে না please,,
রাইসাঃ রাখা তোর বেবি,, তুই শুধু আমাকে কষ্ট দোচ, l
আমিঃ রাইসা আমাদের মেয়ে কোথায়,, l
রাইসাঃ আরে চিন্তা করো না আম্মুর কাছে আছে,, l
–যাক খুব ভালো হয়ছে প্রথম বার তো নিজের ইইচ্ছায় বাসর করতে পারি নাই এবার নিজের ইচ্ছা মতো করতে পারবো,, l
রাইসাঃ ওই একদম না আমার কাছে আসবে না,, l
আমি কে শুনে কার কথা ওর ওপর ঝাপিয়ে পড়লাম,,