আমিঃদোস্ত চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি
বন্ধুঃওকে চল তাহলে কোনো পার্ক থেকে ঘুরে আসি
আমি একটা রিকশা ডাক দিলাম
ওহ আমাদের পরিচয়তো দেওয়া হল না আমাদের পরিচয় দেই আমি রিয়াদ হাসান আর যার সাথে কথা বলছিলাম সে হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড স্বাধীন ওই আর আমি সব সময় এক সাথে থাকি অনেক ভালো ওই কখনো আমার কথা ফেলে না তাই তো আজ মনটা খারাপ তাই ওকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছি অনেক হয়েছে আমাদের পরিচয় দিতে দিতে আমাদের গন্তব্য স্থানে চলে এসেছি অনেকক্ষন ঘুরাঘুরি করে মনটা ভালো করে চলে আসলাম পরের দিন সকালে আমি ঘুমিয়ে থেকে উঠিনি কার যেনো ফোন আসল আর তাই ঘুমের ঘোরেই ফোনটা রিসিব করলাম
স্বাধীনঃহ্যালো
আমিঃকোন সালায়রে এতো সকালে ঘুমের বারোটা বাজাইলি
স্বাধীনঃশয়তান তুই এখনো ঘুমাই আসিস তোকে বলসি না আজ আমার সাথে যেতে হবে
আমিঃসরি দোস্ত মনে ছিল না।তুই ১০ মিনিট দাড়া আমি ২০ মিনিটে আসতেছি
স্বাধীনঃওকে তাড়াতাড়ি আয়
এইবলে ফোন কেটে দিল কিছু বুঝলেন নাতো আসলে ওর gf মিমের সাথে আজ ওর ১ম ডেট ছিল তাই ওর কথা আমাকে ওর সাথে যেতে হবে তাই আর কি করার ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বের হলাম তারপর ওই আমাকে একটা পার্কে নিয়ে গেলো সেখানে গিয়ে তো ওই ওর gfএর সাথে জুটিয়ে প্রেম করছে আর আমি পাশে বসে দেখছি আর ভাবছি৷ যে আমার gf কবে হবে।
ওহ একটা কথা তো বলাই হয় নাই স্বাধীনের একটা সুন্দর ছোটো বোন আছে নাম জান্নাতি দেখেতে একবারে পরীর মত অবশ্য আমি ওকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু বন্ধুত্ব নস্টের ভয়ে কখনো কিছু বলিনি অনেকক্ষণ পরে
আমিঃদোস্ত তোর প্রেম করা কি শেষ হলো
স্বাধীনঃহুম…..চল বাসায় যাব
আমিঃওকে চল
তারপর বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে ছাদে উঠলাম ছাদে এসে দেখি জান্নাতিও ছাদে আছে আর বার বার আড় চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে আমি সব সময় পর থেকে দুরে থাকার চেস্টা করি এভাবে অনেক দিন চলার পর একদিন আমি আার আমার কাজিন মিতু হেঁটে বাসায় আসছিলাম তখন জান্নাতি দেখে কেমন যেন রাগ করে চলে গেলো সেদিন বিকালে আবার জান্নাতির সাথে দেখা হলে জান্নাতি আমার পথ আটকে বলল
জান্নাতিঃআপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে
আমিঃজি বলো কি কথা
জান্নাতিঃআপনি কোনো মেয়ে সাথে আর কথা বলবেন না,কোনো মেয়ের দিকে তাকাবেন না
আমিঃকেনো আমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বললে বা তাকালে তোমার সমস্যা কি
জান্নাতিঃতকাবেন না বলছি তাকাবেন না
আমিঃআজব তো কি সমস্যা সেটা তো বলবেন নাকি
জান্নাতিঃকারণ….
আমিঃ কি কারণ সেটাতো বলবেন
জান্নাতিঃকারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি আর অন্য কোনো মেয়ের সাথে আমি আপনাকে দেখতে পারি না
এক নিশ্বাসে সব বলে চলে গেলো
আর আমি বাসাই চলে আসলাম বাসায় এসে ভাবছি যে আজ এটা কি হলো যেটার ভয় পাচ্ছিলাম সেটাই হলো পরেরদিন জান্নাতির সাথে দেখা হলে ওই বলল
জান্নাতিঃআমার Answer টা কিন্তু পেলাম না
আমিঃদেখ জান্নাতি তোমার সাথে আমার যায় না তুমি কোথায় আর আমি কোথায় তাছাড়া আমি চাই না যে তোমার জন্য আমার আর স্বাধীনের বন্ধুত্ব টা নস্ট হয়ে যাক সরি আমি তোমাকে ভালোবাসতে পাবো না (অনেক কষ্টে কথাগুলো বললাম কারণ আমিও ওকে অনেক ভালোবাসি)
জান্নাতি কান্না করতে করতে চলে গেলো আর আমি মন খারাপ করে একটা দোকানে গেলাম আর একটা সিগারেট ধরাইলাম সিগারেট খেলে নাকি কষ্ট কমে তাই কষ্ট দূর করার জন্য সিগারেট খাচ্ছি
আর ওই সেদিন রাতে অনেক কান্না করেছেতরপরে একদিন সিগারেট খাচ্ছিলাম তখন স্বাধীনের সাথে দেখা
স্বাধীনঃকিরে দোস।ত কি হইছে তুই সিগারেট খাচ্ছিস কেনো
আমিঃএমনি খাচ্ছিরে
স্বাধীনঃতুইতো কখনো সিগারেট খাইতি না তো হটাৎ করে দেখ দোস্ত কি হইছে আমাকে বল আমি কিন্তু এসব দেখতে পারছি না
আমিঃআরে দোস্ত কিছু হয়নি।চলিরে বাসায় কিছু কাজ আছে
এই বলে আমি চলে আসলাম কিছুদিন পর দেখলাম জান্নাতি অনেকটা শুকিয়ে গেছে মনে হয় অনেক দিন থেকে কিছু খায় না ঘুমায় না আর সারা রাত মনে হয় কান্না করেএমনি একদিন জান্নাতি ঘরে শুয়ে কান্না করছিল আর স্বাধীন তা দেখে ফেলে তখন স্বাধীন জান্নাতির রুমে গিয়ে ওকে বলে
স্বাধীনঃজান্নাতি কি হইছে তোর
জান্নাতিঃনা ভাইয়া কিছু হয়নি(চোখের পানি আড়াল করে)
স্বাধীনঃসত্যি করে বলতো বোন কি হইছে কিছুদিন হতে লক্ষ্য করছি ঠিক মত খাস না রাতে মনে হয় কান্না করিস ঘুমাস না
তখন জান্নাতি নিজের কান্না আর ধরে রাখতে না পেরে কান্ন করতে করতে আমার আর ওর মাঝের সব কথা স্বাধীন কে বলল
এসব কথা শুনে
স্বাধীনঃও এই ব্যাপার চিন্তা করিস না আমি সব ঠিক কর দিব
এ কথা বলায় জান্নাতি স্বাধীনকে জড়িয়ে ধরল
তারপর….….

একথা বলার পর জান্নাতি স্বাধীনকে জড়িয়ে ধরলো তারপর স্বাধীন আমাকে ফোন দিলো আমি তখন মামার দোকানে বসে সিগারেট খাচ্ছি
আমিঃহ্যালো।
স্বাধীনঃকই তুইরে
আমিঃমামার দোকানে কেনো দোস্ত কোনো দরকার
স্বাধীনঃহুম তুই ওখানে থাক আমি আসতেছি
এই কথা বলে ফোন কেটে দিলো
কিছুক্ষণ পর স্বাধীন আমার কছে এসে বললো
স্বাধীনঃ দোস্ত আমাকে একটা সত্যি কথা বলবি
আমিঃকি এমন কথা যে সত্যি বলবো না মিথ্যা বলবো তা আগে জানতে চাইসিস
স্বাধীনঃতেমন কিছু না বল সত্যি বলবি
আমিঃওকে বলবো।এবার তো বল
স্বাধীনঃতুই সিগারেট খাওয়া শুরু করছিস কেনো
আমিঃআরে এমনি সখ করে খাই
স্বাধীনঃতাও মিথ্যা বলসিস আমাদের বন্ধুত্ব ৫ বছরের আমি জানি তুই কারণ ছাড়া কখনো এটা করবি না
আমিঃআরে দোস্ত বাদ দে তো
স্বাধীনঃআচ্ছা দোস্ত তুই কি জান্নাতি কে লাইক করিস মানে ভালোবাসিস
(ওর কথা শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম ঔ সব কিছু জানতে পারে নি তো)
আমিঃনা কে বললো তোকে
স্বাধীনঃমিথ্যা বলতে শিখিস নি আজও নাহ
আমিঃআরে ক…ক…কই মিথ্যা বললাম
স্বাধীনঃআমি সব জানি আমাকে মিথ্যা বলে আর লাভ নাই জান্নাতি আমাকে সব বলেছে
আমিঃকি বলছে
স্বাধীনঃ ঔ তোকে খুব ভালোবাসেরে আর আমিও তোকে অনেক দিন থেকে চিনি তুই অনেক ভালো ছেলে আর তুই কি ভাবসিস যে তুই ওর সাথে প্রেম করলে আমি তোদের মাঝে বাঁধা হয়ে দারাবো না কখনো না আরে তুই তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড
আমিঃদোস্ত……
স্বাধীনঃযাই হোক আমার বোন কে কিন্তু কখনো কষ্ট দিবি না তাইলে কিন্তু তোকে খুন করে ফেলবো
আমিঃআরে চিন্তা করিস না আমি ওকে কখন কষ্ট পেতে দিবো না তুই কনো চিন্তা করিস না
স্বাধীনঃওকে যা ওর সাথে দেখা কর ওই তোর জন্য wait করসে ছাদে
আমি আর দেড়ি করলাম না ছাদে গিয়ে দেখি ঔ ছাদের এক কোনায় মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে আমি ওর কাছে যেতেই ঔ আমাকে বললো
জান্নাতিঃএখানে কেনো আসছো (আভিমানি শুরে)
আমিঃতোমাকে অনেক ভালোবাসি তাই তোমার কাছে আসলাম
জান্নাতিঃআমি তোমাকে ভালোবাসি না চলে যাও এখান থেকে
আমিঃসত্যি তুমি আমাকে ভালোবাসো না
জান্নাতিঃনা
আমিঃওকে কোনো সমস্যা নাই আমি তাইলে এখানে থেকে আর কি করব আমি তার থেকে বরং মিতুর কাছে যাই ঔ আমাকে অনেক ভালোবাসে (ওকে রাগানোর জন্য বললাম)
এই কথা বলে চলে আসছিলাম তখন জান্নাতি আমার হাত ধরে আটকালো
আমিঃকি হলো আমাকে আটকালে কেনো
জান্নাতিঃকই যাও
আমিঃকেনো মিতুর কাছে যাবো তুমিতো আমাকে ভালোবাসো না
জান্নাতিঃআর এক পাও নোরবা না নোরলে কিন্তু পা ভেঙ্গে আমার কাছে রেখে দিবো আর শুনো আজ থেকে কোনো মেয়ের দিকে তাকাবা না তাইলে চোখ তুলে নিব
আমিঃতুমিতো আর আমাকে ভালোবাসো না তাইলে অন্য কারো সাথে কথা বললে তোমার সমস্যা কোথায়
জান্নাতিঃসমস্যাতো আমারই হবে আমি যে তোমাকে অনেক ভালোবাসি
আমিঃআমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি
জান্নাতিঃজানি তুমি আমাকে কত ভালোবাসো
আমিঃবলত কত ভালোবাসি
জান্নাতিঃতুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না যদি ভালোবাসতে তাইলে আর আমাকে এত কষ্ট দিতে না
আমিঃসরি…আমিও অনেক কষ্ট পাইছি আসলে আমার আর স্বাধীনের বন্ধুত্ব নষ্টের ভয়ে সেদিন না করছিলাম
জান্নাতিঃওকে বুঝছি এখন আমাকে প্রপোজ করো
আমিঃকি দিয়ে প্রপোজ করব ফুল তো নাই
জান্নাতিঃফোনে ফুলের ছবি নাই
আমিঃআছে তো কিন্তু ওটা দিয়ে কি হবে
জান্নাতিঃওটা দিয়ে প্রপোজ করো
আমিঃফোনে একটা গোলাপ ফুলের ছবি বের করে হাঁটু গেড়ে বসে তুমি কি আমার স্বপ্নের রানী হবে তুমি কি আমার রাতে চাঁদ দেখার সঙ্গি হবে হবে কি আমার একলা পথের সঙ্গি
জান্নাতিঃহুম হব
আমিঃI love u
জান্নাতিঃI love u too
আমিঃএবার একটু আদর করি
জান্নাতিঃএখন না একবারে বিয়ের পর যত ইচ্ছা আদর করিও
আমিঃওকে কিন্ত একটা মিষ্টি তো খাওয়াবে
জান্নাতিঃএখন মিষ্টি কোথায় পাবো
আমিঃতোমার কছেই তো আছে এই বলে চার ঠোট এক করে দিলাম ৭ মিনিট পরে ছারলাম
এভাবে ১ বছর চলার পর ছাদে আমি আর জান্নাতি জোড়িয়ে ধোরে আছি এমন সময় স্বাধীন আসলো তা দেখে আমরা একে অপরকে ছেড়ে দিলাম এদিকে তো জান্নাতি লজ্জা পেয়ে চলে গেলো আর স্বাধীন আমাকে বললো
স্বাধীনঃএভাবে আর কতদিন যাবে এবার তো তোর বাড়ি থেকে তোর বাবা মাকে দিয়ে বিয়ের প্রপোজাল পাঠা
আমিঃওকে দোস্ত কাল পাঠাব
আজ আমার বিয়ে সবার দাওয়াত থাকলো আসবেন কিন্তু সবাই
রাত ১২ টার সময় বাসর ঘরে ঢুকলাম বউ এসে সোজা আমার কলার ধরে
জান্নাতিঃকোথায় ছিলি এতক্ষণ
আমিঃছাদে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিচ্ছিলাম
জান্নাতিঃতাহলে ওখানেই থেকে যাইতি আসার আর কি দরকার ছিলো
আমিঃসরি
অতঃপর আমরা ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করলাম তারপর বাকিটা ইতিহাস